চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোরের সিংড়ায় পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অপরাধে মোঃ রুমন আলী (৩৫) ও বিধান কুমার সরকার (৩০) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এরআগে বুধবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিংড়া বাজারে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে র্যাবের একটি অপারেশন দল।
গ্রেফতার হওয়া মোঃ রুমন আলী জেলার সিংড়া পৌরসভার কতুয়াবাড়ী বাগানপাড়ার মৃত আঃ রাজ্জাকের ছেলে ও বিধান কুমার সরকার একই এলাকার মৃত বিষ্ট চন্দ্র সরকারের ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতার হওয়া মোঃ রুমন আলী ও বিধান কুমার সরকার দীর্ঘদিন ধরে সিংড়া বাজারে পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ এবং অর্থের বিনিময়ে এলাকার যুবক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিকট বিক্রয় করে আসছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানী অধিনায়ক, মেজর, আশিকুর রহমান এবং কোম্পানী উপ-অধিনায়ক, সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ নুরল হুদার নেতৃত্বে বুধবার সন্ধ্যায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় ২টি সিপিইউ, ৭টি হার্ডডিক্স ও একটি এসএসডি কার্ড জব্দসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় মামলা করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে।
র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানী অধিনায়ক, মেজর, আশিকুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাব। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমির মালিকানা সংক্রান্ত সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যার অবসান এবং ঝামেলামুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
২৯ মার্চ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দেশের প্রথম তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভূমির মালিকানা সুনির্দিষ্ট করার জন্য ভূমি বণ্টন ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করতে হবে এবং এর ফলে পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যার সমাধান হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজে এটা খুবই সাধারণ ঘটনা যে ভাই-বোন উভয়েই একে অপরকে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে, যার ফলে হামলা, হত্যা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, যদি একটি সঠিক ভূমি ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে সমস্যার সমাধান হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সব মানুষের জমির মালিকানা রক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেন, আপনি দেশে এবং বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- আপনার (দেশবাসী) সম্পত্তি আপনারই থাকবে। আমরা আপনার অধিকার সুরক্ষিত ও সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি।
জমি সংক্রান্ত পরিষেবা পাওয়ার সময় জনগণকে কিছুতেই ঝামেলার সম্মুখীন করা যাবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি ডিজিটাল ল্যান্ড সিস্টেম তৈরি করছি বলে সমস্যাটি আর থাকবে না।
একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সাতটি উদ্ভাবনী উদ্যোগেরও সূচনা করেন। এগুলো হলো- লক্ষ্মীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতিস্তম্ভ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গুচ্ছগ্রাম কমপ্লেক্স, রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন ইন্টারকানেকশন, স্মার্ট ল্যান্ড ম্যাপ, স্মার্ট ল্যান্ড রেকর্ডস, স্মার্ট ল্যান্ড পিডিয়া, স্মার্ট ল্যান্ড। সারাদেশে ৪০০ উপজেলায় সার্ভিস সেন্টার ও আধুনিক ভূমি অফিস।
তিনি বলেন, আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সাতটি উদ্যোগের প্রতিটি একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী জনগণকে ঝামেলামুক্ত ও দ্রুত ভূমি সংক্রান্ত সেবা দিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহবান জানান।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন- ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং আইন সচিব গোলাম সারওয়ার।
ভূমি সচিব মুস্তাফিজুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। রাজবাড়ী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরজাহান আখতার সাথী সহকারী কমিশনারদের পক্ষ থেকে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
সম্মেলনের উদ্দেশ্য একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরা ও ভূমি সেবার ডিজিটালইজেশনের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলো খুঁজে বের করা।
জাতীয় ভূমি সম্মেলনের অন্যান্য উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে নাগরিক, সরকারি সংস্থা ও স্টেকহোল্ডারদের অবহিত করা, ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং ভূমি সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে আজ ১৮ নভেম্বর শনিবার। মনোনয়ন বিক্রির প্রথম দিনে এক হাজার ৭৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে দলটি।
এর মধ্যে সরাসরি ১০৬০ জন, আর অনলাইনে ১৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি জানান, এতে দলটির আয় হয়েছে পাঁচ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বিপ্লব বড়ুয়া জানান, প্রথম দিনে ঢাকা বিভাগে ২১৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯৮টি, সিলেট বিভাগ ৫৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ ১০৫টি, বরিশাল বিভাগে ৭৫টি, খুলনা বিভাগে ১২৫টি, রংপুর বিভাগে ১০৯টি ও রাজশাহী বিভাগে ১৬৯টি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ।
এর আগে শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ফরম সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন ফরম কেনেন। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহকর্মীকে (৪০) দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ডাসার থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে বিষয়টি আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে সংবাদকর্মীদের কাছে জানান এই ভুক্তভোগী নারী।
অভিযুক্তরা হলেন বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার মাগুরা মাদারীপুর গ্রামের এসকেন্দার হাওলাদারের ছেলে দুলাল হাওলাদার (৩০), একই এলাকার কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. ইদ্রিস হাওলাদার (৫০), মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার পূর্ব ডাসার গ্রামের রকমান শেখের ছেলে মো. মানিক শেখ (৩০), ঢাকা জেলার মিরপুর এলাকার চায়ের দোকানদার বাবু ওরফে মানিক (৪০)।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহকর্মীর স্বামী মারা যাওয়ার পরে সন্তান নিয়ে ঢাকার মিরপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। ওই সুবাদে তার বাসার সামনে চায়ের দোকানদার বাবু ওরফে মানিকের সাথে পরিচয়। চায়ের দোকানদার বাবু জানান, মো. মানিক শেখ (৩০) এর কাছে ভালো একটি ছেলে আছে। সেই ছেলের বাড়ি ঘর দেখে আসতে পারো যদি পছন্দ হয় তাহলে আমরা সবাই মিলে তার সাথে তোমাকে বিবাহ দিবো। বাবুর কথায় ভুক্তভোগী নারী রাজি হয়। পরে আসামি মানিক শেখের মোটরসাইকেলে করে গত (৬ সেপ্টেম্বর) বুধবার দুপুরের ঢাকার মিরপুর এলাকার থেকে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার মাগুরা মাদারীপুর এলাকার উদ্দেশ্য রওনা দেন। পরে বরিশাল গৌরনদী পৌছালে মানিক শেখ বলেন, দুলাল হাওলাদারের সাথে তোমার বিয়ে হবে। তার বাড়ি ঘর তুমি দেখে ও চিনে নাও। পরে সেখান থেকে তারা রাত নয়টার দিকে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার কালাম ব্যাপারীর বাড়িতে নিয়ে আসে ভুক্তভোগীকে। কালাম বেপারি আসামি ইদ্রিসের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে চারজনকে তাদের ঘরে থাকতে দেয়। এরপরে কালাম ব্যাপারীর স্ত্রী তাদেরকে খাবার দেয়, খাবার খাওয়া শেষ করে যে যার মত করে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। তারপরে দুলাল হাওলাদার, মানিক শেখ, ইদ্রিস ও ভুক্তভোগী নারী টেলিভিশন রুমে বসে টেলিভিশন দেখে। এসময় মানিক শেখ ভুক্তভোগী নারীকে দুলাল হাওলাদার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে প্রস্তাব দেয়। এতে ওই নারী রাজি না হলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে চারজন তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই রাইতেই তারা পালিয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি বাড়ির মালিক কালাম ব্যাপারীসহ ভুক্তভোগী নারীর স্বজনদের জানান। পরে স্বজনদের পরামর্শে মাদারীপুরের ডাসার থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমাকে তারা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ঢাকা থেকে মাদারীপুরে নিয়ে এনে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। আমি এদের সঠিক বিচার চাই।
কালাম বেপারি জানান, ইদ্রিস আমার আত্মীয় সুবাদে তাদেরকে আমি এখানে থাকতে দিয়েছি। কিন্তু তারা এই মেয়েটার সাথে এরকম খারাপ কাজ করবে কখনো ভাবতে পারিনি। যারা মেয়েটির সাথে খারাপ কাজ করেছে তাদের কঠিন বিচার হোক।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, মামলা নেয়া হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সমগ্র জেলায় পৌষের শেষ দিক থেকে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের দাপটে যেখানে মানুষ থেকে শুরু করে প্রানীকুল তটস্ত।
সেখানে শীতের পাখায় ভর দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও মলাদহ বিলে অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিপ্রেমীরা দল বেঁধে আসছেন পাখি দেখতে ঘাটাইল উপজেলার মলাদহ বিলে। বিলটির অবস্থান উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সবুজ শ্যামল এক গ্রাম ডাকিয়া পটল। এ গ্রামের বুক চিরে বয়ে গেছে বিশাল এক জলাধার। নাম তার মলাদহ। এ ছাড়া রয়েছে আরো ছোট কয়েকটি বিল।
শীতকাল এলেই এই মলাদহ বিল অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে। বিলটি পাখির কারণে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। পাখির বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, উড়ে চলা, নীরবে বসে থাকা-মানুষকে আকৃষ্ট করে তোলে মুহুর্তেই। তাই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন একনজর পাখি দেখার জন্য এখানে আসেন।
এখানে উল্লেখযোগ্য পাখিগুলো হচ্ছে বালিহাঁস, পাতিহাঁস, সারস, পানকৌড়ি, নারিলা ও ডাহুক। চারদিকে সবুজ শ্যামলের সমারোহে বিলগুলো। মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিলবেষ্টিত ডাকিয়া পটল গ্রাম। সকালে এ গ্রামের বিলের কচুরিপানার মাঝে জলকেলিতে মাতে অতিথি পাখি। আর বিকেলের সোনালি রোদে গ্রামের গাছের ডালে ডালে পানকৌড়িসহ বিবিভন্ন পাখির পালক জ্বলজ্বল করে। এ গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে শত ব্যস্ততার মাঝেও পাখি দেখে অনেক পথচারি একটু দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে নেন।
স্কুলশিক্ষক বাবর হোসেন জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে শীতের মৌসুম চলে গেলে পাখি যখন চলে যায় তখন বুকটা ফাঁকা লাগে। আবার যখন শীতে ফিরে আসে তখন বুক ভরে যায়। পাখিদের সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। এখানে পাখি আসে বলেই প্রতিদিন অনেক পাখিপ্রেমী দেখতে আসেন।
পাখিপ্রেমী আব্দুল মোতাকাব্বির স্বাধীন বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের দেশে আসা অতিথি পাখি যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখে। তাই পাখিদের প্রতি সকলকে সহনশীল হতে হবে। আমার ইউনিয়নের যেসব স্থানে অতিথি পাখি আসছে, সেখানে যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য পরিষদের পক্ষ থেকে নজরদারি রয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাফরুল হাসান রিপন বলেন, ‘পাখি প্রকৃতির অলংকার। এ অলংকার ধ্বংস করা মানে পরিবেশ ধ্বংস করা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। অতিথি পাখিরা যেন ‘মুক্ত আকাশে, খালে, বিলে, হাওর বাঁওড়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে তার ব্যবস্থা অবশ্যই আমাদের করতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান দৈনিক যায়যায়দিন কে জানান, ‘প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশ ক্রমে ক্রমে অতিথি পাখির জন্য ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু আইন দিয়েই পাখি শিকার বন্ধ করা যাবে না, এ জন্য প্রয়োজন সবার সচেতনতা।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটের রামপালে মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তামার তার চুরির মামলার দুই পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রামপাল থানা পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আসামিদের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের করাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের নিজাম ফকিরের ছেলে সোহাগ ফকির (৩০) ও রামপাল উপজেলার সিকিরডাঙ্গা গ্রামের আবু জাফর শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২২)।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম জানান, রামপালে মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তামার তার চুরির মামলার দুই পলাতক আসামি বাড়িতে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আসামিদের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের করাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।