চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল প্রতিক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যেই রেললাইন বসানোর কাজ শেষ। প্রকল্পের ভবনগুলোর নির্মাণ কাজও শেষ হয়েছে প্রায় ৯৫ ভাগ। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে দুইদেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির উদ্বোধন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন প্রকল্প সংশিষ্টরা।
চলতি আগস্ট মাসের শেষ দিকে পরীক্ষামূলকভাবে আখাউড়া থেকে আগরতলায় ট্রেন চলানোরও প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তারা।
এ অবস্থায় রেলপথকে ঘিরে বন্ধুত্বপূর্ন দুই দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে আগ্রহের শেষ নেই। সংশ্লিষ্টরা জানান, রেলপথটি চালু হলে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি সম্পর্কের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও নব-দিগন্তের সূচনা হবে।
সড়ক পথের পর এবার আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ দিয়েও দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হবে। রেলপথে পণ্য পরিবহন খরচ কম হওয়ায় আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য আরো চাঙা হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
চলতি আগষ্ট মাসের শেষ দিকে বহুল কাঙ্ক্ষিত এই রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্ততি নিচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। রেলপথটির ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে। প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছে ভারতের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২৪১ কোটি টাকা।
দেড় বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারীসহ নানা সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে কয়েক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত জুন মাসে। এই রেলপথটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে সরাসরি যুক্ত করবে বাংলাদেশকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের রেলপথে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ। এছাড়াও প্রকল্পের ১৬টি সেতু ও কালভার্টের সবকটিরই কাজ শেষ হয়েছে ইতোমধ্যে। আর ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৯৫ ভাগ।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি চালু হলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরো বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আমদানি খরচ বাড়াসহ নানা কারণে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে এখন ভারত থেকে পণ্য আমদানি হচ্ছে না। এছাড়া একই কারনে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিচ্ছেন কম। তবে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি চালু হলে সড়কপথের তুলনায় কম খরচে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। এতে দু’দেশের ব্যবসায়ীরাই লাভবান হবেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আজিজুল হক বলেন, রেলপথে পণ্য পরিবহন অনেক বেশি নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি চালু হলে দুইদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বিস্তৃত হবে বলে আশা করছি। এতে আমদানি খরচ কম হবে, ভোক্তা পর্যায়ে কম মূল্যে পণ্য পৌঁছে দেয়া যাবে। ফলে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এই রেলপথটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ ব্যাপারে প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকশি বলেন, প্রকল্পের ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। রেললাইন বসানোর কাজ শেষ। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলে কোন সমস্যা হবে না। চলতি আগস্ট মাসের শেষ দিকে পরীক্ষামূলকভাবে আখাউড়া থেকে ট্রেন যাবে আগরতলায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মোঃ আবু জাফর মিয়া বলেন, পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে চলতি মাসেই এই রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করানোর। এরপর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দুইদেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছি। প্রথমে পন্যবাহী এবং পরবর্তীতে যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচল করবে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় তাকে আটক করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীটি। ফজলে করিম ছাড়াও আরো দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম রাউজানের (চট্টগ্রাম-৬) সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরীকে আটক করেছে বিজিবি।
২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়ানের একটি সূত্র ফজলে করিম চৌধুরীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সকাল সোয়া ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনজন বিজিবি হেফাজতে আছেন। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আখাউড়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন ফজলে করিম চৌধুরী। স্থানীয় একটি পাচারকারী চক্রের সঙ্গে সমঝোতা করে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় বিজিবি তিনজনকে আটক করে। ফজলে করিম ছাড়াও আটক অন্য দুজন হলেন হান্নান ও নাইম।
ফজলে করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলে করিম চৌধুরী ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।
কিন্তু ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নবম জাতীয় সংসদে তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন। দশম জাতীয় সংসদে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য মনোনীত হয়ে তিনি পুনরায় সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ছাত্র-জনতার অসহযোগ তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে। চলবে টানা ৫ দিন। এরপরেই রয়েছে লক্ষ্মীপুজা। দুর্গাপুজা ও লক্ষ্মীপুজা উপলক্ষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৭ দিন বন্ধ থাকবে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে এসময় যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশেন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। ১৬ অক্টোবর সোমবার বিজ্ঞপ্তিতে দু’টি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে শফিকুল ইসলাম ও ফোরকান আহমেদ খলিফা স্বাক্ষর করেছেন। বিষয়টি সকল সিএন্ডএফ এজেন্ট, আমদানী-রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো হয়।
সূত্রে জানা গেছে, দূর্গাপুজা উপলক্ষে আগামী ২১ অক্টোবর শনিবার থেকে ২৪ অক্টোবার মঙ্গলবার পর্যন্ত এবং লক্ষ্মী পুজা উপলক্ষে ২৭ অক্টোবর শুক্রবার ও ২৮ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত সকল প্রকার আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ থাকবে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আমদানী-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপুজা উপলক্ষে ২১-২৪ অক্টোবর এবং লক্ষ্মীপুজা উপলক্ষে শুক্রবার ও শনিবার আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকবে। মাঝখানে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ থাকবে। মাঝখানে বুধবার ও বৃস্পতিবার আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকবে। রবিবার থেকে যথারীতি আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম শুরু হবে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
আখাউড়ায় তিতাস নদীর চরে গরু চড়াতে গিয়ে পশুর গুতোয় ইয়াদ মোল্লা খাদেম (৬৫) নামে এক কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৮ মার্চ শুক্রবার বেলা ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ইয়াদ মোল্লা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুরের বাসিন্দা। তবে মৃত্যুর ঘটনায় দুরকম তথ্য পাওয়া গেছে। পরিবারের দাবি মহিষ গুঁতো দিয়েছে, কেউ বলছে নিজ ষাঁড়ের গুতোতে মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গেছে।
জানা গেছে, ইয়াদ মোল্লা খাদেম দীর্ঘদিন ধরে গরু লালন পালন করতেন। সকালে গরু চড়াতে নিয়ে যান। আড়াইটা থেকে ৩ টার মধ্যে পশুর গুতোয় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। এসময় কেউ পাশে ছিল না।
নিহতের ছেলে অপূর্ব মোল্লা খাদেম বলেন বাবা সকালে আব্বা গরু চড়াতে যায়। দুপুরের পরে খবর পাই পশুর গুতোয়া আব্বা মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে মহিষ ছিল। মহিষে গুতো দিয়েছে বলে ধারনা করছি।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহনূর ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। তবে ঘটনাটি সদর থানা এলাকায় হওয়ায় সেখানকার পুলিশকে অবগত করতে বলেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, তাকে কেউ এখনও বিষয়টি জানায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজারে ১৫ কেজি ওজনের সাগরের বাটা মাছ উঠেছে। মিজান মিয়া নামে এক মাছ বিক্রেতা আজ ৯ মার্চ শনিবার বিশাল আকারের বেশ কয়েকটি বাটা মাছ বাজারে নিয়ে আসেন। প্রতি কেজি বাটা মাছ তিনি ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। এদিকে, বড় মাছকে ঘিরে ক্রেতাসহ আশপাশের জনতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
মাছ ব্যবসায়ী মিজান মিয়া জানান, বড় আকারের বাটা মাছ কুমিল্লার একটি মৎস্য আড়ৎ থেকে কেনেন তিনি। এরপর মাছ বিক্রি করতে আখাউড়ায় আসেন। একেকটি মাছের ওজন ৮ থেকে ১৫ কেজি ওজনের। এটি মূলত সাগরের মাছ। চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় আসে।
স্থানীয় একাধিক মাছ ব্যবসায়ী জানান, এখানে সহসায় বড় আকারের মাছ স্থানীয় বাজারে খুব একটা ওঠে না। আজকে বেশ কয়েকটি বড় আকারের সাগরের বাটা মাছ বাজারে উঠেছে। বড় আকারের মাছকে ঘিরে ক্রেতাসহ আশপাশের জনতার ভিড় দেখা গেছে।
মাছ ক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, আসলে এতো বড় মাছ সহজে দেখা যায় না। বাজার করতে এসে মাছ পছন্দ হওয়ায় ৮ কেজি ওজনের একটি মাছ ৪ হাজার ৮০০ টাকায় কিনেছি।
মাছ ব্যবসায়ী অনিল বলেন, আমাদের আড়তে বিক্রেতারা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে আসেন। এখানে সবসময় বড় আকারের মাছ আসে না। মাছগুলো মূলত ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় চলে যায়। তবে মাঝে মাঝে এখানে বড় আকারের কাতল,বোয়াল, কার্প জাতীয় মাছ নিয়ে আসেন বিক্রেতারা।
মিজান বলেন, বড় আকারের মাছের চাহিদা ভালো। সবসময় কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট থেকে বড় মাছ সংগ্রহ করে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি। এখানে সকালে পাঁচটি বড় মাছ নিয়ে আসি। দুপুর পযর্ন্ত তিনটি মাছ বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ কেজি ওজনের একটি মাছ দু’জন মিলে কিনেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে আমলযোগ্য অপরাধের মাত্র চারটি ধারা রয়েছে। আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের সুযোগ কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেই।
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর শহীদ নোয়াব ম্যামোরিয়্যাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে টেকনিক্যাল অপরাধ, হ্যাকিং এবং কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে যদি কেউ কোনো কিছু নষ্ট করে সেজন্য ১৪ বছরের সাজার বিধান রয়েছে। কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেসব ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিল এগুলোর আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে।
সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার প্রসঙ্গে যে সব প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে এগুলো সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যাখ্যা মাত্র। পরে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিএনপি জামাত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে মন্তব্য করে বলেন, আপনারা ইতিহাস দেখলে দেখবেন তারা (বিএনপি) কোন দিন সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসে নাই। সব সময় পিছনের দরজা দিয়ে এসেছে। ভোট চুরি করেছে। মানুষকে ভোট দিতে দেয় নাই। ক্ষমতায় বসে দল সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে হয়নি। আওয়ামীলীগ হয়েছে জনগণের সাথে যখন বঙ্গবন্ধু ছিলেন। আমাদের সংগঠন জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগের শিকড় বাংলাদেশের মাটির ভিতরে। তিনি নেতাকর্মীদেরকে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত থাকার নির্দেশ দেন। এসময় তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চান।
বর্ধিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাক মোঃ মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাসেম ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবলীগের সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম।