চলারপথে রিপোর্ট :
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লক্ষ্মীপুরে সুবর্না মুনতাহা রিজমি নামে এক কলেজশিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বখাটেরা। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত যুবক রিয়ান ও তার সহযোগীরা।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাইশমারা এলাকার কাতার প্রবাসী মুরাদ হোসেনের মেয়ে। অভিযুক্ত রিয়ান দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কালুহাজী সড়কের প্রবাসী শামীমের ছেলে। সে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের পোশাক পড়ে প্রতারণার মাধ্যমে ক্লাস করতো বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মাস ধরে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে রিজমিকে রিহান উত্যক্ত করতো। এরমধ্যে রিহান তাকে প্রেমের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু রিজমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে রিজমি তার পরিবারকে ঘটনাটি জানায়। এনিয়ে রিহানকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য পরিবারের কাছেও বিচার দেয় রিজমির মা। তখন রিহানের মা জানিয়েছে, রিহান আর কখনো রিজমিকে উত্যক্ত করবে না। কিন্তু এরপরও রিহান তাকে উত্যক্ত করতো। প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করতো। ঘটনার সময় ক্লাসের উদ্দেশে রিজমি বাড়ি থেকে কলেজে রওনা হয়। গাড়ি থেকে নেমে সামাদ স্কুল মোড় থেকে সে হেঁটেই কলেজ যাচ্ছিল। সে কলেজের গেইট পার হয়ে একটু সামনে আসলেই, রিয়ানরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে আক্রমণ শুরু করে। কিল-ঘুসি, ইট ও ছুরি দিয়ে মাথায় ও কপালে রক্তাক্ত জখম করে। তখন তার সঙ্গে আরও ১০-১২ জন ছিলো। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
কলেজছাত্রীর মা সুমি ভূঁইয়া বলেন, রিহান ও তার বন্ধুরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। কে বা কারা আমার মেয়েকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে এনে ফেলে রেখে গেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহবুবুল করিম বলেন, ঘটনাটি কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটেছে। অভিযুক্ত রিয়ান আমাদের ছাত্র না। রিজমিকে দেখতে হাসপাতালে কলেজের পক্ষ থেকে কয়েকজন শিক্ষককে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, চিকিৎসার জন্য গ্রামের মানুষকে যাতে ঢাকা-রাজশাহী দৌড়াতে না হয়, সে জন্য প্রতিটি জেলায় আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ডায়ালাইসিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং স্বল্প খরচে সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
আজ ৩ মার্চ শুক্রবার সকালে শহরের আমতলী এলাকায় অত্যাধুনিক জয়পুরহাট ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডায়ালাইসিস সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম, টিএমএস এস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আ. গফুর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সাবেক মেয়র আব্দুল আজিজ মোল্লা, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক তিতাস মোস্তফা, জয়পুরহাট ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডায়ালাইসিস সেন্টারের চেয়ারম্যান একরামুল প্রমুখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সরকারি কর্মকর্তা, বিশিষ্টজন ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
চিকিৎসকেরা জানান, জয়পুরহাটে প্রথম ডায়ালাইসিস সেন্টার চালুর মাধ্যমে জেলায় আধুনিক চিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। গরীব রোগীদের জন্য বিশেষ সেবা নিশ্চিত হবে এই সেন্টারে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করা অতীতের চেয়ে এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রসার ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে বাড়ছে নতুন নতুন হুমকি। ফলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনগুলো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা এখন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ও বিপজ্জনক অঞ্চলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, সেজন্য তাদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আজ ২৯ মে বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীর অধিকার ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের পদক্ষেপ ‘উইমেন স্পিচ অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাজেন্ডা’ তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩ হাজার ৩৮ জন নারী শান্তিরক্ষী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জাতিসংঘের শান্তি মিশন সম্পন্ন করেছেন। এখন দাবি আসছে, আরো নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করার। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল নিজেই আমাকে বলেছেন, আমরা যেন আরও বেশি করে নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ও জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছি। যেখান থেকে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকের অনুকরণে বর্তমানে সেন্ট্রাল আফ্রিকায় জাতিসংঘের শান্তি মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশের রক্ষীদের সহায়তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফস্টিন আর্চেঞ্জ তোয়াদেরার নামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। যার নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু-তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিক। বিদেশের মাটিতে জাতির পিতার নামে এমন সম্মাননা বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবের অধ্যায়।
অস্ত্র তৈরি ও প্রতিযোগিতা না করে সেই অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মানুষদের রক্ষার জন্য ব্যয় করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দ্বন্দ্ব সংঘাত যুদ্ধ আজ বিশ্বশান্তি বিঘ্নিত করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরাইলের হামলায় হাজার হাজার নিরীহ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা ইত্যাদি মানবজাতির জন্য এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঠিক জানি না এই সংঘাত বা এই যুদ্ধ মানবজাতির জন্য কি কল্যাণ বয়ে আনছে। অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়ত যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষের জীবনও তত বেশি দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে নারী-শিশু, তারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে। যুবকেরা অকাতরে জীবন দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব কিছু সমাধান করতে চাই। বিশ্বের এক বিশাল সংখ্যক মানুষ এখনো দারিদ্রসীমার নিচে রয়েছে। কোটি কোটি মানুষ দু’বেলা খাবার পায় না, শিশুরা শিক্ষা পায় না, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। যারা অস্ত্র তৈরি ও অস্ত্র প্রতিযোগিতায় এত অর্থ ব্যয় করছে, তাদের কাছে আমার আহ্বান, আমরা শান্তির কথা বলি কিন্তু সংঘাতে লিপ্ত হই কেন?
সরকারপ্রধান বলেন, এই যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, এই অর্থ যদি ক্ষুধার্ত মানুষের আহারের ব্যবস্থায়, শিক্ষায় ব্যবহার করা হতো, চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো তাহলে মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হতো, মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচতে পারত। কিন্তু এই সংঘাত মানুষকে আরও কষ্টের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সংঘাত নয়, যদি কোনো সমস্যা থাকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা, সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কাজ। অস্ত্র তৈরি আর প্রতিযোগিতা, এই অর্থটা যেসব দেশ এখনো জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে, সেই জলবায়ু অভিঘাত থেকে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য সেই ফান্ডে দিতে পারে এবং ক্ষুধার্ত ও শিক্ষা বঞ্চিতদের জন্য ব্যবহার করতে পারে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশে আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী কাজ করছে, তাদের রাষ্ট্র প্রধান, সরকার প্রধান বা মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা হয়, প্রত্যেকেই আমাদের শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আর এই প্রশংসা শুনে সত্যিই আমার গর্বে বুক ভরে যায়।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আমরা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়াও আমরা অন্য আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে অবদান রেখে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ডিসি ও ইউএনওদের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা দামের ২৬১টি নতুন গাড়ি কেনা প্রসঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যাদের জন্য গাড়ি কেনা হচ্ছে, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য।
নতুন গাড়ি কেনার ব্যাপারটি নৈতিক ও আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে কি না সাংবাদিকদের জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কেন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, আমি তো বুঝলাম না।
যখন পারচেজ কমিটিতে গাড়ি কেনার প্রস্তাব পাস হয়, তখন আমরা সবাই প্রশ্ন করেছিলাম যে আগে গাড়ি কেনা বন্ধ রাখতে একটি নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা এ নির্বাচনের প্রয়োজনে শিথিল করা হয়েছে বলেই ২৬১টি গাড়ি কেনার অনুমতি কাল দেওয়া হয়েছে। একটা সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য এটা অত্যন্ত প্রয়োজন। যাদের এ গাড়ি দেওয়া হচ্ছে, তারা এমন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অপরিহার্য।
আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে মাগুরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন আটতলা ভবন উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আমিত কুমার দে, জেলা প্রশাসক আবু নাসের বেগ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডুসহ অনেকে।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আটতলা বিশিষ্ট এ ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪৪ কোটি টাকা।
ভবন উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী সদর উপজেলার কাটা এলাকায় একটি জনসভায় যোগ দেন।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য ২৬১টি নতুন গাড়ি কেনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৩৮০ কোটি টাকা। জাতীয় নির্বাচনে সাধারণত ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ইউএনওরা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
মাগুরা গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ১২তলা ফাউন্ডেশনের এ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪৩ কোটি ৯৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ে এ ভবনের আটতলা পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে। এর আয়তন এক লাখ ১১ হাজার ১৩৬ বর্গফুট। এ ভবনে আটটি এজলাস, পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা হাজতখানা, ক্যাফেটেরিয়া, ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ ও গ্রন্থাগার রয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কৃষ্টি-সংস্কৃতি-সাহিত্যে বাঙালিরা অনেক দেশের চেয়ে উন্নত। উপমহাদেশেও অনেক ভাষাভাষীর চেয়ে আমাদের সংস্কৃতির ভিত গভীরে প্রোথিত। তাই আমরা কাউকে অনুকরণ করব না; বরং এই আকাশ-সংস্কৃতির যুগেও এমনভাবে সংস্কৃতি চর্চা করব, যাতে আমরা অনুকরণীয় হয়ে উঠতে পারি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কালচারাল জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ-সিজেএফবি আয়োজিত ‘২১তম পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই দেশজুড়ে সংস্কৃতি চর্চার জোয়ার বয়ে যাক। আগামী প্রজন্মকে আত্মকেন্দ্রিকতা ও মৌলবাদের দিকে ঝুঁকে পড়া থেকে রক্ষায় এর বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে গ্লোবাল টেলিভিশনের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, ই-কমার্স সংস্থা কিউকম ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিপন মিয়া, অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক অন্তর শোবিজ চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী এবং আয়োজক সিজেএফবির সভাপতি তামিম হাসান, প্রধান উপদেষ্টা এনাম সরকার ও সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমেদ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে অভিনেতা তারিক আনাম খান আজীবন সম্মাননা এবং সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, অভিনেত্রী শমী কায়সার, চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা, অনুষ্ঠান সংগঠক স্বপন চৌধুরী ও সাংবাদিক মোর্শেদ নোমান বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হন। পাশাপাশি নির্বাচিত সংগীত ও অভিনয় শিল্পীসহ সবার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
এর আগে দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের নিজ বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু সরকারি দলের নয়, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব একটি অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য ও অবাধ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা। আগামী নির্বাচনকেও অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ করতে সরকারি দলের যেমন দায়িত্ব আছে, বিএনপিসহ বিরোধী দলেরও দায়িত্ব আছে। কেউ যদি নির্বাচন বর্জন করে কিংবা প্রতিহতের অপচেষ্টা চালায়, তাহলে নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য করার দায়দায়িত্ব তাদের।
তিনি আরো বলেন, বিদেশিদের আনাগোনা সব সময় ছিল, তাদের আনাগোনা বেশি হওয়া ভালো। তারা বাংলাদেশের ওপর আগ্রহ দেখাচ্ছে, এটি দেশের জন্য ভালো। বাংলাদেশ যেহেতু ইমার্জিং ইকোনমি, বিদেশিরা একটু বেশি আসবে। আমাদের বাণিজ্য বহুমুখীকরণ হবে, আমরা আমাদের পণ্য বিক্রি করতে পারব।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ব্যাটারিচালিত এক অটোরিক্সা চালকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইলিয়াস হোসেন (৩২) লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরসীতা এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের মধ্য খলাপাড়া গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থেকে স্থানীয়ভাবে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালাতো।
কালীগঞ্জ থানার এস. আই রফিকুল ইসলাম লিটন ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে অটোরিক্সার ব্যাটারি চার্জ দেয়ার জন্য ইলিয়াস হোসেন তার বাসার সামনে অটোরিক্সা রেখে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেন। পরে বুধবার সকালে চার্জ দেয়া অবস্থায় অটোরিকশা মুছতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হন ইলিয়াস হোসেন। এ সময় স্থানীয়রা বুঝতে পেরে তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।