চলারপথে রিপোর্ট :
কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন, টেকসই উন্নয়ন ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে দেয়ার অংশ হিসেবে “স্কিলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগাম (ঝঊওচ) এর সোশ্যাল মার্কেটিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ ২৩ আগস্ট বুধবার দুপুরে “সেন্সিটাইজেশন ওয়ার্কশপ ফর জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং” বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এসইআইপি প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ফাতেমা রহিম ভীনা।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এসইআইপির সহকারি নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) আছমা আরা বেগম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোশ্যাল মার্কেটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বর্ণমালা কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ পিপুল।
অবহিকরণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন এসইআইপির সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মোঃ বদরুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. কাউছার এমরান, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালক মোঃ শাহআলম, এনজিও কর্মকর্তা এস.এম. শাহীন প্রমুখ।
অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফাতেমা রহিম ভীনা বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি নারী। বিশাল সংখ্যক নারী সমাজকে উপার্জনমূলক কাজের বাইরে রেখে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা কখনোই সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, এসইআইপি’র দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে নারীদের জন্য কমপক্ষে ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত আছে। এসব প্রশিক্ষণে নারীদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা গেলে তাদের আয়বর্ধনমূলক কাজে নিয়োজিত করার সুযোগ তৈরি হয়। তিনি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে নারীদের অংশগ্রহণ কে উৎসাহিত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের চমক দেখাতে পেরেছে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানব সম্পদে গড়ে তুলতে হবে। এসইআইপি প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করছে। এসইআইপি অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এসইআইপির প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারী সমাজে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, সদর উপজেলার চিনাইরে টিটিসিতে এসইআইপি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাল অতিক্রম করছে। দেশে বর্তমানে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী জনসংখ্যা ৬৬ শতাংশ। বিশাল এই কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তর করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের কাতারে স্থান করে দেয়া সহজ হবে। দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের আওতায় এনে সম্মানজনক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতেই ঝঊওচ কাজ করছে।
অবহিত করণ কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, নারী সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষক, এনজিও কর্মী, ধর্মীয় নেতা এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ মোট ৪০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২২ এপ্রিল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর সম্মেলন কক্ষে ত্রৈমাসিক নিষ্পত্তি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান।
সভায় অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ অত্র ম্যাজিস্ট্রেসির সকল পর্যায়ের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এবং ১১ টি বিচার আদালতের বেঞ্চ সহকারী, সকল আদালতের স্টেনো টাইপিস্ট, নকল শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ও আদালত পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
সভা সঞ্চালনা করেন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নেজারত শাখার ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট মো: শাখাওয়াত হোসেন।
সভার সভাপতি বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ত্রৈমাসিক নিষ্পত্তি রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করেন এবং সকল আদালতের রেজিস্ট্রার পরিদর্শণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান অধিক পরিমাণে নিষ্পত্তিতে জোড় প্রদান করেন এবং বিচার প্রার্থী জনগনের বিচার দ্রুত নিষ্পত্তিতে করনীয় সম্পর্কে সবাইকে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন। একই সাথে অধিক পরিমাণ সাক্ষী আনায়ন এবং মাননীয় প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য সবাইকে আহবান জানান। সভা শেষে ত্রৈমাসিক সর্বোচ্চ নিষ্পত্তিকারী আদালত হিসাবে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্বাচিত হয় এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান মহোদয়কে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন। একই সাথে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালত নির্বাচিত হয় এবং বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়াকে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন এবং একই সাথে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ১ম আদালত এর বেঞ্চ সহকারী ও স্টেনো টাইপিস্টদের হাতেও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেছেন, বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের সাথে রয়েছে পুলিশের নাড়ির সর্ম্পক। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট একযোগে কাজ করতে হবে। পুলিশ বিভাগসহ সকল এজেন্সির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
আজ ১১ জুন মঙ্গলবার বিকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি সকলকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হলে আন্তরিক হতে হবে। তিনি বলেন, ন্যায়ের শাসন ছাড়া একটা দেশ অগ্রসর হতে পারে না। দেশের উন্নয়নের জন্য ন্যায়ের শাসনের বিকল্প নেই।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপীর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (সিআইডির) আবুল খায়ের, পুলিশ সুপার (পিবিআই) শচীন চাক্মা, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল মোঃ সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ বিল্লাল হোসেন পিপিএম, জজ কোর্ট পিপি এডঃ মাহাবুবুল আলম খোকন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম কামরুজ্জামান মামুন, জেল সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম, জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরএমও ডাঃ মোঃ শরীফুল হক, কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম।
এ সময় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান রকি, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্যসহ জেলার প্রতি থানার অফিসার ইনচার্জ ও তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুল ইসলাম খোকন (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
৩ জুন শনিবার রাতে উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কুড্ডা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত খাইরুল ইসলাম খোকন কুড্ডা গ্রামের কুড়াবাড়ির আবু সাইদ মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার বাসুদেব গ্রামের মলাই মিয়ার কাছে একই এলাকার শাহ আলম ১ হাজার ৯০০ টাকা পেতেন। এর মধ্যে মলাই মিয়া কিছু দিন আগে শাহ আলমকে ৫০০ টাকা ফেরত দেন। বাকি ১ হাজার ৪০০ টাকা নিয়ে শাহ আলমের সঙ্গে মলাই মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য শনিবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কুড্ডা গ্রামের মেহের আলী শা মাজারের সামনে সালিশ বসে। সালিশে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মলাই মিয়া গ্রুপের লোকজন শাহ আলম গ্রুপের লোকদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে খায়রুল ইসলাম খোকনের গলায় বল্লম (দেশীয় অস্ত্র) বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় পার্শ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করেছে। পরে রাত ১২টায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ খেজুর ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। খেজুরের প্যাকেটে এর জাত ও মূল্য না থাকায় ওই ৪ ব্যবসায়ীকে মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১১ মার্চ মঙ্গলবার এ অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান সূত্রে জানা যায়, খেজুরের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ মঙ্গলবার পৌর এলাকার কোর্ট রোড, মসজিদ রোড ও থানা রোডের দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় কয়েকটি দোকানে জাত ও দাম না লেখা এবং ক্রয় রশিদ না থাকার বিষয় পরিলক্ষিত হয়। অভিযানের সময় খোলা খেজুর ডেকে বিক্রি করার বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য ব্যবসায়ীদেরকে বলা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি ভবনের চারতলা থেকে দেশীয় তৈরি রিভলবার ও দুই রাউন্ড গুলিসহ মো. ইউসুফ (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
১৭ মে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা শহরের কালাইশ্রীপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ইউসুফ ওই ভবনের মালিক মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গোপন সূত্র্যের তথ্যের ভিত্তিতে শহরের কালাইশ্রীপাড়া এলাকায় মৃত শহীদের বহুতল ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ভবনের চতুর্থ তলায় ইউসুফের ফ্ল্যাটে তল্লাশি করে একটি দেশীয় তৈরি রিভলবার ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ইউসুফকে আটক করা হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ইউসুফ জানায়, উদ্ধার অস্ত্র ও গুলি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রসফায়ারে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী উজ্জ্বলের। সে মারা যাওয়ার আগে এগুলো ইউসুফের কাছে রেখে গিয়েছিল বলে দাবি করে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।