চলারপথে রিপোর্ট :
বাস চাপায় আইয়ূব মিয়া-(২২) নামে এক মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আখাউড়া সড়কের সদর উপজেলার কোড্ডা ব্রীজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ূব মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের দতাইসার গ্রামের জানু ভূঁইয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে আইয়ূব মিয়া মোটর সাইকেল নিয়ে আখাউড়া থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আসার পথে কোড্ডা ব্রীজ এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দিগন্ত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মোটর সাইকেলটিকে চাপা দিলে সে গুরুতর আহত হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন জানান, আইয়ূব মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফল বিপর্যয়ের কারণ নির্ণয় এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি দাখিল মাদ্রাসা এবং ১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সদস্য, প্রধান শিক্ষক, বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকরা ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে ফলাফল ভালো করার প্রতিশ্রম্নতি ব্যক্ত করেন।
বক্তারা, ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য প্রথমত ম্যানেজিং কমিটির তদারকির অভাব এবং প্রধান শিক্ষকের লিডারশীপের ব্যর্থতাকে চিহ্নিত করেছেন। এছাড়া বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক সংকট, ছাত্র, শিক্ষক—অভিাবকের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, শিক্ষার্থীদের অমনোযোগিতা এবং পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
সভায় ফলাফল ভালো করার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। এরমধ্যে, ম্যানেজিং কমিটির তদারকি বৃদ্ধি, প্রধান শিক্ষককে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা, শিক্ষকদের পাঠদানে আন্তরিকতা, অভিভাবক সমাবেশ, বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করা, এসএসসি টেস্ট পরীক্ষায় ফেল ছাত্রছাত্রীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ না দেওয়া ইত্যাদি।
জানা যায়, এবছর আখাউড়া উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৭১৭ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৬৭জন। শতকরা গড় পাসের হার ৫৬.৩২। জিপিএ—৫ পেয়েছে ৪০ জন। উপজেলার ৭টি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ২৫৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৮৮জন। শতকরা পাসের হার ৭২.৮৭। জিপিএ—৫ পেয়েছে ৩ জন।
কয়েকটি স্কুলের ফলাফল খুবই খারাপ হয়েছে। এরমধ্যে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭২ জন। গড় পাসের হার ৫৪.৫৫। জিপিএ—৫ পেয়েছে মাত্র ২ জন। শাহপীর কল্লা শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের গড় পাসের হার ৪১.৯৪। মনিয়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয় ২৭.২৭%, ছয়গড়িয়া শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয় ১৯.৫০%, নুরপুর রুটি উচ্চ বিদ্যালয় ৪০.০০% । ভাটামাথা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ২৮%।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি বছরের শেষে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সে হিসাবে নির্বাচনের আরও বাকী আছে প্রায় ৮ মাস। অনেকটা আগে ভাগেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করছেন কসবা- আখাউড়ার সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। ২ মে মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করবেন তিনি। সোমবার সকালে আখাউড়ায় সাংবাদিক সস্মেলন করে মন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ নির্বাচনী প্রচারণার তথ্য তুলে ধরেন উপজেলা আওয়ামী লীগ। আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। সাংবাদিক সম্মেলনে আখাউড়ার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২০১৪ সাল থেকে পরপর দুই মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হয়ে আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কসবা আখাউড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। গত ১০ বছরে আইনমন্ত্রী এলজিইডি এবং পিআইও দপ্তরের মাধ্যমে প্রায় ৩২০ কোটি টাকার উন্নয়ণ করেছেন। এছাড়া পৌরসভার মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা এবং পৌরসভার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের জন ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবন মেরামতের জন্য এক কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গণপূর্ত, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুত বিভাগ, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
কসবা আখাউড়াবাসীর সার্বিক উন্নয়ন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দর্শন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জনগণের সমর্থনের মাধ্যমে আনিসুল হককে আবারও এমপি নির্বাচিত করে এলাকার উন্নয়নে অংশীদার হতে সকলের সহযোগিতা চাওয়া হয় সাংবাদিক সম্মেলনে।
তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচনী প্রচার করা যায় কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামীলীগ সেক্রেটারি বলেন উনি উনার জনগণের সাথে গণসংযোগ করতে মনে হয় এতে কোন সমস্যা হবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ আসনে আনিসুল হক আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাবেন এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। সাংবাদিক সম্মেলনে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আতাউর রহমান নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, আওয়ামীলীগ নেতা দীপক ঘোষ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি মৌসুমে আখাউড়ায় বাণিজ্যিকভাবে বাদাম চাষ হয়েছে। এখন জমি থেকে বাদাম তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে আর সঠিকভাবে পরিচর্যার কারণে এবার বাদামের ফলন ভালো হয়েছে।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউপির বেশ কয়েকটি গ্রামে নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে কৃষকরা বছরের পর বছর বাদম চাষ করে আসছেন। স্থানীয় বাজারে বাদামের চাহিদাও রয়েছে বেশ। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এ ফসল চাষের প্রতি উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। উৎপাদিত বাদাম স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে বাদাম কিনে নিয়ে যান।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৩ হেক্টর জমিতে বাদাম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। সবচেয়ে বেশি বাদামের চাষ হয়েছে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউপির কর্মমঠ, হারকোট, মিনারকোট, ধর্মসগর, ঘাঘুটিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানকার বেশিরভাগ এলাকা উঁচু হওয়ায় জমিতে সবজি চাষ করা হতো। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এখন চাষিরা বাদাম চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বাদাম আবাদ করতে প্রতি এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘাপ্রতি ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৪ থেকে ৫ মণ বাদাম। স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকায়।
মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্মমঠ গ্রামের কৃষক মো. সোহাগ সরকার বলেন, এ গ্রামে প্রায় ৩০ বছর ধরে উচ্চ ফলনশীল দেশীয় জাতের বাদাম চাষ করছেন কৃষকরা। এ মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের বাদাম আবাদ করি। হালচাষ, বীজ রোপণসহ অন্যান্য খরচ হয়েছে প্রতি বিঘা প্রায় ৭ হাজার টাকা। তবে বাদাম চাষে কোনো কীটনাশক দেওয়া হয় না। এরই মধ্যে বাদাম তোলার কাজ শেষ হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে প্রায় ৫ মণ। স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকা দরে। বাদাম বিক্রি নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। কুমিল্লা, ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার পাইকাররা এসে বাদাম ক্রয় করে নিয়ে যায়। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এ মৌসুমে প্রায় ৬০ লাখ টাকা আয় হবে।
কৃষক মো. মামুন বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আবাদ করছি। চলতি মৌসুমে প্রায় দুই বিঘা জমিতে আবাদ করা হয়। এরই মধ্যে বাদাম তোলার কাজ শুরু হয়েছে। গত বছর থেকে এবার তুলনামূলক ফলন ভালো হয়েছে। গ্রামের জমি বাদাম চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাদাম তোলার পর কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পরবর্তীতে চাষাবাদ করা হবে। বাদাম বপন থেকে উৎপাদন পর্যন্ত তিন মাস সময় লাগে। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির কারণে সময় অনেক কম লাগছে। কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।
ইউপি সদস্য মো. হামদু মিয়া বলেন, এ বছর প্রায় ২বিঘা জমিতে বাদাম আবাদ করা হয়েছে। বাদাম মাঠ থেকে তুলে বাড়ি আনা হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বাদামের ফলন ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, জায়গা উঁচু হওয়ায় ধানের ফলন তেমন ভালো হয় না। আমাদের গ্রামটি বাদামের গ্রাম হিসেবে বেশ পরিচিত লাভ করেছে। আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, বাদাম চাষে স্থানীয় কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বাদাম চাষে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সার্ভার জটিলতায় দুর্ভোগে পড়েছে পর্যটকরা। আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে ইমিগ্রেশনে সার্ভার জটিলাতা শুরু হলে ভারত- বাংলাদেশগামী শত শত যাত্রী আটকে পরে। এতে নারী শিশু সহ রোগীরা বেশি কস্ট করে। বেলা ১টার দিকে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে বিমান যাত্রী এবং রোগীদেরকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে ভারত ও বাংলাদেশ গামী যাত্রীদের ভোগান্তিতে পরতে হয়। তীব্র গরমের অতিষ্ঠ হয়ে পরে যাত্রীরা। ইমিগ্রেশন এলাকাটি ছোট হওয়ায় ও বসার মত পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বিমান ও ট্টেনের টিকেট কাটা ও ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া যাত্রীদের বিপদে পড়েছে।
ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া ভৈরবের সোহাগ বলেন, আমি সকাল ৮ টার সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে এসে দাঁড়িয়েছি। এখন পর্যন্ত ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারি নাই । আমি আমার ভাবিকে নিয়ে চেন্নাই চিকিৎসার জন্য যাব, আমার বিমানের ফ্লাইট দুপুর ১টায়। আমাদের ফ্লাইট সময় মতে ধরতে না পারলে এই দায়বার কে নিবে।
ভারত থেকে চিকিৎসা শেষ করে আসা আরেক যাত্রী সূবর্ণা শর্মা বলেন, আমি ভারতের চেন্নাই থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন শেষ করে সকালে বাংলাদেশে এসেছি। দুপুর ১২ টা বাজে এখনো ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করতে পারেনি, অসুস্থ শরীর নিয়ে এই গরমের মধ্যে বসে আছি। আরো কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় জানি না।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, সকাল থেকে আমাদের সার্ভার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে ।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।