চলারপথে রিপোর্ট :
একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। আজ ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে চলতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়।
প্রচলিত নীতিমালা অনুযায়ী, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ সালে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কোনো কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। এছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।
বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
অনলাইনে আবেদনের জন্য ওয়েবসাইটের ঠিকানা: www.xiclassadmission.gov.bd শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।
অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে।
ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন শেষ হবে ২০ আগস্ট। আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে ২১ থেকে ২৪ আগস্ট। শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষণে ফলাফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন ৩১ আগস্ট। পছন্দক্রম পরিবর্তনের সময় ৩১ আগস্ট।
প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা। শিক্ষার্থীর নিশ্চায়ন ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ সেপ্টেম্বর। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা। দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণের ফল ১৬ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নিশ্চায়ন ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর।
তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ ২০ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ সেপ্টেম্বর। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা। তৃতীয় পর্যায়ে আবেদনের ফল ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর নিশ্চায়ন ২৪ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর। ভর্তি শুরু হবে ২৬ সেপ্টেম্বর এবং শেষ হবে ৫ অক্টোবর। আর ক্লাস শুরু হবে ৮ অক্টোবর।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় করা পাঁচ মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ ৩ মে বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। তবে মামুনুলের বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর মধ্যে ঢাকার পল্টনের চার মামলা ও হাটহাজারীর এক মামলায় হাইকোর্ট মামুনুল হকের জামিনের বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন। এই পাঁচ মামলায় রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর তাকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন।
খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসেন। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেন তিনি। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
এসব ঘটনায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তিন ডজন মামলা হয়। একই বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি রিসোর্টে এক নারীসহ মামুনুল হককে ঘেরাও করা হয়। একপর্যায়ে রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন হেফাজতের কর্মীরা। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আজ ১৫ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের এ তারিখ ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার ভাষণটি সরাসরি সম্প্রচার করছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরের পাঁচ বছর। সেই হিসাবে বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি।
এ ছাড়া জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় চলমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে। অর্থাৎ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে গত ১ নভেম্বর থেকে। আর ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা আছে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। এক্ষেত্রে প্রায় ১০ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে। বাড়বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্য সংখ্যাও। এবার ভোটের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা।
সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র অনলাইনেও দাখিল করতে পারবেন। এজন্য অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেম তৈরি করেছে ইসি। এ ছাড়া ভোটের তথ্য দিতে তৈরি করা হয়েছে স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি নামে একটি অ্যাপ, যা ইতোমধ্যে গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে।
এ অ্যাপের মাধ্যমে একজন ভোটার ঘরে বসে তার ভোটার নম্বর জানতে পারবেন। পাশাপাশি তার ভোটার এলাকা বা নির্বাচনী আসন, ভোটকেন্দ্রের নাম জানতে পারবেন এবং ভোটকেন্দ্রের ছবি, ভোটকেন্দ্রের ভৌগোলিক অবস্থান (ম্যাপসহ) দেখতে পাবেন।
এ ছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে বিভাগওয়ারি বিভিন্ন আসনের তথ্য, যেমন- মোট ভোটার, মোট আসন, আসনের প্রার্থী, প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য (হলফনামা, আয়কর সম্পর্কিত তথ্য, নির্বাচনী ব্যয় ও ব্যক্তিগত সম্পদের বিবরণী) জানতে পারবেন। অ্যাপটির মাধ্যমে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের তথ্য জানা যাবে এবং সমসাময়িক তথ্যাবলি ‘নোটিশ’ আকারে প্রদর্শিত হবে।
প্রার্থীর বিস্তারিত তথ্য থাকায় একদিকে তিনি যেমন তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ভোটারের কাছে পৌঁছাতে পারবেন, অন্যদিকে ভোটাররাও তথ্য বিশ্লেষণ করে পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।
প্রার্থী হতে করণীয়
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থীকে দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সম পদাধিকারীর সইযুক্ত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক সইযুক্ত তালিকা। তবে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী আগের কোনো সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলে তাকে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক তালিকা জমা দিতে হবে না।
সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের জামানত হিসেবে জমা দিতে ২০ হাজার টাকা এবং ছবিছাড়া ভোটার তালিকা সিডি (কমপ্যাক্ট ডিস্ক) কিনতে হবে ৫০০ টাকায়। ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে হলফনামা জমা দিতে হবে, যেখানে থাকবে আটটি সুনির্দিষ্ট তথ্য। এ ছাড়া আয়ের উৎস, দায়-দেনা, সম্পদ বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র জমা দিতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে রিটার্ন দাখিলের কাগজপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি তার অনুলিপি ইসিকেও দিতে হবে।
নির্বাচনের প্রার্থীর ব্যয়সীমা হলো ২৫ লাখ টাকা। প্রার্থী বা তার এজেন্টকে একটি তফসিলি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এ ব্যয় করতে হবে।
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি। ইসি আয়োজিত সর্বশেষ সংলাপে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ ১৮টি দল। তাদের অনেকেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। এক্ষেত্রে এবার সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেই মনে করছেন অনেকে।
আগের ১১ সংসদ নির্বাচন
প্রথম সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয়েছিল ১৯৭৩ সালের ৭ জানুয়ারি। ভোটগ্রহণ হয়েছিল ৭ মার্চ। দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয়েছিল ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ হয়েছিল ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। তৃতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয়েছিল ১৯৮৬ সালের ২ মার্চ। ভোটগ্রহণ হয়েছিল একই বছরের ৭ মে।
চতুর্থ সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয়েছিল ১৯৮৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ। পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয়েছিল ১৯৯০ সালের ১৫ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ হয়েছিল ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি।
ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয়েছিল ১৯৯৫ সালের ৩ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। সপ্তম সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ২৭ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ হয়েছিল ওই বছর ১২ জুন। অষ্টম সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয়েছিল ২০০১ সালের ১৯ আগস্ট। আর ভোটগ্রহণ হয়েছিল ১ অক্টোবর।
নবম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছিল ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর। ভোটগ্রহণ হয়েছিল ২৯ ডিসেম্বর। দশম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছিল ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর। আর ভোটগ্রহণ হয়েছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। আর একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয় ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর। ভোটগ্রহণ হয়েছিল ৩০ ডিসেম্বর।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাবা-মার ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চেপে বাড়ি এলেন প্রবাসী ছেলে। শনিবার বিকেলে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে আসেন আলম আনসারী নামে এক সৌদি প্রবাসী। তার বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মমিনপুর মুকমদশা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আ. রহিম বকাউলের ছেলে। এ সময় গ্রামের কয়েক শ মানুষ হেলিকপ্টার দেখতে সেখানে ভিড় জমায়।
গ্রামের চারপাশে ফসলি মাঠের একটা জায়গায় তৈরি করা হয় হেলিপ্যাড। জমির আইল ধরে সড়ক পার হয়ে গ্রামের মানুষ আসেন হেলিপ্যাডের পাশে। হৈ চৈ পড়ে যায় পুরো এলাকায়।
আ. রহিম বকাউল বলেন, আমাদের খুব ইচ্ছা ছিল ছেলে আলম আনসারী বিদেশ থেকে দেশে ফিরে হেলিকপ্টারে বাড়িতে আসবে। আজ আমাদের মনের আশা পূর্ণ হয়েছে।
প্রবাসী মো. আলম আনসারী বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে বাস করছি। আমার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য এবং গ্রামের মানুষ ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিতে আমি ব্যতিক্রমভাবে বাড়ি ফিরি। আমি আসবো আগে থেকেই মা-বাবাকে জানিয়েছিলাম। তারা আমাকে নেওয়ার জন্য বিমানবন্দরে যায়। হেলিক্প্টার ভাড়া করে বিমানবন্দর থেকে মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরি।
অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্রদের গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের পর বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছে ভারত। সেখানে শেখ হাসিনাকে নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, শেখ হাসিনা এখন দিল্লিতে রয়েছেন। তাকে আপাতত কিছুদিন সময় দিয়েছে ভারত।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, নয়াদিল্লি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে তারা। তা ছাড়া সর্বদলীয় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের অবস্থান সব সংসদ সদস্যকে জানিয়েছেন। বৈঠকে বাংলাদেশে প্রবাসী ভারতীয় নাগরিকদের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত আপাতত হাসিনাকে কিছুদিন সময় দিতে চায়। তিনি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভারত সরকারকে জানাবেন। ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনার জন্য সময় নিচ্ছেন তিনি। পরিকল্পনা জানার পর তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ভারত।
জয়শঙ্কর জানান, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশে ভারতীয়দের পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখছে। আপাতত তাদের জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে আনা হচ্ছে না। তবে প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বৈঠকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজেজুরাও উপস্থিত ছিলেন।