অনলাইন ডেস্ক :
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন।
আজ ১৪ আগস্ট সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসক ও গোয়েন্দা সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বুকে ব্যথা অনুভব করলে ১৩ আগস্ট রবিবার বিকেলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
২০১৯ সাল থেকে কাশিমপুর কারাগারে আছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এর আগে ২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, ধর্মান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী ১৯৪০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুরের ইন্দুরকানী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করেন তার বাবার প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় একটি মাদ্রাসায়। তিনি ১৯৬২ সালে ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন ও পরে খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায় স্থানান্তরিত হন। বাংলা, উর্দু, আরবি ও পাঞ্জাবি ভাষায় দক্ষ এবং ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায়ও তার দক্ষতা রয়েছে।
১৯৮০’র দশকের প্রথমদিকে সাঈদী দেশব্যাপী ইসলামী ওয়াজ-মাহফিল ও তাফসির করা শুরু করেন এবং তার সুন্দর বক্তব্যদানের জন্য দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এ সময়ই তিনি রাজনীতিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম নেতা নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নির্বাচনী জোট গঠন করে এবং তিনি এই নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সেলিম ভূইয়া বলেছেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা দিয়েছেন। এই ৩১ দফার মধ্যে সংস্কারের সব কিছু বলা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রশাসন সব কিছুই এই রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফার মধ্যে আছে। তাহলে আপনারা কেন এই সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্বিত করে দেশকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাচ্ছেন।
আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সেলিম বলেন, পাশের একটি দেশ প্রতিনিয়ত আমাদের দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা প্রতিটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিব। কারণ বিএনপি এ দেশের জনগণের যখন বিপদ আসে, জনগণের যখন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দেয়, জনগণের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, তখনই বিএনপি জনগণের পাশে এসে দাঁড়ায়। ভারতীয় কোন কিছুকে আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, ভারতের সাথে হাসিনা সরকারের গত ১৫ বছরে যত চুক্তি হয়েছে সমস্ত চুক্তি বাতিল করতে হবে। আমরা বাংলাদেশীরা তাদের প্রভুসুলভ আচরণ কখনোই মেনে নিতে পারি না। তিনি বলেন, তারা ভয় পেতো আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। কারণ জিয়াউর রহমান কখনো ভারতের আধিপত্য মেনে নেয়নি। মেনে নিতে পারেনি বলেই তারা আমাদের নেতাকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। তাই আজকে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্মেলন থেকে আমরা বলতে চাই, এই দেশে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। এ দেশ জিয়াউর রহমানের দেশ। এই দেশ বেগম খালেদা জিয়ার দেশ। এই দেশ তারেক রহমানের দেশ। এই দেশের জনগণ কিভাবে ভালো থাকবে তার কাজ বিএনপি আগেও করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, আগামী দিনের যে নির্বাচন, সেই নির্বাচন হবে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা। এর আগে আমাদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। নিজেদেরকে সংযমী রাখতে হবে। যে কষ্ট আপনারা করেছেন, এই কষ্ট যদি আমরা ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট না আনতে পারি, তাহলে সকল কষ্ট বৃথা যাবে।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।
এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকেই সম্মেলন স্থলে মিছিল এবং রং বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে সম্মেলন জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
অনলাইন ডেস্ক
দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে।
আজ ৭ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়। সেই হিসেবে আগামী ১৭ জুন সোমবার পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন হবে।
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এর আগে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখা যায়। সেই হিসেবে সৌদিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ১৬ জুন। আর ১৫ জুন পবিত্র আরাফাত দিবস।
অনলাইন ডেস্ক :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, সনাতন ও মুসলমানের কবি ছিলেন না; তিনি ছিলেন মানব জাতির কবি। তিনি মানবতার কথা বলে গেছেন।
তাঁর সাহিত্যের মধ্যে সবকিছু পাই। তাঁর প্রতিভা উপলব্ধি করতে হলে তাঁর সৃষ্টিকে প্রত্যক্ষ করতে হবে।
২৫ মে বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত গাহি সাম্যের গান মঞ্চে ১২৪তম নজরুল জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে নজরুল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দক্ষ কূটনৈতিকতায় ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি নজরুলকে স্বাধীন বাংলাদেশে আনেন এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেন। বঙ্গবন্ধুই কবি নজরুলকে ধারণ করে আমাদের মুক্তির চেতনায় স্থান দিয়েছিলেন, তার প্রমাণ পাই। জাতীয় কবি নজরুলের আলোচনা করতে গেলে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম আলোচনায় আসে। সাহিত্যের মধ্য দিয়ে একটি জাতিকে কীভাবে জাগ্রত করা যায়, সেটি তাদের দু’জনের সাহিত্য কর্মে ফুটে উঠেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের চাওয়া-পাওয়াকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’-এটিকে জাতীয় সঙ্গীত এবং নজরুলের ‘চল চল চল ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল’ এটিকে রণ সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের দু’জনকেই সম্মানিত করেছেন। আমরা নজরুলের সাহিত্য চর্চাকে ছড়িয়ে দিয়ে তার প্রতি সম্মান দিতে পারব। সেই লক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিকাশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারী, রেজিস্ট্রার
কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রামিম আল করিম, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ‘নজরুলের কাব্য প্রতিভার উন্মেষ ও বিকাশ’ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ১২৪তম নজরুল জন্মজয়ন্তী-২০২৩ উদ্যাপন অনুষ্ঠানটি সদ্যপ্রয়াত কল্যাণী কাজীকে উৎসর্গ করা হয়।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
একাদশ জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত মো. শাহজাহান আলম এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের মোহাম্মদ গোলাম ফারুক শপথ নিয়েছেন।
আজ ১৫ নভেম্বর বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, হুইপ ইকবালুর রহিম, আতিউর রহমান আতিক, সংসদ সদস্য র, আ, ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি ও উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
শপথগ্রহণ শেষে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান আলম ও মোহাম্মদ গোলাম ফারুক রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে সই করেন। এসময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রেলপথে চলাচলরত আন্তঃনগর ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেন শিগগিরই যাত্রাবিরতি করবে। ১৫ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, ‘কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন থামানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা কার্যকর হবে।’
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু, চট্টগ্রাম-জামালপুর-চট্টগ্রাম রুটের ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের ‘কালনী এক্সপ্রেস’-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি এবং বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানানো হচ্ছিল। এ বিষয়ে জেলা নাগরিক ফোরাম গত কয়েক বছর ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন
কৃষিজমি থেকে মাটি কাটার দায়ে দুইজনকে জেল-জরিমানা
বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ ব্যাপারে গেল বছরের ২ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন, যাতে জেলার ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরা হয়। জেলা প্রশাসকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগের সংযোগস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীদের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ট্রেনের আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে বা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল ভ্রমণ করছেন। ভীড়ের কারণে টিকেটধারী যাত্রীরা নির্ধারিত বিরতির সময়ে ট্রেনে উঠতে পারছেন না এবং ট্রেনে ওঠার জন্য নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় যানজটে চরম দুর্দশার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ট্রেনকেই তাদের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে।
ওই চিঠি দেওয়ার পরও জেলা প্রশাসক তার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি রেল সচিবের সাথে টেলিফোনে কথা বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলযাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর দ্রুতই রেল সচিব এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।
আরও পড়ুন
আখাউড়ায় জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলা প্রশাসনের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির বিষয়টি উঠে আসে। ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রেল সচিবকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার এক বছর পার হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জেলা নাগরিক ফোরাম তাদের রেল যাত্রাবিরতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। ২০২৩ সালের ১৫ জুন এবং ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলওয়ে সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম।
আরও পড়ুন
জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, আমরা প্রায় পাঁচ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি, তবে তেমন কোনো সুফল পাইনি। শুনতে পেলাম রেল মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির আংশিক পূরণ করেছে। কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি হবে, এটি আমাদের জন্য একটি সুসংবাদ। তবে আমাদের মূল দাবি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি স্পেশাল ট্রেন চালু করতে হবে।