চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশি দামে ডাব বিক্রি করায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে শহর রেলগেট ও স্টেশন রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান।
এসময় ডাবের দোকানে মূল্যতালিকা না থাকা এবং ক্রয়মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করায দুই ব্যবসায়ীকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে পুঁজি করে একটি অসাধু চক্র ডাবের দাম বাড়িয়েছে। আজ অভিযান পরিচালনা করে দেখা যায়, ৯০ টাকায় ডাব কিনে ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এ অপরাধে মো. শামীম নামের এক ডাব ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার এবং অপরজনকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতালের মধ্যে আটক হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ ২৯ অক্টোবর রবিবার সকাল ৯ টা ২০ মিনিট গুলশান বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে গিয়েছে।
জানা যায়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি জানান, মহাসচিবকে তার গুলশান দুইয়ের বাসা থেকে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
এর আগে বাসা থেকে তুলে নিতে উপস্থিত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, অসুস্থ একজন মানুষকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া মেনে নেয়া যায় না
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, রাত থেকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে।
তিনি বলেন, পুলিশ বাড়ির প্রধান গেট ভাঙার চেষ্টা করছে। যে কোনো সময় ভেতরে ঢুকে মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে যেতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে ডেস্ক :
চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৫ নভেম্বর বুধবার ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানার অলংকার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
তবে এটি নাশকতার ঘটনা নয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, এটি নাশকতা কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনা নয়। যাত্রীবাহী বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চট্টগ্রামে আসে। রাত ৩টার দিকে একে খান মোড়ে যাত্রী নামানোর সময় গাড়িতে আগুন ধরে যায়। শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খলিলুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আগ্রাবাদ স্টেশনের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রাত ৩টা ৪০ মিনিটে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। বাসটিতে ইঞ্জিন ওভারহিট হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামাতের চরিত্র হলো দুর্নীতি করা, অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করা।
তিনি আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে গণভবন থেকে টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, রাজশাহী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের (সন্দ্বীপ) আওয়ামীলীগ আয়োজিত ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ৭ জানুয়ারি দুর্বৃত্তপরায়নতার জবাব দিতে হবে ব্যালেটের মাধ্যমে। তিনি বলেন, এই নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য খুবই জরুরি। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেনা, তারা দেশটাকে ধ্বংস করে দিতে চায়।
তিনি ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেই পরিবেশ করে দেয়ার জন্য প্রার্থীদের প্রতি আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনতার জয় হবে। নির্বাচনটা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, শান্তিপূর্নভাবে মানুষ তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দেবেন। এখানে কেউ কাউকে বাঁধা দিতে পারবেন না। কোন প্রকার সংঘাত আমি চাইনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এবি তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫- (নবীনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিসেস নাছিমা মুকাই আলী ও মাউশির সাবেক মহাপরিচালক এবং ইউনির্ভাসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ফাহিমা খাতুনকে পরিচয় করিয়ে দেন।
সভাপতির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, একটি কৃষি কলেজ ও একটি মর্ডাণ স্টেডিয়াম করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান।
নির্বাচনী জনসভায় নতুন প্রজন্মের প্রথম ভোটার জান্নাতুল ফেরদৌস মীম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের একজন ছাত্র বক্তব্য রাখেন। এর আগে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভা উপলক্ষে দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ও বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে আওয়ামীলীগের কর্মী-সমর্থকরা নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রবেশ করতে থাকে। বিকেলের আগেই কানায় কানায় পূর্ন হয়ে যায় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ। জনসভায় নারীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। কর্মী-সমর্থকদের নৌকা-নৌকা শ্লোগানে প্রকম্পিত হয় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের চেয়ে পুলিশের দায়িত্ব বেশি। আইন অনুযায়ী আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই কেবল মামলা হবে। শুধু মামলা হলেই যেন গ্রেফতার করা না হয় সে বিষয়টিও বলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভালো ও খারাপ দিক খতিয়ে দেখতে একটা কমিটি কাজ করছে, যদি প্রয়োজন হয় এই আইন সংশোধন করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, রাজনৈতিক মামলা বলে কিছুই নেই। অপরাধ করলে মামলা হয়। সেই মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন আছে, সেগুলোর বিচার হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। বাকি ৭০ শতাংশ প্রচলিত ব্যবস্থার মতো নিয়োগ দেওয়া হবে। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে- আগামী নির্বাচনের পর এটা কার্যকর করা হবে।
তিনি বলেন, ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট যেটা করা হবে সেটা কন্ট্রোল করার জন্য নয়, প্রটেক্ট করার জন্য। এটা সংসদে নেওয়া হবে। যেভাবে আইন পাস হয়, ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় হবে এবং স্টেকহোল্ডারদের বক্তব্য শোনা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, পিপি ও জিপিদের (সরকারি কৌঁসুলি) আগে বেতন ছিল ২ হাজার ও ৩ হাজার টাকা, সেটাকে আমরা বাড়িয়েছি। আমি মনে করি, তাদের একটি সম্মানজনক অবস্থানে আনার জন্য এই বেতন কাঠামো বদলানো অত্যন্ত প্রয়োজন। আমার প্রস্তাব, ৬৪ জেলাকে ৩টি ভাগে বড়, মাঝারি ও ছোট জেলায় ভাগ করে বেতন কাঠামো প্রস্তুত করা হবে। বড় জেলার পিপির বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা, মাঝারি জেলার ৪৫ হাজার ও ছোট জেলার পিপির বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা।
তিনি আরো বলেন, কতগুলো সহকারী প্রসিকিউটর এবং অতিরিক্ত প্রসিকিউটর ও অতিরিক্ত জিপি থাকবেন সেটাও নির্ণয় করা হবে কী কী কোর্ট আছে সেটার ওপর নির্ভর করে। সে জন্য ২৬৭ কোটি টাকা আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়েছি, তারা বরাদ্দ দিতে রাজি হয়েছে। আমার মনে হয়, আগামী নির্বাচনের পরে যেই সরকারে আসুন না কেন, তারা এটা অবশ্যই বিবেচনা করবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বেশি মাছ ধরা এবং অন্যান্য মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে ভঙ্গুর সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতির হাত থেকে বিশ্বের মহাসাগর ও নদীগুলোকে রক্ষায় মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন (বিবিএনজে) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেনারেল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিংয়ের ট্রিটি ইভেন্ট চত্বরের গ্রাউন্ড ফ্লোরে বুধবার ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি’র অধীনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ কথা জানান। চুক্তিতে সাধারণ ঐতিহ্য হিসেবে বর্ণিত জেনেটিক সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান এবং নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী লিজে শ্রেইনেমাচারের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগদানের পাশাপাশি জলবায়ু গতিশীলতার ওপর সম্মেলন এবং ১৮তম এশিয়া সহযোগিতা সংলাপসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন।
মোমেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ বাকি দেশগুলোর জন্য রোল মডেল হয়ে উঠেছে। ধনী দেশগুলো মূলত কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবদান মাত্র ০.৪৭ শতাংশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধনী দেশগুলোকে প্রতি বছর জলবায়ু তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে না। তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা উচিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জলবায়ু তহবিল থেকে নামমাত্র অর্থ পেয়েছে। প্রতিশ্রুতি মেনে চলার জন্য ধনী দেশগুলোর রাজনৈতিক অঙ্গীকার দরকার।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদ উপস্থিত ছিলেন। খবর-বাসস