চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধভাবে তিতাস নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু তোলার কাজে নিয়োজিত দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালকসহ ছয়জনকে আটক করা হয়। পরে ড্রেজার ও বাল্কহেডের দুই চালককে দুই মাস করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। দন্ডপাওয়া দুই চালক হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার সুভারামপুর গ্রামের ইজাজুল ইসলাম ও মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান।
আজ ২৭ আগস্ট রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাজকৃষ্ণপুর এলাকা থেকে এগুলো জব্দ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুলতানপুর ইউনিয়নের রাজকৃষ্ণপুর এলাকার তিতাস নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো একটি চক্র। বিষয়টি জানতে পেয়ে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোশারফ হোসেন দুপুরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালকসহ ছয়জনকে আটক করেন। পরে তিনি ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(গ) ধারা লঙ্ঘন করে নদী থেকে বিপণনের উদ্দেশ্যে বালু উত্তোলন করায় এবং ড্রেজিং এর কারণে নদীর তীর ভাঙ্গনের শিকার হওয়ায় আইনের ১৫(১) ধারায় আটক দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালককে ২ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ও আটক চারজন শ্রমিককে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। জব্দকৃত ড্রেজার ও বাল্কহেড স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের জিম্মায় দিয়ে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা ও ভারতে মুসলমানদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে তৌহিদি জনতা। ১৯ মার্চ বুধবার রাতে শহরের মুক্ত মঞ্চ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের চত্বরে ইসরাইলের পতাকায় আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দপ্তর সম্পাদক মাওলানা বেলাল হোসাইন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি শেখ আরিফ বিল্লাহ আজিজ, ছাত্রনেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক ও মুফতি ইয়াছিন আরফাত।
এসময় বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে মুসলমানদের ওপর বারবার বর্বর হামলা চালিয়ে মানুষ মারছে ইসরাইল। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই, যাতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এছাড়া ভারতেও আমাদের মুসলিম ভাইদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।
আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যদি মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধ না করা হয়, তাহলে সকল মুসলমান ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলেও বক্তারা হুশিয়ারি দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, ছাত্রলীগ আগামীদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন -স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করবে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন অস্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, শোষনমুক্ত সমাজ, বৈষম্যমুক্ত সমাজ বাস্তবায়ন করে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পক্ষে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আজ ১০ মে শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অবদান তুলে ধরে বলেন, ধর্মপ্রাণ হওয়ার জন্য কোন সাম্প্রদায়িক হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা একটা শ্লোগান দেই, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। তাই যার যার ধর্ম সে পালন করবে। সকল ধর্ম মনের মানুষ তাদের ধর্মীয় আচার আচরণ নিবিঘ্নে পালন করতে পারবে। এজন্যই বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ধর্ম নিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে গ্রহণ করা হবে। সেটি আমরা করেছি, আমরা আশা করব ছাত্রলীগ সেই পথে হাঁটবে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আগামী ২৭ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর দুদিনব্যাপী জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন।
বিশেষ কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা, সুরাফ মিয়া সোহাগ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাকিব আল হাসান প্রমুখ।
বিশেষ কর্মী সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভন। কর্মী সমাবেশের আগে প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেছেন, গত ৪ মাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে ভেঙ্গে পড়া আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। শহরের ট্রাফিকিং ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছি। এই শহর নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিলো। স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করেছি, কিন্তু সময় পাইনি।
তিনি বলেন, আরো তিন মাস সময় পেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দাঙ্গা চিরতরে নির্মূল করতে পারতাম। ২২ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে তাঁকে দেয়া বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান আরো বলেন, বিগত ১৫ বছরে পুলিশ একটি দলের হয়ে কাজ করেছে। যার জন্য পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের একটা বিদ্বেষ ছিলো। বর্তমান সরকার পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে দাঁড় করাতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় যোগদান করেই প্রথমে প্রেসক্লাবে এসেছি। আবার চলে যাবার সময়ও আবার প্রেসক্লাবে এসেছি। আমার সাড়ে ৩ মাস সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য কতটুকু কাজ করেছি তার মূল্যায়ন আপনারা করবেন। তিনি বলেন, পুলিশের অনেক ভুল-ত্রুটি ছিলো। বৈষ্যম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশে ৪৪জন পুলিশকে মারা হয়েছে। এতে করে পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে গিয়েছিলো। আমরা পুলিশের মনোবল ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছি। তিনি বলেন, পুলিশের সংস্কার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ও থানার সকল গাড়ি, আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো। একটা ধ্বংসস্তুপের উপর আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছিলাম। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি বলতে কিছুই ছিলোনা। এমন পরিস্থিতিতে কাজ করতে কষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সংকট রয়েছে, গাড়ির সংকট রয়েছে। এই সমস্যা একদিনে নিরসন করা সম্ভব নয়। তারপরও বর্তমানে পুলিশ ভালো কাজ করছে। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাজ করতে পেরে ভালো লেগেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকতা খুবই সমৃদ্ধ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য কাজ করতে পেরেছি এটাই আমার সান্তনার জায়গা। পুলিশ সুপার বলেন, ৫ আগস্টের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাফিকিং ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছিলো। আমরা আস্তে আস্তে ট্রাফিকিং ব্যবস্থা আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সাড়ে তিন দশকের বেশি সময় ধরে বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য একাডেমি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নাচ, গান, আবৃত্তি আর বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় সমৃদ্ধ রূপ নিয়েছে এবারের বৈশাখী উৎসব।
সপ্তাহব্যাপী এই উৎসবে শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সংস্কৃতিকর্মীরাও অংশ নেন। এছাড়া বৈশাখী উৎসবে লোকজ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ছিলো সপ্তাহব্যাপী বৈশাখী মেলার শেষ দিন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৯৮৩ সালে সাহিত্য একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৭ সাল থেকে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে বৈশাখী উৎসব হয়ে আসছে, যা এই এলাকার অন্যতম প্রধান একটি উৎসবে রূপ নিয়েছে। শুরু থেকেই এই উৎসবের মেয়াদ সাতদিন।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি জয়দুল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রাম বাংলার লোকজ-ঐতিহ্য, বিভিন্ন ধরনের লোকগান এবং লোকজ সংস্কৃতি প্রচার ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে বৈশাখী উৎসবের আন্তরিক প্রয়াসের পরিচয় মেলে। আমরা ৩৮ বছর ধরে এই উৎসব পালন করে আসছি। এই উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে।
বৈশাখী উৎসবে প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ঢল নামে। সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন বলেন, এই উৎসবের মধ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের মধ্যে পারস্পরিক মেলবন্ধন গড়ে ওঠে। হাজারো মানুষ আসে এই প্রাণের মেলায়।
গত শুক্রবার উৎসবের ষষ্ঠ দিনের আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৈন্দ গ্রামের বজলুর রহমান পাঠাগারের সদস্যরা। পাভেল রহমানের নির্দেশনায় আবৃত্তি করে নুসরাত, নওরিন, তানহা, পিয়াল, ইফরান, অর্পণ, জয়া, জুলফা।
এছাড়া সাহিত্য একাডেমির সদস্যরা নাচ ও গান পরিবেশন করেন, ছিল বিষয়ভিত্তিক আলোচনাও। বিকেলে শুরু হওয়া আয়োজন চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সচিব ড. মো. ইয়ামিন চৌধুরী, এড. আবু তাহের, সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু এবং নারীনেত্রী ফজিলাতুন্নাহার। সবশেষে গান পরিবেশন করে নাসিরনগরের বাউল জারু মিয়া ও অমিয় ঠাকুর সঙ্গীতাঙ্গনের শিল্পীরা।
উৎসবে লোকজ সংস্কৃতি প্রচার ও প্রদর্শনীর পাশাপাশি প্রতিদিনই থাকছে প্রাসঙ্গিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মেলা প্রঙ্গণে নানা ধরনের লোকজ পণ্য নিয়ে বসছে ২০টি দোকানও।
পহেলা বৈশাখে শুরু হওয়া এই উৎসবের উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২০ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় উৎসবের সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক আমিনুর রহমান সুলতানসহ অনেকে। থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক বলেছেন, সরকারি অফিসের একজন পিয়ন যখন অবসরে যান তখন তাকে ফুলের তোড়া ও হাতে একটি চেক দিয়ে বিদায় করা হয়। তিনি হাসিখুশিভাবে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু একজন সাংবাদিকের অবসরের সময় ফুলের তোড়াও অনেক সময় দেওয়া হয় না। চোখের জলে বাড়ি ফিরতে হয়। আমরা চাই ষাটোর্ধ্ব সাংবাদিকদের জন্য পেনশন চালু করা হোক।
আজ ৬ মার্চ বুধবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দশম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা, নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ অনুযায়ী বকেয়া পরিশোধ, টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্য অভিন্ন বেতন কাঠামো ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ওমর ফারুক। এছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশিদ।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান প্রমুখ।
সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, ‘সাংবাদিকরা মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেন। অথচ তারাই অবহেলিত। তারা যে বেতন পান সেটা একদিনের বাজার খরচের সমান। এ পেশায় ঝুঁকিও অনেক বেশি। সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যে পেশায় জীবন ও অর্থের নিরাপত্তা নেই।’
এসময় বক্তারা বলেন, ‘সঠিক বেতন-ভাতা দেওয়া, আবাসন নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলতে থাকবে। মাঠ পর্যায়ে সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয়ভাবে সমাবেশ করা হবে।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘ইতিহাস বলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না। তৃণমূল পর্যায় থেকে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে আমরাও দাবির বিষয়ে সফলতা পাবো।’