চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১৪ দলীয় রাজনৈতিক জোটের সমন্বয়ক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় রক্ষায় পাশ্ববর্তী বৃহৎরাষ্ট্র ভারতের সাথে বন্ধু সুলভ সুসম্পর্ক রক্ষা করা অপরিহার্য্য। কেননা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ব বা স্বাধীনতা পরবর্তী স্বাধীনতা বিরুধী অপশক্তি এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জিকির তুলে এবং ভারত বিরুধী অপপ্রচার এবং প্রভাকান্ডের মাধ্যমে জাতীকে বিভক্ত করে ক্ষমতায় ঠিকে থাকার অপচেষ্ঠা করেছে।
তিনি আজ ২৬ আগস্ট শনিবার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা ১৪ দলীয় রাজনৈতিক জোট আয়োজিত ‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ¦ মোঃ শাহআলমের সঞ্চালনায় জোটের অন্যতম শরীক জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, জেলা ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জেলা জাসদ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, ওয়াকার্স পার্টির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম এবং যুবমৈত্রির আহবায়ক উমর ফারুক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াছেল সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন ভূঁইয়া বকুল এবং মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ অন্যতম অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ জুলাই সোমবার বিকেলে জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমীন নিগার।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নির সঞ্চালনায় এতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সোনাহর আলী, জিপি এডঃ ওয়াসেক আলী, পিপি এডঃ মাহাবুবুল আলম খোকন, জেলা আইনজীবী সভাপতি এডঃ কামরুজ্জামান মামুন, জেল সুপার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, জেলা কারাগারের জেলার, জেলা তথ্য অফিসার, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধিসহ জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রাণবন্ত এক হঠাৎ আড্ডায় মেতে উঠেছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া। দেশবরেণ্য এই জ্ঞানী গুণীদের আড্ডায় স্থান পেয়েছে সাহিত্যের সমকালীন অনেক বিষয়। সাহিত্যের গতিপ্রকৃতি। আগামীদিনের করণীয় ইত্যাদি ইত্যাদি। বলছিলাম ২২ নভেম্বর শুক্রবারের এক ভিন্নমাত্রার সন্ধ্যার কথা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম মেড্ডার দারোগা বাড়ি। সেখানেই জন্ম গ্রহণ করেন এই জেলার কৃতি পুরুষ ডক্টর শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক। যিনি একজন আপাদমস্তক বিনয়ী মানুষ। সাবেক এই আমলা ভদ্রলোকটিই আয়োজন করেন বিশাল এক সাহিত্যমেলার। আর সেটি তাঁর বাসার বিশাল ড্রয়িংরুমে। উৎসবমুখর এই মিলনমেলায় অংশ নেন, ডক্টর গোলাম কিবরিয়া পিনু, কথাসাহিত্যিক ফরিদ আহমেদ দুলাল, কবি ও সাংবাদিক ফারুক মাহমুদ। আর আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে অংশ নেন, কবি ও সংস্কৃতিজন আব্দুল মান্নান সরকার, কবি জয়দুল হোসেন, অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, কবি মো. আব্দুর রহিম, কবি-অধ্যাপক মোসলমে উদ্দিন সাগর, কবি এডভোকেট মানিক রতন শর্মা, কবি শাদমান শাহিদ, কবি এড. হুমায়ুন কবীর, কবি ও কথাশিল্পী আমির হোসেন, কবি ও সংগঠক হেলাল উদ্দিন হৃদয়, কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস, আধুনিক পুতুল নাচের নবসংস্করণের পুরোধা জিয়া আমিন, কণ্ঠশিল্পী আনিসুল হক রিপন, সংগঠক ফারুক আহমেদ ভুঁইয়া, কবি মাশরেকী শিপার, কবি ও সংগঠক শাহাজাদা জালাল, কবি ও চিত্রশিল্পি কাজী বর্ণাঢ্য, কবি মাসুদ হাসান শিহাব, কবি এসএম ইউনূস, কবি ও ছড়াশিল্পী মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, সাহিত্য চর্চার জন্য গভীর পর্যবেক্ষণ আর অভিজ্ঞতা দরকার। অবশ্যই নিজস্ব সৃজনশীলতা থাকতে হবে। উদার মানসিকতা না থাকলে উত্তম সাহিত্য বেরিয়ে আসবে না। পুরনো পদ্ধতি ফিরিয়ে এনে তাতে নিজেদের চিন্তার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে কল্যাণমুখি সাহিত্যকর্ম বের করে আনতে হবে। তারা বলেন, সাহিত্যের জন্য এখন আর রাজধানী আর মফসল শব্দ গুলো অনিবার্য নয়। কারণ প্রযুক্তির কল্যাণে এখন ঢাকা যা মফসলও তা। তাছাড়া এদেশের অনেক বিখ্যাত লেখক বেরিয়ে এসেছেন মফসলে থেকেই। তারা নিজের কাজটি কাজের মতো করেছেন। মুল কথা সাহিত্যের জন্য পরিশ্রম করতে হবে। কাজ করতে হবে। কাজের মূল্যায়ন হবেই। সভায় বাংলা সাহিত্যের বেশ কয়েকজন প্রবাদ পুরুষকে নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
প্রসঙ্গত: মনোজ্ঞ এই আড্ডার শুরু থেকে শেষ অবধি হরেক রকমের ভর্তাসমেত শীতের বাহারি পিঠা, কলা আর চা পরিবেশন অব্যাহত ছিলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘সমবায়ে গড়বো দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৫তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগের আয়োজনে নানাবিধ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়েছে।
জেলা কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
আজ ২ নভেম্বর শনিবার সকালে জেলা কালেক্টরেট অঙ্গনে জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি পালনের শুভ সূচনা করা হয়। পরে কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও শ্রেষ্ঠ সমবায়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পু্লশি সুপার মো. ইকবাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সিভিল কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডা. আবুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। জেলা সমবায় কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ্ আলম খন্দকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সমবায়ীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির আনিছুল ইসলাম ঠাকুর, দি ডাচ বাংলা ঋণদান সমিতির খলিল বশির মানিক, মেড্ডা সমবায় সমিতির আবু হানিফ তালুকদার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, একা অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়না, সকলে মিলে করা যায়। একতাবদ্ধ হলে অনেক বড় কাজও করা যায়। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই মান্ষু সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছে। ঋণগ্রস্ততা আমাদের সমাজের জন্য একটা বিরাট ব্যাধি। সমবায় এই ঋণগ্রস্ততা থেকে পরিত্রাণের একটি অনন্য মাধ্যম। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতেও সমবায় অনন্য অবদান রাখবে। অনুষ্ঠানের শেষে দু’টি পর্যায়ে আটজন শ্রেষ্ঠ সমবায়ীর মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে গাছের সাথে ৩ঘণ্টারও বেশি সময় বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার সন্তানদের করা হয় মারধর। ইতিমধ্যে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
২২ এপ্রিল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে মামলার আসামি দুই ভাসুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২১ এপ্রিল সোমবার বিকেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সুলতানপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া মন্তাজ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রকাশ্যে এমন নির্যাতনে প্রতিবেশীরা বাঁধা দিলেও তাতে কাজ হয়নি। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে উদ্ধার করা হয় ওই নারীকে।
ভুক্তভোগী নারী শারমিন আক্তারের অভিযোগ, তার স্বামী মো. হায়দার আলী দীর্ঘদিন ধরে সৌদি প্রবাসী। তবে টাকার লেনদেন ও বিভিন্ন পারিবাকি বিষয় নিয়ে শারমীনের সঙ্গে প্রায়ই তার ভাসুরসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিরোধে জড়ায়। সোমবার বিকেলও স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় দুই ভাশুর মঙ্গল মিয়া ও জয়নাল আবেদীনসহ পরিবারের লোকজন তাকেসহ সন্তানদের মারধর করে। এক পর্যায়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি চান।
শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের দাবি শারমীনের বেপরোয়া চলাচলে বাঁধা দেওয়ায় শারমীন তার শ্বশুর মন্তাজ মিয়াকে মারধর করে। এরই জের ধরে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শারমিন থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যে দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।