অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের ফলের ভিত্তিতে অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে আগামী ১০ আগস্ট। আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এবারও তিন দফায় আবেদন গ্রহণ করা হবে।
আজ ৬ আগস্ট রবিবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির বিস্তারিত তথ্য সংক্রান্ত নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। এরপর ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং ২৩ সেপ্টেম্বর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে।
তিন ধাপের ফল প্রকাশের পর ২৬ থেকে ৫ অক্টোবর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। ক্লাস শুরু হবে ৮ অক্টোবর থেকে।
ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা বা হাতে হাতে কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। কেবল অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া: অনলাইনে এই ওয়েবসাইটের (www.xiclassadmission.gov.bd) মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একাদশে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে ভর্তির পছন্দক্রম দেওয়া যাবে আবেদনে।
একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে প্রকাশিত ফলাফলে।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আমাদের সমস্ত উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে। কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়নি। রিজার্ভ নিয়েও দেশে কোনো সংকট নেই। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রিববার দুপুরে রাজশাহীতে কর্মরত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতা সর্বত্রই বিরাজমান। এটা দূরীকরণে বর্তমান মন্ত্রীসভা কাজ করবে। দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করে কীভাবে দ্রুত কাজগুলো করা যায় তা নিয়ে কাজ করবো। আর সুন্দর ও ভালো কাজ করতে গিয়ে হয়তো বিলম্বিত হয়। প্রকল্পে সমন্বয়ের ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে কাজে দীর্ঘসূত্রিতা হয় উল্লেখ করে রাজশাহীর উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সমন্বয় সাধনে তিনি কাজ করছেন বলে জানান। আরডিএ থেকে অনুমোদন না নিয়ে কেউ আবাসন গড়ে তুললে সেটা বে-আইনি কাজ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা দেখার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। সুতরাং, জেলা প্রশাসক এটা দেখুক। এরআগে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের সভাপতিত্বে রাজশাহীতে কর্মরত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপূর্তমন্ত্রী।
অনলাইন ডেস্ক :
পৃথিবীর যেকোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান কম নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।
আজ ৯ মার্চ শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে ‘রেসিডেন্টদের ইনডাকশন প্রোগাম মার্চ-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর যেকোন দেশের তুলনায় কম নয়। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের যে মেধা আছে, তার অনেক প্রমাণ আছে। আমরা ভুটান থেকে রোগী নিয়ে এসে চিকিৎসা দিচ্ছি। রোগী যে বাইরে যাচ্ছে এমন নয়। ভারত থেকেও রোগী আসছে। হাঙ্গেরি থেকে যে চিকিৎসক দল জোড়া মাথা আলাদা করেছিল, সেই অপারেশন রোগীদের অ্যানেস্থাসিয়া সে দেশের চিকিৎসকরা দিতে পারেননি। তাদের অ্যানেস্থাসিয়া দিয়েছিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা।
তিনি বলেন, আজকে যারা ইনডাকশনে রেসিডেন্ট হিসেবে বসে আছেন, তারা আগামীর দিনে চিকিৎসক হিসেবে কাণ্ডারি। ডাক্তার ও রোগীদের ভালো সম্পর্ক অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। শুধু ডাক্তারদের ওপর নির্ভর করে না। একটি হাসপাতালে ভালো কাজ একজন পরিচালক থেকে শুরু করে একজন অধ্যাপক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্ন কর্মীর ওপর নির্ভর করে। এদের সবার ওপর একটি হাসপাতালের সুনাম বৃদ্ধি নির্ভর করে।
নবীন চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমরা চিকিৎসকদের সম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে পারব যে কোনো একদিন এই দেশের মানুষ চিকিৎসকদের দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা নিচু করবে। এটি করতে হলে আমাদের একটু ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শুনতে হবে, ধৈর্য নিয়ে রোগীদের সেবা দিতে হবে। এজন্য সময় মতো হাসপাতালে যাব, আসব। এদেশের সাধারণ মানুষ বেশি কিছু চায় না। তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে কথা বলা, সেবা দেয়া, কেমন আছেন জিজ্ঞেস করা এটুকুই চায়।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা উন্নতির যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, সেটি আমাদের দিয়েই সম্ভব। আমাদের মনে রাখতে হবে, ঢাকায় সব কিছু না। আমরা চিকিৎসকদের ইনটেনসিভ দেব। আমাদের প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে এ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। আমি বিশ্বাস করি যদি তাকে সঠিক তথ্য দিয়ে বোঝাতে পারি তবে তিনি চিকিৎসকদের সব কিছু করবেন। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম একজন চিকিৎসককে দায়িত্ব দিয়েছেন। রমজান মাসে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে মিটিং করব। এটি যাতে সংসদে পাস হয় সেজন্য আমি চেষ্টা করব।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন।
সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ প্রমুখ।
এবার ইনডাকশন প্রোগ্রামে ১ হাজার ৪২৩ জন চিকিৎসক অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হওয়ার জন্য শপথ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে রেসিডেন্টদের শপথ বাক্য পাঠ করান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে শ্রুতি লেখক দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে মেধাবী অন্ধ শিক্ষার্থী অরিত্র ইশতিয়াক আলম।
ইচ্ছা শক্তি ও দৃঢ় মনোবল থাকলে যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় তার উদাহরণ অরিত্র। সে অন্ধত্বকে বাধা মনে না করে বরং অন্ধত্বকে জয় করে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শ্রুতি লেখক দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে সে মুখে বলে দিচ্ছে তার হয়ে শ্রুতি লেখক দশম শ্রেণির ছাত্রী সুচিত্রা বিশ্বাস লিখে দিচ্ছে। সে সরকারি মুকসুদপুর কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ নিয়ে সরকারি সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন এসজে উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। সে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ফিরোজ আলম মৃধার ছেলে।
ইশতিয়াক আলম অরিত্রর পিতা ফিরোজ আলম মৃধা জানান, আমার ছেলে জন্ম থেকেই একটু চোখে কম দেখে। প্রথমে বাম চোখে সমস্যা ছিল। ভারত থেকে তার চোখের অপারেশন করানোর পর তার ডান চোখে সমস্যা হয়। বর্তমানে তাকে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এতো সমস্যা থাকার পরেও তার অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা থেকেই সে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। সে চোখে দেখতে পায় না তাই একজন শ্রুতি লেখক দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আমি আমার সন্তানের জন্য সকলের নিকট দোয়া চাই।
সরকারি এসজে উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সুপার সরকারি মুকসুদপুর কলেজের প্রভাষক ড. কবির আহম্মেদ জানান, অরিত্র একজন মেধাবী ছাত্র, সে কলেজের নিয়মিত ছাত্র। কলেজে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন সময়ে পুরস্কার পেয়েছে। সে তার অন্ধত্বকে জয় করে শ্রুতি লেখক দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আশা করি সে ভালো ফলাফল করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদী পারাপারের সময় নৌকা ডুবে তিনজন নিখোঁজ হয়েছেন।
আজ ৯ জুলাই রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনি গ্রামের তিস্তা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম কাজ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারি ইউনিয়নের দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের মৃত দমেজ উদ্দিনের ছেলে ফজলুল হক (৫৯), মৃত জুলাই শেখের ছেলে আহিদুল (৫০) ও দক্ষিণ গড্ডিমরাী এলাকার মৃত খাদু শেখের ছেলে শফিকুল (৪৫)।
স্থানীয়রা জানান, সকালের দিকে ধুবনী এলাকার ১৩ জন কৃষক নদী পার হয়ে চরে যাওয়ার সময় মাঝ নদীতে নৌকা উল্টে যায়। এসময় ১০ তীরে আসতে পারলেও ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোঃ মনির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি, ডুবুরি না থাকায় রংপুরে খবর পাঠানো হয়েছে। ডুবুরীদল এলেই উদ্ধার তৎপরতা চালু করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী মিলন বলেন, নদী পার হয়ে আমন ধানের চারা লাগাতে গিয়ে নৌকা ডুবে যায়। বয়স্ক তিনজন ডুবে যায়। এখোন তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন, নৌকাডুবির খবর শুনে ছুটে এসেছি।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এর ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ চালিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করার ব্যাপারে শেখ হাসিনার সরকার জনগণের কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুককে জানান তিনি।
সাক্ষাৎ শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারাহ কুক বাংলাদেশে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদুত হিসেবে যোগ দেওয়ার পর আমার সঙ্গে এটিই তার প্রথম সাক্ষাৎ। তিনি যখন এখানে ডিএফআইডির প্রধান ছিলেন তখন আমার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। এটি তার রুটিন সাক্ষাৎ। হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় সবার সঙ্গেই দেখা করছেন, এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেছেন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের ব্যাপারে তার আগের এরিয়া (ডিএফআইডি) নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। তিনি নিজে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরে অত্যন্ত খুশি। নিজেই সেটা জানিয়েছেন। বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রাখবেন।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আইনি অবকাঠামোর অনেক কিছুই ব্রিটিশ আইনের ওপর নির্ভরশীল। এখন আইনের ক্ষেত্রে অনেকরকম উন্নয়ন হয়েছে এবং এটি আরও কীভাবে উন্নতি করা যায় সে ব্যাপারে আমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনা করেছি। যুক্তরাজ্যে আমাদের যে জুডিশিয়াল অফিসার ও আইনজীবী আছেন তাদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে আমরা আলাপ করেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, লন্ডনে থাকা তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে চেষ্টা করছে সরকার। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাপ করি, তারপর আপনাদের কাছে ফিরে আসব।’
ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। উনি শুধু বলেছেন, আমি খুব ইন্টারেস্টিং সময়ে বাংলাদেশে এসেছি। আমি তাকে বলেছি, এখন কম-বেশি আমাদের মনোযোগ নির্বাচন ঘিরে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভায়োলেন্সফ্রি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জনগণের কাছে শেখ হাসিনার সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’
সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনের গভর্নেন্স উপদেষ্টা রফিকুজ্জামান, ব্রিটিশ হাই কমিশনের দ্বিতীয় সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ভেনেসা বিউমন্ট উপস্থিত ছিলেন।