চলারপথে রিপোর্ট :
ঘারুয়া ইউনিয়নের ঘারুয়া, চৌকিঘাটা, চানপট্টি এবং তুজারপুর ইউনিয়নের বামনকান্দা গ্রামের বগাইল বিল, তুজারপুর গ্রামের তুজারপুর বিল ও চতলবিল এবং ভাঙ্গা পৌরসভার আতাদী এলাকার জলাশয় থেকে আজ ২৫ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় শতাধিক চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের চান্দেরকান্দি বিল থেকে ৫০টি চায়না দুয়ারি জল জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য দেড় লক্ষাধিক টাকা।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাস, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেবলা চক্রবর্তী প্রমুখ।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন বলেন, শুক্রবার ভাঙ্গার ঘারুয়া চৌকিঘাটা, চাঁনপট্টি, আতাদী, বগাইল, তুজারপুর ও চতলবিল থেকে ৩২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের শতাধিক চায়না দুয়ারি জাল এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে চুমুরদি ইউনিয়নের চান্দেরকান্দি বিল থেকে ৫০টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পর শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩-১০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন বা স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করবে।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা, মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীগুলোর এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে। সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে।
সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে; এ ছাড়া সীমান্তবর্তী ৪৭ উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় চার উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯ উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
চলতি বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ফিতরার সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৬৪০ টাকা। আজ ২ এপ্রিল রবিবার সকাল ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ইসলামী শরিয়াহ মতে, আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর, পনির ইত্যাদি পণ্যের যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা দেওয়া যায়। গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১১৫ (এক শ পনেরো) টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ৩৯৬ (তিন শ ছিয়ানব্বই) টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১,৬৫০ (এক হাজার ছয় শত পঞ্চাশ) টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১,৯৮০ (এক হাজার নয় শত আশি) টাকা ও পনির দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ২,৬৪০ (দুই হাজার ছয় শত চল্লিশ) টাকা ফিতরা দিতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। আজ ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যায় ৬টায় সেটি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডালিয়া পয়েন্টে পানি পরিমাপক কর্মকর্তা নূর ইসলাম।
এ দিকে পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়ায় ব্যারেজের ভাটিতে থাকা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী চরাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এসব এলাকায় বন্যার আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের মানুষ।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ পরিবেশে উদযাপনের জন্য ২২টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এর মধ্যে রয়েছে পূজামণ্ডপ বা মন্দিরে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং তাদের আলাদা পোশাক, পরিচয়পত্র ও আর্ম ব্যান্ড নির্ধারণ করে দেওয়া। এ ছাড়া স্থানীয় কাউন্সিলর, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে শান্তিশৃঙ্খলা কমিটি গঠন করতে হবে। আনন্দ উৎসবে মাদকের ব্যবহার, জুয়া খেলা ও আতশবাজি বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির পক্ষ থেকে এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এসব নির্দেশনা মেনে চলতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরো যেসব বিষয় রয়েছে সেগুলো হলো- পূজামণ্ডপে দর্শনার্থীদের ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ না করা, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের জন্য ওয়াশরুমসহ স্বাস্থ্যকর আবাসনের ব্যবস্থা রাখা, প্রতিমা বিসর্জনের সময় নৌকায় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা। ২৪ অক্টোবর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে প্রতিমা বিকেল ৩টার আগেই ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা এবং সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা ওয়াইজঘাটে পৌঁছানো। ওয়াইজঘাটে সব প্রতিমা রাত ৮টার মধ্যে বিসর্জন সম্পন্ন করা।
ডিএমপি আরো জানায়, পূজার দিনগুলোতে প্রত্যেক মণ্ডপে স্থায়ীভাবে পুলিশ ও আনসার মোতায়েনের পাশাপাশি টহল বাড়ানো হবে। এ ছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তল্লাশি চৌকি স্থাপন ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করা গেলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এই বাণী আরও সমুন্নত করা সম্ভব হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
অস্ত্রোপচারের সময় রোগীকে অচেতন করার জন্য ব্যবহৃত নিষিদ্ধ হ্যালোথেন গ্রুপের ওষুধ হ্যালোসিন যেখানে পাওয়া যাবে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
আজ ১৫ জুন শনিবার বিকালে রাজধানীর মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ওষুধটি সরকার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, যা ব্যবহার করার অধিকার কারো নেই। এটি বিক্রির দায়ে রাজধানী থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চেতনানাশক এ ওষুধের উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রি বন্ধে অধিদপ্তরের অভিযান চলমান থাকবে।
এটি বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করার সঙ্গে মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে দেওয়া হবে না বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি আরো বলেন, এ নিষিদ্ধ চেতনানাশক ব্যবহার করা হলে ক্লিনিকগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হবে। পরিপত্র জারি করে এ ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা যেখানেই পাবো সেখানেই আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আসল নকল পরের কথা ব্যানড মানে ব্যানড।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।