চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ঘুস না দেওয়ায় আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাছির আলমের প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৩ আগস্ট বুধবার নবীনগর উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের কালঘরা বাজারে লহরি-কালঘরা সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, জেলে পাঠানোর ভয় দেখিয়ে রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এসআই বাছির আলম ২০ হাজার টাকা ঘুস দাবি করেন। এনিয়ে আসামিপক্ষের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যানের সামনে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। পরে আরও টাকা দাবি করলে সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় আদালতে তদন্ত বিহীন প্রতিবেদন দাখিল করে।
মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দা হবি মিয়া, রুবেল মিয়া, খলিল মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম খান, ফয়সাল চৌধুরী,শাহীন আহমেদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির জানান, আমার সামনে কোনো ধরনের ঘুষ লেনদেন হয়নি।
বিষয়টি অস্বীকার করে নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাছির আলম বলেন, অভিযোগ নেওয়ার দায়িত্ব ওসি সাহেবের। আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছি।
গত ৩০ জুলাই কালঘড়া হাফিজ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক সুমন আহমেদের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে স্থানীয় ফয়সাল চৌধুরীসহ তিন শতাধিক অভিভাবক-শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে ফয়সাল চৌধুরীসহ কয়েকজন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষক সুমনের প্রত্যাহারের দাবিতে লিখিত অভিযোগ করতে যান। সেখানে শিক্ষক সুমন আহমেদ অভিযোগ দিতে যাওয়া ফয়সাল চৌধুরীসহ সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এর জের ধরে ফয়সাল চৌধুরী ও শিক্ষক সুমন আহমেদ নবীনগর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন। অভিযোগগুলোর তদন্তের দায়িত্ব পান নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাছির আলম। অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) বাছির আলম কোনো ধরনের তদন্ত না করে ২০ আগস্ট সুমন আহমেদের অভিযোগটির প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করেন। কিন্তু তিনি ফয়সাল চৌধুরীর অভিযোগটির কোনো তদন্তই করেননি। তাই পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ফয়সাল চৌধুরী। এতে সুষ্ঠু তদন্ত করে এস আই বাছির আলমকে প্রত্যাহারের দাবি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গেলো বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়ায় নিহত পরিবারের একমাত্র ছেলের স্মৃতিকে পুরো জাতির সামনে তুলে ধরতে নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে নির্মাণ করা হয় শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ।
আজ ৫ এপ্রিল শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর সিএনজি স্টেশনে শহীদ সুজয় স্মৃতি স্তম্ভ উদ্বোধন করেন ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নজু।
বিটঘর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শহীদ স্মৃতি বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরীর সভাপতিত্বে শহীদ সুজয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সানোয়ারা সুলতানা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্মৃতি স্তম্ভ নির্মানের পৃষ্ঠপোষক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নজু, ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট মেহেদী হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির মূখ্য সংগঠন আতাউল্লাহ, অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম তপু, সাধারণ সম্পাদক কাজী রেজাউর রহমান তানভীর, উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি মমিনুল হক ভূঁইয়া,আন্দোলনে আহত মোঃ জামাল মিয়া, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান সুজন, শাহজাহান মাষ্টার প্রমুখ।
বক্তারা, জুলাই আগস্টের স্পিড হৃদয়ে ধারণ করে সামনের বাংলাদেশ বিনির্মাণে দলমত নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। পরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরের জিনদপুর ইউনিয়নের চারপাড়া এলাকায় গতকাল ২৪ জুলাই বুধবার রাতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে সাতটায় পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার টংকি ইউনিয়নের বাইরা গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে ছাব্বির (২০) মোটরসাইকেল যোগাযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর আসার পথিমধ্যে চারপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বিপরীত থেকে আসা রাব্বির মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইটি মোটরসাইকেলে থাকা ৩জন নিহত হয়েছে।
নিহতরা হচ্ছে ছাব্বির (২০), জিনদপুর গ্রামের হাফেজ মিয়ার ছেলে রাব্বি (২১) ও জিনদপুর ইউনিয়নের মালাই গ্রামের কাদির মেম্বারের ছেলে পিয়াস। ঘটনাস্থলে ছাব্বির ও কুমিল্লা নেওয়ার পথে রাব্বি ও পিয়াস মারা যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন মারা গেছে।ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রিপন (৪২)কে আজ ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে নবীনগর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ফেইসবুকে ছেলের জন্মদিন শুভেচ্ছা জানানোর কয়েক ঘন্টা পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রিপন পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামের মরহুম মোতালেব মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় বিস্ফোরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। দুপুরে নবীনগর সদরের লঞ্চঘাট এলাকার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ফেইসবুকে লিখেছেন আজ আমার ছেলের শুভ জন্মদিন, আরাবীর জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রিপনকে দুপুরে উপজেলা সদরের লঞ্চঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যুবলীগ নেতা রিপনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোঃ মূসা (৪৮) নামে এক কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বিদ্যাকুট গ্রামে এঘটনা ঘটে। মৃত মূসা বিদ্যাকুট গ্রামের কাসেম মিয়ার ছেলে। তিনি বিদ্যাকুট অমর বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সদস্য ছিলেন। নিহত মূসা মিয়ার ভাতিজা রায়হান আহমেদ বলেন, মূসা কাকা কনস্ট্রাকশন কাজের ঠিকাদার ছিলেন। বিদ্যাকুট পূর্বপাড়া খা বাড়ির একটি নতুন বিল্ডিয়ের কাজের সাইট দেখতে গিয়েছিল। ছাদের মধ্যে থাকা একটি বাঁকা রড সোজা করতে গেলে উপরে থাকা বিদ্যুতের তারে রড লাগলে তিনি বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ শাকিল আহমেদ সজিব বলেন, হাসপাতালে আনার পর ইসিজি করেছি। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
যৌথ বাহিনীর অবৈধ অস্ত্র ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী উদ্ধার অভিযানে নবীনগরে ২ জন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় নুরজাহানপুর পশ্চিমপাড়ায় আজ ১২ অক্টোবর শনিবার ভোরে আনুমানিক ৪টায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এতে সন্ত্রাসী ও অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অবস্থান সম্পর্কে প্রাপ্ত গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে নবীনগর উপজেলায় নুরজাহানপুর পশ্চিমপাড়ায় ২ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. মনেক মিয়া (পিতা মৃত সৃদন মিয়া) ও মো. সুমন মিয়া (পিতা কালা মিয়া)। এই ২ জন সন্ত্রাসীকে স্থানীয় নিজ বাড়ি হতে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১ টি চাকু, ১ টি নম্বর প্লেট বিহীন সুজকি মোটর সাইকেল, ৩ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, ১ টি বাটন মোবাইল ও নগদ ৪০,০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি এবং উদ্ধারকৃত দ্রব্যসামগ্রী নবীনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।