চলারপথে রিপোর্ট :
পুকুরে ডুবে নূর মোহাম্মদ খাঁন নামে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাপুইর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত নূর মোহাম্মদ খান চাপুইর গ্রামের মোঃ কামাল খানের ছেলে।
মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির উঠানে অন্য শিশুদের সাথে খেলা করছিলো নূর মোহাম্মদ খান। এক পর্যায়ে সবার অগোচরে সে বাড়ির পাশের পুকুরে পানিতে পড়ে যায়।
পরে স্বজনেরা শিশুটিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হারপাওয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে এ ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে আজ ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ, জেলা আইসিটি অফিসার (প্রোগ্রামার) মোঃ সামছু উদ্দিন।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেও নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে। বক্তারা, প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞানকে সঠিক উপায়ে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিক্ষাতে দক্ষ কর্মী ও উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে আহ্বান জানান।
এই প্রকল্পের আওতায় জেলা সদর, কসবা এবং নবীনগর উপজেলার ১শ জন নারী উদ্যোক্তকে ই-কমার্স ও কল সেন্টার এজেন্ট বিষয়ক ৫মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে এই ল্যাপটপ দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ১৯৭৫ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নির্মম হত্যাকান্ড পরবর্তী খুনী মুস্তাক, জিয়া-এরশাদের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সুবিধাবাদি নেতারা আর কোন দিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টি করতে পারবেনা। আসন্ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে জেলা ও সকল উপজেলা কমান্ডের নির্বাচনে ‘৭১ এর সকল জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ প্যানেলে নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে।
তিনি আজ ৫ এপ্রিল প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলীর শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই অভিমত ব্যাক্ত করেন। তিনি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধপরবর্তী সমাজ ও জাতি গঠনে মরহুম লিয়াকত আলীর অনূন্য ভূমিকা ও অবদানের কথা উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরব উজ্জল ভূমিকার স্মৃতি সংরক্ষণে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলীর স্মরণে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা দাবী বাস্তবায়ন পরিষদ ও সম্মিলীত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যৌথ আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াছেল সিদ্দিকী সভাপতিত্বে সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ্ সঞ্চালনায় জেলাপরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া, এডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, রহুল আমীন ভূঁইয়া বকুল, রুস্তম আলী ভূঁইয়া, তাজুল ইসলাম, মদন মিয়া, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান প্রমুখ বীর মুক্তিযোদ্ধা বক্তৃতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে এক আনন্দ মিছিল ও গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৯ আগস্ট শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগদান করেন দলীয় লোকজন।
জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মাহমূদুল হাসান হিফয্ এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদুল্লাহর যৌথ সঞ্চালনায় গণ-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, সাবেক জেলা সভাপতি ও আখাউড়া উপজেলা সভাপতি আলহাজ্ব মুসলেহ উদ্দীন ভূঁইয়া, সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, জেলা সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাওলানা গাজী নিয়াজুল করিম, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা সামছ্ আল ইসলাম ভূঁইয়া, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি শেখ মুহাম্মদ শাহ আলম, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুফতি আশরাফুল ইসলাম বিলাল, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মাওলানা নূরুল আলম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি এম আবু হানিফ নোমানসহ আন্দোলনের সকল উপজেলা সভাপতিবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। এর বিচার মহান আল্লাহ করেছেন। দীর্ঘদিন জুলুম-অত্যাচার করেছে আওয়ামী লীগ। এসময় তারা নবীন প্রবীণ মিশ্রিত নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানান। বক্তারা ভেঙ্গে পড়া শাসন ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ ৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের লাগার ঘটনা ঘটেছে। সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের কেউই আগুনে দগ্ধ হয়নি।
এদিকে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রোহানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯ শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন আছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসন্ন বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে একটি প্রজেক্ট প্রস্তুত করতে বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলায় বিজ্ঞানাগারে যান। মাল্টিপ্লাগের সাহায্যে বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে ১৫-২০শিক্ষার্থী বিজ্ঞানাগারের ভেতরে প্রজেক্ট তৈরির কাজ করছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাল্টিপ্লাগে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের চিৎকার শুনে অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বের হয়ে হুড়োহুড়ি করে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যান।
৮ম শ্রেণির আমেনা জাহানা আরিশা, ৬ষ্ঠ শ্রেণির সোহামণি ইতি, ৭ম শ্রেণির তাসনোভা ইসরাত, ৮ম শ্রেণির মাকিয়া আক্তার লামিয়া, ৮ম শ্রেণির ফারিয়া সুলতানা, ৭ম শ্রেণির তানজিনা আক্তার, ৮ম শ্রেণির নোহা ইসলাম, ৮ম শ্রেণির কলি, ৮ম শ্রেণির আরিফা, ৭ম শ্রেণির রুহান, ৭ম শ্রেণির ফাতেমা আক্তার মীমসহ অনেকে আহত হন।
আহত শিক্ষার্থী সোহামণি ইতি ও ফাতেমা আক্তার মীম জানায়, আগুন লেগেছে শুনে দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার সায়েমুল হুদা শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তাদের মধ্যে নয়জনকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কার্ডিওলজি ও সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
এদিকে দুপুরে সিভিল সার্জন মো. নোমান মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাহমিনা আক্তার, সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য এবং সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদসহ অনেকেই হাসপাতালে ছুটে আসেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিকেল সায়েমুল হুদা বলেন, শিক্ষার্থীদের কেউই আগুনে দগ্ধ হয়নি। তবে তাদের প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে। মাসনিকভাবে তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম বলেন, সামনে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান মেলার একটি প্রজেক্টে কাজ করছিল সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সেখানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে যায়। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা হুড়োহুড়ি করে সিড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীরা আহত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ঘটনায় কারো অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধলে মুক্তিপণ না পেয়ে সাব্বির মিয়া (৯) নামের এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সাব্বির উপজেলার বুধল ইউনিয়নের পূর্ব খাঁটিহাতা গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পিতা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশু সাব্বির বাড়ি থেকে বের হয়। যাওয়ার সময় মা খালেদা বেগমকে (৩০) বলে যায়, সে পাঁচ টাকা নিয়ে বাড়ির পাশের দোকানে যাচ্ছে। ওই দোকানে যাওয়ার পর শিশুটি আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকজন নানা জায়গায় খুঁজেও শিশুটির কোনো সন্ধান পাননি। গত বুধবার সকাল ছয়টার দিকে বাড়ির প্রবেশপথে একটি চিরকুট পান শিশুটির মা। চিরকুটে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকিও ছিল। চিরকুটে টাকা পাঠানোর জন্য একটি মুঠোফোন নম্বর দেওয়া হয়। বুধবার সকাল থেকে গত শুক্রবার রাত পর্যন্ত ওই মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেছে শিশু সাব্বিরের পরিবারের লোকজন। তাঁরা টাকা দিতেও রাজি হয়েছেন। বুধবার রাতেই পরিবারের লোকজন সদর থানার পুলিশকে জানান। মুঠোফোনের সূত্র ধরে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার থেকে অভিযানে নামে। একাধিক জায়গায় অভিযান চালানোর পর অপহরণকারী ব্যক্তিরা শুক্রবার রাতে ওই শিশুর লাশ বাড়ির কাছের নির্জন একটি পুকুরের কাঁদাজলের মধ্যে ফেলে রাখে। গত শনিবার দুপুরে গ্রামের শিশুরা ওই লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই শিশুর লাশ দাফন করে পরিবার।
সাব্বিরের মা খালেদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা গরীব মানুষ। ট্যাহার জন্য আমার মানিকটারে মাইরা ফালাইছে। আমি এর বিচার চাই।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, দুপুরে লাশ উদ্ধার করা হলেও অনেক আগেই শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। শিশুটিকে ঠিক কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছিল না। শিশু হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি।