বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে : সেতুমন্ত্রী

রাজনীতি, 30 August 2023, 425 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

banner

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলায় মেতেছে। এক এগারোর দুঃস্বপ্ন দেখছে তারা। বাংলার মাটিতে এই অশুভ খেলা খেলতে দেওয়া হবে না।’

ওবায়দুল কাদের আজ ৩০ আগস্ট বুধবার সচিবালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারি ঐক্য পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলামরা আন্দোলনে হোঁচট খেয়ে ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্ন দেখছেন। দুঃস্বপ্ন দেখছেন কিনা সেটাই বিষয়। তারা বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।’

তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনারে যায় না। বন্যা-জলোচ্ছ্বাসে যার অংশগ্রহণ নেই, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার পক্ষে বিবৃতি দিলেন। যে মানুষ বাংলাদেশের সুখে-দুখে নেই, তার জন্য দরদ কেন?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বলেই, সব অপরাধ থেকে অব্যাহতি পাবেন? তিনি শ্রমিকের টাকা মেরে খেয়েছেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ব্যক্তিরা ইউনূসের পক্ষে যেখানে বিবৃতি দিয়েছেন, সেই স্পেস কিনতে ২ মিলিয়ন ডলার লেগেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই টাকা কোথায় পেলো? এ অর্থ কোথা থেকে এলো সেটাও আজকে আমাদের জিজ্ঞাসা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে, এই ভূখন্ডকে নিয়ে বিশে^র অনেক মোড়লের অনেক স্বপ্ন আছে যারা ইউনূস সাহেবের মামলা স্থগিত করতে বলেন। মামলা কিভাবে স্থগিত হবে? আপনারা হাওয়ায় একটা বিবৃতি দিয়ে দিলেন। আবার এর সঙ্গে একটু, দ্বিধা লাগে যখন দেখি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে এ বিবৃতির সঙ্গে আবার আরেক পার্ট আছে। আসল কথা হলো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের সাধ, এটাকে সামনে রেখে বাংলাদেশে নির্বাচনকে বানচাল করা, নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ভন্ডুল করা।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য প্রমুখ।বাসস

Leave a Reply

সীমান্তে বিপুল পরিমান ভারতীয় মালামাল উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : সুলতানপুর ৬০ বিজিবি সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা Read more

আখাউড়ায় মাদকসহ গ্রেফতার ২

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়ায় মদ ও গাজাসহ দুই শীর্ষ মাদক Read more

প্রেমের টানে বিজয়নগরে ইউক্রেনের যুবক

চলারপথে রিপোর্ট : মেসেঞ্জারে পরিচয়। টানা দুই বছরের প্রেম। বাধা Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয়

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কার্ডধারী নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির Read more

বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও ড্রাম ট্রাকের Read more

বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফেলোশিপ অব অস্ট্রেলিয়া এর…

অনলাইন ডেস্ক : গত ২৮ বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো ঈগলভেল, সিডনির Read more

নৌবাহিনীর বাৎসরিক টেনিস ও স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাৎসরিক ‘টেনিস ও স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা-২০২৪’ Read more

অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে আশুগঞ্জ বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত

চলারপথে রিপোর্ট : নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে ২৭ ডিসেম্বর Read more

আখাউড়ায় বাসের ধাক্কায় অটোচালক নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়ায় আজ ২৮ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে বাসচাপায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক সভা…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের Read more

ইয়েমেনে ইসরায়েলের বিমান হামলা

অনলাইন ডেস্ক : ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা Read more

মধ্যরাতে সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে Read more

উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার পদত্যাগ

রাজনীতি, সরাইল, 31 December 2022, 1668 Views,

বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ

স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে সদ্য পদত্যাগ করা এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকাস্থ চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে তিনি লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার পুত্র মাঈনুল হাসান তুষার। উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) থেকে একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
জানা গেছে, বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া। রাজনৈতিক নানা টানাপোড়েনে বিএনপি’র আরও ৬ জন সংসদ সদস্যের সাথে আব্দুস সাত্তার ভূইয়াও দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ই ডিসেম্বর সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণা দিয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা করেছে। সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগের পর দলীয় উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতিও অসন্তোষের গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, জীবনের বেশির ভাগ সময় রাজনীতির সাথে জড়িয়ে থাকা উকিল সাত্তার এখন বয়সের ভারে ন্যুজ্ব। ১৯৭৯ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপির টিকেটে দুইবার এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে জোটকে আসনটি ছেড়ে দিলে টেকনোকেট কোটায় তিনি তিন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

এ ব্যাপারে তার পুত্র বলেন, পুরো জীবনটাকে বিএনপি’তে উৎসর্গ করলেও দল বর্তমানে দল খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। দলীয় গুরুত্বপূর্ণ কোন সিদ্ধান্ত নিতে উনাকে ডাকছেন না। দলের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে আমার বাবার আর প্রয়োজন নেই। তাই তিনি নিরিবিলি থাকাটাই শ্রেয় মনে করেছেন। তাই পরিবারসহ সকল আত্মীয়-স্বজনের সাথে পরামর্শ করেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।

তুষার বলেন, আমরা এই উপনির্বাচন নিয়ে ভাবছি না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন উপজেলায় যারা নির্বাচিত হলেন

নবীনগর, বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 6 June 2024, 1029 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস) প্রতীক ৯২,৫৫২ ভোট পেয়ে বে-বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৪ ভোট।

banner

বিজয়নগর উপজেলায় জাবেদ আহমেদ (আনারস) প্রতীক ৪৫ হাজার ১৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৮৫ ভোট।

নবীনগর উপজেলায় মো. ফারুক আহম্মেদ (আনারস) প্রতীক ৫৮ হাজার ৩৪৭ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৮১ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটি জানায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃংখলা বাহিনী ছিলো তৎপর। বিভিন্ন অভিযোগে ১০৭ মামলায় ৩ লাখ ৮২ হাজার ৯ শত টাকা জরিমানা ও ৩৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির আন্দোলন ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের মুক্তির জন্য : মির্জা আব্বাস

জাতীয়, রাজনীতি, 18 February 2023, 1672 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি অশান্তি সৃষ্টি না করে তাহলে বিএনপি কখনও অশান্তি সৃষ্টি করবে না। শান্তির লক্ষ্যেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা। আর লুটপাটের জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা। বিএনপি কখনও চুরি-লুটপাটে বিশ্বাস করে না। বিএনপির এই আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। এ দেশের মানুষের মুক্তি, শান্তি ও দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যেই এই আন্দোলন।’

banner

আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর টাউনহল মোড়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তেল, গ্যাস, চাল, ডাল, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো এবং ১০ দফা দাবি আদায়সহ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে।

এ সময় মির্জা আব্বাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র মুক্ত করতে হবে। এ দেশের মানুষের কথা বলতে দিতে হবে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সেখানে যে জিতবে সেই ক্ষমতায় যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সেই নির্বাচন করবে না।

‘বিএনপি’র পাশে কোনো বন্ধু নাই’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের জবাবে বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশের বাইরে আমাদের কোন প্রভু নাই, আমাদের বন্ধু আছে। আর দেশের বাইরে যদি বন্ধু না-ই থাকে তাহলে প্রয়োজনও নাই। দেশের সাধারণ মানুষ বিএনপির বন্ধু।

ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, শরীফুল আলম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ।

বক্তব্য শেষে পদযাত্রাটি টাউন হল থেকে শুরু হয়ে নতুন বাজার, আমলাপাড়া হয়ে গঙ্গাদাস গুহ রোডস্থ বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

সংরক্ষিত নারী আসন : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনায় ৭ প্রার্থী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজনীতি, 2 February 2024, 597 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
গত ৩০ ফেব্রুয়ারি বসেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। আইন অনুযায়ী প্রথম অধিবেশনেই নির্বাচনে বিজয়ী দল বা জোটগুলোর প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে ৫০টি সংরক্ষিত আসন বন্টন করা হয়। সাধারণত ৬ আসনের বিপরীতে কোন দল বা জোট একটি সংরক্ষিত আসন পেয়ে থাকে।

banner

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা। আসন সমঝোতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটি মহাজোটের শরীকদল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয়।

নির্বাচনে ৬টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে বিজয়ী হয় আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা এবং ২টি আসনে বিজয়ী হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীগণ। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন (কলার ছড়ি) প্রতীকে বিজয়ী হন।

অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা, বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ এ.কে এমরামুজ্জামান আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেনকে হারিয়ে নির্বাচিত হন। ইতিমধ্যেই নতুন মন্ত্রী সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দু’জন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনের পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা ও গুঞ্জন। কে হচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হতে প্রায় ৭/৮ জন মহিলা নেত্রী ঢাকায় দৌড়ঝাপ করছেন।

এরা হলেন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সদ্য সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জোবেদা খাতুন পারুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী, নব্বই এর রাজপথ কাঁপানো নেত্রী মিসেস মিনারা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ ও এমবি কানিজ, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি শামীমা চৌধুরী বিথি, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুমা বেগম প্রমুখ।

মিনারা বেগমঃ রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান মিনারা বেগম স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতিতে হাতে খড়ি। তার পিতা মরহুম আবু তাহের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার কমিশনার ছিলেন। ১৯৭৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি ছাত্রলীগের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে যোগ দেন।

১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়া) হত্যাকান্ডের পর তিনি চরম প্রতিকূল পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া প্রতিটি মিছিল-সমাবেশে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

১৯৭৮ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা ও ১৯৮৯ সালে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা শারিরিকভাবে তৎকালীন সরকারের ক্যাডার বাহিনীর দ্বার বিভিন্নভাবে নাজেহাল হন।

তিনি ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেন। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও জেলা তথ্য অফিস ভাংচুর ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করলে তাঁকে প্রধান আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে দুটি মামলা হয়।

ওয়ান ইলেভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। বড় ছেলে আশিকুল আলম বাবলু (প্রয়াত) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি ছিলেন। এছাড়াও বাবলু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

মিনারা বেগম ২০২৩ সালে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় “সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” ক্যাটাগরিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জয়িতা সম্মানে ভ‚ষিত হন। তিনি বর্তমানে জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যনের দায়িত্ব পালন করছেন।

উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদঃ শিউলী আজাদ সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় নেতা ও সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম. ইকবাল আজাদের স্ত্রী। দলীয় গ্রুপিংয়ের কারনে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সরাইল সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ইকবাল আজাদ ঘাতকদের হাতে খুন হন। এর পর থেকে শিউলী আজাদ রাজনীতিতে যোগদান করেন ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারো তিনি প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে।

বিউটি কানিজঃ বিউটি কানিজ ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সদস্য। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ঢাকা মহানগর) শাখার সাবেক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাবেক শিক্ষা ও প্রক্ষিশণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এমবি কানিজ জানান, তিনি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন চাইবেন।

শামীমা চৌধুরী বিথিঃ শামীমা চৌধুরী বিথি ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সদস্য, তিনি ইডেন মহিলা কলেজ শাখার (১৯৯১-১৯৯২) সালে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। শামীমা চৌধুরী বিথি জানান, তিনি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন চাইবেন।

অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাতঃ অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি, সাপ্তাহিক গতিপথ’র সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখার সাবেক মহিলা সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

রুমা বেগমঃ-রুমা বেগম নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র- সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজির মিয়ার স্ত্রী। তার পিতা লে. গোলাম নূর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রুমা বেগম ও তার স্বামী নাজির মিয়া দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। রুমা বেগম জানিয়েছেন তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন চাইবেন।

বিষমুক্ত স্বদেশ বিনির্মাণে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে সরকার : সেতুমন্ত্রী

জাতীয়, রাজনীতি, 5 May 2023, 1554 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার বিষমুক্ত স্বদেশ বিনির্মাণের জন্যই বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

banner

তিনি বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো বিষাক্ত নয়, বরং বিষমুক্ত স্বদেশ বিনির্মাণের জন্যই বিরামহীনভাবে কাজ করে আসছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাস্যকর ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে ওবায়দুল কাদের আজ ৫ মে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বন্দুকের নলের মুখে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী নিষ্ঠুর স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্র কাঠামোকে বিষাক্ত করে গেছে এবং তার প্রতিক্রিয়া ও ক্ষত এখনও সমাজ-রাষ্ট্র বয়ে বেড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি রাজনীতির নামে রাষ্ট্র কাঠামোর সর্বত্রই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী আদর্শ এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিষ্ঠিত ও লালন-পালন করেছে। সময়ের সাথে সাথে বিএনপি একটি বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। সেই বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উন্নত-সমৃদ্ধ নিরাপদ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ এই জনপদের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপ্রদর্শক। সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণার পর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন শুধু নয়, এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য যে সরকার আইনগত বৈধতা ও স্বীকৃতি অর্জন করে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার বন্দরে পৌঁছে দিয়েছিল, সেই সরকার ছিল ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের জনপ্রনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত সরকার তথা আওয়ামী লীগ সরকার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের সংগঠন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার হিসাব তুলতে গিয়ে নিজের স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থানকেই সুস্পষ্ট করেছেন। ব্যক্তি স্বার্থে ও ক্ষমতার লোভে আদর্শচ্যুত কতিপয় দালাল, খুনি ও স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠীকে নিয়ে গঠিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের আওয়ামী লীগ সম্পর্কে এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য তাদের স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন যে স্বাধীনতা, তার ইতিহাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস; মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস; এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে যদি কেউ আওয়ামী লীগকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় তাহলে তারাই এ দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের প্রতি শতভাগ নিষ্ঠা রেখে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণই আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বিভেদের কথা বলছেন! এতে আমাদের আফসোস হয়। জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলার হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ যুদ্ধ করে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। জাতির পিতাকে হত্যার পর খুনি-ঘাতকচক্র স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পবিত্র চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রাজনৈতিক বৈধতা দিয়ে বিভেদের গোড়াপত্তন করেছিল সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতা বিরোধী, বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র, ভুঁইফোঁড়, দালাল রাজনীতিবিদ ও কালোবাজারীদের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম হিসেবে সৃষ্টি হয় বিএনপি। তখন এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা তখন নিজেদের পরিচয় দিতেও ভয় পেত। তথাকথিত সেনা অভ্যুত্থানের মিথ্যা অভিযোগে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর শত শত মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসার এবং শত শত মুক্তিযোদ্ধা সৈনিককে ফাঁসি দিয়ে ও ফায়ারিং স্কোয়াডে নৃসংশভাবে হত্যা করে জিয়াউর রহমান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপির মুখম-লে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতনের কলঙ্কের কালিমা রয়েছে। সেই কলঙ্কের কালিমা এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সঙ্গে তাদের সহ-অবস্থানের ঘটনা আড়াল করতেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন।

সূত্র : বাসস