চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হায়দার আলী (৪৫) নামের এক কৃষক মারা গেছেন। আজ ২৬ আগস্ট শনিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে গোসল করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হন তিনি। পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসাদহ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, বেলা তিনটার দিকে গোসল করার জন্য হায়দার আলী মোটরের সুইচ অন করে পানি তোলার চেস্টা করেন। ওই সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। তিনি মোটরের পাশে থাকা টিউবওয়েলে গিয়ে পানি তুলে গোসল করতে থাকেন। এসময় বিদ্যুত চলে আসে। এতে তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত হন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান জানান, খবর পেয়ে নিহতের বাড়ি পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকলে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।
চলারপথে ডেস্ক :
আজ ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিনের আলো ফুরিয়ে যাবে তাড়াতাড়ি। সন্ধ্যে গড়িয়ে যে রাত নামবে, তা যেন কাটতেই চাইবে না।
আজ হতে চলেছে বছরের দীর্ঘতম রাত। খবর দ্য ওয়ালের।
কেন ২১ ডিসেম্বর বছরের দীর্ঘতম রাত, তা জানতে হলে শৈশবের সেই ভূগোল বইয়ের পাঠে ফিরে যেতে হবে। জানতে হবে সূর্যের উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়নের গতিপ্রকৃতি। পাঠ্যবইতে দীর্ঘতম দিন এবং দীর্ঘতম রাতের কথা সবাই পড়েছে। ২১ জুনকে বছরের দীর্ঘতম দিন বলা হয়, আর দীর্ঘতম রাত হলো ২১ ডিসেম্বর। এই দীর্ঘতম রাত হয় সূর্যের দক্ষিণায়নের কারণে।
কেন রাত সবচেয়ে বড় হয়, এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। বছরে ছটি ঋতু। ঋতু বদলের সঙ্গে দিন ও রাতের সময়কালও বদলায়। বছরের ৩৬৫ দিন কখনো সমান থাকে না। কখনো দিন বড় রাত ছোট হয়, আবার কখনো তার উল্টো। ঠিক এভাবেই বছরে এমন একটা দিন আসে, যেখানে দিন সবচেয়ে ছোট হয়, এবং রাত সবচেয়ে বড়। আবার এর উল্টোটাও হয়।
সৌরজগতের নিয়ম অনুযায়ী, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরার সময় একদিকে একটু হেলে থাকে। ফলে কখনো উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি আছে, আবার কখনো দক্ষিণ গোলার্ধ। ২১ জুন দিনটাতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি থাকে। তাই সূর্যের রশ্মি দীর্ঘসময় পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে পড়ে। সূর্য এদিন কর্কটক্রান্তি রেখায় লম্বভাবে বা খাড়াভাবে কিরণ দেয়। তাই মনে হয় দিন শেষই হচ্ছে না। মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দেশগুলিতে বেশি পরিমাণ সূর্যালোক পৌঁছায়। এর ফলে এই সময়কালে সেইসব দেশে গ্রীষ্মকাল থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে ‘সামার সলসটিস’ বা উত্তরায়ণ। এর পর থেকে দিন ছোট হতে শুরু করে।
ডিসেম্বর মাস থেকে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে, উত্তর গোলার্ধ চলে যায় অনেকটা দূরে। এই সময় উত্তরে সূর্যের আলো ক্ষীণভাবে পড়ে, ফলে সেখানে তখন শীতকাল, আর দক্ষিণে গরমকাল। ২১ ডিসেম্বর দিনটিতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের থেকে অনেকটাই দূরে থাকে। ফলে সেখানে সূর্যের আলো এতটাই কম পড়ে যে, দিন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় বলে মনে হয়। রাত হয় দীর্ঘ। একে বলে উইন্টার সলসটিস বা সূর্যের দক্ষিণায়ন। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয় আর উত্তর গোলার্ধে রাত দীর্ঘতম হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে নিজ নিজ দপ্তরের কাজের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর চলমান কাজের অগ্রগতি জানতে ও নতুন কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে আইন ও বিচার বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
মামলাজট কমাতে বিচার বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানোর বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নতুন আদালত ভবন নির্মাণ, পুরাতন আদালত ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারকরণ ও ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, ই- জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে বিচারকার্যের গতি বাড়বে। ফলে মামলাজট কমবে। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, মামলাজট কমাতে উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোসহ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রমকে জোরদার করতে হবে। ফৌজদারি কার্যবিধি ও দেওয়ানি কার্যবিধির সংশোধন ও বাংলা অনুবাদের খসড়া তৈরির জন্য গঠিত কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে খসড়া তৈরি করে উপস্থাপন করার নির্দেশ দেন তিনি। একই সঙ্গে এখন থেকে প্রতি দুই মাসে একবার সমন্বয় সভা করে দপ্তর বা সংস্থার কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রত্যেক দপ্তর বা সংস্থার প্রধানরা নিজ নিজ দপ্তর বা সংস্থার কাজের অগ্রগতি, সমস্যা, সাফল্য ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দুর্যোগ মোকাবিলা এবং দুর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সকল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
আজ ২৬ মে রবিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে এই তথ্য জানান তিনি।
প্রতিন্ত্রী বলেন, ৮ লাখের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। বাকিদের আসার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। উপক‚লীয় অঞ্চলে আপাতত স্কুল খোলা থাকবে; তবে ক্লাস বন্ধ থাকবে। এছাড়া সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টানেলও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রেমালের প্রভাবে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য আমরা সবাইকে নিয়ে আজকে সভা করেছি। সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেল টিমগুলো প্রস্তুত রয়েছে। সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত রয়েছে। পেছনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই ঘূর্ণিঝড়কে আরো শক্তভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমরা সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করি নির্দেশনাগুলো যেভাবে দিচ্ছি সবাই যদি সে অনুসারে পালন করে, এই দুর্যোগ পূর্বের মতো সক্ষমভাবে মোকাবিলা করতে পারব।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাপবিদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১০ এ বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৯.৫০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
এটি আজ ২৬ মে সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (রোববার) সন্ধ্যা/মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) খেপুপাড়া উপকেূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আটাবহ ইউনিয়নের গোসাত্রা বিলে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে মংস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৬ টি চায়না দোয়ানী জাল প্রায় ৫০০ মিটার জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতে জালগুলি আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। পরে এলাকার লোকজনকে মৎস্য সংরক্ষণ আইন সম্পকে সচেতন করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী কর্মকর্তা মুসলেউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মৎস্য অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর জুয়েল রানা প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
তাপমাত্রা বেশি কমে গেলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ করার বিষয়ে আজ নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। প্রাথমিকের বিষয়ে এ ধরনের কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা আসেনি।
তবে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে এলে সংশ্লিষ্ট জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে প্রশ্নের জবাবে উত্তম কুমার বলেন, স্কুল বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। আমরা প্রতিদিন আবহাওয়ার বুলেটিন দেখছি। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে তখন পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
এদিকে, তীব্র শীতে শিশুরা ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল বন্ধে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যাবে বলে ওই নির্দেশনায় বলা হয়।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মর্মে জানা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী) নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপপরিচালকরা ওই সব জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তদূর্ধ্ব না হওয়া পর্যন্ত) রাখার নির্দেশনা প্রদান করবেন।