অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সকলের আরও ভালো ও উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হলো।’
আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পেনশন স্কিম চালু করেছি যাতে দেশের প্রতিটি মানুষ একটি উন্নত জীবনযাপন করতে পারে। প্রাথমিকভাবে ছয়টির মধ্যে চারটি স্কিম প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী উদ্বোধন করা হয়েছে। অন্য দু’টি পরে চালু করা হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী দিনেও আমার প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অব্যাহত রাখার জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকে অনুরোধ করছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য ছিল দেশবাসীকে একটি উন্নত জীবন উপহার দেওয়া, যার জন্য তিনি তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছি। জনগণকে একটি সুন্দর ও উন্নত জীবন দেওয়ার আমাদের প্রচেষ্টা দেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতার আত্মা শান্তি পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক দেশবাসীর জীবনকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে জনগণের কাছে দোয়া চান। দেশের প্রতিটি মানুষকে আরও ভালো ও উন্নত জীবন দিতে ব্যর্থ হলে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া দেশের স্বাধীনতা বৃথা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশের স্বাধীনতাকে ব্যর্থ হতে দেব না, এটি ব্যর্থ হবে না এবং এটি ব্যর্থ হয়নি। তাঁর (বঙ্গবন্ধুর) আদর্শ অনুসরণ করে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।’ সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
‘অগ্নিদুর্ঘটনা, বর্তমান পরিস্থিতির গভীরতা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর করণীয়’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৬ মার্চ বুধবার সকাল ১১টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ (সাবেক মহাপরিচালক), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহম্মেদ খান (সাবেক মহাপরিচালক), অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান (ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলেন্স, ঢাবি), অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বুয়েট), স্থপতি মো. ইকবাল হাবিব (সহসভাপতি, বাপা), মো. নিয়াজ আলী চিশতি, সভাপতি, ইসাব প্রমুখ।
স্থপতি মো. ইকবাল হাবিব বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে ঢাকাসহ সারা দেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে হবে এবং চিহ্নিত ভবনের তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করার সাথে সাথে নির্দিষ্ট ভবনের সামনে তা প্রকাশ্যে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স যেন নিয়মিত মোবাইল কোর্ট করতে পারে এ জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করা উচিত। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইনগত অসামঞ্জস্য/বিরোধ দ্রুত সমন্বয় করা প্রয়োজন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহম্মেদ খান বলেন, ‘শহরকেন্দ্রিক স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন নির্মাণসহ ফায়ার সার্ভিসকে দুর্ঘটনার ধরনভেদে স্পেশাল টিম তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া রাজউক, সিটি করপোরেশন বা ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’
অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার কোড তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।
অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে হাইড্রেন্ট লাইন বসানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ফায়ার সার্ভিসের স্থগিত বিধিমালা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। ভবনের অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটিতে ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘রাজউক থেকে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নিয়ে যদি অকুপেন্সি পরিবর্তন করে তাহলে তা ফায়ার সার্ভিসকে জানাতে হবে, এমন বিধান তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া বিএনবিসির কিছু ধারা যুগোপযোগী করা উচিত।’ অগ্নিনির্বাপণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে শহরের জলাশয় ও পুকুর সংরক্ষণ করতে হবে বলে তিনি পরামর্শ দেন।
নিয়াজ উদ্দিন চিশতী বলেন, ‘শুধু অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম কিনে প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করলে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে না। অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম মানসম্মত কি না, তা যাচাই করতে হবে, যেন তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’
গোলটেবিল বৈঠকে অতিথিরা বর্তমান পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। গোলটেবিল বৈঠকে কি নোট পেপার প্রেজেন্ট করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা থেকে বরিশালগামী একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে বাসটির অধিকাংশ পুড়ে গেলেও যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে দিতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ। বাসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে ত্রুটির কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে বাসটির শ্রমিকরা। তবে আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি কেউ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল এলাহী রেস্টুরেন্ট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে বরিশালগামী বিজনেস ক্লাস বাসটিতে ১৫ থেকে ১৬ জন যাত্রী ছিল। রাত ১২টার দিকে বাসটি বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদীর কটকস্থল এলাহী রেস্টুরেন্ট এলাকা অতিক্রমকালে বিকট শব্দে পেছনের অংশে বিস্ফোরণ হয় এবং আগুন ধরে যায়। যাত্রীরা চিৎকার দিলে বাসের শ্রমিক-কর্মচারিরা বাস থামিয়ে দ্রুত দরজা খুলে দিলে যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় আশপাশের লোকজনের সহায়তায় বাসের শ্রমিকরা আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। খবর দেয়া হয় গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে। গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় অধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন কর্মকর্তা আকতার উদ্দিন জানান, অগ্নিকাণ্ডে বাসটির পেছনের অংশে অনেক ক্ষতি হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে বাসে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি গোলাম রসুল মোল্লা জানান, প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীরা জানিয়েছেন বাসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দিলে বিটক শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে বাসের পেছনের অংশে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। পরে পুরো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। বাসে আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি মাঝে মধ্যে এক দফার আন্দোলন ঘোষণা করে। সুতরাং নতুন করে আবার এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা- বিশেষ গুরুত্ব বহন করে না। তবে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে থাকব, কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ দেব না।
আজ ১১ জুলাই মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মতবিনিময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অতীতেও দেখেছি বিএনপি যখনই কর্মসূচি ঘোষণা করে, তখনই তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়। জনজীবনে ভোগান্তি ঘটায়। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারই তাদের মূল উদ্দেশ্য। সেই সুযোগ আমরা দেব না। আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল, আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকব, জনগণের পাশে থাকব।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল এখন দেশে অবস্থান করছে। এ সময় বিএনপির এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার অর্থ হলো তারা কর্মসূচি জনগণকে দেখাতে চায় না, দেখাতে চায় বিদেশিদের। কারণ বিদেশিরা তাদের শক্তি সামর্থ্য নিয়ে সন্দিহান। তাই তারা শক্তি দেখানোর জন্য চেষ্টা করছে মাত্র।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির কোনো অনুযোগ, অভিযোগ থাকলে সেটি জনগণের কাছে বলতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য তাদের সব কর্মসূচি, সব কথাবার্তা হচ্ছে বিদেশিদের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য। এটি একটি রাজনৈতিক দলের দেউলিয়াত্বের প্রকাশ।
রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার (আরপিও) সংশোধন বিল পাশ হওয়ায় নির্বাচন কমিশন সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিএনপি বিরূপ মন্তব্য করেছে- এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। তারা যখন সন্তোষ প্রকাশ করে আমি সেটির সঙ্গে সহমত পোষণ করি।
‘আমরা রাজা-রানির দেশে বাস করতে চাই না, গণতন্ত্রের জন্য দেশ স্বাধীন করেছিলাম’- বিএনপি মহাসচিবের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কখন মুক্তিযুদ্ধ করেছেন আমি সেই প্রশ্ন রাখতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের পরে তো উনি কিছু দিন উনার বাবাসহ আÍগোপনে ছিলেন। উনি তো মুক্তিযুদ্ধ করেন নাই। বরং ক’দিন আগে মির্জা ফখরুল সাহেব বলেন, পাকিস্তানই ভালো ছিল। যে দলের মহাসচিব পাকিস্তানই ভালো ছিল বলে, সেই দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে সেটি নিয়েই তো প্রশ্ন থেকে যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া এনে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মোটর সাইকেল ছিনতাই ও চালককে ছুরিকাঘাতে আহত করা ছিনতাইকারী সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করেছে গৌরীপুর থানার পুলিশ। তবে তার সহযোগী উজ্জ্বল মিয়া পলাতক রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত সাদ্দাম হোসেন শেরপুর জেলার সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে। পলাতক উজ্জ্বলের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়।
গৌরীপুর থানা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুলাই সন্ধ্যায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক সুজয় সাহাকে দুই হাজার টাকা চুক্তিতে গৌরীপুর নিয়ে আসেন সাদ্দাম ও উজ্জ্বল। রাত সাড়ে ১০টায় তাঁরা উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বৃ-বড়বাগ গ্রামের মঞ্জু মিয়ার বাড়ির সামনে আসে। এসময় তাঁরা চালক সুজয় সাহাকে ছুরিকাঘাত করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন।
তাঁর চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। আহত সুজয়কে এলাকাবাসী উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজেন্দ্র দেবনাথ তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সুজয় সাহা (২৬) গাজীপুর জেলার বাসন উপজেলার কড্ডা বাজার এলাকার উজ্জ্বল সাহার ছেলে।
এ বিষয়ে সুজয় সাহা বাদী হয়ে শুক্রবার সাদ্দাম ও উজ্জ্বলকে আসামী করে গৌরীপুর থানার একটি মামলা দায়ের করেন।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)) মাহমুদুল হাসান হাসান বলেন- পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা থেকে সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোটর সাইকেল ও রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৭ এপ্রিল থেকে ঈদযাত্রার ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে। কাউন্টারে লাখো যাত্রীর ভিড়ে ভোগান্তি হয়- এ কারণ দেখিয়ে ঈদযাত্রার আন্তঃনগর ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে। জনগোষ্ঠির বড় অংশ ইন্টারনেট সুবিধা বাইরে থাকলেও, কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করবে না রেলওয়ে।
আজ ২১ মার্চ মঙ্গলবার রেলভবনে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে সভায় শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন। তাই রেলের কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ করে আগাম মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে, সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সব টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগামী ২২ এপ্রিল ঈদ হবে ধরে টিকিট বিক্রির সূচি তৈরি হয়েছে। ৭ এপ্রিল দেওয়া হবে আগামী ১৭ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট। ৮ এপ্রিল ১৮ এপ্রিলের, ৯ এপ্রিল ১৯ এপ্রিলের, ১০ এপ্রিল ২০ এপ্রিলের এবং ১১ এপ্রিল ২১ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। ১৭ এপ্রিল ফিরতি যাত্রার ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
রেল সূত্র জানিয়েছে, ২৩ এপ্রিল ঈদ হলে ২২ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট একদিন আগে ছাড়া হবে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও ১০ জোড়া বাড়তি ট্রেন থাকবে ঈদযাত্রায়। চাঁদপুর-সিলেট এবং ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে দুটি বিশেষ আন্তঃনগর ট্রেন চলবে। বাকি সাত বিশেষ ট্রেন অন্যান্য বছরের মতো চলবে।
কালোবাজারি ঠেকাতে ১ মার্চ থেকে নতুন পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে নিবন্ধন করে টিকিট কিনতে হচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শীদের এতে ব্যাপক সুবিধা হলেও, ভুগছেন অজ্ঞরা। স্টেশনের কাউন্টার থেকে হাজারো যাত্রী খালি হাতে ফিরছেন, নিবন্ধন না থাকায়। পারদর্শীদের জন্য নিবন্ধন খুব সহজ হলেও, বয়স্ক, অশিক্ষিত এবং শ্রমজীবী যাত্রীরা তা করতে পারছেন না। স্টেশনে হেল্প ডেস্ক থাকলেও তারা ভুগছেন।
প্রশ্ন আসছে, যারা নিবন্ধনই করতে পারছেন না প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাবে, তারা ইংরেজি ভাষার ওয়েসাইট থেকে কীভাবে টিকিট কিনবেন? কীভাবেই মোবাইল বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ে দাম পরিশোধ করবেন? প্রতি বছর ঈদে দেখা যায়, বিক্রির শুরুর মিনিটের মধ্যেই অনলাইনের সব টিকিটি শেষ। দ্রুতগতির ডিভাইস ও ইন্টারনেট না থাকলে, টিকিট মেলে না। তাই ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে থাকা কোটি মানুষ কী করে টিকিট পাবেন- এ প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই।
নিবন্ধিত যাত্রীদের জন্য কাউন্টারে টিকিট রাখলে কি অসুবিধা- এ প্রশ্নে মঙ্গলবার বৈঠকে যোগ দেওয়া এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ঈদযাত্রার টিকিটের জন্য লাখো মানুষ ভিড় করেন। এতে ওই দিনের এবং পরবর্তী পাঁচ দিনের ট্রেনের টিকিট প্রত্যাশীদের মারাত্মক ভোগান্তি হয়। তা ঠেকাতে অনলাইনে সব টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নীতিতে ট্রেনে চড়তে যাত্রীকে সঙ্গে পরিচয়পত্র রাখতে হবে। টিকিটে থাকা নামের সঙ্গে পরিচয়পত্রের মিল না থাকলে বিনা টিকিটের যাত্রী বলে গণ্য হবেন। এ নীতি কার্যকরে ৬ মার্চ থেকে অভিযান চালাচ্ছে রেলওয়ে। অভিযোগ আছে, রেলের কর্মীরাই টাকা নিয়ে বিনা টিকিটের যাত্রী তুলছেন। অনলাইন থেকে টিকিট কিনে কালোবাজারিরা চড়া দামে বিক্রি করছে। নামের মিল না থাকলেও, তা দিয়ে ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা। কিন্তু রেলের ‘বিশেষ অভিযানে’ ধরা পড়ছে না।
মঙ্গলবারের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঈদযাত্রায় কড়াকড়ি থাকবে। তবে ঈদের ভিড়ে এ সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হবে- তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এবারও রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ছাদে কোনো যাত্রী উঠবে না। গত বছরও এ সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু ছাদে চড়া যাত্রীর চাপে বগির স্প্রিং বসে গিয়ে কয়েকটি চলন্ত ট্রেন বিকল হয়েছিল।