অনলাইন ডেস্ক :
ইতালির তুরিনে দ্রুতগতির ট্রেনে কাটা পড়ে পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো দুই জন।
গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরিন-মিলান সংযোগ রেললাইনে ওই শ্রমিকরা মেরামতের কাজ করছিলেন। এসময় একটি মালবাহী ট্রেন তাদের আঘাত করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটি ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ছুটছিল।
শ্রমিকরা জানিয়েছে, থামার আগেই তাদের কয়েক সহকর্মীকে বেশকিছুর দূর টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এসময় তাদের দুই সহকর্মী কোনো মতে সরে যেতে পেরেছেন।
ওই এলাকায় ছিন্নভিন্ন অবস্থায় মানব শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যক্ষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। ট্রেন চালক অক্ষত রয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, খুব দ্রুতই আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ চালু হবে। এই রেলপথের ভারতীয় অংশের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশের অংশের কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলছে। এই রেলপথ চালু হলে ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও গতিশীল হবে।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের শেষ লগ্নে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার আগরতলায় যান তিনি। বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে এদিন রাজধানীর আস্তাবল ময়দানে এক জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আগরতলা আখাউড়া রেলসংযোগ এর বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
পাশাপাশি আরো জানান ফেনী নদীতে সেতু হওয়ায় ত্রিপুরা এবং সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রে উন্নীত হবে আগামীতে। এর ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন ত্রিপুরার মানুষ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি সরকারের জন্যই ত্রিপুরা রাজ্যে একের পর এক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে।
নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এবার প্রচারে এসে ত্রিপুরাবাসীর কাছ থেকে যে সাড়া পাচ্ছি তা অভূতপূর্ব। মানুষের উৎসাহ বলে দিচ্ছে রাজ্যবাসী দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপি সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন। তাই পূর্ণ সমর্থন নিয়ে রাজ্যে আবার বিজেপি সরকার গঠিত হবে। মানুষ বিজেপি সরকারের উন্নয়ন কাজ দেখে খুশি, তাই বিজেপি আবার সরকার গঠন করবে।
বিরোধী কংগ্রেস এবং বামদের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি দলগুলোকে চান্দা এবং ধান্দাবাজ বলে আখ্যায?িত করেন। তাদের এসব কর্মকা-ের জন্য মানুষ তাদেরকে লাল কার্ড দেখিয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় করেছে বলেও মন্তব্য করেন মোদি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা, উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেব বর্মন ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য প্রমুখ নেতারা। সভাকে ঘিরে এদিন মাঠে প্রচুর সংখ্যক বিজেপি কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য এর আগে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে গত শনিবারও (১১ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপুরায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। সেদিন মোট দুটি সভা করেন। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথসহ এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও চলচ্চিত্র অভিনেতাও এবার ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
শপথ নেওয়ার একদিন পরই মালদ্বীপ থেকে ভারতকে সেনা প্রত্যাহার করতে বলেছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। আজ ১৮ নভেম্বর শনিবার তিনি জানিয়েছেন, সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে মালদ্বীপ থেকে তাদের সেনা সরিয়ে নিতে বলেছে।
ওই ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজুর সাথে সাক্ষাতেও একই কথা জানিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
মুইজ্জুর নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম বিষয় ছিল মালদ্বীপ থেকে বিদেশি সেনাদের সরিয়ে দেওয়া।
ভারতের নাম উল্লেখ না করেই মুইজ্জু বলেছেন, মালদ্বীপে কোনো বিদেশি সেনা থাকবে না। সূত্র: এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
ভারত সফররত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রেসিডেন্ট জগত প্রকাশ নাড্ডা ও জেনারেল সেক্রেটারি বিনোদ তড়ের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছে।
আজ ৭ আগস্ট সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বিজেপি প্রেসিডেন্ট জে পি নাড্ডার বাসভবনে তার সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিজেপির আমন্ত্রণে সফররত দলের নেতারা এরপর বিজেপির সদরদপ্তরে পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি বিনোদ তড়ের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন। আন্তরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ দুই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক নানা বিষয়ের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা, জঙ্গিবাদ দমন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিশেষ গুরুত্ব পায় বলে জানা গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ৯ মে মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী পাক রেঞ্জার্স।
ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক আকবর নাসির খান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। পুলিশের শীর্ষ ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইমরান খানকে কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সহিংসতা চালানোর চেষ্টা হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে, ইমরান খানকে গ্রেফতারের এই ঘটনার পরপরই ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে তলব করেছেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পেছনে কারা আছেন এবং কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তা অবিলম্বে হাইকোর্টকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আমির ফারুক বলেছেন, এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনকি সেটা যদি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও হয়।
দেশটির আরেক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করেছে পাক রেঞ্জার্স।
দেশটির বহুল আলোচিত আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানিতে অংশ নিতে যাওয়ার সময় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে পিটিআই চেয়ারম্যানকে হেফাজতে নিয়েছে পাক রেঞ্জার্স। তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত একাধিক এফআইআরে জামিন চাওয়ার জন্য আদালতে গিয়েছিলেন তিনি।
জিও নিউজ বলেছে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কালো ভিগো গাড়িতে করে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
টানা কয়েকদিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর মিয়ানমারের কাওলিন শহরের দখল নিয়েছে জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীরা। গত সোমবার কাওলিনের নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের হাতে ছেড়ে দিয়ে সেনা বাহিনী পিছু হটেছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে দেশটির জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীগুলোর জোট ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (নাগ)।
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ সাগাইংয়ে অবস্থিত কাওলিন কৌশলগত দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। কারণ কাওলিন জেলার সামরিক প্রশাসনিক কার্যালয়ের সদর দপ্তরের অবস্থান এই শহরে। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ বসবাস করেন কাওলিনে।
যেহেতু জেলার সামরিক প্রশানিক কার্যালয়ের শহর কাওলিনে, তাই এই শহরটির দখল করা মানে এক অর্থে পুরো কাওলিন জেলার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।
মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক জোট ‘নাগ’ একই সঙ্গে নিজেকে দেশটির ছায়া সরকার বলেও দাবি করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় নাগের প্রধানমন্ত্রী মান উইন খাইং থান বলেন, ‘জেলা শহর কাওলিন এখন আমাদের দখলে। কী যুগান্তকারী একটি বিজয়!’
এক্সে একটি ভিডিওচিত্রও পোস্ট করেছেন খাইং থান। সেখানে দেখা গেছে— কাওলিন সামরিক প্রশাসনিক কার্যালয়ের সেনা সদস্যরা কার্যালয়ের সামনে বিদ্রোহী জোট নাগের পতাকা উত্তোলন করছেন।
এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে জান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে কোনো কর্মকর্তা মুখ খুলতে রাজি হননি।
কাওলিন শহরের ২৮ বছর বয়সী এক বাসিন্দা নিরাপত্তাজনিত কারণে নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে এবং এই সংঘর্ষের আঁচ থেকে আত্মরক্ষা করতে কাওলিনের অধিকাংশ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছেন।
‘শহরে আর কোনো নিরাপদ স্থান নেই। প্রায় সবাই নিজের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে’, বলেছেন সেই বাসিন্দা।
২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পেয়ে সরকার গঠন করেছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। কিন্তু সেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং সেই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ক্ষমতা দখলের পর বন্দি করা হয় এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চিসহ দলটির অধিকাংশ উচ্চ ও ও মাঝারি পর্যায়ের নেতা ও আইনপ্রণেতাদের। এখনও তারা কারাগারে রয়েছেন।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী জনগণ অবশ্য সামরিক বাহিনীর এ পদক্ষেপ একেবারেই মেনে নেয়নি। বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই রাজধানী নেইপিদো, প্রধান শহর ও বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনসহ দেশটির ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের শুরুর দিকে শান্তিপূর্ণভাবে তা দমনের চেষ্টা করলেও একসময় বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয় জান্তা।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে হাজারেরও অধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এক পর্যায়ে গণতন্ত্রপন্থীরা জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দিতে থাকেন, গঠিত হয় ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট বা নাগ।
বেলজিয়ামভিত্তিক থিংকট্যাংক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মিয়ানমার বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রিচার্ড হোরসি অবশ্য মনে করছেন নাগ বেশিদিন এই শহর দখলে রাখতে পারবে না।
‘মিয়ানমারের যে বাস্তবতা, তাতে কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পক্ষে পার্বত্য অঞ্চলের কোনো প্রাদেশিক শহর দখল করে নেওয়া তেমন কঠিন নয়; তবে দীর্ঘসময় ধরে তা দখলে রাখা খুব কঠিন।’ সূত্র : রয়টার্স