স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 7 August 2023, 2151 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় রাসেল মিয়া (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

banner

আজ ৭ আগস্ট সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রাসেল জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুরের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকে তিনি পলাতক আছেন।

আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে রাসেল মিয়ার সঙ্গে সুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় অটোরিক্সাসহ প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও ১ ভড়ি ওজনের সোনার চেইন দেওয়া হয়। এরপরও রাসেল বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকত। ২০১৫ সালের ৩১ মে রাসেলকে ডিভোর্স দেয় সুমা। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে বাবার বাড়িতে থাকার সময় রাসেল সুমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদি হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন দুই মাসের মধ্যে একই বছর ডিসেম্বরে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

সকল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে, সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার রাসেলকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। তবে হত্যাকান্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী ছিল না।

Leave a Reply

নবীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে প্রাইভেটকার ও ট্রাক্টরের সঙ্গে Read more

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

প্রায় দুই শতাধিক দোকান উচ্ছেদ

কসবা, 13 May 2025, 230 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা পৌরসভার পুরাতন বাজার এলাকায় আজ ১৩ মে মঙ্গলবার দুপুরে বড় পরিসরের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ফুটপাতে গড়ে ওঠা প্রায় দুই শতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ করে।

banner

উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছামিউল ইসলাম। উচ্ছেদ অভিযানে সাথে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান নাহিদ, কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল কাদের এবং সেনা সদস্যরা। স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা জনগণের চলাচলের জন্য ফুটপাত উচ্ছেদ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

দোকানদারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণ ফুটপাতের এ দোকান থেকেই চলছিল। হঠাৎ করে উচ্ছেদ হওয়ায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।

প্রশানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে পৌরসভার শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার কথাও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 18 May 2024, 680 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সহায়তায় ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আজ ১৮ মে শনিবার সকালে শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বিরোধী এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকার।

banner

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনির্ভাসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিথি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ লতিফুর রহমান আল আমিন, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, নাসির উদ্দিন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য কোহিনুর আক্তার।

দুর্নীতিকে না বলে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈমা আক্তার, শোভা আক্তার ও লামিয়া মেহজাবিন।

সমাবেশে প্রধান অতিথি কবি আব্দুল মান্নান সরকার দুর্নীতি বিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান।

আগামীকাল আল মাহমুদের প্রতি রাষ্ট্রীয় অবহেলা দূরীকরণে স্মরণীয় কর্মসূচি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 20 September 2024, 573 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবি, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের বীরযোদ্ধা, সাংবাদিক এবং “সোনালী কাবিন” খ্যাত কবি আল মাহমুদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রাষ্ট্রীয় অবহেলা ও বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে আগামীকাল ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার, সকাল ১১ টায় এক বিশাল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

banner

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছাত্র জনতার জমায়েতের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হবে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌড়াইলস্থ কবি আল মাহমুদের কবরের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা, পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রতীকী জাতীয় পতাকায় কবর আচ্ছাদন, গার্ড অফ অনার প্রদান এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের বিএনসিসি সদস্যরা গার্ড অফ অনার প্রদান করবেন।

এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো, কবি আল মাহমুদের অবদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা এবং তাঁর সাহিত্য, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, এবং সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করবেন। কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতিপরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচি জাতির সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগ দেশের জনগণকে কবি আল মাহমুদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে অনুপ্রাণিত করবে এবং তার অনন্য সাহিত্য ও সংগ্রামী জীবনের প্রতিফলন নতুন প্রজন্মের মনে গভীরভাবে প্রোথিত করবে। এটি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং দেশের মহান ব্যক্তিত্বদের প্রতি শ্রদ্ধা জাগ্রত করবে। কর্মসূচী সমূহে উপস্থিত থাকতে সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি, দৈনিক কুরুলিয়া পত্রিকার সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত। একজন ভাষা সৈনিক, রণাঙ্গণের বীরমুক্তিযোদ্ধা, প্রতিথযশা সাংবাদিক এবং বাংলাদেশের প্রধান কবি হয়েও মূলধারার কবিদের সঙ্গে আল মাহমুদের (১৯৩৬-২০১৯) তফাতটা কোথায়, তা কবিতা দিয়েই বোঝা সম্ভব।‘লোক লোকান্তর’, ‘কালের কলস’, ‘সোনালি কাবিন’-এর আল মাহমুদকে অপ্রধান বলার সুযোগ এখন পর্যন্ত ঘটেনি। তিনি বিভিন্ন কারণে এদেশের রাষ্ট্রের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এই বিশ্ববিশ্রুত কবির প্রতি আমাদের অগাধ ঋণ। এই বৈষম্য থেকে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার প্রয়াসে আগামীকাল শনিবার সকাল ১১টায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র জনতার জমায়েত। সেখান থেকে মৌড়াইলে আল মাহমুদের কবরের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা। কবরে পু®পস্তবক অর্পণ এবং প্রতীকী জাতীয় পতাকায় কবর আচ্ছাদন। গার্ড অব অনার প্রদান ও দোয়া।

এসবই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো আল মাহমুদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান নিশ্চিত করা এবং এই নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁকে তুলে ধরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সারাদেশ, 16 April 2025, 445 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
৬ দফা দাবিতে আজ ১৬ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। বিক্ষোভ চলাকালে প্রায় দুই ঘণ্টা ওই মহাসড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ ছিল। এসময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চান্দুরা থেকে মাধবপুর কলেজ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

banner

এসময় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পরে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের ছয় দফা দাবি মানতে হবে। এরমধ্যে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্টের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুবিধা বাতিল করতে হবে, উপ-সহকারী পাশকৃতদের সংরক্ষিত পদের বিপরীতে নিয়োগসহ ছয় দফার সব দাবি মানতে হবে। শিক্ষার্থীরা বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট ৩০% পদ ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতির পক্ষে রায় দিয়েছে। ফলে তারা প্রমোশন পেয়ে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হবে। আর এই পদটি হচ্ছে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য। ফলস্বরূপ যারা ডিপ্লোমা পাস করে বের হবে তাদের চাকরির শূন্য পদ ৩০% কমে গেল। আর ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা জন্মলগ্ন থেকেই আন্দোলন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর আনোয়ার হোসেন জানান, ছাত্ররা যৌক্তিক দাবি করেছেন। আদালত তাদের দাবি বিবেচনা করে সুষ্ঠু সমাধান করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানোর ব্যবস্থা করবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোহসিনুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ করেছে। আমি ঢাকায় ট্রেনিংয়ে আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজের সবাই কাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন রহমান জানান, শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে ১১টার পর থেকে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী মহাসড়কে অবস্থান নেয়। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে কলেজের সামনে মহাসড়ক হওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে অবরোধ তুলে নেয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মোবাইলে তালাক বলায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 19 January 2025, 405 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
প্রবাসী স্বামী মোবাইলে তালাক বলায় মারিয়া আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূ কেঁরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

banner

১৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুর ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মারিয়া আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের চান্দি গ্রামের আইয়ুব মিয়ার মেয়ে।

হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২ বছর আগে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের টাংগা গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী তানজিল চৌধুরীর সাথে মারিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দুইজনের মাঝে প্রেম ছিল। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর বনাবনি তেমন ভাল ছিল না। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝুট-ঝামেলা চলতো। শনিবার স্বামীর তর্কাতর্কির সময় স্বামী মোবাইলে তালাক বললে অভিমানে কেঁরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন মারিয়া।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তদন্ত চলছে।