চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে জোয়ারের পানিতে ডুবে নাহিদ মিয়া (৪) নামে এক শিশু মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু নাহিদ ওই গ্রামের শহিনুর আলমের ছেলে।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নাহিদসহ আরও কয়েকজন শিশু বাড়ির পূর্বপাশের একটি জমিতে বর্ষার জোয়ারের পানিতে গোসলে করতে যায়। গোসল শেষে অন্য শিশুরা বাড়িতে চলে আসলেও নাহিদ আসেনি। এর কিছুক্ষণ পর নাহিদের মরদেহ জোয়ারের পানিতে ভেসে উঠলে স্থানীয়রা দেখতে পায়।
পুলিশের কর্মকর্তা আরো বলেন, শিশুর মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে কেঁরির বড়ে খেয়ে তাঁরা বানু (৭০) নামে এক বৃদ্ধা আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধা মারা যান। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তাঁরা বানু উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের মৃত বলু মিয়ার স্ত্রী।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ বছর আগে বলু মিয়া মারা যায়। তারপর থেকে তাঁরা বানু একা হয়ে পড়ে। আজকে সকালে তাঁরা বানু পরিবারের অগোচরে গিয়ে কেঁরি ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাঁরা বানুকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক বৃদ্ধা মারা গেছে। কি কারনে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। আজকে সুরতহালের পর লাশের ময়নাতদন্ত হবে। তারপর নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নিপুণ বাসা তৈরিতে দক্ষ কারিগর বাবুই পাখি ও এর বাসা এখন আর আগের মত চোখে পড়ে না। পরিবেশ বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজার, নতুন বনায়নে বাসযোগ্য পরিবেশ ও খাদ্যের অভাব, নির্বিচারে তালগাছ কর্তন, অসাধু শিকারীর ফাঁদসহ বহুবিধ কারণে কালের আবর্তে প্রকৃতির স্থপতি, বয়ন শিল্পী এবং সামাজিক বন্ধনের প্রতিচ্ছবি বাবুই পাখি ও এর দৃষ্টিনন্দন বাসা ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে।
আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও গ্রাম-গঞ্জে ব্যাপক ভাবে বাবুই পাখির বাসা চোখে পড়ত। নিরীহ, শান্ত প্রকৃতির এই বাবুই পাখি উচু এবং নিরিবিলি পরিবেশে বাসা তৈরি করে। এরা গ্রাম-গঞ্জের তাল, সুপারি, নারিকেল, খেজুর গাছে বাসা তৈরি করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। এ সব গাছের সংকটে মাঝে মাঝে হিজল গাছেও বাসা বাধতে দেখা যায়। কিন্তু কালের বিবর্তনে বড় বড় গাছ নিধন ও পাখি শিকারের কারণে পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি। উঁচু তাল, নারিকেল ও খেজুর গাছে বাসা বাঁধলেও এ সব গাছ বিলুপ্ত হওয়ায় বাবুই পাখিও হারিয়ে যেতে বসেছে প্রকৃতি থেকে। এই পাখি বাসা তৈরির কাজে ব্যবহার করে খড়ের ফালি, ধানের পাতা, তালের কঁচি পাতা, ঝাউ ও কাঁশবনের লতা। চমৎকার আকৃতির এই বাসা বিশেষ করে তাল গাছের ডালে এমন ভাবে সাটানো থাকে যাতে কোনো ঝড়-তুফানে সহসাই ছিড়ে না পড়ে। এদের বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই নয়, মানুষের মনে চিন্তার খোরাক জোগায় এবং স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করে। ঠোট দিয়ে বাবুই পাখি আন্তর ছড়ায়। পেট দিয়ে ঘঁষে তা আবার মসৃণ করে। বাসা বানাতে শুরুতই দুটি নিম্নমুখী গর্ত করে থাকে। পরে তা একদিকে বন্ধ করে ডিম পাড়ার জায়গা করে। অন্যদিকে লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ তৈরি করে। ব্যালেন্স করার জন্য বাসার ভিতরে কাদার প্রলেপ দেয়। আধুনিক যুগে যা বড়ই যুক্তি সংগত। বাসার ভিতরে ঠিক মাঝখানে একটি আড়া তৈরি করে বাবুই পাখি। কি অপূর্ব বিজ্ঞান সম্মত চেতোনাবোধ। ছোট হলেও বুদ্ধিতে সব পাখিকে হার মানায়।
বাবুই ডিমে তা দেয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা ফোটে। কৃষকের ধান ঘরে ওঠার মৌসুম হল বাবুই পাখির প্রজনন মৌসুম। বাবুই পাখির বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই না, মানুষকে আত্মনির্ভশীল হতে উৎসাহ দেয়। কৃষ্ণনগর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি অলেক মিয়া বলেন- “গত কয়েক বছর ধরে তাদের গ্রামের কয়েকটি তালগাছে বাবুই পাখিন বাসা দেখছেন। পাখি ও পাখির বাসা দেখতে এবং কিচির মিচির শব্দ শুনতে খুবই ভাল লাগে। গৃহিনী আসমা বেগম বলেন- তাদের বাড়ির সামনের তাল গাছে বাবুই পাখি বাসা বানিয়েছে। সাংস্কৃতিককর্মী মাহমুদ জানান- দিন দিন তাল গাছ নিধনের ফলে বাবুই পাখি আজ বিলুপ্তির পথে। তাই বড় বড় তাল গাছ রক্ষা ও নতুন করে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পাখি সংরক্ষণের দাবি জানান তিনি। সুর সম্রাট আলাউদ্দীন খাঁ ডিগ্রি কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “সারাবিশ্বে বাবুই পাখির প্রজাতির সংখ্যা ১১৭টি। তবে বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বাবুই পাখির বাস।
তিনি আরও বলেন- বাবুই পাখির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করার জন্য এরা জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখে এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়ে দেয়। ধান, চাল, গম ও পোকা-মাকড় প্রভৃতি তাদের প্রধান খাবার। বাবুই পাখির জন্মগত ভাবেই শৈল্পিক দক্ষতা থাকে। কি ভাবে বাসা বাঁধবে এটা তারা তাদের মায়ের কাছ থেকেই শিখে নেয়। এই গুণ অন্য পাখির মধ্যে নেই। এরা সমাজবদ্ধ ভাবে বসবাস করে বলে তাদের সামাজিক পাখিও বলা হয়। এরা শস্য দানা, ধান, গম ইত্যাদি খেয়ে জীবনধারণ করে। তিনি বলেন, এ পাখির মধ্যে একটি বৈজ্ঞানিক গুণও আছে। পুরুষ পাখিরা বিশ্রামের জন্য বাসা বাঁধে আর নারী পাখিরা বাসা বাঁধে ডিম ফুটানো ও বাচ্চা সংরক্ষণের জন্য। যখন বাচ্চা ফোটার সময় হয় তখন মা পাখিরা এক টুকরা গোবর নিয়ে বাসায় রাখে। যাতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে বাচ্চাদের ক্ষতি করতে না পারে”।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর শাহ সুফি সাইয়্যেদ আজমত উল্লাহ (রঃ) ফাজিল মাদ্রাসায় সাঈদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে আয়োজিত এই ক্যাম্পে প্রায় ৩০০ অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদান করা হয়। ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সাঈদ ফাউন্ডেশনের কর্ণধার মো. সায়েদুল হক সাঈদ। তিনি নবীনগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
আয়োজকরা জানান, নবীনগরের প্রতিটি ইউনিয়নে এ ধরনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করা হবে, যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন। জাতীয় পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
ক্যাম্পে আরো উপস্থিত ছিলেন ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নোমান চৌধুরী, বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন, ইব্রাহিমপুর মাদ্রাসার শিক্ষকসহ স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের কাদৈর গ্রামের এন্তাজ মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক আরাফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে নবীনগর থানা পুলিশ।
আজ ৬ নভেম্বর বুধবার দুপুরে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রতনপুর গ্রামের মাঈনুদ্দিন, আড়াই হাজার থানার ইসাক মিয়া ও সোনারগাঁও থানার হোসেন মাহমুদ।
হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে একালাবাসী নবীনগর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করছে। আরাফাতের মা- বাবা খুনিদের ফাঁসি দাবি করেছেন।
উল্লেখ, গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নবীনগরের খাগাতুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতে আরাফাতকে হত্যা করে তার অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় খুনিরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিলের জমি থেকে সাদ্দাম হোসেন (২৭) নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৯ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টায় নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের বিলের জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই যুবক উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
নবীনগর থানার পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) সজল কান্তি জানান, সাদ্দাম বৃহস্পতবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হন। এরপর তার কোনো সন্ধান মেলেনি। পরে শুক্রবার সকালে বিলের জমিতে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।