চলারপথে রিপোর্ট :
খুলনার বটিয়াঘাটার ডেউয়াতলায় ইজিবাইক চালক শাওন হাওলাদার ওরফে বাবু (২২) হত্যায় ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন মোসলেম গাজী (৫৩), আনিছুর রহমান (৪২) ও রুহুল আমিন (৪০)। তাদের নিকট থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ৩০ আগস্ট বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
ইজিবাইক চালক শাওন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বর্শিবাওয়া গ্রামে সেলিম হাওলাদারের ছেলে। ২৬ আগস্ট খালিশপুর ভাড়াবাসা থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হওয়ার পর তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ২৭ আগস্ট বিকালে শাওনের লাশ বটিয়াঘাটার ডেউয়াতলা কাজীবাছা নদীর তীর থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ২৮ আগস্ট নিহতের পিতা সেলিম হাওলাদার বাদী হয়ে মামলা করেন।
পুলিশ ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল সেটসহ মোসলেম গাজীকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে লবনচরা রূপসা ব্রিজ এলাকা থেকে আনিছুর রহমান ও নতুন বাজার চর স্কুল গলি থেকে রুহুল আমিন গ্রেফতার হয়। এরা সবাই হত্যায় জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, ২৬ আগস্ট সন্ধ্যায় হত্যাকান্ডে জড়িত চার জন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শিববাড়ি থেকে দাকোপের পানখালী যাওয়ার জন্য শাওনের ইজিবাইকটি ভাড়া করে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডেউয়াতলা শ্মশানের নিকট পৌঁছে তারা কৌশলে শাওনকে নদী তীরে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ নদীতে ফেলে দিয়ে আসামিরা শাওনের ইজিবাইক, ব্যবহৃত মোবাইল ও তার পকেটে থাকা ২৬০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। বাকি অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সে ইজিবাইক নিয়ে রূপসা ব্রিজ পার হয়ে বাগেরহাটের দিকে গেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রাজনীতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি আরও বলেন, সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।
আজ ৪ অক্টোবর বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, এটা আইনি ব্যাপার। এখানে রাজনীতির কোনো প্রশ্ন নেই। তার (খালেদা জিয়া) পরিবার দরখাস্ত করেছিল, সেটা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আইনে কোথাও নাই এই দরখাস্তে তাকে বিদেশে যাওয়ার পারমিশন দেয়া যায়। বিদেশ যেতে পারবেন না বলে আগেই শর্ত দেয়া ছিল, এখন সেটিকে পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই।
যে দুই শর্তে খালেদা জিয়াকে দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছে তা পরিবর্তন করা যায় কি না-এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনে আছে শর্তযুক্ত অথবা শর্তমুক্ত। শর্ত যদি দেয়া হয় তা মানতে হবে। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা তিনি তা প্রয়োগ করেছেন, এটা পুনরায় প্রয়োগ করার সুযোগ নেই।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়ে আইনমন্ত্রী কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে দোষ স্বীকার করে চাইতে হয়। বিষয়টি যিনি ক্ষমা চাইবেন তার বিষয়। এটা হচ্ছে সাংবিধানিক অধিকার, যে কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে স্থাপন করা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার দুপুরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১নং কূপে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মৃতি ফলকটির উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয় করে রাখতেই তার স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডসহ পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে শাহাদাত বরণের মাত্র ছয় দিন আগে বঙ্গবন্ধুর পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড কেনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তেই সোনার বাংলা গড়ার ভিত তৈরি হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার জন্যই অর্থনৈতিকভাবে বিশ্ব-দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার ও পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।
স্মৃতিফলক উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, সকল কূপ থেকেই গ্যাস উত্তোলনের জন্য স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে যেসব কূপ বন্ধ আছে, সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে চালুর কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিতাসের নতুন আরও কিছু কূপ অনুসন্ধান এবং বর্তমানে যে স্তর রয়েছে তারচেয়ে আরও গভীরে গিয়ে গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা করছি আমরা।
অনুষ্ঠানে বিজিএফসিএল, পেট্রোবাংলা, গ্যাস ফিল্ডস এবং বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেল অয়েলের কাছ থেকে তিতাস, বাখরাবাদ, রশিদপুর, হবিগঞ্জ ও কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাভুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর কেনা পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে তিনটি পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে। আর পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডে বর্তমানে মজুত আছে ৫ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। যার বাজারমূল্য ৩ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা।
বরিশাল প্রতিনিধি :
জলবায়ু সংকটের পাশাপাশি বায়ু দূষন প্রাণঘাতি হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালে নির্মল বায়ু আইনের খসড়া তৈরি হলেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। সরকার ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫’ এর অধীনে বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০২২ জারি করলেও এতে কোন সুফল মিলছে না। বায়ুদূষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারকে এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। বরিশালে পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক এক আলোচনা সভার বক্তারা এসব কথা বলেন।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘নির্মল বায়ু আইন ও নবায়নযোগ্য শক্তির প্রয়োজনীয়তা, সম্ভাবনা ও বর্তমান পরিস্থিতি’ বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুব প্লাটফর্ম ইয়ুথ ফর কেয়ার’র উদ্যোগে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, দ্য আর্থ সোসাইটি এবং ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ যৌথভাবে বিষয়ক এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বরিশাল জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহেল মারুফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসবি) ইকবাল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় প্রথম সারিতে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দুর্যোগে প্রাণহানি কমলেও, ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। এ সংকট মোকাবিলায় জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের কোন বিকল্প নেই। বায়ু দূষণ সহ সকল ধরনের দখল-দূষণ বন্ধে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালাতে হবে।
আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, সবার সহযোগিতায় বরিশাল এলাকাকে জলবায়ু ঝুঁকি মুক্ত করতে হবে। তরুণরাও এই কাজের অংশ হয়ে একসাথে ইতিবাচক কাজের মধ্যে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি এ শহরকে একটি জলবায়ু নিরাপদ শহর হিসেবে বিশ্বদরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সমন্বিত কাজের পাশাপাশি নাগরিকদের জনমনে সচেতনতা সৃষ্টিতে তরুণরাই এগিয়ে আসবে। সবুজায়নের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দুষণকারী প্রতিষ্ঠানে কার্বন ট্যাক্স বসানোর পাশাপাশি ইটভাটা রুখে দিতে হবে, সবুজ ইট ও হলোগ্রামের ব্যবহার বাড়ানো, গণপরিবহন ও সাইকেলিংয়ের প্রসার ঘটাতে হবে, পৃথক লেন করা, বায়ু দুষণ ও জীবাশ্ব জ্বালানির বিরুদ্ধে জনমত ও আন্দোলন গড়ে তোলার সুপারিশ জানানো হয়। আলোচনা সভায় মূল তথ্যপত্র উপস্থাপন করেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান। যুব নেতৃত্বের প্রচারাভিযান ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন আর্থ সোসাইটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোসলেহ উদ্দিন সূচক ও প্রোগ্রাম অফিসার মোহাম্মাদ মনোয়ারুল ইসলাম (মনিব)।
মূল তথ্যপত্রে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান বলেন, বায়ুদূষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারকেও এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন জরুরি। বিশ্ব বর্তমানে প্রাক শিল্প বিপ্লবের সময়ের ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী রাখতে হবে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এই মুহূর্তে আমরা বৈশি^ক উষ্ণতায় ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দিকে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে বায়ু দূষণ কমাতে আমাদের অবশ্যই নবায়নযোগ্য শক্তির উপর নির্ভরতা বাড়াতে হবে এবং অনবায়নযোগ্য শক্তির উপর নির্ভরতা কমাতে হবে। পাশাপাশি নির্মল বায়ু আইন অবিলম্বে পাশ করতে হবে, প্রয়োগ করতে হবে। সৌরশক্তির উপর নির্ভরতা বাড়াতে নবায়নযোগ্য শক্তিকে ব্যবসার একটি অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যবসায়ীদের আহবান জানান তিনি। আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রাশেদ খান, বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক জালিস মাহমুদ, বীর প্রতীক মহিউদ্দিন মানিক, বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাব এর সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার, বরিশালের বেলা প্রতিনিধি লিঙ্কন হোসেন, শহীদ আব্দুর রব সেরানিয়াবাত প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, প্রতীকি যুব সংসদের চেয়ারপার্সন আমিনুল ইসলাম’র (ফিরোজ মোস্তফা) প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা গেছেন বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের নেতৃত্বে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রতিনিধি দল।
আজ ১ সেপ্টম্বর শুক্রবার দুপুরে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলটি আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে আগরতলায় গমন করেন। আগরতলা প্রেসক্লাবের আমন্ত্রনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আগরতলায় যান। আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাব ও আগরতলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মধ্যে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের নেতৃত্বে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ স্থলবন্দরে পৌছলে জিরো পয়েন্টে তাদেরকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত দে। এ সময় আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশনের প্রথম সচিব আল-আমিন সীমান্তের জিরো পয়েন্টে সাংবাদিক প্রতিনিধিদলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দপূর্ন সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আগরতলার সাংবাদিক বন্ধুদের সাথে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে অংশ নিবো। আগরতলায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত এলাকা ঘুরে দেখবো। সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথেও আলোচনা করবো।
আগামী চার সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সাংবাদিকগন দেশে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল ফের কক্সবাজারে পৌঁছেছে। আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে ১৪ সদস্যর প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ আসেন। এ সময় অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামছু দৌজাসহ সরকারি কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির মিনিস্ট্রি অব সোস্যাল অ্যাফেয়ার্সের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ।
আরআরআরসি সামছু দৌজা বলেন, সম্ভব্য প্রত্যাবাসনকে সামনে রেখে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছেন। ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের দুজন সদস্যও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রয়েছেন। তারা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন।
রোহিঙ্গা নেতা খিন মং বলেন, ক্যাম্পে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা এসেছেন। অনেক রোহিঙ্গা দাবি তুলছেন, নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের। আমরা নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন চাই।
এর আগে, ১৫ মার্চ মিয়ানমার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে। সে সময় প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে মিয়ানমার ফিরে যায় দলটি। পরে ৫ মে বাংলাদেশ সরকার ও রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদল রাখাইন সফর করে।