চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের বিরুদ্ধে এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার তানভীর আহমেদ আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে ফারুক আহমেদ ও গনেস চন্দ্র দাস নামে আরো দুজন শিক্ষক হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই বছর এসএসসি পরীক্ষায় আখাউড়া উপজেলার বিদ্যালয়গুলোর ফলাফল খারাপ হয়। এর মধ্যে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৭২ জন পাস করে। পাসের হার ৫৪.৫৫। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে বিদ্যালয়গুলোতে অভিভাবক সমাবেশ করছে শিক্ষা অফিস। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন।
মারধরের শিকার ইংরেজির শিক্ষক তানভীর আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, সমাবেশে পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ায় শিক্ষকদেরকে দোষারোপ করে বক্তব্য দেন কয়েকজন অভিভাবক। এ সময় প্রধান শিক্ষক ছাড়া অন্য শিক্ষকদেরকে সমাবেশে বসার ও কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। সমাবেশ শেষে বিদ্যালয়ের দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় দেবগ্রাম গ্রামের শেখ সোহেল ও জসিম উদ্দিন দেওয়ানসহ আরো একজন অভিভাবক এসে আমাকে কিল-ঘুষিসহ মারধর করে। এ সময় শিক্ষক ফারুক আহমেদ ও গনেস চন্দ্র দাস আমাকে রক্ষা করতে এলে তারাও হামলার শিকার হন।
তানভীর আহমেদ আরও বলেন, শেখ সোহেল হুমকি দিয়েছেন আমি বিদ্যালয়ে গেলে আমার হাত-পা ভেঙে ফেলবে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক ফারুক আহমেদ বলেন, শিক্ষকদেরকে অপমান করার জন্য কিছু লোককে সাজিয়ে সমাবেশে আনা হয়। তানভীর এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলছিল। এ সময় তারা তার ওপর চড়াও হন।
তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক কোনো ক্লাস নেন না। প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া অনেক ছাত্রছাত্রীকে চূড়ান্ত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এজন্যই ফলাফল খারাপ হয়েছে। সমাবেশে বিষয়গুলো আমাদেরকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ সোহেল বলেন, আমি ওই শিক্ষককে মারধর করিনি। উল্টো তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। হুমকি দেওয়ার কথা সত্য নয়।
এ বিষয়ে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। পরে শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে বিস্তারিত জানাব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। শিক্ষকের ওপর হামলা হয়ে থাকলে ঘটনাটি দুঃখজনক।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পাবলিক লাইব্রেরী পুন:নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন আজ ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন দশক আগের এ লাইব্রেরিটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দেড় দশক ধরে এখানে বই পড়ার কোনো পরিবেশ নেই। লাইব্রেরি সাময়িকভাবে উপজেলা পরিষদের একটি ভবনে স্থানান্তর করা হলেও পাঠক ছিলো না। এলাকার সুধী সমাজ দীর্ঘদিন ধরে পাবলিক লাইব্রেরিটি চালু দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন, পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মো. তানভীর ইসলাম, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক এনামুল হক মামুন, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাবলিক লাইব্রেরিটি এগিয়ে নিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানানো হয় । পাবলিক লাইব্রেরিটি লাল বাজার এলাকায় অবস্থিত। এটির আয়তন ৪.৮৩ একর।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন জানান, লাইব্রেরিটি নতুন করে নির্মাণে উপজেলা পর্যায়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়। পরে সেই সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়। প্রাথমিকভাবে কিছু বাজেট দিয়ে এটির পুনর্নিমাণ করা হবে। নীচতলায় কমার্শিয়াল লাইব্রেরি ও উপরতলা পড়ার জন্য উন্মুক্ত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি এর মাধ্যমে মানুষের মেধা মননশীলতার বিকাশে ভূমিকা রাখা যাবে ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি শেষে আখাউড়ায় ট্রেন যাত্রীদের সেবা প্রদান করেছে স্কাউট ও রোভাররা। আজ ৫ জুলাই বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমনকারী যাত্রীদেরকে ট্রেনে আরোহন, মালামাল উঠানো-নামানোসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করেছে স্কাউট সদস্যরা।
আখাউড়া রেলওয়ে জেলা স্কাউট দুই দিনব্যাপী ঈদ যাত্রী সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। ট্রেনে উঠা-নামায় সহযোগিতা, যাত্রীদের সুপেয় পানি পানের ব্যবস্থা এবং ষ্টেশন চত্বরে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে স্কাউটস সদস্যরা। সেবামূলক এ কাজে ৬টি স্কাউট গ্রুপের ৩০/৩৫ জন সদস্য অংশ নিচ্ছে।
জেলা স্কাউট সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহার ছুটি শেষে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন হয়ে হাজার হাজার ট্রেন যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে।
এসময় ষ্টেশনে প্রচুর ভীড় হয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্ট ট্রেন এবং ট্রেনের বগি খোঁজে পাওয়া এবং নারী-শিশুদের নিয়ে ট্রেনে উঠতে যাত্রীদের কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
এ অবস্থায় যাত্রীদের সুবিধার্থে আখাউড়া রেলওয়ে জেলা স্কাউট ২ দিন ঈদ যাত্রী সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। এ কার্যক্রমে অগ্নিবীণা, গোধুলী, সূর্য সৈনিক, হলি চাইল্ড, দিগন্ত এবং প্রত্যাশী রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপের স্কাউট ও রোভার এবং কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছে। এসময় যাত্রী সেবার পাশাপাশি অনলাইন টিকেটের রেজিষ্ট্রেশন করে দেওয়া হয়।
সেবা কার্যক্রমে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে জেলা স্কাউট সম্পাদক এস.কে. খাদেম সেলিম, সাবেক সম্পাদক আহসান কবির লিটন, সহকারী কমিশনার কাজী হান্নান খাদেম, সহকারী কমিশনার তোফাজ্জল আলী উজ্জল, হলি চাইল্ড সম্পাদক আকতারুজ্জামান রান, জেলা রোভার প্রতিনিধি মোঃ সাকিবুল হাসান, সূর্য সৈনিক যুগ্ম সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, রোভার রাব্বি চৌধুরী, গার্ল ইন রোভার সাদিয়া সুলতানা, স্কাউট নাসিবা হক, লামিয়া ইসলাম, পল্লী চিকিৎসক বিনা আক্তার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আজ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা অফিস।
আখাউড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
এসময় তৈরি পোষাকের দোকান, কসমেটিক্স ও মাংসের দোকান অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে রং ফর্সাকারী নিষিদ্ধ ক্রীম বিক্রির অপরাধে কসমেটিক্স ব্যবসায়ী ঝমঝম ষ্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা করা হয়। তাছাড়া এক দরের দোকান ব্যতীত তৈরি পোষাকে মূল্য ট্যাগ না লাগাতে ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করা হয়। মাংসের দোকান মালিককদেরকে মাংসে কৃত্রিম রং ব্যবহার না করতে বলা হয় এবং মূল্য তালিকা টানানোর জন্য সচেতন কনে অভিযানকারী দল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, সড়ক বাজারের অধিকাংশ কাপড়ের দোকানে কাপড়ের গায়ে মূল্য ট্যাগ লাগানো আছে। ক্রেতারা দরদাম করে ক্রয় করছেন। এক দরের দোকান না হলে এটা করা যাবে না এ ব্যপারে ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করেছি। রং ফর্সাকারী নিষিদ্ধ ক্রীম বিক্রিয় করায় এক কসমেটিক্স ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখে আমাদের অভিযান চলছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর আবির।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রথমবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তপথে ভারতে গেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ ৩ মে শনিবার দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ করেন।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ করেন। এর আগে, সন্তু লারমা সড়কপথে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আখাউড়ায় আসেন।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তিনি জানান, প্রথমবারের মতো তিনি এপথে ভারত যাচ্ছেন। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ছাড়াও মাতৃ-পিতৃ তর্পণ ও ধর্মীয় আচারাধি সম্পাদন অনুষ্ঠানে যোগদান করারও কথা রয়েছে তার।
সন্তু লারমাকে পাহাড়ে নিরাপত্তাসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিষয়াদি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সন্তু লারমা বলেন, একবার আসুন রাঙামাটি ঘুরে দেখে যান- তবেই বুঝবেন। এর বেশি কোনো কথা বলতে আগ্রহ দেখাননি সন্তু লারমা।
এ পথেই তিনি দেশে ফিরে আসবেন বলে তার ব্যক্তিগত সহকারী শ্যামল লারমা নিশ্চিত করেছেন। কখন আসবেন তিনি তা জানাতে পারেননি।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আলোচনা সমালোচনায় বহু নাটকীয়তার শেষে দুই মাস ১০ দিন পর খালাস হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা গুঁড়া পাথর। কাস্টমস জটিলতায় আটকে থাকা ২৭শ মেট্রিক টন গুঁড়া পাথরের মধ্যে অবশেষে ৭৭০ মেট্রিকটন খালাসের অনুমোদন পায়।
আজ ২৩ জানুয়ারি সোমবার সকাল থেকে ৭শত ৭০ মেট্রিক্স টন গুঁড়া পাথর খালাসের কার্যক্রম শুরু করেছে স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ।
জানা যায়, আশুগঞ্জ নৌ বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ফোরলেন রাস্তার কাজে ব্যবহার করার জন্য গত ১৩ নভেম্বর এই গুঁড়া পাথর গুলি আমদানি করা হয়। কিন্তু এ বন্দর দিয়ে এই পাথর আমদানির অনুমোদন না থাকার অজুহাতে আটকে দেয় কাস্টমস কতৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, আমরা যখন ২ মাস ১০ দিন আগে এলসির পুরো চালান ২ হাজার ৭শত মেট্রিক টন গুঁড়া পাথর আমদানি করি। আমদানির পর কাস্টমস থেকে আমাদেরকে জানানো হয় এ বন্দর দিয়ে এই পাথর আমদানির অনুমোদন নেই। এর পর থেকে কস্টমসের নানান জটিলতায় গুঁড়া পাথর গুলো বন্দরে আটকে যায়। পরবর্তীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এন বি আর) থেকে প্রথম চালানের ৭শত ৭০ মেট্রিক টন পাথর খালাসের অনুমোদন দেওয়া হয়। তারপরও আমাদের বন্দরে ১৯ শত ৩০ মেট্রিক টন গুঁড়া পাথর রয়ে যাবে। যার জন্য আমাদেরকে ২ মাস ১০ দিনে বন্দর মাশুল দিতে হচ্ছে ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এতে করে আমাদে অনেক আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোঃ সামাউল ইসলাম জানান,২ হাজার ৭ শত মেট্রিক টন গুঁড়া পাথরের মধ্যে ৭শত ৭০ মেট্রিক টন খালাসের অনুমোদন পাওয়ায় স্থানীয় সি এন্ড এফ এজেন্ট সকাল থেকে খালাসের কার্যক্রম শুরু করেছে।এতে করে ২ মাস ১০দিনে বন্দর মাশুল ফি আদায় হয়েছে ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, চূর্ণপাথর আমদানি করার অনুমতি না থাকায় ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। তবে চারলেন প্রকল্পের হওয়ায় এনবিআর বিশেষ ক্ষমতায় শর্তসাপেক্ষ ৭৭০ টনের ছাড়পত্র দিয়েছে। বাকিগুলোর জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআরে আবেদন করেছে।