চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখা যায় না। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এই পাকিস্তান রাষ্ট্রের মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তি আসবে না। তাই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং জীবনের ১৩ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি কখনও পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপোস করেননি। ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানিরা নিরীহ বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা করলে তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোর রাতে স্বাধীনতার ডাক দেন।
গতকাল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান স্বপন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতি তার ডাকে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে হত্যা করতে চেয়েও পাকিস্তানিরা বিশ্ববাসীর চাপে করতে পারেনি। পরে স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে তাকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। তারা বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল দেশটাকে আবারও পাকিস্তান বানানোর জন্য। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুরকন্যা দেশটাকে টেনে তুলে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার পথকে ত্বরান্বিত করবেন।
তিনি বলেন, আমি কসবা আখাউড়ায় বহু উন্নয়ন কাজ করেছি। প্রায় আড়াইহাজার বেকার তরুণ-তরুণীকে চাকরি দিয়েছি। তাই আপনাদের সন্তান হিসেবে আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে থাকতে চাই।
কুটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাক আহম্মদের পরিচালনায় শোকসভায় আরও বক্তব্য রাখেন- কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এম জি হাক্কানী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, কাজী আজহারুল ইসলাম, এমরান উদ্দিন জুয়েল, মনির হোসেন, শামিম আহম্মেদ, বাহাদুর আলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১৮ কেজি গাঁজাসহ সাইফুল ইসলাম জয় (২৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় মাদকবহনকারী একটি অটোরিক্সাও জব্দ করা হয়।
রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কসবা পৌর এলাকার তালতলা ব্রীজের উপর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সাইফুল ইসলাম জয় কসবা পৌর এলাকার আড়াইবাড়ির মোঃ গোলাম মোস্তার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে কসবা তালতলা ব্রীজের উপর একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সায় তল্লাশী চালিয়ে ১৮ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী জয়কে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ৯ অক্টোবর সোমবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গরুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাবে দিশেহারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার প্রান্তিক খামারিরা। এই রোগে আক্রান্ত গরুর গায়ে গুটি বের হতে দেখা যায়। পরে গায়ে প্রচণ্ড ব্যথায় গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা না থাকায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন খামারি ও গরু পালনকারীরা।
কসবার গরু পালন অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এখন গরু পালন করা হচ্ছে। অন্যদিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরু পালন অনেকের সংসারে সচ্ছলতা এনেছে। পাশাপাশি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু নতুন এই রোগের কারণে শঙ্কিত গরু পালনকারীরা।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ হাসপাতালে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশ আক্রান্ত গরু চিহ্নিত হয়েছে। এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। প্রতিদিনই নতুন আক্রান্ত গরু চিহ্নিত হচ্ছে। এই রোগে গরুর গায়ে গোটা উঠতে দেখা যায়।
গরু পালনকারী সৈয়দাবাদ গ্রামের আলিম মিয়া জানান, গাভী গরুগুলো বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এতে প্রয়োজনীয় দুধ না পাওয়ায় বাছুর পালন করতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। অন্যদিকে গরুর শরীরে ব্যথা ও শরীরে ঘা’র স্থলে মশা-মাছি বসে অস্থির করে রাখছে।
একই গ্রামের গরু পালনকারী বিল্লাল মিয়া বলেন, এ রোগ হলে চিকিৎসা কী হবে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণা নেই। প্রাণীসম্পদ হাসপাতালেও কোনো চিকিৎসা নেই। শুধু জ্বর ও ব্যথার ইনজেকশন দিচ্ছে। এতে আক্রান্ত গরুর ফোলা ও গুটি সারতে অনেক সময় লাগছে। অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
কসবা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তারেক মাহমুদ বলেন, মশা-মাছির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। মশা বা মাছি আক্রান্ত গরুর শরীরে বসে। অন্য একটি সুস্থ গরুর শরীরে বসলে সেটিও আক্রান্ত হয়ে যায়। তাই এই রোগ প্রতিরোধে গরুগুলোকে মশারির ভেতরে রাখা ও বাড়ির আশপাশ (গোয়াল ঘর) পরিষ্কার রাখতে বলা হচ্ছে। এছাড়া এ রোগের বিস্তার ঠেকাতে স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ভাইরাসজনিত এই রোগের কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে ছাগলের বসন্ত রোগের মিল থাকায় প্রাথমিকভাবে ১১ হাজার সুস্থ গরুকে ‘গোট পক্স’ টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রোগ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ প্রাণীসম্পদ দপ্তর বা ভেটেরিনারি সার্জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে চেয়েও পাকিস্তানিরা বিশ্ববাসীর চাপে পারেনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে তাকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। তারা বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল দেশটাকে আবারও পাকিস্তান বানানোর জন্য। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশটাকে টেনে তুলে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখা যায় না। এর কারণ তিনি বুজতে পেরেছিলেন এই পাকিস্তান রাষ্ট্রের মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তি আসবে না। তাই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং জীবনের ১৩ বছরেরও অধিক সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি কখনো পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপস করেননি।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানিরা নিরীহ বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা করলে তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোর রাতে স্বাধীনতার ডাক দেন। বাঙালি জাতি তার ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার পথকে তরান্বিত করবেন। আমি কসবা-আখাউড়ায় বহু উন্নয়ন করেছি। প্রায় আড়াইহাজার বেকারকে চাকরি দিয়েছি। তাই আপনাদের সন্তান হিসেবে আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে থাকতে চাই।
শোকসভায় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভুঁইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এম জি হাক্কানি, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সোহাগ, কাজী আজহারুল ইসলাম, এমরান উদ্দিন জুয়েল, মনির হোসেন, শামিম আহম্মেদ, বাহাদুর আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন। পরে মিলাদ ও মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবার গ্যাস কসবায় চাই, শ্লোগানে গ্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। আজ ২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবার তারাপুর গ্যাসকুপ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে পৌরশহরে ষ্টেশন রোডে এসে মানববন্ধন করেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সাথে এলাকাবাসী এবং গ্যাস ক্ষেত্র তৈরিতে অধিগ্রহনে ন্যায্য মুল্য না পাওয়া জমির মালিকরাও অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক শরীফুল ইসলাম ভুঁইয়া, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিয়াউল হুদা শিপন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষে তানভীর ইসলাম শাহীন, ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের পক্ষে জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে এই গ্যাসকুপটি খনন করা হয়। শতশত কোটি টাকা খরচ কুপটি খনন করা হলেও গ্যাস উত্তোলন করা হয়নি আজও। এলাকার সাবেক সাংসদ আইনমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন এখানে গ্যাস উত্তোলন করা হলে কসবাবাসী আগে গ্যাস পাবে। তারপর জাতীয় গ্রীডে যাবে বাকি গ্যাস। এই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী তানভীর ইসলাম শাহীন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার নেতৃবৃন্দের হাতে থাকা তথ্যমতে এবং বাপেক্স থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী তারাপুর গ্যাসকুপে সম্ভাবনাময় গ্যাস থাকা সত্ত্বেও অনিয়ম ও রহস্যজনক কারনে বন্ধ রাখা হয় বলে দাবি করেন। এখানে বিপুল পরিমানে গ্যাস মজুদ রয়েছে যা দেশের ঘাটতি পুরনে সহায়ক হবে। দ্রুত এটি উত্তোলনের দাবি তাদের।
এসময় তারা দাবি করেন, ভারতের সাথে আতাঁত করে এই সাত বছর ধরে গ্যাস উত্তোলনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এই গ্যাসকুপ খনন থেকে শুরু এই পর্যন্ত ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নিকট তাদের দাবি এই গ্যাস কুপ খননে সকল অনিয়ম এবং উত্তোলন বন্ধ রাখার কারণ জনতার সামনে তুলে ধরে পুনরায় গ্যাসকুপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করে কসবাবাসীর দাবি যেন পুরণ করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পক্ষে জসিম উদ্দিন বলেন, কুপ খনন কার্যক্রম শুরুতে তিনি সহ অন্যান্য কৃষকের নিকট গ্রহনকৃত জমির টাকার জন্য বাপেক্স’র সংশ্লিষ্টদের কাছে ধর্ণা দিয়েও সুফল পাচ্ছেনা। তাদের দাবি হয় জমিগুলো অধিগ্রহন করে সকল টাকা বুঝিয়ে দেয়া হোক নয়তো কৃষকের জমি কৃষককে ফেরত দেয়া হোক।