চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশের বাজারেও সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার ১৭৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া খোলা সয়াবিনের নতুন দর হবে ১৫৪ টাকা লিটার। বর্তমানে খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৯ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ২৩ টাকা কমিয়ে ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ ১৩ আগস্ট রবিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। নতুন এ দাম আগামীকাল ১৪ আগস্ট সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের আমদানিমূল্য কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে ভোজ্যতেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
গত ১১ জুলাই বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৭৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ঘরবাড়ি ও গাছপালাসহ বহু স্থাপনা। আজ ১৪ মে রবিবার দুপুরে মোখা উপকূল অতিক্রম শুরু করার পর প্রাথমিক আঘাতে সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বাড়িঘর ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি অনেক বেশি। অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শুনেছি গাছ পড়ে এক নারীর মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু বৈরি পরিবেশের কারণে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ফলে সব খবরাখবর এখনই পাচ্ছি না।
সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, বাতাসের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। সমুদ্রের পানিও বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। বিচের ভেজা মাটি তুলে নিচ্ছে। মানুষের ঘর বাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। বড় বড় গাছ ও নারিকেল গাছ দুমড়ে মুচড়ে পড়ছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। পুরো সেন্টমার্টিনে বৃষ্টির পানি ও বাতাসের তীব্রতায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সব ধোঁয়াশা হয়ে আছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার মূল আঘাত হচ্ছে মিয়ানমারে। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি অনেক কমেছে।
ঢাকায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিট্যুয়ে অঞ্চল দিয়ে যাবে। ১৪ মে রবিবার বেলা ১১টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ চলে যাবে মিয়ানমার অঞ্চল দিয়ে। টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের অঞ্চলগুলো ঝুঁকিমুক্ত হতে চলেছে। এর ফলে শুরু থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আমাদের যে ঝুঁকির সম্ভাবনা ছিল, এখন আর তা নেই।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার পিক আওয়ার হবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা। এ সময়ে দ্রুত বেগে জলোচ্ছ্বাস প্রবাহিত হবে। তখন ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আরো বলেন, বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোখা আমাদের অতিক্রম করে গেলেও এর প্রভাব থেকে যাবে আরও দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত। আর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরিলক্ষিত হবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে। আমরা আশঙ্কা করছি জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা যদি ৮ থেকে ১২ ফিট পর্যন্ত হয়, তাহলে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে অস্থায়ীভাবে পানির জলাবদ্ধতা থাকবে। তবে পর্যায়ক্রমে তা কেটে যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে দেশের যে কোনো বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের যে কোনো বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সগুলো।
আজ ২৩ আগস্ট বুধবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
২০১২ সালের সৌদির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম ও মদিনা বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করা যেতো। আজকের চুক্তির পর শুধু এই চারেই সীমাবদ্ধ থাকলো না আকাশপথ।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ পক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং সৌদি আরবের পক্ষে সৌদি জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ আল দুয়াইলেজ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
নতুন স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পরিচালিত ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি সপ্তাহে ৪৯টি যাত্রীবাহী এবং কার্গো ফ্লাইট পরিচালিত হতো। নতুন চুক্তিতে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়ে ৭০ করা হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় দেশের এভিয়েশন শিল্প বিকশিত হয়ে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে। গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে সারা দেশে বিমান পরিবহন অবকাঠামোর যুগোপযোগী উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, যাত্রীসেবা বৃদ্ধি, কারিগরি ও জন দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের এভিয়েশন খাত উন্নত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে অন্যতম এভিয়েশন হবে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ফলে দুই দেশের এভিয়েশন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো বৃদ্ধি পাবে। এটি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সহযোগিতার সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের পরিকল্পিত উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যটন মহা-পরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ সম্ভাবনা কে কাজে লাগাতে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে দুই দেশের সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে সৌদি আরব বাংলাদেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করলে তাকে আমরা স্বাগত জানাবো।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের বন্ধুত্ব অত্যন্ত দৃঢ়। সৌদি আরবে একটি বড় বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে, যারা দুই দেশের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখছেন। নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বিমান চলাচলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই দেশই এর সুফল পাবে।
সৌদি আরবের মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের আন্তরিক আতিথেয়তা এবং চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে এ দেশের পর্যটনের বিকশিত হওয়ার বড় সুযোগ রয়েছে। যেকোনো পর্যটক বাংলাদেশের আতিথেয়তাকে আজীবন মনে রাখবে। সৌদি আরব ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউজান আল রাবিয়াহ ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুলাইহান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানসহ দুই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বন্যার্তদের সহায়তায় জন্য বিএনপি নগদ আড়াই কোটি টাকাসহ ১০ কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
আজ ৩০ আগস্ট শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপির ত্রাণ তহবিলে দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। গত ৫ দিনে নগদ আড়াই কোটি টাকাসহ প্রায় ১০ কোটির ত্রাণ সংগ্রহ করে সরবরাহ করা হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকায়।
তিনি আরো বলেন, বন্যার পানি ইতিমধ্যে কমতে শুরু করেছে। ফলে এসব এলাকায় রোগবালাই বেড়ে যাবে। সেজন্য আমাদের চিকিৎসকগণ এবং বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিগুলো ওইসব এলাকায় ওষুধ বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বিএনপিএর স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যায় উপদ্রুত মানুষদের সাহায্যার্থে শুকনো খাবার, শিশুদের কাপড়, মানুষের ব্যবহৃত কাপড়, মোমবাতি, দিয়াশালাই, বিশুদ্ধ পানি দেশের সর্বস্তরের জনগণ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। রিকশাচালক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ বিএনপির ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দিচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৫ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের সাঁতারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু ওই এলাকার সুলতান মিয়ার মেয়ে রুম্পা (১০) একই এলাকার রায়হান মিয়ার মেয়ে রাদিয়া সাড়ে (৩)। রাদিয়া সম্পর্কে রুম্পার চাচাতো বোন। তারা দু’জনই সাঁতার জানতেন না।
স্থানীয়রা জানান, রুম্পা ও রাদিয়া শুক্রবার দুপুরের দিকে খেলতে যায়। বেশ কিছুক্ষণ দুই শিশুকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তাদের বসতঘরের পাশে পুকুরে রুম্পাকে ভেসে থাকতে দেখতে পায়। সে সময় রাদিয়া পানিতে ডুবে ছিলো। পরে প্রতিবেশিরা পুকুরে নেমে রুম্পা ও রাদিয়াকে উদ্ধার করে দেখেন রাদিয়া মৃত। রুম্পাকে অচেতন অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাঁতার না জানার কারণে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
অনলাইন ডেস্ক :
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের নজিরপুর-মহজমপুর সড়কের মাঝখানে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই দ্রুত রাস্তা থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, ঘনবসতিপূর্ণ মহজমপুর এলাকার প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষের উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটিই।
এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ভ্যান, রিকশা, সিএনজি, অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। যখন রাস্তাটি কাঁচা ছিল তখন খুঁটির স্থানে রাস্তাটি সেলিম উদ্দিনের উঠানের দিকে চেপে ছিল, ফলে খুঁটি রাস্তার পাশে ছিল না। কিন্তু এক বছর আগে ইটের সলিং দিয়ে রাস্তা করার সময় জমি মাপতে গিয়ে খুঁটিটি রাস্তার একেবারে মাঝ বরাবর পড়ে। এলাকাবাসী তখন খুঁটিটি স্থানান্তর করতে বললেও কাজ হয়নি।
কিন্তু ওই খুঁটিটি এখন চলাচলকারীদের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মহজমপুর গ্রামের বাসিন্দা ময়েন উদ্দিন বলেন, রাতের অন্ধকারে তিনি ওই রাস্তা দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় খুঁটির সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। তার মতো গ্রামের অনেকেই এ রকম ঘটনার শিকার হয়েছেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, নিজস্ব ছোট পিকআপ তিনি নিজেই চালান।
ফলে ওই রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে তিনি নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। খুঁটিটি সরানোর জন্য উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ঘুরেও সমাধান হয়নি।
ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আকবর হোসেন বলেন, মাঝে খুঁটি রেখে রাস্তার কাজ করার সময় তিনি নিজেও বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। পরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করেও কাজ হয়নি।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর বাগাতিপাড়া সাব-জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, যখন ওই স্থানে বিদ্যুতের খুঁটিটি বসানো হয় তখন সেখানে রাস্তা ছিল না। পরে রাস্তাটি করা হয়েছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী যে দপ্তর রাস্তাটি করেছে তারা বিদ্যুৎ বিভাগে খুঁটি স্থানান্তরের নির্ধারিত ফি জমা করলেই সেটি সরানো হবে।
বাগাতিপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মঞ্জুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা স্থানান্তরের ফি পরিশোধ করলেই খুঁটিটি সরানো হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক বলেন, ‘আমি এই উপজেলায় যোগদানের পূর্বে রাস্তার কাজটি করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএমের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। ফি পরিশোধ করলে খুঁটিটি সরানো হবে বলে তিনি জানান।’