অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকেই এ দেশের মানুষের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতেন। শিশুকাল থেকেই তিনি বাঙালির অধিকার, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা নিয়ে ভাবতেন। বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকেই বাঙালি অধিকার আদায় শিখেছিল।
জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ ১৬ আগস্ট বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের মধ্যে খাবার পরিবেশন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে বলার উল্লেখযোগ্য দিক হলো, শিশুদের প্রতি তিনি খুবই দুর্বল ছিলেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদেরকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং এ ভালোবাসা ছিল তাঁর হৃদয় থেকে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের চেষ্টা ছিল বাঙালির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা। তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন, সফল হয়েছেন; আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এ দেশেই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শিশুদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্মরণে রেখে তোমাদের জীবন, পড়াশোনা, আচার-ব্যবহার সাজাতে হবে। তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা এবং তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবার ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে ২৮ আগস্ট বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাস-সহিংসতার সাথে সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। সরকার বিশ্বাস করে, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গসংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নয়।
তাই সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ১৮ (১) ধারার ক্ষমতাবলে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণাসংক্রান্ত ১ আগস্টের প্রজ্ঞাপন বাতিল করল।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের ১৪ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনেছে দলটি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিভিন্ন সময়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব বহিষ্কারের কথা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। সে কারণে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ে থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত ১৪ নেতার মধ্যে আটজনই কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ছিলেন। তারা হলেন : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, তাঁতীবিষয়ক সহ-সম্পাদক রাবেয়া ভুঁইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু, খন্দকার আহসান হাবিব ও একে এম ফখরুল ইসলাম।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৬ জন হলেন : শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকার ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু ও চাপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মতিন।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি ভোট বর্জন করে আন্দোলনে আছে। তবে সরকার তাদের দাবি পাত্তা দেয়নি, ফলে ২০১৪ সালের মতোই বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের ট্রেন এগিয়ে চলছে।
এর মধ্যে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের দিন বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের পর দিন থেকে চলছে টানা হরতাল ও অবরোধ। অক্টোবরের সেই দিন থেকে সমান্তরালে চলছে গ্রেফতার অভিযানও। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধানের কোথাও নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা নেই। এটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন তার কতজন মন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রয়োজন। যদি সবাইকে প্রয়োজন হয়, সবাই থাকবেন। আর যদি চান তাহলে ছোট আকারে করতে পারেন, সেটা তার ইচ্ছা। সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।
আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষের সামনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আইএলও’র বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
চলতি মাসে একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশন, সেখানে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আলোচনার মাধ্যমে আইন পাসের পাশাপাশি সংসদে সবকিছু নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আনিসুল হক বলেন, আমরা শ্রম আইনে কিছু পরিবর্তন এনেছি। আমাদের সঙ্গে আইএলও’র আলোচনা হয়েছে। তাদের কিছু বক্তব্য ছিল। সেই বক্তব্য নিয়ে এসেছিল আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর। আমরা সেগুলো শুনেছি এবং কিছু কিছু বিষয়ে সমাধান করে ফেলেছি। যেটা ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার সেটা দিয়েছি। যেসব বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে হয়েছে। সেগুলো আমরা ২২ অক্টোবর আবার বসে আলোচনা করব। তখন তাদের গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা নিয়ে বাকি বিষয়গুলোর সমাধান আসবে। পূর্বে গ্রুপ অব কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ শ্রমিক থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন করার নিয়ম ছিল। কিন্তু সংশোধনী আইনে সেটি কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আইএলও’র কাছে আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলাম, যে আস্তে আস্তে এই শতাংশের হার আরও কমিয়ে আনা হবে। আগে প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানি পরিচালনার জন্য তিন হাজারের বেশি প্রয়োজন হলে সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে ২০ শতাংশ শ্রমিকের একমত প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা সেটাও কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছি। মূল কথা হচ্ছে তারা- শ্রমিকদের ধর্মঘট করার ক্ষমতা এবং লেবার কোর্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন। তারা আমাদের বেশিরভাগ সংশোধনীতে খুশি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বা আইএলও’র মানদণ্ড অনুযায়ী করার পরামর্শ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।
আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সকালে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তাঁর কার্যালয়ে প্রার্থী ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিদের কাছে প্রতীক বরাদ্দ দেন।
৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে ০৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগগঞ্জ) আসনে ০৭ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে ০৮ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) আসনে ০৫জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে ০৪জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কৃত আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান পেয়েছেন (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহনুল করিম পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন পেয়েছেন ( মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ বকুল হোসেন পেয়েছেন ( হাতুড়ি প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন পেয়েছেন (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূইয়া পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ আবুল হাসনাত পেয়েছেন (মিনার প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন পেয়েছেন (আম প্রতীক), তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হোসেন তুষার পেয়েছেন (সোনালী আঁশ), সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন (ঈগল প্রতীক) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও পেয়েছেন (কাঁচি প্রতীক), ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মোঃ নূরে আজম পেয়েছেন (মোমবাতি প্রতীক), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান (ওমর) পেয়েছেন (মশাল প্রতীক), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী পেয়েছেন (বটগাছ প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ পেয়েছেন (আম প্রতীক), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা পেয়েছেন (একতারা প্রতীক) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জামাল রানা পেয়েছেন (নোঙ্গর প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান পেয়েছেন (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ মোবারক হোসেন পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী জামাল সরকার পেয়েছেন (একতারা), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম মামিনুল হক সাঈদ পেয়েছেন (ঈগল প্রতীক), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ মেহেদী হাসান পেয়েছেন (মিনার প্রতীক), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন (ফুলের মালা প্রতীক) ও তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান পেয়েছেন (সোনালী আঁশ প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন পেয়েছেন (লাঙ্গল প্রতীক) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী কবির মিয়া পেয়েছেন (একতারা প্রতীক) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী সফিকুল ইসলাম পেয়েছেন (আম প্রতীক)।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল রোজার মাসে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ অফিসকক্ষে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বলেন, নির্বাচন কমিশন চার ধাপে উপজেলা নির্বাচনের তালিকা প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের তফসিল দিতে ৪০ থেকে ৪২ দিন সময় লাগে।
এ ক্ষেত্রে রোজার মাসেই তফসিল ঘোষণা হবে। সেটা পরবর্তী কমিশন সভায় নির্ধারণ করা হবে।
৯ মার্চ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের (রংপুর ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচন) প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ২৩৩ নির্বাচন হলেও বড় নির্বাচন মাত্র কয়েকটা। সেগুলোতে আচরণবিধি যথাযথ পালনের জন্য অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইসির কমিশন সভার সদ্ধিান্ত অনুযায়ী চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছিলেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম। ইসি সচিব জানিয়েছিলেন, প্রথম ধাপ ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপ ১১ মে, তৃতীয় ধাপ ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ মে।
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব আরো জানিয়েছিলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে রমজানের মাঝামাঝি সময়ে।
প্রথম ধাপের তফসিলের পর পর্যায়ক্রমে প্রতি সপ্তাহে একেকটি ধাপের তফসিল হবে।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা এবং মার্চে রমজান মাস বিবেচনায় ঈদের পরে উপজেলা পরিষদ ভোট আয়োজন করা হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে রোজার শেষ দিকে।
ইতিমধ্যে উপজেলাগুলোর নির্বাচনের ভোটের তারিখ জানিয়েছে ইসি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৩৪৪ উপজেলার নির্বাচনের ভোটের তারিখ প্রকাশ করেছিল ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা।
পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৩৭টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তারিখ। দেশে উপজেলা পরিষদ রয়েছে ৪৯৫টি।