চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে এক সড়ক দুর্ঘটনায় জুনায়েদ মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। ৬ আগস্ট রবিবার দুপুরে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। আজ ৭ আগস্ট সোমবার সকালে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের মামা শামীম সরকার।
নিহত জুনায়েদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে। তার বাবার নাম হামিদুল ইসলাম।
নিহতের স্বজনরা জানান, বছর খানিক আগে জীবিকার তাগিদে জুনায়েদ পাড়ি জমান সৌদি আরবে। সেখানে তিনি বলদিয়া কোম্পানির গাড়ির হেলপার ছিলেন। রবিবার দুপুরে দাম্মাম শহরে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি সড়কের পাশে ছিটকে পড়েন। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চালক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। জুনায়েদের মরদেহ দাম্মাম শহরের একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। জুনায়েদের আকস্মিক মৃত্যুতে তার পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আমাদের বিষয়টি জানায়নি। খোঁজ নিয়ে প্রবাসীর মরদেহ দেশে আনতে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউইতে সাইক্লোন ফ্রেডির আঘাতে কমপক্ষে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ মার্চ সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে ৯৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালাউইর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার চার্লস কালেম্বা।
কালেম্বার মতে, মালাউইয়ের বাণিজ্যিক রাজধানী ব্লানটায়ারে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৪ মার্চ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
কালেম্বা সোমবার সন্ধ্যায় সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমরা প্রায় সাতটি কাউন্সিলে ৯৯ জনের মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করেছি। এর মধ্যে ব্লানটায়ার শহরে সবচেয়ে বেশি ৮৫ জন মারা গেছেন এবং এই এক শহরেই প্রায় ১৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।’
এছাড়া নিহত ও আহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সিএনএন বলছে, মালাউইয়ের সরকার দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ‘দুর্যোগময় অবস্থা’ ঘোষণা করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকভেরা ‘ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি মালাউইয়ের দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ জেলায় যে ধ্বংসলীলা সৃষ্টি করেছে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ’ জানিয়েছেন বলে সরকারি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকার ইতোমধ্যেই জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়া দিচ্ছে, সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় জরুরি সহায়তা প্রদান করছে এবং দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারের জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন খাদেম লিটনের নামাজে জানাযা আজ ১০ মার্চ রবিবার দুপুরে খড়মপুর মাজার শরীফ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় জানাযা শেষে মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এ দিকে আওয়ামী লীগ নেতার জানাজায় অংশ নিতে রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, আলেম উলামা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, বিভিন্ন সামাজিক সাস্কৃতিক সংগঠন, স্থানীয় বাসিন্দা, আত্মীয় স্বজনসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঢল নামে।
জানাযা এর প্রাক্কালে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র মো. নুরুল হক ভূঁইয়া, উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা মো. নজরুল হক ধনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ছালে নেওয়াজ খান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকদির খাদেম, এনাম খাদেম, আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নাসির উদ্দিন খাদেম লিটন ছিলেন একজন বিরল ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও স্পষ্টভাষী লোক। তিনি ছিলেন সর্বশ্রেণির লোকদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র। সর্বদাই তার পরোপকার করা ছিল প্রধান কাজ। তিনি সমাজে যে আদশের্র দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা দিক নির্দেশক হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন বহুগুণের অধিকারী। তার মৃত্যুতে উপজেলাবাসী ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একজন লোককে হারাল। নাসির উদ্দিন খাদেম লিটন শনিবার রাত সাড়ে ৮টা পৌর শহরের খড়মপুর মাজার এলাকায় সালিশ সভায় এসে স্ট্রোক করেন। এরপর লোকজনরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ১ মেয়েসহ অসংখ্যগুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন তাকে এক নজর দেখতে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এদিকে নাসির উদ্দিন খাদেম লিটনের মৃত্যুতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভা মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকদির খাদেম, মো. এনাম খাদেম, সাংবাদিক কাজী হান্নান খাদেম মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তার পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন করেন।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পালানোর সময় হত্যা মামলার এক আসামীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার মানিক কান্দি এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে মোঃ স্বপন মিয়া (৫০)। তার পাসপোর্ট নম্বর ঊঋ ০০৮৯৪৬২।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, সকালে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইমিগ্রেশনের বহির্গমন ডেস্কে তার পাসপোর্ট জমা দিলে পাসপোর্ট যাচাই-বাছাই করার সময় তার পাসপোর্টি ইমিগ্রেশন ডাটাবেইজে কালো দেখায়। এসময় ইমিগ্রেশন পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানাযায়, তার বিরুদ্ধে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তিতাস থানায় একটি হত্যা মামাল হয়, সেই হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সে।
ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ দেওয়ান মোর্শেদুল হক জানান, এই ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। আটক স্বপনের পাসপোর্টটি ইমিগ্রেশন ডাটাবেইজে কালো তালিকাভুক্ত ছিল। পরে তাকে আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।