চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরে থেকে বাবা-মায়ের কাছ থেকে কৌশলে ৭ মাসের এক শিশুকে অপহরণের পর বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির চাচীকে বোনসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ২৮ আগস্ট সোমবার জিএমপির উপ-কমিশনার আবু তোরাব মো: শামছুর রহমান তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো বগুড়া জেলার সদর থানার চকসূত্রাপুর এলাকার জাহাঙ্গীরের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা জান্নাত (২৩) ও জাকিয়ার ছোট বোন রাকিবা আভান আঁখি (২১)। এদের মধ্যে জাকিয়া ওই শিশুটির চাচা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানাধীন বাঙ্গালগাছ এলাকার মাসুদের স্ত্রী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার আবু তোরাব মো: শামছুর রহমান জানান, রবিবার দুপুরের পর গাজীপুর শহরের বাঙ্গালগাছ এলাকার রাজমিস্ত্রির সহকারি রহিম উদ্দিন (৫০) ও তার স্ত্রী হাবিবা আক্তার তাদের ৭ মাস বয়সের শিশু সন্তান রিয়াদ হোসেন ওরফে রোহানকে নিয়ে বাসায় বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম করছিলেন। এ সময় ঘরে আসেন রহিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই মাসুদের স্ত্রী জাকিয়া। কথাবার্তা বলার একপর্যায়ে শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায় সে। বেশকিছু সময়েও শিশুটিকে ফেরত না আনায় তার বাবা-মা জাকিয়ার কাছে যান। তারা জাকিয়াকে শিশু রিয়াদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। এসময় সে রহিম উদ্দিনের বাড়িতে যাওয়া ও শিশু রিয়াদকে নেওয়ার ব্যাপারে অস্বীকার করে। জাকিয়ার অস্বীকারের কারণে শিশুটির বাবা-মা কান্নাকাটি শুরু করে দেন। এতে আশেপাশের লোকজন ভীড় জমান। পরে জাতীয় সেবা নম্বর ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার (সদর জোন) ফাহিম আসজাদের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এ সময় জাকিয়ার অসংলগ্ন কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শিশু রিয়াদকে অপহরণের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে জাকিয়া। এ সময় সে জানায় তার বোন আঁখির মাধ্যমে শিশুটিকে বগুড়ায় পাচার করা হয়েছে।
পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সহকারী পুলিশ কমিশনার ফাহিম আসজাদের নেতৃত্বে একটি টিম রাতেই বগুড়ায় গিয়ে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে অপহরণের পর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারী জাকিয়া ও তার বোন আঁখিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা শিশু অপহরণকারী দলের সক্রিয় সদস্য বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাছ-মাংসসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। আজ ১৫ মার্চ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪ (ঝ) ধারার ক্ষমতা বলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিম্নোক্ত দামে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো।
নতুন এ দাম তিনটি স্তরে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। একটি পণ্য উৎপাদক পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম, পাইকারি বাজারে এবং ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা দাম কতো হবে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, পাইকারি বাজারে ছোলার দাম সর্বোচ্চ সাড়ে ৯৩ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৯৮ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। মসুর ডালের খুচরা পর্যায়ে দাম হবে ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা এবং মোটা দানার মসুর বিক্রি হবে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সায়। খেসারি ডালের খুচরায় সর্বোচ্চ দাম হবে ৯৩ টাকা। এছাড়া মাসকালাই ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা এবং মুগডাল খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ১৬৫ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি কেজি গরুর মাংসের সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৪ টাকা। এছাড়া ছাগলের মাংসের দাম ১ হাজার ৩ টাকা। আর মাছের মধ্যে চাষের পাঙাশের খুচরা দাম ১৮১ টাকা ও কাতলা মাছের দাম সর্বোচ্চ ৩৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা দরে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। এছাড়া প্রতি পিস ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ টাকা।
প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ টাকা এবং রসুন ১২০ টাকা ও আদা ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হবে। এছাড়া শুকনো মরিচের সর্বোচ্চ দাম হবে ৩২৭ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৬০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
অন্যদিকে সবজির মধ্যে বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ টাকা, প্রতিকেজি বেগুণ ও সিম ৫০ টাকা ও আলু সাড়ে ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৪ টাকা খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।
অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি জাহেদী খেজুর ১৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সাগর কলার হালি খুচরায় ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া চিড়ার খুচরা দাম ৬০ টাকা, বেসন ১২১ টাকা বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের ৬৪ জেলায় বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ২৩৫টি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে আবদুল মোমেনের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, এসব মামলার মধ্যে ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪টি দেওয়ানি এবং ২১ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৪টি ফৌজদারি।
আজ ৬ মে সোমবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় আরেক সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের ১০ জুন থেকে ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এক লাখ ১০ হাজার ৫৪৮টি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘৪০, ৪১ ও ৪৩তম বিসিএসের মাধ্যমে নন-ক্যাডার (নবম-১২তম গ্রেড) পদে সাত হাজার ৪৪৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারণ পর্যায়ে সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক কলেবর বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দপ্তর বা সংস্থার সংখ্যা বাড়লে পদ সংখ্যা বাড়ে এবং বাড়তি লোকবলের চাহিদা সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিসিএসে উত্তীর্ণদের চাকরি প্রাপ্তির সুযোগ বাড়তে পারে।’
বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মামলার জট কমাতে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এসংক্রান্ত আইন তৈরির কার্যক্রমও শেষ করে আনা হয়েছে। মামলার জট বেড়েছে সঠিক এবং তার সাথে সাথেও কিন্তু আমরা আদালত তৈরি করে বিচারকের সংখ্যা বাড়িয়েছি। এখনো যেটা আগে কখনো হয়নি, সেটা হচ্ছে―আগে কখনো বিচারকের পদ শূন্য হওয়ার আগে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস ক্যাডারে পরীক্ষা নিয়ে এটা রিজার্ভ বিচারকের ব্যবস্থা ছিল না। এখন কিন্তু আমরা সেটা করি যাতে কোনো বিচারক অবসরে গেলে সেই পদটা খালি না থাকে, দ্রুত যেন আমরা সেখানে বিচারক দিতে পারি।
দ্বিতীয় যেটা করা হচ্ছে, বিচারকের পদ সৃজন এবং আদালত সৃজন দুইটার জন্যই আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখেছি এবং সেইখানে ১৭৮টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেটা আসলে আমরা মনে হয় মালার জট কমানোর চেষ্টা করবে। মামলার জট কমানোর জন্য অন্যান্য চেষ্টাও হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘হাইকোর্ট বিভাগে অন্ততপক্ষে বিচারপতি ছিলেন ১০০ জন, এখন সেটা কমে এসেছে, অবসরে গেছেন অনেকে, আপিল বিভাগে গেছেন অনেকে। সে ক্ষেত্রে এখন নেমে এসেছে ৮৪ জনে।
রাষ্ট্রপতি তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে খুব শিগগিরই হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। বিচারপতি নিয়োগের জন্য আইন যেটা করার সেটাও কিন্তু আমরা শেষ করে এনেছি। হাইকোর্টেও বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে যে আইনটা সেটার জন্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলাপ করার জন্য খুব শিগগিরই একটা সময় ও তারিখ দেওয়া হবে।’
অনলাইন ডেস্ক :
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমান, স্ত্রী লায়লা কানিজ ও পুত্র আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিদেশে গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
আজ ২৪ জুন সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, ড. মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হুন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং/ ওভারইনভয়েসিং এর মাধ্যমে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তিনি ২০১১ সালে উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই বিভিন্ন হত্যা ও হামলার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ খাদ্য ব্যবস্থা সামিট+২ স্টকটেকিং মোমেন্টে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইট বুধবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। রোম থেকে ঢাকায় আসার পথে ফ্লাইটি কাতারের দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করে।
এর আগে ফ্লাইটটি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে ইতালির স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট) রোম ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
রোম থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে ইউএনএফএসএস+২ সম্মেলনে যোগ দিতে ২৩ জুলাই ইতালির রোমে পৌঁছেন।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে ২৪-২৬ জুলাই ইউএনএফএসএস+২ সম্মেলনটি ‘সাসটেইনেবল ফুড সিস্টেম ফর পিপল, প্লানেট অ্যান্ড প্রোসপারিটি : ডাইভার্স পাথওয়ে ইন এ শেয়ার্ড জার্নি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ২৪ জুলাই বিশেষ অতিথি বক্তা হিসেবে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে ভাষণ দেন।
ইউএনএফএসএস+২-এ ২০ জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ১৬০ টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২০০০ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা ‘ফুড সিস্টেম অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনেও অংশ নেন। একই দিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এফএও সদর দপ্তরে সদ্য উদ্বোধনকৃত বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এ ছাড়াও, ইতালির তিন মন্ত্রী-কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেস্কো ললোব্রিগিদা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি এবং বিচারমন্ত্রী কার্লো নর্দিও এফএও সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এএফও’র মহাপরিচালক কু ডংইউ, ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড অব এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (আইএফএডি) এর প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি হেনসলি ম্যাককেইনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের ১৫টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতগণকে নিয়ে আয়োজিত ‘আঞ্চলিক দূত সম্মেলনে’ যোগ দেন।
এ ছাড়া ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও দু’টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ‘জ্বালানি সহযোগিতা’ ও ‘সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি’ শীর্ষক দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিনিময় হয়।
শেখ হাসিনা ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।
সূত্র : বাসস