চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ায় পৃথক স্থানে ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাকেল চালক নিহত হয়েছেন। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার বগুড়া সদর ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিন সকার ১০টায় বগুড়া সদরের নওদাপাড়ার ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাক-রংপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় নিহত হন মোস্তফা হায়দার (৪০)। তিনি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের পূর্নগোপীনাথপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক রংপুরের দিকে যাচ্ছিল। একই পথে মোস্তফা হায়দার মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে সদরের ফিলিং স্টেশনের সামনে ট্রাকটিকে অতিক্রম করতে যান মোটরসাইকেল চালক। এসময় ট্রাকটি বেপরোয়া গতিতে ছিল। অসাবধানতাবশত ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন মোটরসাইকেল চালক।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ট্রাক জব্দ হলেও চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। নিহতের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে সকাল ৯টায় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ট্রাকচাপায় নিহত হন জাকারিয়া হোসেন (২০)। দুপচাঁচিয়ার বার মাইল এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জাকারিয়া জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মাহমুদপুর বারাইল গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, জাকারিয়া হোসেন তার কর্মস্থল কাহালুর জোগারপাড়া টাইলস মিলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়। মোটরসাইকেলটি নিয়ে দুপচাঁচিয়া থানা বাসষ্টান্ড পার হয়ে বার মাইল এলাকায় গার্ডেন ভিউয়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক যাওয়ার সময় তাকে ধাক্কা দেয়। এসময় জাকারিয়া মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পরে গুরুতরভাবে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁদপুর শহরের পালবাজার এলাকায় জেনিথ সুইটস এন্ড বেকারি নামে প্রতিষ্ঠানে দধির মধ্যে চুল ও পোকা পাওয়া এবং দুই ডিম বিক্রেতার দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন বাজার তদারকির অভিযান পরিচালনা করেন।
তিনি বলেন, ডিমের দাম ক্রয়সীমায় রাখার স্বার্থে ভোক্তা অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় বিশেষ বাজার তদারকির অংশ হিসেবে শহরের পুরানবাজার ও পালবাজার এলাকায় ডিমের আড়ৎদার, পাইকারি বিক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মূল্য তালিকা, ক্রয় ভাউচার ও বিক্রয় ভাউচার তদারকি করা হয়। তন্মধ্যে মূল্য তালিকা না থাকায় মেসার্স কাউছার ট্রেডার্সকে ৩ হাজার টাকা, ভাই ভাই ট্রেডার্সকে ২ হাজার টাকা এবং দধিতে পোকা- চুল পাওয়ায় জেনিথ সুইটস বেকারি মালিককে ১০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযানে সহযোগিতা করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস দল। জনস্বার্থে এমন অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলে এই কর্মকর্তা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্রসৈকতে জোয়ারের সঙ্গে ভেসে এসেছে একটি মৃত পরপইস। আজ ৩ মার্চ রবিবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের টেকনাফ সৈকতের চৌকিদার পাড়ায় এটি ভেসে আসে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিআরওআই) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, রবিবার সকালে জোয়ারের সঙ্গে পরপইসটি ভেসে আসে। এটির দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ৯ ইঞ্চি। ওজন ৪৫ কেজি। বয়স আনুমানিক ৯ থেকে ১০ বছর।
পরপইসটির মাথায় রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর। তিনি বলেন, এর মাথায় রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ধারনা করা হচ্ছে, কোনো নৌযানের প্রপেলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্রাণীটির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার, অপরিকল্পিত পর্যটন, দখল, দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, বাসস্থান নষ্ট ইত্যাদি কারণে বিশ্বব্যাপী বন্য প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হিমছড়ি সৈকতে একই প্রজাতির একটি পরপইসের মৃতদেহ ভেসে এসেছিল। এই পরপইসটি উদ্ধারের পর বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিআরওআই) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন দেশে এর আগে পরপইস ভেসে আসেনি। গত ১৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এক নাগাড়ে সামুদ্রিক প্রাণীর মৃতদেহ ভেসে আসে। এর মধ্যে চারটি ডলফিন, অন্তত ৮০টি অলিভ রিডলি ও বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার বেলা ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৫৮জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উপলক্ষে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
সুবিধাভোগী অরুন মিয়া বলেন, স্ত্রী মরিয়ম বেগম ১৫ বছর আগে মারা যান। এরপর আর বিয়ে করিনি। ১৫ বছর ধরে চোখে দেখি না। টাইফয়েড জ্বর থেকে এমন হয়েছে। এলাকায় ভিক্ষা করে ও অন্যের থেকে সাহায্য নিয়ে চলতাম। তিনি বলেন, জমিসহ নতুন ঘর পেয়েছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি বলেন, বড় বোন ফরিদা খাতুনের স্বামী আলাই মিয়া ২০ বছর আগে মারা গেছেন। বর্তমানে বোন ও ভাগিনা লিটন মিয়াকে নিয়ে নতুন ঘরে থাকবো।
সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়ার দিনমজুর রাসেল মিয়া বলেন, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকতাম। ঠিকমতো ঘরভাড়া দিতে পারি না। ইটের নৌকায় শ্রমিকের হিসেবে কাজ করি। ১৫ বছর ধরে ইট নিয়ে কুমিল্লায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি।
সুবিধাভোগী মাহমুদা বেগম বলেন, আমার স্বামী সুলতান মিয়া রিকশা চালান। হার্টে সমস্যা, অসুস্থ। রিকশা চালাতে পারে না। শহরের ফুলবাড়িয়ায় ভাড়া থাকি। আড়াই হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিতে প্রতি মাসে কষ্ট হয়। ঘরের ভাড়া দিতে পারতাম না। নতুন ঘর দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
সদর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুবিধাবঞ্চিত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের পুনর্বাসন করার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প- ২ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ৫৮টি পরিবারকে ২ শতক জমিতে একটি সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করে ক শ্রেনীর ভূমিহীন ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। জেলায় মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৬ হাজার ১৪২টি। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে, দ্বিতীয় পর্যায়ে, তৃতীয় পর্যায়ে ও চতুর্থ পর্যায়ে (১ম ধাপ) মোট ৫ হাজার ৯৫২টি ঘর উদ্বোধন করা হয়।
বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের দেয়া ৫৮ টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমীরপাড়ায় ২৫টি পরিবারকে, সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামে ১২ টি পরিবারকে এবং ১৯৯৭ সালে চিনাইর গ্রামের লাখুনিয়া দিঘীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকের জীর্ণশীর্ণ ঘরের স্থলে ২১ টি একক গৃহ নির্মাণ করে পূর্ব থেকে বসবাসকারী এই ২১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তরের সময় প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে একটি করে গাছ উপহার দেন অতিথিরা।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, উপকারভোগীদের নিকট ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীতে অক্টোবরে গণপরিবহনে যুক্ত হচ্ছে ১০০ এসি বৈদ্যুতিক বাস বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ ৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৭তম সভা শেষে কমিটির সভাপতি শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের নগর পরিবহন বীরদর্পে এগিয়ে চলছে। এ বছরের মধ্যেই ১০০টি বৈদ্যুতিক বাস নামবে, যা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন পরিচালনা করবে।
তিনি আরো বলেন, এর মাধ্যমে আমরা ঢাকা শহরকে পরিবেশবান্ধব নগরে পরিণত করতে পারব। আমরা বায়ুদূষণের যে তকমা ছিল তা থেকে বের হতে পারব।