চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে হাফিজ উদ্দিন (৪৭) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ ৫ আগস্ট শনিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত হাফিজ উদ্দিন উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের ছান্দাল আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, প্রায় দেড় মাস আগে স্থানীয় একটি দোকানে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আল আমিন মিয়ার পরিবারের সঙ্গে হাফিজ উদ্দিনের ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় সালিশ হয়। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে ৪ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে রায়হান নামের একজন হাফিজ উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাফিজ উদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ওসি আরো জানান, নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বাড়িতে নিয়ে আসা হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে আজ ৫ নভেম্বর রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু (নৌকা প্রতীক) ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি এই আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (কলার ছড়ি) পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
আজ ৫ নভেম্বর রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার ১৩২টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে অপর প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪২ ভোট, জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ জহিরুল ইসলাম জুয়েল (গোলাপ ফুল) পেয়েছেন ৫৬১ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ রাজ্জাক হোসেন (আম প্রতীক) পেয়েছেন ৭৩৯ ভোট।
জেলা পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ফলাফল ঘোষনা করেননি। উল্লেখ্য ১৯৭৩ সালের পর এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
এদিকে আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর বিজয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, শাহজাহান আলম সাজুকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করায় আমি সংসদীয় আসনের ভোটারদেরকে ধন্যবাদ জানাই। শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দেয়ায় জেলা প্রশাসন, আইন-শৃংখলাবাহিনী সহ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই ও শাহজাহান আলম সাজুকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে তাহের উদ্দিন ঠাকুর বিজয়ী হয়েছিলেন। এর পরের নির্বাচনগুলোতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী দিলেও তারা জয়লাভ করতে পারেননি । নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি আওয়ামীলীগ মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থেকে টাকা উঠনোকে কেন্দ্র দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০জন আহত হয়েছে। এসময় পুলিশ সংঘর্ষ স্থল থেকে ৬ দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের একটি কাঁচা সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় মাটি ফেলে সংস্কার করে মেম্বার গোষ্ঠীর নয়ন ও তার সহযোগীরা। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে একই গ্রামের সরদার গোষ্ঠীর জুয়েল সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে যাচ্ছিল।
এ সময় জুয়েলের কাছে সড়ক মেরামতের কথা বলে ১০টাকা চায় নয়ন। এতে জুয়েল টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির বিষয়টি মিমাংসা করতে সন্ধ্যায় সালিশে বসে দু;পক্ষের লোকজন। এসময় সালিশের মধ্যেই উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রাতে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এরই জের ধরে আজ ২ অক্টোবর বুুধবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দেড় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সকালে তেরকান্দা গ্রামের জুয়েল এবং নয়নের গোষ্ঠীর মধ্যে পুনরায় গন্ডগোল শুরু হওয়ার খবর পায়। ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৬ দাঙ্গাবাজকে আটক করি এবং সংঘর্ষ স্থল থেকে কিছু টেট্টা বলমসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করি। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে জমি-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন দুইজন। আজ ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বিষুতারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন বিষুতারা গ্রামের আজাদ মিয়া (৫৫) ও তার আমানত মিয়া (৬০)। এ ঘটনায় আরো পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিটিবাড়ি নিয়ে বিষুতারা গ্রামের আজাদ মিয়ার সাথে তার ভাতিজা ইনসান মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সকালে আজাদ মিয়া তার দোকান খোলার সময় ইনসান মিয়া ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আজাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আজাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর আজাদ মিয়ার পক্ষের লোকজন ইনসান পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ইনসান পক্ষের সমর্থক আমানতকে বল্লম দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্বৃত্তদের হামলায় মোস্তফা কামাল নামে একজন ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। ২৯ জুলাই মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল কালিকচ্ছ নন্দীপাড়া গ্রামের সাবেক বিডিআর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মমিন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও পরিবারের সূত্রে জানা যায়, মোস্তফা কামাল কালিকচ্ছ বর্ডার বাজারের বিকাশ ও কনফেকশনারী ব্যবসায়ী এবং ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের কালিকচ্ছ শাখার ফিল্ড অফিসার ছিলেন। পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর হলেও বর্তমানে ক্রয় সূত্রে তিনি কালিকচ্ছ মধ্যপাড়ার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। মঙ্গলবার রাতে মোস্তফা কামাল দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাড়ির কাছেই সড়কে তাকে একা পেয়ে দুর্বৃত্তরা তার মাথায় ও ঘাড়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে একজন পথচারী তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কের পাশে পরে থাকতে দেখে বাড়িতে পরিবারের লোকদের খবর দেন। সেখান থেকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
খবর পেয়ে রাতেই সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে হামলার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন এক ব্যবসায়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সকল জুলুমেরই শেষ আছে। আওয়ামী লীগ মনে করেছিল, যতোদিন তারা বেঁচে থাকবে ততোদিন ক্ষমতায় থাকবে। দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। এমন কোনো দিন নেই বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি আর হামলা হয়নি। এমন কোনো দিন নেই- রাত নেই শান্তিতে আমরা ঘুমাতে পেরেছি।’ দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা যদি থাকে তাহলেই রাজনীতি করা যায়।
আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। বিএনপি আশা করে এ সরকার গণমানুষের দাবির প্রতি লক্ষ্য রেখে দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করবে। বিএনপি আর কোনো ষড়যন্ত্র দেখতে চায় না। আরেকবার ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে চায় না। বিএনপি চায় না নির্বাচনকালীন সময় ব্যবহার করে আবারও কোনো দুষ্কৃতকারী বাংলাদেশের মানুষের ঘাড়ে চেপে বসে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে জুলুম-নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, সবাই এখন ঐক্যবদ্ধ থাকার সময়। ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে একটি নির্বাচন যদি আদায় করতে না পারি, তাহলে আন্দোলনের বিজয় ধুলিসাৎ হয়ে যাবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রকারীর শক্তি বিএনপিকে পরাজিত করতে পারবে না।
এ সময় রুমিন ফারহানা আগামী সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হতে পারলে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দেন।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ. বি. এম. মোমিনুল হক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফুজায়েল চৌধুরী।