চলারপথে রিপোর্ট :
পাবনার ঈশ্বরদীতে হাসপাতালে আসার পথে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় রোজিনা আক্তার রোজী (৩৭) নামে এক নার্স নিহত হয়েছেন। তিনি সাঁড়া ইউনিয়নের আড়ামবাড়িয়া গ্রামের আফজাল মালিথার মেয়ে ও শহরের একটি হাসপাতালের সিনিয়র নার্স। এ সময় দুর্ঘটনায় সোলাইমান হোসেন নামে হাসপাতালের এক স্টাফ গুরুতর আহত হয়। তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় বিমানবন্দর সড়কের ঈশ্বরদী গালর্স স্কুল এ্যান্ড কলেজ মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের ম্যানেজার সুমন আলী বলেন, হাসপাতালের স্টাফ সোলাইমান হোসেনের স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠায় নার্স রোজিনাকে তার আরামবাড়িয়া বাড়িতে মোটরসাইকেলে আনতে যায়। আসার পথে দ্রুতগামী মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গালর্স স্কুল মোড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই রোজিনা মারা যায় ও সোলাইমান আহত হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আসমা খানম জানান, রোজিনা আক্তারকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। সোলাইমান হোসেনকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। কারো কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের দাফন কাফনের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামীকাল ১৭ ডিসেম্বর রবিবার। এদিন অফিস চলাকালীন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে ইচ্ছুকরা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি। বৈধ প্রার্থী ছিল এক হাজার ৯৮৫ জন।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, ৩৫টি আপিল দায়ের হয়েছিল রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে। আর বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছিল ৫২৫টি। মোট ৫৬০টি আপিল দায়ের হয়েছিল।
গত ছয়দিনে (১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর) আপিল শুনানিতে বাতিল আপিলের বিরুদ্ধে ২৮০টি আবেদন কমিশন মঞ্জুর করেছেন। অর্থাৎ ২৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর ৩৫টি গ্রহণ আপিল আবেদনের মধ্যে পাঁচটি মঞ্জুর বা পাঁচজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। দুটি আপিল আবেদন খারিজ করা হয়েছে, ২৮টি নামঞ্জুর করা হয়েছে। এই হিসেবে ইসিতে আপিল শুনানি শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৬০জন। তবে এটিই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে হাইকোর্টে দুটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। সেখানে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। এতে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে।
তফসিল অনুযায়ী, আগামীকাল ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। এদিন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেও মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমবে। ১৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক নিয়েই প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের ১৪ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনেছে দলটি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিভিন্ন সময়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব বহিষ্কারের কথা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। সে কারণে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ে থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত ১৪ নেতার মধ্যে আটজনই কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ছিলেন। তারা হলেন : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, তাঁতীবিষয়ক সহ-সম্পাদক রাবেয়া ভুঁইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু, খন্দকার আহসান হাবিব ও একে এম ফখরুল ইসলাম।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৬ জন হলেন : শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকার ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু ও চাপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মতিন।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি ভোট বর্জন করে আন্দোলনে আছে। তবে সরকার তাদের দাবি পাত্তা দেয়নি, ফলে ২০১৪ সালের মতোই বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের ট্রেন এগিয়ে চলছে।
এর মধ্যে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের দিন বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের পর দিন থেকে চলছে টানা হরতাল ও অবরোধ। অক্টোবরের সেই দিন থেকে সমান্তরালে চলছে গ্রেফতার অভিযানও। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেদিন ট্রাম্প আর বাইডেন ডায়ালগ করবে, সেদিন আমিও ডায়ালগ করব।
আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত শর্তহীনভাবে সংলাপের আশাপ্রকাশ করেছেন। আপনি এটাকে কীভাবে দেখছেন?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার সঙ্গে সংলাপ? বিরোধী দলটা কে? বিরোধী দল হচ্ছে, যাদের সংসদে আসন আছে। এর বাইরেরগুলো আমেরিকায়ও বিরোধী দল হিসেবে দেখে না। ট্রাম্পকে তারা কী বলবে? তারা তো তাদের বিরোধী দল। যদিও আমরা তাদের পদ্ধতিতে না।
এ সময় ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, এই যে মানুষগুলো হত্যা করা হলো, তখন তাকে (পিটার হাস) প্রশ্ন করা হলো না কেন? যখন একটা উপনির্বাচনে হিরো আলমকে কেউ মেরেছে, তখন তারা বিচার দাবি করেছে। এখন যখন পুলিশ হত্যা করল, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করল তখন বিচার দাবি করল না কেন?
তিনি বলেন, যেভাবে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করেছে, এরপর খুনিদের সঙ্গে কিসের বৈঠক? কিসের আলোচনা? যারা এভাবে মানুষকে হত্যা করতে পারে, যারা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ধ্বংস করতে পারে, তাদের সঙ্গে ডায়ালগ? সে বসে ডিনার খাক, সে বসে ডায়ালগ করুক। এটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। খুনিদের সঙ্গে ডায়ালগ তার দেশের মানুষও চাইবে না। বিএনপি–জামায়াতকে মানুষ ঘৃণা করে। তাদের দুর্নীতির জন্য কানাডা থেকে লোক এসে সাক্ষ্য দিচ্ছে।
আগামী নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক কোনো চাপ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন কোনো চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে, এটা মাথায় রাখতে হবে। কে কি চাপ দিল, না দিল এটাতে কিছু আসে যায় না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, মাঝখানে কিছুদিন বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি করছিল এবং আপনারা নিশ্চয়ই বিশেষভাবে লক্ষ্য করেছিলেন আমাদের সরকার কিছু তাদের কোনো বাধা দেয়নি। তাদের ওপর একটা শর্ত ছিল, তারা অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুর করবে না।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) যখন সুষ্ঠুভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল তাতে কিন্তু মানুষের একটু আস্থা-বিশ্বাসও তারা ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৮ তারিখে বিএনপি যেসব ঘটনা ঘটাল, বিশেষ করে যেভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে, মাটিতে ফেলে যেভাবে কোপাল, সাংবাদিকদের যেভাবে পেটাল, এ ঘটনার পর জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির আর কিছুই জুটবে না।
সরকারপ্রধান বলেন, শুধু তাই না, হাসপাতালে ঢুকেও তারা হামলা করেছে। সেখানেও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনে হাসপাতালে হামলা করছে, নারী-শিশুদের হত্যা করছে, এর সঙ্গে তো বিএনপির হামলার কোনো তফাৎ দেখি না।
গত ২৫-২৬ অক্টোবর ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইনের আমন্ত্রণে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে’ অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। ২৭ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি।
সফরকালে ২৫ অক্টোবর সকালে ইসির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে শেখ হাসিনা ইসি প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বর্তমান সরকার শুধু দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের কারও সঙ্গে কোনো ধরনের যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছে নেই। আমরা প্রকৃতপক্ষে কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাই না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুধু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।
আজ ১২ জুলাই বুধবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিএনএস শের-ই-বাংলা’র নবনির্মিত ঘাঁটি, ৪১টি পিসিএস-এর চারটি জাহাজ ও চারটি এলসিইউর কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে তারা আন্তর্জাতিক স্তরের যোগ্যতা ও মান অর্জনের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে উঠেছে। আমরা সেই উদ্দেশ্যে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি।
তিনি বলেন, হেলিকপ্টার কেনার পাশাপাশি সাগরে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। শুরুতেই বিএনএস শেরে বাংলা, ৪১ পিসিএসের চারটি জাহাজ ও চারটি এলসিইউ-এর ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বিএনএস শের-ই-বাংলার বেস কমান্ডার এবং চারটি জাহাজের কমান্ডার এবং ৪১ পিসিএসের চারটি এলসিইউ-এর কাছে কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিএনএস শের-ই-বাংলা ঘাঁটি এবং ৪১ পিসিএসের চারটি জাহাজ ও চারটি এলসিইউ-এর নেমপ্লেটও উন্মোচন করেন।
এই প্রথমবারের মতো নৌ-ঐতিহ্য অনুযায়ী বিএনএস শের-ই-বাংলা ঘাঁটি, চারটি জাহাজ এবং চারটি এলসিইউতে জাতীয় পতাকা উড়ানো হয়। যা নৌবাহিনীতে ‘রঙ’ নামে পরিচিত।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কাজের অজুহাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন ও সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না বলে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে।
কমিশন জানায়, তফশিল হয়ে যাওয়ায় মাঠ কর্মকর্তাদের অনেকেই নানা অজুহাতে নতুন করে নিবন্ধন, এনআইডি সংশোধন কার্যক্রমে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্র এখন অপরিহার্য, তাই এই সেবা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। এমনকি দুর্ভোগেও ফেলা যাবে না। তাই কমিশন এমন নির্দেশ দিয়েছে।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী নির্দেশনাটি সব আঞ্চলিক কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশনের গত ৫ অক্টোবরের ২৪তম সভায় জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন নিবন্ধনসহ সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে সংশোধিত তথ্য এবং নতুন নিবন্ধিত ব্যক্তি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রেরিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজন হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা পাঠানো হবে। কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার হিসেবে ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দিতে হলে মুদ্রিত ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে। এ জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বাছাইসহ সব কার্যক্রম সর্বশেষ প্রেরিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বা সিডি বা মুদ্রিত তালিকা অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে।
নির্দেশনায় আরো উল্লেখ করা হয়, ১৪ সেপ্টেম্বরেরর পর নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে কারও নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ও ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ভোটার স্থানান্তর করা হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হবে এবং সেক্ষেত্রে সম্পূরক ভোটার তালিকার ভিত্তিতেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।