অনলাইন ডেস্ক :
বৃষ্টিতে যেমন ছাতা লাগে, তেমনই খুব রোদেও ছাতা লাগে।পৃথিবীর গায়ে বেশি রোদ লাগছে।যার থেকে বাড়ছে গরম।যাতে রোদ না লাগে সেজন্য এবার মহাকাশে বিজ্ঞানীরা ছাতা লাগাচ্ছেন।এভাবে পৃথিবীর গায়ে রোদ পড়া বাড়তে থাকলে গোটা বিশ্বটা তেতে উঠতে বেশি দেরি হবেনা। তাই পৃথিবীর গায়ে এভাবে রোদ পড়া আটকাতে হবে এই অভিনব পথে হাটছেন বিজ্ঞানীরা।
রোদ তো সূর্যের আলো। তাই সূর্যের আলোকেই ঢাকতে হবে। যাতে পৃথিবীতে উত্তাপ কম এসে পড়ে। সেজন্য সূর্য আর পৃথিবীর মাঝে ছাতা লাগাতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা।
উষ্ণায়নের ধাক্কা সামাল দিতে বিজ্ঞানীরা সাধারণ মানুষের ছাতা দিয়ে মাথা ঢাকার পথে হাঁটলেন। সূর্যের রশ্মিকে যদি ছাতার মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর গায়ে এসে পড়তে হয় তাহলে তার উত্তাপ ও তেজ অনেকটাই নিঃস্পৃহ হয়ে যাবে। তাতে পৃথিবী রক্ষা পাবে।
হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোনমি-র এক মহাকাশ বিজ্ঞানী ইসভান জাপুদি এই অভিনব উপায়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। যা বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীদের মনে ধরেছে। তাই এই পথেই এগোতে চাইছেন তাঁরা। এজন্য অবশ্য যে বিশাল আয়োজন প্রয়োজন তা পৃথিবী থেকে ওভাবে পাঠানো সম্ভব নয়। কারণ তার ওজন অনেক হবে। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অনেক হাল্কা উপাদানের ঢাকা মহাকাশে পাঠানো হবে। যা দড়ির মত বাঁধা থাকবে। আর তার কাউন্টার ওয়েটের কাজটা করে দেবে অন্য গ্রহাণু।
পুরো ডিজাইন নিয়ে এখন কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। তবে যে অভিনব ভাবনা জাপুদি উপহার দিলেন তা যদি বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয় তাহলে উষ্ণায়নের চিন্তা অনেকটা কমবে। এখানে বলা প্রয়োজন যে আগেও এমন ছাতা নিয়ে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তা এতটাই ভারী হচ্ছিল যে তা মহাকাশে পাঠানোর উপায় ছিলনা। জাপুদি তাই অনেক হাল্কা ও নবতম প্রযুক্তি ব্যবহারের হদিশ দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার জাবালিয়ায় জাতিসংঘের পরিচালিত ‘আল-ফাখুরা’ নামে একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে।
গতকাল শনিবার ভোরে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত ওই স্কুলটিতে ইসরায়েলী বাহিনীর অবিরাম হামলা থেকে বাঁচতে শত শত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
গাজা থেকে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিনিধি তারেক আবু আজজুম জানান, স্কুলের ভেতর মরদেহ পড়ে আছে। মেডিকেল টিমগুলো আহতদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরো জানান, উত্তর গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত স্থল আক্রমণ থেকে বাঁচতে অনেক ফিলিস্তিনি সুরক্ষার জন্য ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের আশপাশে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-ফাখুরা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া লোকেরা, যাদের অনেকের চিকিৎসা সমস্যা ছিল, তারা ভেবেছিল তারা সেখানে আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারে।
গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক ইসমাইল থাওয়াবতা।
অনলাইন ডেস্ক :
ইতালির তুরিনে দ্রুতগতির ট্রেনে কাটা পড়ে পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো দুই জন।
গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরিন-মিলান সংযোগ রেললাইনে ওই শ্রমিকরা মেরামতের কাজ করছিলেন। এসময় একটি মালবাহী ট্রেন তাদের আঘাত করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটি ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ছুটছিল।
শ্রমিকরা জানিয়েছে, থামার আগেই তাদের কয়েক সহকর্মীকে বেশকিছুর দূর টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এসময় তাদের দুই সহকর্মী কোনো মতে সরে যেতে পেরেছেন।
ওই এলাকায় ছিন্নভিন্ন অবস্থায় মানব শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যক্ষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। ট্রেন চালক অক্ষত রয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ হাজারে পৌঁছেছে। শুধু তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ হাজার ৮৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আর সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার ৫৫৩ জন।
৭ দশমিক ৮ মাত্রার গত সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৯৯৯ সালে ১৭ হাজারের বেশি মৃত্যু হওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিবিসি জানায়, দুই দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের মরদেহ উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
শুক্রবার এক ঘোষণায় হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর থেকে তারা সিরিয়ার উত্তর ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে টানা ১০৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি ও উদ্ধারকাজ চালিয়েছে, এরপর ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়া জীবিত আর কেউ নেই বলে বিশ্বাস তাদের।
সিএনএন জানিয়েছে, তুরস্কের জরুরি বিভাগের কর্মীরা এখনও জীবিতদের ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আর বেশি কিছু সাফল্য পেয়েছেন তারা, যদিও সেসব অভিযান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টকর ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, তীব্র শীত ও তুষারপাতের কারণে ‘পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক ও ভয়ঙ্কর’ হয়ে উঠতে থাকায় জীবিতদের মধ্যে যারা গৃহহীন ও আশ্রয়হীন অবস্থায় আছেন তারা দ্বিতীয় আরেকটি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারেন।
ডব্লিউএইচও’র ব্যবস্থাপক রবার্ট হোল্ডেন বলেছেন, ‘বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে ভয়াবহ অবস্থায় বসবাস করছে। আশ্রয়, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন তারা। এ পরিস্থিতি আরেকটি বিপর্যয় ডেকে আনবে, যা ভূমিকম্পের চেয়েও আরও বেশি মানুষের ক্ষতি করবে।’
গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করার জন্য ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে কঠোর জবাব পেতে হবে। তিনি বলেছেন, ইরান ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতার রক্তের বদলা নেওয়া দায়িত্ব মনে করে।
আজ ৩১ জুলাই বুধবার ভোরে রাজধানী তেহরানে হামাস নেতার হত্যাকাণ্ডের পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “অপরাধী এবং সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী রেজিম আমাদের স্বদেশে আমাদের প্রিয় মেহমানকে শহীদ করেছে এবং আমাদেরকে শোকাহত করেছে, তবে এর মধ্য দিয়ে নিজের জন্য কঠোর শাস্তির ভিত্তি তৈরি করেছে।”
তিনি আরো বলেন, “ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ইসমাইল হানিয়ার দীর্ঘ আত্মত্যাগ ও সংগ্রামী জীবনের প্রশংসা করেন সর্বোচ্চ নেতা।”
এদিকে, ইরানের জাতিসংঘ মিশনের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, “গুপ্তহত্যার জবাব হবে একটি বিশেষ অভিযান— শক্তিশালী। যেটির লক্ষ্য থাকবে হত্যাকারীদের মধ্যে গভীর অনুশোচনা তৈরি করা।”
এর আগে ইরানের শক্তিশালী বাহিনী ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
লেবাননে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত মোজতবা আমানি বিপ্লবী গার্ডের হুমকির সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, “জবাব অবশ্যই আসছে।”
লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে ইরানি রাষ্ট্রদূত বলেছেন, “ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চাইছিল না ইরান। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলকে এই অঞ্চলকে শিকার বানাতেও দেবে না ইরান।”
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে দীর্ঘদিন ধরে প্রক্সি বাহিনীকে সহায়তা করে আসছে ইরান। ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেনসহ অন্যান্য দেশগুলোকে ইরান রাইফেল, ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য মারণাস্ত্র দিয়ে থাকে। যদিও ইরান এ বিষয়টি প্রকাশ্যে কখনও স্বীকার করে না।
অপরদিকে দখলদার ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তারা মূলত ইসরায়েলকে দিয়ে ইরানকে দমিয়ে রাখতে চায়। সূত্র: সিএনএন, পার্সটুডে
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের শাস্তি হিসেবে বোনের শিরচ্ছেদ ঘটিয়েছেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে।
জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরের মিথুয়ারা গ্রামের তরুণী আসিফা, বয়স ১৮। চাঁদ বাবু নামে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক জড়ান তিনি। এরপর তার সঙ্গে পালিয়েও যান। এতে ক্ষুব্ধ হন তরুণীর বড় ভাই রিয়াজ (২২)। এ কারণে শুক্রবার নিজের আপন ছোট বোনকে শিরচ্ছেদ করে হত্যা করেন ওই যুবক। এরপর সেই খণ্ডিত মাথা নিয়ে নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দেন।
আসিফার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিক চাঁদকেও পুলিশ আটক করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আসিফার বড় ভাই রিয়াজ ভীষণ ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রিয়াজ ছোট বোনকে ধারালো ছুরি দিয়ে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেন।
স্থানীয় পুলিশের এসপি আশুতোষ মিসরা জানিয়েছেন, যখন পুলিশ রিয়াজকে আটক করে তখন সে তার বোনের খণ্ডিত মাথা হাতে নিয়ে থানার দিকে আসছিলেন।
রিয়াজকে আটকের পর পুলিশ তাকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে যায় এবং সেখান থেকে আসিফার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
অভিযুক্ত রিয়াজকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস