চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৭ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা হলেন, সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমির খন্দকার, সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সোহাগ নিয়ামুল, শাহবাজপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য আজহার উদ্দিন, কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সোহরাফ ইসলাম, একই উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক দিপু মিয়া, কুটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাব্বির আহমেদ, উপজেলার কুটি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম হাসিব, বিনাউটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য সৈকত আলী, খাড়েরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য আসিফুল আলম, নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী মোঃ মমিন সরকার, আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী আমিন সুমন, আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক বাইজিদ খান, আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ সোহান, আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ফুরকান আহম্মেদ, আখাউড়া পৌর ছাত্রলীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি রবিন খান, কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য নাজমুল সরকার ও সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী রিয়াজ উদ্দিন খান। গত বুধবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদেরকে বহিস্কার করা হয়।
সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের নেতা জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর দিন রাতে তাদের নিজ নিজ ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসগুলো দেন। কিছুক্ষণ পরই তারা এসব পোস্ট ফেসবুক থেকে মুছে ফেলেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের ওই নেতারা আদর্শ বিরোধী কাজ করেছেন। তাই সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদেরকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। স্থায়ী বহিস্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তার মৃত্যুর পর অভিযুক্ত নেতাকর্মীরা ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কাজ করেছেন। তিনি ওই ১৭ নেতা-কর্মীর ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাস আমরা স্ক্রীন শট রেখেছি। অবশ্য পরে তারা এসব পোস্ট ফেসবুক থেকে মুছে ফেলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন। এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরসহ নয় উপজেলায় পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ৫২০ জন শিশুকে ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা ৫৮ হাজার ৩০০ এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা চার লাখ ৮৩ হাজার ২২০।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এই কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যখাতে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কোভিডের টিকাদানে বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করেছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন আরো বলেন, ভিটামিন “এ”প্লাস ক্যাপসুল শিশুদের রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। শিশুদের দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। সকল ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে। তিনি একটি সুস্থ শিশু ও সুস্থ জাতি গঠনে ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে গণমাধ্যম কর্মীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ডাঃ মাহমুদুল হাসান।
বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ভাদুঘর বাস টার্মিনালে বসছে কোরবানির পশুর হাট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার এই কোরবানির পশুর হাট পৌরসভা নিজেই পরিচালনা করবে।
১৩ জুন বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বসবে এই পশুর হাট।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অধীনস্থ একমাত্র কোরবানির পশুর হাটটি ভাদুঘর বাস টার্মিনালে অবস্থিত। প্রতিবছর ঈদের চারদিন আগে এই পশুর হাট বসে। এই হাটর থেকেই জেলা শহর এবং তার আশেপাশের লোকজন কোরবানির পশু ক্রয় করে থাকেন।
আজ ১২ জুন বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠ প্রস্তুত করতে কাজ করছেন পৌরসভার কর্মকর্তারা। পুরো মাঠে বাঁশের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে গরু -মহিষ ইচ্ছেমতো বাঁধা যায়। এদিকে কর্তৃপক্ষ পুরো মাঠের তদারকিতে কাজ করছে পৌরসভার কর্মচারিরা। তারা মাঠ পরিষ্কার করে মশকনিধন ওষুধ ছিটিয়ে দিচ্ছেন। ভেকু দিয়ে নিচু জায়গায় মাটি ফেলে তা ভরাট করে দিচ্ছেন। বাজারের চারপাশে পানীয় জল সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া নিরাপত্তার জন্য যা যা দরবার সবই করা হয়েছে। পুরো কাজই সরাসরি তদারকি করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদদূস।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্বাস্থ্যসেবা ও উচ্চশিক্ষা উন্নয়নের স্বার্থে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচি আজ ১৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের আয়োজন করা এই কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন রেডক্রিসেন্ট যুব ইউনিটের প্রধান ফাহিম মুনতাসীর। বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট এডহক কমিটির সদস্য শাহ আলম পালোয়ান, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সানিউর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তিষা রানী পুদ্দার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী কাজী রায়হানসহ জেলার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বক্তারা জানান, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় জেলার স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে তারা উচ্চশিক্ষা বিস্তারের স্বার্থে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বক্তারা সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন,যারা স্বাধীন বাংলাদেশকে বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের রাষ্ট্র না ভেবে সকল মানুষের রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী তাদের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ থেকে তাদের অনেক কিছু শিখবার আছে। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর রচিত গ্রন্থগুলো বড়ো সহায়ক হবে। তিনি
আজ ১৭ মার্চ রবিবার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতার ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানে বাঙালিদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। তাই তিনি তখনই বাঙালিদের জন্য নতুন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চিন্তা মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু জীবনভর আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে কখনো অন্যায়-অনিয়মের কাছে মাথানত করে আপোষ করেন নি। আপোষ করেননি বলেই সকল বাঙালিকে তিনি ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন,প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রচন্ড মানবিক। সমাজ ও মানুষের কথা ভাবতে ভাবতে তিনি নিজ সংসার-পরিবার নিয়ে ভাববার সময় পাননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত ভাষণ দেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। আলোচনা করেন জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি হাজি মো.হেলাল উদ্দিন,রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল,সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম।
অনুষ্ঠানে মার্চের সন্তান শিরোনামে দলীয় আবৃত্তি প্রযোজন পরিবেশন করে তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের মধ্যমদলের সদস্যরা।
এছাড়া জাতির পিতার জন্মদিন উদযাপনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ৭ টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৯ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।