চলারপথে রিপোর্ট :
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লক্ষ্মীপুরে সুবর্না মুনতাহা রিজমি নামে এক কলেজশিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বখাটেরা। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত যুবক রিয়ান ও তার সহযোগীরা।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাইশমারা এলাকার কাতার প্রবাসী মুরাদ হোসেনের মেয়ে। অভিযুক্ত রিয়ান দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কালুহাজী সড়কের প্রবাসী শামীমের ছেলে। সে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের পোশাক পড়ে প্রতারণার মাধ্যমে ক্লাস করতো বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মাস ধরে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে রিজমিকে রিহান উত্যক্ত করতো। এরমধ্যে রিহান তাকে প্রেমের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু রিজমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে রিজমি তার পরিবারকে ঘটনাটি জানায়। এনিয়ে রিহানকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য পরিবারের কাছেও বিচার দেয় রিজমির মা। তখন রিহানের মা জানিয়েছে, রিহান আর কখনো রিজমিকে উত্যক্ত করবে না। কিন্তু এরপরও রিহান তাকে উত্যক্ত করতো। প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করতো। ঘটনার সময় ক্লাসের উদ্দেশে রিজমি বাড়ি থেকে কলেজে রওনা হয়। গাড়ি থেকে নেমে সামাদ স্কুল মোড় থেকে সে হেঁটেই কলেজ যাচ্ছিল। সে কলেজের গেইট পার হয়ে একটু সামনে আসলেই, রিয়ানরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে আক্রমণ শুরু করে। কিল-ঘুসি, ইট ও ছুরি দিয়ে মাথায় ও কপালে রক্তাক্ত জখম করে। তখন তার সঙ্গে আরও ১০-১২ জন ছিলো। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
কলেজছাত্রীর মা সুমি ভূঁইয়া বলেন, রিহান ও তার বন্ধুরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। কে বা কারা আমার মেয়েকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে এনে ফেলে রেখে গেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহবুবুল করিম বলেন, ঘটনাটি কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটেছে। অভিযুক্ত রিয়ান আমাদের ছাত্র না। রিজমিকে দেখতে হাসপাতালে কলেজের পক্ষ থেকে কয়েকজন শিক্ষককে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জের কৃতি সন্তান জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলমকে তার র্কমদক্ষতা, সততা, আন্তরিকতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার মাধ্যমে অপরাধ দমন কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা, পুলিশ সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার “প্রসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (বিপিএম)” পদকে ভূষতি করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স প্যারডে গ্রাউন্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলমকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানজনক এ পদকটি প্রদান করনে। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম উপস্থিত ছিলেন। এ পুরস্কার প্রাপ্তিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, রেঞ্জ ডিআইজি, রাজশাহীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি পদক প্রাপ্তির জন্য জেলা পুলিশের সকল সদস্যের র্অজন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি তার সকল সহকর্মীসহ জয়পুরহাট জেলাবাসির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সংশ্লষ্টি সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সপ্তাহের উল্লেখযোগ্য র্কমসূচি হল–ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, প্রধান বিচিারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়ীত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদ সচবি এবং আইজিপির সঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সম্মেলন। আইজি ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার পুরস্কার বিতরণ।এছাড়া পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মঅধবিশেনে গত এক বছররে কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরর্বতী বছরের কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে। পুলিশ সপ্তাহ ৩ মার্চ শেষ হবে। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ নুরে আলম বিগত ২০২২ সালের ২২ আগস্ট জয়পুরহাটরে পুলিশ সুপার হিসেবে জয়পুরহাট জেলায় যোগদান করনে। মোহাম্মদ নূরে আলম অত্যন্ত বিচক্ষণ, মেধাবী, দক্ষ ও বুদ্ধিদীপ্ত একজন র্কমর্কতা পুলীশ সুপার হিসেবে জয়পুরহাট জেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর হতেই জেলা পুলিশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন ও অপরাধ দমনে সাফল্য অর্জন, একই সাথে জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা প্রতিটি ক্ষণইে বৃদ্ধি পায়। সেলক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, কাগুজে ব্যবস্থার পরিবর্তে এখন থেকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রথমে টিসিবি পণ্য বিতরণ কার্যক্রমে যে নৈরাজ্য ও দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে তা স্বীকার করে নেওয়া দরকার ছিল। তা আমরা করেছি। সেটা দূর করতে ডিজিটালাইজ করে অনিয়ম দূর করার কাজ করছি।
আজ ৮ জানুয়ারি বুধবার সকালে তেজগাঁও বেগুনবাড়ি দীপিকার মোড়ে নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে শুধুমাত্র স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
টিসিবির কার্যক্রম বাড়ানো প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, টিসিবি মোট ১২ হাজার কোটি টাকার পণ্য ক্রয় করে। এতে সরকারি ভর্তুকি সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। অতএব টিসিবি একটি বড় ক্রেতা। টিসিবির ক্রয় কার্যক্রমে আমরা অধিক সংখ্যক ব্যবসায়ীকে সংযুক্ত করতে চাই। ১২ হাজার কোটি টাকার পণ্য ক্রয় হতে যদি এক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারি তাহলে আরও বেশি সংখ্যক উপকারভোগীদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দিতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যেই ৬৩ লাখ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। শুধু বিতরণ কার্যক্রম ন্যায়ভিত্তিক না, ক্রয় কার্যক্রমকেও আরও বেশি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করতে চাই।
সাময়িক মজুদদারির জন্য চালের বাজারে অস্থিতিশীল। চালের বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে; খুব শিগগিরই চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন।
আলুর বাজার প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, এ বছরের অভিজ্ঞতায় আগামী বছরের জন্য সরকারিভাবে আলু মজুদ করা হবে। সংরক্ষণাগারে আলু সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আমদানি করা আলু ও দেশে উৎপাদিত আলু সেখানে সংরক্ষণ করা হবে। আগামীতে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী একজন গ্রাহক ভোজ্যতেল ২ লিটার ২০০ টাকা, মশুর ডাল ২ কেজি ১২০ টাকা এবং ১ কেজি চিনি ৭০ টাকায় কিনতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবাল বক্তব্য রাখেন।
এ সময় নবনিযুক্ত টিসিবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. ফয়সাল আজাদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :
‘আপা’ বলতেই ক্ষেপে গেলেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার নিরুপমা পাল! আর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
কোনো এক সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কর্মীরা ‘আপা’ বলায় ক্ষেপে যান ওই চিকিৎসক।
রাগতস্বরে বলেন, ‘আপা’ না, তাকে ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে।
সম্প্রতি ২৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বিপ্লব শান্ত নামে এক সংবাদকর্মী নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন। যা মুহূর্তেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, নিরুপমা পাল মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি সিংগাইরে একটি মারামারির ঘটনায় আহতদের ইনজুরি সার্টিফিকেটে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গত ২৪ মার্চ বিকেলে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদকর্মী তার বক্তব্য জানতে হাসপাতালে গেলে ওই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
২৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালে ওই চিকিৎসকের ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, আপা আপনার নাম কি? নিরুপমা পাল জানিয়ে ওই চিকিৎসক রেগে গিয়ে বলেন, আপনি আমাকে ‘আপা’ বলছেন কেন?
এসময় পাশ থেকে আরেকজন জানতে চান, তাহলে আপনাকে কি ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে? তখন চিকিৎসক নিরুপমা পাল বলেন ‘হ্যা, অবশ্যই’। তখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, কেন আপনাকে ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে? এসময় ওই নারী চিকিৎসক পাশের একজনকে বলেন, আচ্ছা উনি কেন আমাকে হ্যারাস করতেছে বলেন। তখন অন্য একজনকে বলতে শোনা যায় যে, আপনিই তো প্রথমে শুরু করলেন!
এ বিষয়ে জানতে চিকিৎসক নিরুপমা পালের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি তার স্বামী ডা. পার্থ রিসিভ করেন। তিনি বলেন, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও নিয়ে তার স্ত্রী মানসিকভাবে কিছুটা বির্পযস্ত। এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চান না।
এদিকে বিষয়টি জানা আছে উল্লেখ করে মানিকগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোয়াজ্জেম আলী বলেন, স্থানীয়ভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটা মিমাংসা হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চার পুলিশসহ ৩৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের শতাধিক দোকান-পাট, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
৩০ আগস্ট বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌর শহরের নিউটাউন ও আমলাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ভৈরব থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক নাজমুল হোসেন, মাহবুব মিয়া, আ. রহমান ও রফিক মিয়া।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আহতদের মধ্যে শাহদাত হোসেন, মিলন মিয়া, আশিক মিয়া, দিলদার, নিপা বেগম, শুকমান মিয়া, সামী মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, বাদশা মিয়া, রবিন মিয়াকে ভৈরবের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত শাওন মিয়া ও বিল্লাল মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩০ আগস্ট বুধবার বিকাল ৫টায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শহরের নিউটাউন এলাকার সামী, সাজ্জাদ, শাওন, রবিন, বিজয় ও আমলাপাড়া এলাকার শাহাদাত, সঞ্জু, মোস্তাকসহ কয়েকজন যুবকের বাকবিতণ্ডের মাধ্যমে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় দফায় দফায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে রাত দশটায় উভয় পক্ষ লাঠি-সোটা, দা-বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ সময় নারী পুরুষসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, কিছু মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের ইন্দনে এঘটনা ঘটেছে। গত ২৭ আগস্ট মাদক নিয়ে আমলা পাড়া এলাকায় ভাঙচুর হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ ধরে আবারো সংঘর্ষটি ঘটেছে।
এ বিষয়ে নিউটাউন এলাকার মহরম আলী জানান, আমলা পাড়ার দুই টিম আনিশা একাদশ ও আমলাপাড়া একাদশের ফুটবল খেলা ছিল। খেলার মাঠে অফ সাইডকে কেন্দ্র করে রেফারিকে নিউটাউন এলাকার কয়েকজন যুবক মারধর করে। দুই টিমের খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের লোকজনের মাঝে মারামারি হয়। পরে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। পরে আবার রাত দশটায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম শিমুল বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় প্রায় শতাধিক বাড়িঘর ও দোকান-পাট ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি চাই দোষীদের খুঁজে বের করে সাজা দেয়া হোক। আমি পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে অসহায় দোকানি শফিকুল ইসলাম, চা দোকানি পাখি বেগম, দোকানি হৃদয়, বাচ্চু মিয়াসহ স্থানীয়রা জানান, মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। তারা কেন আমাদের দোকানপাট বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। আমরা গরীব মানুষ। দিনে আনি দিনে খাই। এখন আমাদের কি হবে। ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। শহরের নিউটাউন এলাকা ও আমলাপাড়া এলাকার যুবকরা দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। রবিবার রাতে মোংলা উপজেলার জোড়া ব্রিজ এলাকায় সড়কে পাশের গাছের সাথে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী মো. ইব্রাহিম হোসেন নিহত হন। তিনি মোংলা পৌরসভার শামছুর রহমান সড়কের সুলতান আহমেদের ছেলে।
অন্যদিকে আজ ৩১ জুলাই সোমবার সকালে বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কের ফকিরহাটের পিলজং এলাকায় ট্রাক চাপায় সজিব শেখ নামে এক নির্মাণ শ্রমিক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। তিনি খুলনার কপিলমুনি এলাকার রুস্তম সেখের ছেলে।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পুলিশ পরিদর্শক বাবুল আক্তার জানান, রবিবার রাতে একটি ফোন কোম্পানির স্থানীয় বিক্রয়কর্মী ইব্রাহিম হোসেন অন্যান্য দিনের মতো বিভিন্ন এলাকার কাজ শেষে মোটরসাইকেলে করে মোংলায় ফিরছিলেন। উপজেলার চিলার জোড়া ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপকে সাইড দিতে গিয়ে তার মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশের বাবলা গাছে সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে তিনি নিহত হন।
এছাড়া সোমবার সকালে বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কে কাজ করার সময় ফকিরহাটের পিলজং এলাকায় ট্রাক চাপায় সজিব শেখ ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।