চলারপথে রিপোর্ট :
প্রায় এক কেজি স্বর্ণসহ ভারতীয় এক নাগরিককে আটক করেছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। আজ ২১ আগস্ট সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা বিমানের ওই যাত্রীকে তল্লাশি করে এসব স্বর্ণ জব্দ করা হয়। আটক ভারতের মহারাষ্ট্রের নাসিক এলাকার বাসিন্দা তুষার নাগিন দাসকে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের হেফাজতে রাখা হয়েছে। ওই বিমানে তার ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল।
বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কাস্টমসের উপকমিশনার আহসান উল্লাহ জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-১৫২ সকাল সাড়ে ৭টায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানটি শারজাহ থেকে রওনা দিয়ে প্রথমে চট্টগ্রামে অবতরণ করে; পরে ঢাকায় যায়। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল তুষার দাসের। তার আগেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয়। তার কাছ থেকে ৪২১ গ্রাম স্বর্ণালংকার এবং ব্যাগে রাখা একটি গেঞ্জিতে লেগে থাকা আরও ৫৬০ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়। তুষারের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় মামলা করা হবে। তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন পতেঙ্গা থানার ওসি আফতাব হোসেন।
বার নাকি স্বর্ণালংকার: তবে স্বর্ণের পরিমাণ নিয়ে ভিন্ন তথ্য দিয়েছে বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। বিভাগটির পক্ষ থেকে ‘সালেম’ নামে এক কর্মকর্তা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে জানান, ছয়টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ভারতীয় নাগরিক তুষারের পাসপোর্টের ছবিও গ্রুপে দেন। তবে পরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
সালেম পেস্ট আকারে গেঞ্জিতে স্বর্ণ রাখা বা স্বর্ণালংকার উদ্ধার নিয়ে কিছু বলেননি। তিনি জানান, সকালে শারজাহ থেকে আসা জি-নাইন ৫২৬ ফ্লাইটের এক যাত্রী কিছু স্বর্ণের বার ওয়াশরুমে হাতবদল করবে বলে তথ্য আসে শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ওয়াশরুমের ডাস্টবিন থেকে ছয়টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
তবে এ তথ্য অস্বীকার করে কাস্টমসের উপকমিশনার আহসান উল্লাহ বলেন, যৌথ অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ওই নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ৯০০ গ্রামের বেশি পরিমাণ স্বর্ণ জব্দ করা হয়। সেখানে কোনো বার ছিল না। বার পাওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না।
ডেস্ক রিপোর্ট :
দেশের উপকূলে আঘাত করা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে দেশের ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান। এছাড়া প্রায় দেড় লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
আজ ২৭ মে সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ১৯ জেলায় ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৫ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী বা অন্য কোনো সময়ে নয়ছয় হবার সুযোগ নেই। তারপরও খতিয়ে দেখা হবে, যেন ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন অনুদানের টাকা পান। সব মন্ত্রণালয় যার যার জায়গা থেকে কাজ করছে। এখন দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি চিত্র তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোট ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেমালে। জেলাগুলো হলো: খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং যশোর।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭ এবং ইউনিয়নের ও পৌরসভার সংখ্যা ৯১৪। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি এবং আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে উপকূলীয় এলাকাসমূহে ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ও স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছে। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়াসহ আশ্রিত পশুর সংখ্যা ৫২ হাজার ১৪৬টি। দুর্গত লোকজনকে চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ১ হাজার ৪৭১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে চালু আছে ১ হাজার ৪০০টি।
দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ কবলিত মানুষের সাহায্যে আমরা এরইমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে পনেরোটি জেলায় জি আর (ক্যাশ) তিন কোটি ৮৫ লাখ নগদ টাকা, ৫ হাজার ৫শত মেট্রিক টন চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ, গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২৮ মে মঙ্গলবারের পর থেকে ধীরে ধীরে সিলেট হয়ে বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে যাবে রেমাল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিদর্শন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের ভালুকায় দুটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে অর্থদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে পৌরসভার প্রতিশ্রুতি কোচিং সেন্টার ও প্রতিফলন কোচিং সেন্টার নামে দুটি প্রতিষ্ঠানে দশ হাজার টাকা করে মোট বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোমাইয়া আক্তার ওই অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোমাইয়া আক্তার বলেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং সেন্টারে পাঠদান করায় দণ্ডবিধি ১৮৬০ এ দুইটি কোচিং সেন্টার -কে দশ হাজার টাকা করে মোট বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান চলমান থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আজ ২ জুন বরিবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে। ঈদ যাত্রায় ট্রেনের টিকিট কোনো কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না; সব টিকিট শুধু অনলাইনে পাওয়া যাবে। সকাল ৮টায় টিকিট উন্মুক্ত হবে। সকালে বিক্রি করা হবে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট।
আর দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও ঈদের আগে বিশেষ ব্যবস্থায় পাঁচ দিনের ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদ যাত্রায় সারা দেশে বিভিন্ন গন্তব্যে ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। কিন্তু এসব ট্রেনের টিকিট অগ্রিম বিক্রি করা হবে না।
এমনকি দাঁড়িয়ে (স্ট্যান্ডিং) ভ্রমণ করার টিকিট বিক্রি হবে মোট আসনের ২৫ শতাংশ। স্ট্যান্ডিং টিকিট ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে স্টেশনের কাউন্টারে বিক্রি শুরু হবে।
ঈদকেন্দ্রিক রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে, এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসনসংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০। ঈদের আগে আন্ত:নগর ট্রেনের ১২ জুনের টিকিট বিক্রি হবে আজ ২ জুন।
আর ১৩ জুনের টিকিট আগামীকাল ৩ জুন, ১৪ জুনের টিকিট ৪ জুন, ১৫ জুনের টিকিট ৫ জুন, ১৬ জুনের টিকিট ৬ জুন বিক্রি করা হবে।
১জুন শনিবার দুপুরে রাজবাড়ীতে এক অনুষ্ঠান শেষে রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঈদুল আজহায় ট্রেনে চলাচলকারী মানুষের কোনো ভোগান্তি হবে না। মানুষের দোয়া ও আপনাদের সহযোগিতায় এবারের ঈদ যাত্রায় আমরা সফল হব। চেষ্টা করছি ভোগান্তি ছাড়া এবারের ঈদেও মানুষ ঘরে ফিরবে।’
এবারের ঈদ যাত্রায় বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে সব মিলিয়ে ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর পথে (রুট) চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ট্রেন দুই জোড়া, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ পথে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল এক জোড়া, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ পথে ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল এক জোড়া চলবে।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম পথে কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল এক জোড়া, ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ পথে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল দুই জোড়া, জয়দেবপুর-পার্বতীপুর পথে পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল এক জোড়া ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ছাড়া পার্বতীপুর-দিনাজপুর পথে এবং ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর পথে গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল ট্রেন দুই জোড়া চলবে। চাঁদপুর, দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল ট্রেনগুলো ১২ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ও ঈদের পরদিন থেকে সাত দিন চলাচল করবে। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ও গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল শুধু ঈদের দিন চলবে। পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল ১৩ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত তিন দিন এবং ঈদের পরে ২১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত তিন দিন চলবে।
চলারপথে ডেস্ক :
ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীতে মার্চ-এপ্রিলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাঙ্গাস মাছের পোনা নিধনের অপরাধে গভীর রাতের যৌথ অভিযানে ৩১ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এসময় ৫ টি নৌকা জব্দ করা হয়। আটককৃতদের বাড়ি মনপুরা উপজেলার রামনেওয়াজ হাজিরহাট এলাকায়।
আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মরিয়ম বেগম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৮ জনকে জরিমানা ও ৩ শিশুর অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য অফিসার আমির হোসেন জানান, মেঘনায় মার্চ -এপ্রিল দুই মাসের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ র নেতৃত্বে মৎস্য অধিদপ্তর, পুলিশ ও কোস্ট গার্ড যৌথ অভিযান চালিয়ে তজুমদ্দিন ও মনপুরা মেঘনা মোহনা থেকে ৩১জন জেলেকে আটক করা হয়। এসময় পাঙ্গাস মাছের পোনা নিধনের কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি নৌকা ও চারটি ছাঁই (ফাঁদ) জব্দ করা হয়।
আমির হোসেন আরো জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৮ জেলেকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ৮৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৩ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এপর্যন্ত সর্বমোট ১৫টি নৌকা জব্দ করে হেফাজতে রাখা হয়েছে।