চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মুক্তা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মুক্তা উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ছতুরা শরীফ গ্রামের দিন মজুর মোঃ ফারুক মিয়ার মেয়ে আজ ৫ আগস্ট শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঘরের তীরের সাথে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় পরিবারের লোকজন।
আখাউড়া থানার ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এ ব্যপারে একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া উপজেলার ৫ নং দক্ষিণ ইউনিয়ন প্রবাসী আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বেলা ১২ টার দিকে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল দক্ষিণ ইউনিয়ন প্রবাসী আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে আগামী ২ বছরের জন্য অনুমোদন দেন।
এসময় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আবদুল মমিন বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগে সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন, দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ পারভেজ, মোসাদ্দেক ভূইয়া, সজিব ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা রাফসান জানি, ছাত্রলীগ নেতা লুৎফুর রহমান সজীব, আখাউড়া উপজেলা প্রবাসী আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
নব গঠিত সংগঠনের আরিফ ভূইয়া বলেন, ৯ জনকে উপদেষ্টা করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট দক্ষিণ ইউনিয়ন প্রবাসী আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতি আমাকে সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুজন মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল চৌধুরী’কে করা হয়। এই কমিটির নবনির্বাচিত সদস্যরা নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা, আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে যেতেন মুক্তিযোদ্ধা ও শরনার্থীরা। ওই স্মৃতিকে ধরে রাখার উদ্যোগ গ্রহন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ওই স্থানে স্মৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করার কথা জানিয়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
তিনি আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরে ঘাগুটিয়া এলাকার সেই স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, আগামী বর্ষার আগেই পরিকল্পনা মাফিক কাজ শেষ করা হবে।
আল-মামুন সরকার জানান, ঘাগুটিয়ার বর্তমান বিজিবি ক্যাম্পের পাশ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত যাতায়ত করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শরনার্থীরা। তিনি নিজেও এ পথে বহুবার ভারত গেছেন। যে কারণে স্থানটি স্মৃতিবিজরিত ও গুরুত্বপূর্ন। এছাড়াও এর পাশে পদ্মবিল থাকায় জায়গাটিতে অনেক লোকের সমাগম হয়। এসব ভাবনাকে মাথায় রেখে এখানে স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত জায়গার মালিকের সাথে এ নিয়ে কথা হয়েছে। জায়গা দিতে তাঁর সম্মতি পাওয়া গেলেই কাজ শুরু করা হবে।
এ সময় আল মামুন সরকারের সাথে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন শফিক আলেয়া, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সংবিধান মেনে চলি। তার কারণ হচ্ছে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে এই সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। সেই সংবিধান মেনেই নির্বাচন করব। যারা সংবিধান মানে না তারা নিজেদেরকে বাংলাদেশের নাগরিক বলাটা সঠিক হবে না।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা অনেক কথাই বলতে পারে।
এর আগে তিনি আখাউড়া ষ্টেশনে উপস্থিত নেতাকমীর্দের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন এক উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিত হয়েছে। আমরা শেখ হাসিনার পলিকল্পনা অনুয়ায়ী তাঁর নেতৃত্বে কাজ করব এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে সকাল সাড়ে ১০টায় আখাউড়া এসে পৌঁছেন।
এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল’সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ সহ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি সড়ক পথে নিজ উপজেলা কসবার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তিনি বিকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টানমান্দাইল গ্রামে ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় অবৈধভাবে হাওড়া নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় আবু কাউছার ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই অর্থদন্ড প্রদান করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাওড়া নদী থেকে অবৈধভাবে খনন যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলো একটি প্রভাবশালী চক্র। বিষয়টি জানতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী মঙ্গলবার দুপুরে ছয়ঘরিয়া এলাকায় গিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।
পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আবু কাউছার ভূঁইয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। পরে আবু কাউছার ভূঁইয়া ১ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার কোথাও অবৈধভাবে কেউ মাটি বা বালু উত্তোলন করে করতে পারবেনা। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম গত মে মাসের ৬ তারিখ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশনে স্থাপিত ব্যাগেজ স্ক্যানার উদ্বোধন করেন। আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে আগত এবং বহিঃগমণকারী যাত্রীদের ব্যাগেজ চেকিং করার জন্য এই যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়। ব্যাগেজ চেকিংয়ের পাশাপাশি কেউ মাদক কিংবা অবৈধ পণ্য বহন করছে কিনা সেটিও চিহ্নিত করা এর উদ্দেশ্য। কিন্তু উদ্বোধনের পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও স্ক্যানার মেশিনে ব্যাগেজ চেকিং করা হয় না। স্ক্যানার বসানো কক্ষটি বেশির সময়ই থাকে তালাবদ্ধ। এতে এ চেকপোষ্ট দিয়ে পারাপার হওয়া যাত্রীদের ব্যাগেজ স্ক্যানিং কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। শুল্ক কর্মকর্তাদের ইচ্ছার উপরও নির্ভর করছে চেকিংয়ের কার্যক্রম। ফলে কেউ মাদক বা অবৈধ কোন পণ্য নিয়ে আসা যাওয়া করছে কিনা তা চিহ্নিত হয় না।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার পর্যটক আসা যাওয়া করে। এতদিন স্থল শুল্ক স্টেশনে ব্যাগেজ চেকিংয়ের কোন যন্ত্র না থাকায় শুল্ক কর্মকর্তারা যাত্রীদের ব্যাগেজ চেকিং করে আসছেন। সঠিকভাবে চেকিং কার্যক্রম করার লক্ষ্যে এক মাস আগে ব্যাগেজ স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করা হয়। কিন্তু স্ক্যানার মেশিন উদ্বোধনের পরও এক মাস ধরে অজ্ঞাত কারণে ব্যাগেজ চেকিং কার্যক্রম করা হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্ক্যানার মেশিনের কক্ষটি তালাবদ্ধ। এক ঘন্টা অবস্থানকালে কোন যাত্রীর ব্যাগেজ স্ক্যান করতে দেখা যায় নি।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ খান বলেন, স্ক্যানার কক্ষের রংয়ের কাজসহ কিছু কাজ এখনও শেষ হয়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিল্ডিংটি আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয়নি। তবে স্ক্যানার মেশিন ঠিক আছে। আমরা মাঝে মধ্যে স্ক্যান করি। বিল্ডিংটি বুঝিয়ে দিলে আশা করি আগামী মাস থেকে পুরোপুরি স্ক্যানিং করতে পারব।