চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত ও পায়ের রগ কেটে জনি মিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে হত্যা করেছে। এ সময় আওয়াল মিয়া নামের (৪৭) আরো একজন আহত হয়েছেন।
১৪ আগস্ট সোমবার রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর নতুন বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত জনি মিয়া ওই এলাকার মকসেন মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তালশহর বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাজার-সংলগ্ন সেতু অতিক্রম করতেই কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।
ওসি আরো বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে মহাসড়কের পাশে পার্কিং করা একটি যাত্রীবাহি অটোরিক্সাকে একটি কাভার্ডভ্যান চাপা দিলে শিশুসহ ৪ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হন। আজ ২১ আগস্ট সোমবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বড়ইবাড়ি গ্রামের মোঃ সোহেল মিয়া (২৭), একই গ্রামের নাজমুল মিয়ার ছেলে মোঃ জিলানী (৮), একই ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামের জাফর আলীর ছেলে মোঃ আসকর মিয়া (৬০) ও কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের আবদুর রশীদের ছেলে মোঃ উজ্জ্বল মিয়া (৩৭)।
আহতরা হলেন, নিহত জিলানীর বাবা নাজমুল মিয়া, মা শাহানা বেগম ও ছোট বোন তাইরিন (দেড় বছর)। আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, দুপুরে ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ড পৌছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং করা একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিক্সাযাত্রী সোহেল মিয়া ও জিলানী নিহত এবং আসকর মিয়া, উজ্জ্বল মিয়া, নাজমুল মিয়া, শাহানা বেগম ও শিশু তাইরিন আহত হন।
খবর পেয়ে হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে হতাহতের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসকর মিয়া ও উজ্জ্বল মারা যায়।
এ ব্যাপারে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আশুগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় শিশুসহ ৪জন নিহত এবং ৩জন আহত হয়েছে। আমরা নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় যাথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ঘটনার পর পরই কাভার্ড ভ্যানের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার উদ্যোগে আজ ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আশুগঞ্জ রেলগেইট এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মাওলানা আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাওলানা শোয়েব আহমেদ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আরমান হোসাইন, মাওলানা মাহামুদুল হাসান, মাওলানা ফাহিম আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইসকন একটি জঙ্গি সংগঠন। এই জঙ্গি সংগঠনকে বাংলাদেশে অচিরেই নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে এদেশের ছাত্র-জনতা। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট আমাদের আবেদন যেন দ্রুত এই জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হৃদয় (২৫) নামে এক যুবককে খুন করা হয়েছে।
এ ঘটনা ঘটেছে আজ ১৩ জুন বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে ।
নিহত হৃদয় যাত্রাপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছে। এদিকে ঘটনার ৩ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মুলহোতা ঘাতক মাদক ব্যবসায়ী রুবেলকে (৪০) বাড়ির পাশে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত হৃদয় ও ঘাতক রুবেলের বাড়ি যাত্রাপুর একই পাড়ায়। রুবেলের নামে থানায় একাধীক মামলা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার সকালে হৃদয়কে তার নিজবাড়ি থেকে ডেকে মাদকব্যবসায়ী রুবেল তার বাড়িতে নিয়ে যায়।তার বাড়ির উঠোনে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে হৃদয়কে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে রুবেল পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয় লোকজন হৃদয়কে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তিতে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে ভৈরব এলাকায় মারা যায়।
খবর পেয়ে প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘাতক রুবেল বাড়ির পাশেই আত্মগোপন করে আছে জেনে পুলিশ পুরো এলকাটি ঘিরে ফেলে এবং ঘটনার ৩ ঘণ্টার মধ্যেই পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা মো. জসিম উদ্দিন জানান, সকালে আমার ছেলে হৃদয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রুবেল। কিছুক্ষণ পরে আমার মেয়ের জামাইয়ের ফোনে জানতে পারি আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে। পরে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে হৃদয় মারা যায়।
তিনি বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। খুনিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।
ঘাতক রুবেলের মা লালু বেগম জানান, বাড়ির উঠোনেই হৃদয়ের সাথে রুবেলের হাতাহাতির এক পর্যায়ে রুবেল হৃদয়কে ছুরিকাঘাত করে ।
তিনি বলেন, আমার এই ছেলে মাদকাসক্ত, তার অত্যাচারে আমার পরিবারটি ধ্বংশ হয়ে গেছে। এব্যাপারে বার বার পুলিশকে বলেও এর কোনো প্রতিকার পায়নি। তার জন্য আমার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছে। আমি নিজে স্ট্রোক করে চিকিৎসাধীন আছি। সে যেন জেল থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে, আমি তার কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নাহিদ আহম্মেদ জানান, হত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও বলা যাচ্ছে না। ঘটনার মূলহোতা রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যা মামলা রুজু করার পর তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।