অনলাইন ডেস্ক :
জিতলেই ইতিহাস। প্রথমবার বিশ্বকাপ শিরোপা ছোঁয়ার অনুভূতি। কারণ প্রথমবার ফিফা নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখে ইংল্যান্ড ও স্পেন। যে লড়াইয়ে ১-০ গোলে জিতে ইতিহাস গড়েছে স্পেন। স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ায় স্বপ্নের সোনালি শিরোপা উৎসব করেছে লা রোজিরা।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে স্পেনের ওলগা কারমনা গোল করেন। তার ওই গোলেই স্বপ্নের শিরোপা হাতে উঠেছে লা রোজিদের হাতে। বিশ্বকাপের সপ্তম ফুটবলার হিসেবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। এছাড়া পঞ্চম দেশ হিসেবে স্পেনের নারীরা ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাধিক চারবার নারীদের ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছে। জার্মানি দু’বার ঘরে তুলেছে বিশ্বকাপের শিরোপা। বিশ্বকাপের সোনালি শিরোপা হাতে উঠেছে নরওয়ে এবং জাপানের হাতেও।
শেষ বাঁশি বাজতেই ভূপাতিত হয়ে পড়েন ইংল্যান্ড ফুটবলাররা। উল্লাসে মাতেন স্পেনের মেয়েরা।
অন্যদিকে দু’বার দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে শিরোপা বঞ্চিত থাকতে হলো কিংবদন্তি সারিনা উইগম্যানের। ফুটবল কোচিংকে সহজ বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। দলকে টানা চার আসরের ফাইনালে তুলেছেন। নেদারল্যান্ডসকে ইউরো জেতালেও বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেও শিরোপা জেতাতে পারেননি তিনি।
ইংল্যান্ডের সঙ্গেও হলো তা-ই। লায়নেসদের দায়িত্ব নিয়ে ইউরো জিতিয়েছেন সাবেক এই ফিজিক্যাল ইডুকেশন টিচার। কিন্তু বিশ্বকাপের শিরোপা জেতাতে পারলেন না। অন্যদিকে স্পেনও দেখিয়ে দিয়েছে ফুটবল কৌশলে পিছিয়ে নেই তারাও। তাদের পজিশন প্লেয়িংয়ের কাছে খেই হারালে ম্যাচে ফেরা কঠিন।
স্পেন নারী দলের কোচ জর্জ ভিলদার দল বলের দখলেই শুধু এগিয়ে ছিল না আক্রমণেও তার দল ছিল ঢের এগিয়ে। গোল মুখে ইংল্যান্ডের আট শটের তুলনায় ১৩টি শট নিয়েছে লা রোজিরা। এর মধ্যে লায়নেসদের মাত্র তিনটি শট ছিল গোল হওয়ার মতো। স্পেন ভয় ধরানো শট নিয়েছে আটটি।
অনলাইন ডেস্ক :
পশ্চিম উগান্ডার একটি স্কুলে ইসলামিক স্টেট গ্রæপের হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে। এমপন্ডওয়ের লুবিরিহা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই হামলায় আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছে। খবর বিবিসি।
পুলিশ বলছে শুক্রবারের হামলাটি অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ) দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো (ডিআরসি) ভিত্তিক উগান্ডার একটি গ্রুপ।
পুলিশ জানায়, ডিআরসি-তে বিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের দিকে পালিয়ে যাওয়া দলটিকে সেনারা তাড়া করছে।
জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র ফ্রেড এনাগা আজ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, দএখন পর্যন্ত স্কুল থেকে ২৫ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বেভেরা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার রাতে হামলার সময় স্কুলের একটি ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং একটি খাবারের দোকান লুট করা হয়।
উগান্ডার সীমান্ত থেকে দুই কিলোমিটারেরও কম (১.২৫ মাইল) দূরে অবস্থিত স্কুলে হামলা। অনেক বছর পর উগান্ডার স্কুলে এই ধরনের হামলা হলো।
এর আগে ১৯৯৮ সালের জুনে , ডিআরসি সীমান্তের কাছে কিচওয়াম্বা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে হামলায় ৮০ জন ছাত্রকে তাদের ছাত্রাবাসে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। অপহরণ করা হয়েছিল শতাধিক শিক্ষার্থীকে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের করাচির একটি ফ্যাক্টরিতে বিনামূল্যের পণ্য নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। ওই ফ্যাক্টরির পণ্য বিতরণ কেন্দ্রে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নিহতদের সবাই নারী। এদের মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তারা জানিয়েছেন, পণ্য বিতরণ কেন্দ্রের পাশে থাকা একটি নালাতে পড়ে যান নারী ও শিশুসহ অসংখ্য মানুষ। তখন একে-অপরের ওপর চাপা পড়েন। এছাড়া একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, ওই নালার ওপর একটি বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে অনেকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
এ দুর্ঘটনার পর নিহতদের মরদেহ করাচির বালদিয়া শহরের আব্বাসী শাহীদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে তাদের কাছে নয়টি মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া আহত অবস্থায় আরো ছয়জনকে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে দু’টি মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে শহরের সরকারি হাসপাতালে। এতে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, যে ফ্যাক্টরিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে প্রতি বছর রমজান মাস উপলক্ষে বিনামূল্যের পণ্য ও জাকাত বিতরণ করা হয়। এর অংশ হিসেবে এবারো অসহায়দের ডাকা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, জাকাত ও পণ্য নিতে সেখানে অসংখ্য মানুষ জড়ো হন। ওই সময় ফ্যাক্টরির নালায় পড়ে যান অনেকে। নিহতদের বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে নালায় পড়ে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
করাচির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
সূত্র : খবর দ্য ডন
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের উত্তরাখণ্ডের নির্মাণাধীন টানেলের ভেতর আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পাইপ স্থাপনের যে কাজ চলছিল সেটি সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে উন্মুক্ত হয়েছে টানেলের মুখ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবারের লাইভ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শ্রমিকদের বের করে আনার কাজ শুরু হয়েছে আর বাইরে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স। গত ১২ নভেম্বর ভোরে টানেলের একটি অংশ ধসে পড়ে। এতে ভেতরে আটকা পড়েন ৪১ শ্রমিক। এরপর ১৭ দিন ধরে সেখানে আটকা তারা।
টানেলে মোটা পাইপ স্থাপনে ব্যবহার করা হয়েছে নিষিদ্ধ ‘র্যাট হোল’ মাইনিং। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আমেরিকান অগারস ড্রিলিং মেশিন দিয়ে ড্রিল করে সেখানে ৬০ মিটার লম্বা পাইপ স্থাপনের কাজ চলছিল। কিন্তু শুক্রবার সেই ড্রিলিং মেশিনটি ভেঙে যায়। এরপর হাত দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এই উদ্ধার অভিযানের জন্য ডাকা হয় সেনা সদস্যদের।
উদ্ধার অভিযানের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং চিকিৎসকরা এখন টানেলের ভেতরে ঢোকার জন্য প্রস্তুত আছেন। ভেতরে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন তারা। এরপরই পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের বের করে আনা হবে।
শ্রমিকদের বের করে আনা মাত্র প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে ৩০ কিলোমিটার দূরে ৪১ বেডের একটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিয়ে যেন অ্যাম্বুলেন্সগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারে সেজন্য সেখানে একটি গ্রিন করিডোর তৈরি করা হয়েছে।
ওই হাসপাতালে যে ৪১টি বেড তৈরি রাখা হয়েছে সেগুলোর সবগুলোতে অক্সিজেন সুবিধা রয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ঘটেছে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। মাঠে বসে ঘাস কাটার সময় হঠাৎ আকাশ থেকে একটি সাপ এসে পড়লো এক নারীর গায়ে।
সাপটি তার ডান হাত পেঁচিয়ে ধরেছে, অন্যদিকে আচমকা আক্রমণ করল একটি বাজপাখি। একদিকে সাপ, অন্যদিকে সেটি কেড়ে নিতে নখের আঁচড় দিয়েই চলেছে বাজপাখিটি। দুই প্রাণীর আক্রমণে গুরুতর আহত হন সেই নারী। যেতে হয় হাসপাতালেও। নিউইয়র্ক টাইমস।
জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর নাম পেগি জোনস। থাকেন টেক্সাসের সিলসবি শহরে। গত ২৫ জুলাই তার গায়ের ওপর সাপ ফেলে দিয়েছিল একটি বাজপাখি।
নিউইয়র্ক টাইমসকে পেগি বলেন, আমি সাপটিকে ছিটকে ফেলার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু সেটি আমার হাত পেঁচিয়ে ধরে। সাপটি আমার মুখে আঘাতের চেষ্টা করছিল। এটি বেশ কয়েকবার আমার চশমায় কামড়ও দেয়।
পেগি বলেন, বাজপাখি আমার হাত পেঁচিয়ে ধরা সাপটিকে ধরে এমনভাবে টানছিল যেন সে এটি নিয়ে যেতে চায়। সাপের সঙ্গে পাখিটি আমার হাতও উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।
অনেক টানাটানি করেও সাপটিকে কিছুতেই ওই নারীর হাত থেকে ছাড়াতে পারছিল না পাখিটি। শিকারকে ছাড়াতে গিয়ে পেগির হাতে বারবার ধারালো নখ দিয়ে আঘাত করছিল সে।
শেষপর্যন্ত সাপটিকে ওই নারীর হাত থেকে ছাড়ানো সম্ভব হয়। তবে এরপরে হাসপাতালে ছুটতে হয় তাকে।
পেগি জানান, তার হাতে কাটা, ঘষা, আঁচড়ের মতো গুরুতর ক্ষত ছিল। আর সাপের আক্রমণে তার চশমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ভুক্তভোগী জানান, ঘটনাটি খুবই ভয়ংকর ছিল। ওই সময় ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো মারাই যাবেন। এরপর থেকে এখনো ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছে তার।
অনলাইন ডেস্ক :
‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত সৌদির আরাফাত ময়দান। পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতায় আজ ১৫ জুন শনিবার সৌদি আরবের মক্কা নগরী থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লাখ লাখ হাজি।
আরবি বর্ষপঞ্জি অনুসারে ৯ জিলহজ। এটি পবিত্র ‘আরাফাত দিবস’ হিসেবেও পরিচিত। ঐতিহাসিক এই ময়দানে ইবাদত বন্দেগি আর দোয়া মোনাজাতে মশগুল হাজিরা। এদিন সকাল থেকে কণ্ঠে তাদের সমস্বরে উচ্চারিত হচ্ছে- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা, ওয়ান্নি মাতা লাকা ওয়াল্মুল্ক্, লা শারিকা লাকা’। এর বাংলা অর্থ ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার’।
সাদা দুই টুকরা কাপড়ে শরীর ঢেকে হজযাত্রীরা আজ শনিবার মিনায় ফজরের নামাজ আদায়ের পর থেকেই পবিত্র আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা করেন। এই আরাফাতের ময়দানেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই স্মৃতি বুকে ধারণ করে মুসলিমরা সমবেত হচ্ছেন এই পবিত্র প্রান্তরে।
গত ৮ জিলহজ শুক্রবার মক্কা থেকে পাঁচ থেকে আট কিলোমিটার পূর্বে মিনায় তাঁবুতে অবস্থান করেছেন হজযাত্রীরা। সেখানে ইবাদত বন্দেগিতে দিন ও রাত পার করেছেন তারা। সেখান থেকে আজ ভোরে তারা আল্লাহকে কাছে পাওয়ার এক তীব্র আকাক্সক্ষায় ছুটে এসেছেন আরাফাতের ময়দানে। মুহুর্মুহু উচ্চারণ করছেন- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা, ওয়ান্নি মাতা লাকা ওয়াল্মুল্ক্, লা শারিকা লাকা’। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।
আরব নিউজ অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বিশ্ব থেকে ২০ লাখের বেশি হজযাত্রী গত শুক্রবার মিনায় তারবিয়া দিবস কাটিয়েছেন। এদিন তারা হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরাফাত দিবসের প্রস্তুতি নেন। হজযাত্রীরা হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর দেখানো পথ অনুসরণ করে শনিবারের আরাফাত দিবসের জন্য তাদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দক্ষ ট্রাফিক ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা হজযাত্রীরা মসৃণভাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারছেন। হজযাত্রীদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে ৩৪ হাজারের বেশি চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট এবং প্রশাসনিক কর্মীরা কাজ করেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
১৮৯টি নিবেদিত হাসপাতাল, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং মোবাইল ক্লিনিকের অসুস্থ হাজিদের পরিবহণে ৭৩০টি অ্যাম্বুলেন্স এবং সাতটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৭ জুন থেকে এসব চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ১৮০ জন হজযাত্রীর হার্টে অস্ত্রোপচার এবং ৪৭০ জনেরও বেশি হাজির ডায়ালাইসিস করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি হজযাত্রী মন্ত্রণালয় প্রদত্ত বিভিন্ন চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করেছেন। তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায় মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পেতে ছাতা ব্যবহার এবং প্রচুর পানি পান করার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়া বলেছেন, ‘পবিত্র স্থানগুলো সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা হজ করতে আসা সবাইকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।’
মিউনিসিপ্যাল, রুরাল ও আবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, পবিত্র স্থানগুলোতে হাজিদের সহায়তায় তাদের ২২ হাজার কর্মী কাজ করছেন। এ ছাড়া ৮৮ হাজার ডাস্টবিন সরবরাহ করা হয়েছে।
আজ সারা দিন হাজিরা পবিত্র আরাফাতের ময়দানে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমত চেয়ে প্রার্থনা করবেন। এ ময়দানে অবস্থানকালে হজযাত্রীরা নামিরাহ মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করবেন। বিশ্বের লাখ লাখ হজযাত্রী সম্মিলিতভাবে আল্লাহর উপাসনায় নিজেদের নিমগ্ন রাখবেন। আজ সন্ধ্যায় হজযাত্রীরা মুজদালিফায় যাত্রা শুরু করবেন। এটি আরাফাত ও মিনার মধ্যে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। হজযাত্রীরা মুজদালিফায় রাত কাটাবেন এবং ছোট পাথর সংগ্রহ করবেন। মিনায় জামারাত স্তম্ভে শয়তানকে লক্ষ্য করে এসব পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা।
(১০ জিলহজ) সৌদি আরবের স্থানীয় সময় রবিবার ভোরে ফজরের নামাজ শেষ করে আবার মিনায় ফিরে আসবেন হজযাত্রীরা। সেখানে জামারাত আল-আকাবায় পাথর নিক্ষেপ করার পর পশু কোরবানি করবেন তারা। এরপর তাওয়াফ আল-ইফাদাহ বা ফরজ তাওয়াফ করার জন্য মসজিদুল হারামে যাবেন। এই তাওয়াফ অবশ্য ১০ থেকে ১২ জিলহজের মধ্যে যেকোনো সময় করতে পারবেন তারা। এ সময় তারা কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সাঈ করবেন এবং মাথা মুণ্ডন করবেন। একবার এই পবিত্র কাজটি সম্পন্ন করার পর হজযাত্রীদের আর ইহরামের নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ থাকতে হবে না। তারা সব হালাল (অনুমতিযোগ্য) কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হতে পারবেন।
হজের অবশিষ্ট আচারগুলো সম্পন্ন করতে হজযাত্রীদের অবশ্যই আবার মিনায় ফিরে যেতে হবে। তাশরিকের দিনগুলোতে ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ হজযাত্রীদের মিনায় আরও দুটি কাজ করতে হবে। ১১ জিলহজ বিকেলে হজযাত্রীরা ২১টি ছোট পাথর সংগ্রহ করে তিন জামারাতে নিক্ষেপ করবেন। পাথর নিক্ষেপ শুরু হয় জামারাত আল-উলা দিয়ে, তারপর জামারাত আল-উস্তা এবং পরে জামারাত আল-আকাবা দিয়ে শেষ হয়।
মক্কা থেকে যাত্রা করার আগে হজযাত্রীদের তাওয়াফ আল-বিদা করতে হবে, যা বিদায়ী তাওয়াফ নামেও পরিচিত। এটি হজ সম্পন্ন করায় অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে এবং সব হজযাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক।
সৌদি কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০২৩ সালে ১৮ লাখের বেশি লোক হজ করতে দেশটিতে জড়ো হয়েছিলেন। করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে ২৪ লাখের বেশি মুসলমান হজে অংশ নেন। এ বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ পালন করছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।