অনলাইন ডেস্ক :
আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ ২৮ আগস্ট সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মন্ত্রিপরিষদসচিব মাহবুব হোসেন ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
এর আগে গত ৭ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ পরিবর্তনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর আইনটি ‘ভেটিং’ তথা যাচাই ও মতামতের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে যাচাই ও মতামতের পর এটির চূড়ান্ত অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা।
অনলাইন ডেস্ক :
দুর্বৃত্তদের হামলা ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত নরসিংদী জেলা কারাগার পরিদর্শনে আসেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো: সাবিরুল ইসলাম। ২৭ জুলাই শনিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার পরির্দশন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন অতিরিক্ত কারা মহা-পরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান, র্যাব-১১ এর সিও লে. কর্ণেল তানভীর বাশার, নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
পরিদর্শন শেষে বিভাগী কমিশিনার মো: সাবিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকে সরকারের মাননীয় মন্ত্রীসহ সংশিষ্ট্ররা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে কারাগারটি পরিদর্শন করলাম। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে কারাগারটি ব্যবহার যোগ্য করতে সরকারকে পরামর্র্শের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে নরসিংদীতে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ সিথিল হওয়ায় জনমনে স্বস্তির পাশাপাশি স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু হয়েছে। শনিবার ছুটির দিন হলেও সকাল থেকেই নরসিংদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য এবং গণপরিবহনের চলাফেরা লক্ষ্য করা গেছে। শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কারাগারে বাড়তি নিরাপত্তায় স্থাপন করা হয়েছে বিজিবি ক্যাম্প।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বিভিন্ন জনের মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী কোনো মত সমর্থন করবো না।
১১ মে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে প্রকাশনা সংস্থা মত ও পথ থেকে প্রকাশিত চারটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যত মত তত পথ’ মানুষে মানুষে মতের ভিন্নতা থাকতেই পারে। মত প্রকাশের স্বাধীনতাও আছে। কিন্তু দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী কোনো মত সমর্থনযোগ্য নয়।
মন্ত্রী বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, যারা এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তারাও এখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাসী নয়, তারাও গণতন্ত্রের কথা বলে। এ ধরনের দ্বিচারিতা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা একটি শোষণহীন, বৈষম্যমুক্ত, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলাম। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রত্যেকটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। শোষণহীন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনে ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য দেশের আপামর জনসাধারণ মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন রকম অপতৎপরতার মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও মত ও পথ প্রকাশনী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে সূত্র অবস্থান নিয়েছে। তাদের এ অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মত ও পথ প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক (গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ প্রকাশনা উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, জাতি সত্বার কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা।
প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় দাশ গুপ্ত রচিত ‘বত্রিশ কিংবা ৭১’, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক ও কবি জাফর ওয়াজেদ রচিত ‘ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’, কথা সাহিত্যিক নূর কামরুন নাহার রচিত ‘প্রাসঙ্গিক ভাবনা: নারী ও সমাজ’ এবং মোহাম্মদ সাজিবুল হুদা ভূঁইয়া কর্তৃক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির গুরুত্বপূর্ণ কলাম ও বক্তৃতা সংকলন ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রসঙ্গ কথা’।
অনুষ্ঠানের লেখক ও সংকলকগণ নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দুবাইয়ে আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভেড়ার পর বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। ২২ এপিল সোমবার রাত ১২ টা থেকে শুরু করা কয়লা খালাস করতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। এসব কয়লা খালাসের পর ক্যাপ্টেনসহ ২৩ নাবিকের সবাই এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে করে একসঙ্গে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করা জাহাজ মালিকপক্ষের প্রতিনিধি দলে থাকা চট্টগ্রামের কবির গ্রপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।
আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘সবকিছু সুন্দরভাবে চলছে। নাবিকদের সবাই ভাল আছেন, সুস্থ আছেন। এখন সবাই একসঙ্গে ২৩ জনই জাহাজে করে দেশে আসার জন্য মনস্থির করেছেন।’
জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমালি সশস্ত্র দস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার আট দিনের মাথায় গত রবিবার বিকেলে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাই পৌঁছে।
জাহাজটি আল হামরিয়া বন্দরের বহিনোঙর থেকে বন্দরের জেটিতে ভিড়ে সোমবার রাতে। এরপর মুক্তি পাওয়া নাবিকদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছে। এরআগে নাবিকদের বরণ করাসহ আনুষাঙ্গিক কাজগুলো করতে জাহাজ মালিকপক্ষের একটি প্রতিনিধি দল দুবাই গিয়ে এখন জাহাজে নাবিকদের সঙ্গে রয়েছে।
এ দিকে গত কয়েকদিন ধরে মালিকপক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল ২৩ নাবিকের মধ্যে দুইজন বিমানে করে এবং বাকি ২১ জন জাহাজে করে দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
শেষ পর্যন্ত নাবিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সবাই আবদুল্লাহ করে দেশে আসার জন্য একমত হয়েছেন বলে জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এমভি আবদুল্লাহ ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে গত ৪ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়। ১৯ মার্চ আবদুল্লাহ আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। মাপুতু থেকে রওনা হওয়ার চার দিন পর গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল দস্যুদের জিম্মিদশা থেকে নাবিক ও জাহাজ মুক্ত হয়ে পূর্বনির্ধারিত গন্তব্যে দুবাইয়ের পথে রওনা হয়ে গত রবিবার সেখানে পৌঁছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিলেট অঞ্চলে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল রবিবার রাত ৮টা ২৩ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪.২। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মেঘালয়ে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, ভূমিকম্পের ধরণ মৃদু হওয়ায় সিলেট অঞ্চলের বেশিভাগ মানুষ এটি অনুভব করতে পারেননি। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকাস্থ ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণাগার ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে ২৩৭ কিলোমিটার দূরে ভারতের মেঘালয়ের নংস্টইন।
চলারপথে ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে দর্শক, অপারেটর, সরকার সবাই উপকৃত হবে। দর্শক বেশি চ্যানেল ও স্বচ্ছত্বর ছবি পাবে, অপারেটররা ব্যবসার ঠিক হিসাব এবং সরকার ঠিক রাজস্ব পাবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সেট টপ বক্সগুলো যেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সবার সামর্থ্য অনুযায়ী কেনার সুযোগ থাকে সে বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) আয়োজিত ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এক একটি এলাকা ব্লক করে নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করাতে চাই না। ডিজিটাল করার প্রক্রিয়ার শুরুতে এনালগ পদ্ধতিও পাশাপাশি থাকতে পারে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশি-বিদেশি সব চ্যানেল আর এনালগ পদ্ধতিতে শুধু দেশি চ্যানেল দেখা যাবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু। এখন প্রায় ৩৬টির মতো টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, আরও আসছে। এটি না হলে আজ কেউ টিভি চ্যানেল মালিক বা ক্যাবল অপারেটর থাকতেন না। সুতরাং এর নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, এর কারণে এই শিল্পের বিকাশ, তার নেতৃত্বে এই অগ্রযাত্রা বজায় রাখার বিষয়টি ভাবনায় রাখার অনুরোধ জানাই।
মন্ত্রী এ সময় কয়েক দশক ধরে টিভি চ্যানেলগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় ক্যাবল অপারেটরদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আইনানুসারে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার ও টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম ঠিক রাখার বিষয়ে সহযোগিতার জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।
কোয়াব নেতাদের উত্থাপিত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ক্যাবল অপারেটররা ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া শুরু করলে যেমন এক ব্যবসা অঙ্গনে অন্যের ঢুকে পড়া হবে, সেটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং অন্য সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ওটিটি নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়াটি হাইকোর্টের অনুমোদন হয়ে এলে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
কোয়াব সভাপতি এবিএম সাইফুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ আলী, সহ-সভাপতি রাশেদুর রহমান মালিক ও সৈয়দ হাবিব আলী, সাবেক সভাপতি আনোয়ার পারভেজ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন একাত্তর টিভির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাবু, এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।