চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বালুবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাকে চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় দৌড়ে আত্মরক্ষা করেন অটোরিক্সা চালক।
৩০ আগস্ট বুধবার বিকেলে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাউতুলী কুরুলিয়া সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শঙ্কর কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিকেলে একটি বালুবাহী ট্রাক কুমিল্লার দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি কাউতুলী সেতুতে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছনের দিকে আসতে থাকে। এসময় দাঁড়িয়ে থাকায় একটি খালি অটোরিক্সাকে ট্রাকটি পিষ্ট করে। তবে ট্রাকটি আসতে দেখেই অটোরিক্সাচালক দৌড়ে আত্মরক্ষা করেন। তাই কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এএসআই শঙ্কর কুমার বলেন, ঘটনার পর ট্রাক মালিক সমিতির স্থানীয় নেতারা অটোরিক্সার মালিকের সঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসা করেন। তারা অটোরিক্সাটির ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রেফতারকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তি ও চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে পুণর্বহালের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানববন্ধন হয়েছে। আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ছাত্র ও ছাত্রজনতার ব্যানারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী স্বপ্না আক্তার, আনিক হাসান, মোঃ শরীফ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা- কর্মচারীদের চাকুরীচ্যুত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে গ্রেফতার করতে হবে তা মেনে নেয়া যায়না। তাই বক্তারা, গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও চাকুরীতে পুণঃর্বহালের দাবি জানানোর পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে বৈষম্যদূর করার দাবি জানান। মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহরের কাউতলী পূর্বপাড়ায় তিতাস নদী থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি ম. মোজাফফর হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহরের কাউতলী পূর্বপাড়ায় তিতাস নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তিতাস নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। তার বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার উদ্যোগে গতকাল রবিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ হলে হয়ে গেল বর্ষাবন্দনা ও কৃতী সম্মাননা অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ উর রহমান।
জাতীয় শিক্ষাসপ্তাহ’২৩ -এ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি হয়ে বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে যারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে তাদেরকে প্রথমবারের মত সম্মিলন পরিষদের পক্ষ থেকে সম্মননা প্রদান করা হয়। কৃতী শিল্পীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন সংগঠনের উপদেষ্টা প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ,সভাপতি মানবর্দ্ধন পাল, সহসভাপতি সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, ডাঃ অরুনাভ পোদ্দার এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুদ উর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের সভাপতি ওসমান গনি সজীব, তিতাস আবৃতি সংসদের পরিচালক মনির হোসেন, এবং তরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি শামীম আহমেদ।
বরাবরের মতোই আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে এ সম্মেলক গানটি গাওয়ার মধ্যে দিয়ে অতিথিদের নিয়ে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়। তার পর পরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বিশিষ্ট নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ডা. আফরোজা মোমেন পরপর দুটি নজরুলসঙ্গীত গেয়ে শোনান। এছাড়া সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পীদের মধ্যে একটি করে বর্ষার গান পরিবেশন করেন তনুজা দেবনাথ, প্রিয়ম আচার্য,সাজ্জাদ হোসেন খান প্রান্ত, প্রান্তিকা সাহা প্রথা, অর্পিতা রায়,উপমা দেবনাথ,ইতি ঘোষ,অনন্যা কর্মকার অদিতি। আবৃত্তি পরিবেশন করেন সম্মাননা প্রাপ্ত কৃতী আবৃত্তি শিল্পী রেজা এ রাব্বি। জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রসঙ্গীতে প্রথম হওয়া তনুজা দেবনাথ যখন এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে গানটি পরিবেশন করছিলেন তখন পিনপতন নীরবতা নেমে এসেছিল পুরো মিলনায়তনে। মন্ত্রমুগ্ধের মত উপভোগ করেছেন শতাধিক দর্শক শ্রোতা।
কী-বোর্ডে ছিলেন আব্দুর রাহীম এবং তবলায় সুদীপ্ত সাহা মিঠু। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কোষাধ্যক্ষ জামিনুর রহমান এবং সংগঠনের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসিফ ইকবাল খান।
অংশগ্রহণকারী সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন –
১. তনুজা দেবনাথ (ঘ – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীত ও হামদ-নাতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম।
২. প্রিয়ম আচার্য (খ – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৩.প্রান্তিকা সাহা প্রথা (ক – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৪.উপমা দেবনাথ (গ গ্রুপ)
নজরুল ও উচ্চাঙ্গসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৫.অনন্যা কর্মকার অদিতি (ক গ্রুপ)
দেশাত্মবোধক গানে বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয়।
৬.ইতি ঘোষ (ঘ – গ্রুপ)
উচ্চাঙ্গসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৭.সাজ্জাদ হোসেন খান প্রান্ত (ঘ গ্রুপ)
নজরুলসঙ্গীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৮. অর্পিতা রায় (গ-বিভাগ)
রবীন্দ্রসংগীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৯.রেজা এ রাব্বী
আবৃত্তি (ঘ – গ্রুপ) বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১ জুন শনিবার সকালে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি।
বিচার বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পুলিশ কর্মকতাও বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয় বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক আদালতে বর্তমানে প্রায় ৪২ লক্ষ মামলা বিচারাধীন।
মামলা পরিচালনার জটিল প্রক্রিয়ার সাথে পুরাতন মামলার চাপের ফলে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্তি থেকে সাধারণ জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র ও সুবিধাভোগী জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে।
বর্তমান সরকার প্রাতিষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ কমাতে এবং দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ন্যায়বিচার সহজলভ্য ও নিশ্চিত করার জন্য ছোটোখাটো বিরোধের ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি ও প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার গ্রাম আদালতকে কার্যকর ভাবে সক্রিয়করনের উপর গুরত্বআরোপ করছে।
সভায় গ্রাম আদালতের বিরোধ মিমাংসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের এখতিয়ারাধীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯শত জন কৃষকের মাঝে শীতকালীন সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৩ নভেম্বর রোববার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগমের তত্ত্বাবধানে কৃষকদের মাঝে এই সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক তালুকদার ও সকল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রণোদনার কর্মসূচি আওতায় রবি ২০২৪-২৫ মৌসুমে সম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে শীতকালীন সবজির আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৯০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে।
কৃষকদের মাঝে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ, ব্রোকলি, লাউয়ে বীজ ও ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার এবং বিকাশের মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষককে ১হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।