অনলাইন ডেস্ক :
অতিবৃষ্টিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে চলন্ত অটোরিকশার ওপর আকাশ মণি গাছ ভেঙে পড়েছে। এতে চালকসহ দুজন আহত হয়েছেন।
আজ ৫ আগস্ট শনিবার সকাল ১০টার দিকে সড়কের তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে সড়কে প্রায় ৩ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। দুপুর ১টার দিকে গাছটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ফায়ার সার্ভিসের রাঙ্গুনিয়া স্টেশনের টিম লিডার জাহেদুল ইসলাম জানান, দেড় ঘন্টারও অধিক সময়ের চেষ্টায় গাছটি অপসারণ করা হয়। আহত চালককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, গত কয়েক বছর ধরে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের পাশের ঝুঁকিপূর্ণ গাছ উপড়ে পড়ছে। সড়কে হেলে পড়া গাছে ধাক্কা খেয়ে বাসের ছাদে থাকা এক যাত্রী মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে কয়েকবছর আগে। অ্যাম্বুল্যান্সে মরা গাছের ঢাল পড়ে স্বজনসহ রোগী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম–কাপ্তাই বাস মিনি বাস ওর্য়াকাস ইউনিয়নের সভাপতি আকদুল কুদ্দুছ জানান, এ সড়কে এ ধরনের অনেক গাছ রয়েছে। এসব গাছের কারণে এ সড়কে যান চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
১১ দিনের ব্যবধানে
স্টাফ রিপোর্টার:
ইতালিতে গত ১১ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন কারণে সাত বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বা কারও মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আবার কেউ হার্ট অ্যাটাকেও প্রাণ হারিয়েছেন। পরবাসে এমন অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের আবহ বিরাজ করছে। সাত বাংলাদেশীর মধ্যে একজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক রোমের অদূরে সিভিতা ভেক্কিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। গত ৫ ডিসেম্বর রেদুয়ানুর রহমান নামে বাংলাদেশিকে মৃত অবস্থায় রাস্তায় পাওয়া যায়, তার বাড়ি ঢাকা। পুলিশ মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্তাধীন। একই দিনে কাতানিয়া সিসিলিতে মো. শাহ আলম নামে এক বাংলাদেশি যুবক হার্টঅ্যাটাকে মারা যান। ৬ ডিসেম্বর মো. বারেক সারেং নামে আরেক বাংলাদেশি হার্টঅ্যাটাকে দক্ষিণ ইতালির নাপোলির হাসপাতালে মারা যায়। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। একই দিনে রোমে হার্টঅ্যাটাকে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মো. ফয়সাল খান। ইমরান দরবারি নামে আরেক বাংলাদেশি ইতালির আনকোনা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। বাংলাদেশি আরেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোহাম্মদ আজিম গত ৭ ডিসেম্বর ইতালির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। তিনি ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন।
চলতি মাসে কয়েক দিনের ব্যবধানে সাত বাংলাদেশির মৃত্যুতে ইতালিতে অনেক প্রবাসী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, মৃতদের বেশিরভাগ বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের অকাল মৃত্যুতে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
এপ্রিলের শেষ দিকে উপজেলা নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে খুলনার ফুলতলা রি-ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপজেলার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে প্রথম ধাপের নির্বাচন। সকলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের সকল রাজনৈতিক দল দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করতে চাইলে বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় রাজনৈতিক দল বা স্বতন্ত্র প্রতিনিধি নিয়ে নির্বাচনে কোনো বাধা নেই।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, নাগরিকসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। স্মার্টকার্ডে দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মাধ্যমে নাগরিক সম্পর্কে জানা যাবে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল সেবার ক্ষেত্রে এর প্রয়োজন রয়েছে। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই স্মার্ট কার্ড উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এর ডাটাবেজ সুরক্ষিত, ব্যক্তির চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি এবং দশ আঙুলের ছাপ দিয়ে তৈরি।
তিনি আরও বলেন, এই স্মার্ট কার্ড ইতালি, সৌদি আরব, আমেরিকা ও আবুধাবি এই চারটি দেশের প্রবাসীদের বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও ১১টি দেশে বিতরণ করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন করে আলাদা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, খুলনা জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ২০ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ ২০ হাজার ভোটার স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন। এবার প্রায় ৯ লাখ ব্যক্তির মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে ফুলতলা উপজেলার ২ হাজার ৯২০ জনের মাঝে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন আইডিইএ এর প্রকল্প পরিচালক (২য় পর্যায়) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লার তিতাসে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে খুন হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আজ ৭ মে রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কুমিল্লা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাবের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. তানভীর মাহমুদ পাশা।
তিনি বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে কুমিল্লার তিতাসে পরিকল্পিত খুনের শিকার হয়েছেন যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন।
বোরকা পরে কমান্ডো স্টাইলে গুলি করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত ৩টি বোরকা জব্দ করা হয়েছে।
কর্ণেল মো. তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে র্যাব-১১ এর একাধিক টিম তদন্তে নামে। ঘটনাস্থলসহ আশপাশের বাড়িঘর ও স্থাপনার বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। র্যাবের গোয়েন্দা তথ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার ঢাকার রায়েরবাগ থেকে শাহিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদার (৪০) ও মো. ইসমাইল (৩৬) এবং চট্টগ্রাম থেকে শাহ আলম ওরফে পা কাটা আলমকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে শাহিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদার তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।
তিনি জানান, এই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অপর ৬ আসামির মধ্যে সুজন ও আরিফ নেপালে, বাদল দুবাই, শাকিল ভারতে ও অলি হাসান সৌদি আরবে এবং কালা মনির অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে আছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া বোরকা পরা ৩ দুর্বৃত্তের পরিচয় অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় এখনই বলা যাচ্ছে না। বিদেশে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ঘটনাস্থল ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সাংবাদিকদের দেখানো হয়। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন র্যাব ১১, সিপিসি-২ এর কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
তিনি জানান, মাদরাসা রোড দিয়ে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থলে এলেও কিলিং মিশন শেষ করে অন্য রোডে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের অদূরের একটি ঝোপের মধ্য থেকে দুর্বৃত্তদের ব্যবহার করা তিনটি বোরকা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের দাউদকান্দি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে দুপুরে দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
গত ৩০ এপ্রিল রাত সোয়া আটটার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে বোরকা পরা তিন দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ২ মে রাত সাড়ে ১১টায় দাউদকান্দি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত সাত থেকে আটজনের নামে মামলা করেন নিহত জামালের স্ত্রী পপি আক্তার। জামাল হোসেন তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ ২৩ মে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কাকরাইলে অবস্থিত শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আসেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহান ও আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টরা।
গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
ওই সময় আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেছিলেন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে গত ২৮ জানুয়ারি হাজির হয়ে আপিল করেন ড. ইউনূস।
চলারপথে রিপোর্ট :
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বজ্রপাতে হাবিয়া বেগম (৫২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৭ অক্টোবর শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।
বাড়ির পাশে পুকুর পারে বৃষ্টির সময় গাছের নিচে আশ্রয় নিতে গিয়ে সেখানেই বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত হাবিয়া বেগম ওই ইউনিয়নের উত্তর চরখালী গ্রামের মো. রুহুল আমিন ফকিরের স্ত্রী। তার দুই ছেলে রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েণ বলেন, শনিবার দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে পুকুর পারে গিয়েছিলেন হাবিয়া বেগম। হঠাৎ বৃষ্টির প্রকোপ বেড়ে গেলে গাছের নিচে আশ্রয় নেন তিনি। সেখানেই বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।