চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চার পুলিশসহ ৩৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের শতাধিক দোকান-পাট, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
৩০ আগস্ট বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌর শহরের নিউটাউন ও আমলাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ভৈরব থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক নাজমুল হোসেন, মাহবুব মিয়া, আ. রহমান ও রফিক মিয়া।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আহতদের মধ্যে শাহদাত হোসেন, মিলন মিয়া, আশিক মিয়া, দিলদার, নিপা বেগম, শুকমান মিয়া, সামী মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, বাদশা মিয়া, রবিন মিয়াকে ভৈরবের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত শাওন মিয়া ও বিল্লাল মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩০ আগস্ট বুধবার বিকাল ৫টায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শহরের নিউটাউন এলাকার সামী, সাজ্জাদ, শাওন, রবিন, বিজয় ও আমলাপাড়া এলাকার শাহাদাত, সঞ্জু, মোস্তাকসহ কয়েকজন যুবকের বাকবিতণ্ডের মাধ্যমে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় দফায় দফায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে রাত দশটায় উভয় পক্ষ লাঠি-সোটা, দা-বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ সময় নারী পুরুষসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, কিছু মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের ইন্দনে এঘটনা ঘটেছে। গত ২৭ আগস্ট মাদক নিয়ে আমলা পাড়া এলাকায় ভাঙচুর হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ ধরে আবারো সংঘর্ষটি ঘটেছে।
এ বিষয়ে নিউটাউন এলাকার মহরম আলী জানান, আমলা পাড়ার দুই টিম আনিশা একাদশ ও আমলাপাড়া একাদশের ফুটবল খেলা ছিল। খেলার মাঠে অফ সাইডকে কেন্দ্র করে রেফারিকে নিউটাউন এলাকার কয়েকজন যুবক মারধর করে। দুই টিমের খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের লোকজনের মাঝে মারামারি হয়। পরে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। পরে আবার রাত দশটায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম শিমুল বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় প্রায় শতাধিক বাড়িঘর ও দোকান-পাট ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি চাই দোষীদের খুঁজে বের করে সাজা দেয়া হোক। আমি পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে অসহায় দোকানি শফিকুল ইসলাম, চা দোকানি পাখি বেগম, দোকানি হৃদয়, বাচ্চু মিয়াসহ স্থানীয়রা জানান, মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। তারা কেন আমাদের দোকানপাট বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। আমরা গরীব মানুষ। দিনে আনি দিনে খাই। এখন আমাদের কি হবে। ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। শহরের নিউটাউন এলাকা ও আমলাপাড়া এলাকার যুবকরা দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজার থেকে টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাতে অপহরণের শিকার হন তিন বন্ধু। অভিযোগ উঠে, স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় পাহাড়ি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করেছে। এরপর অপহরণকারীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তিন বন্ধুকে হত্যা করা হয়। আজ ২৪ মে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় তিন বন্ধুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব ও পুলিশ।
নিহতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়ার মোহাম্মদ ইউছুপ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান।
আজ বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব বিভিন্ন পাহাড়ে যৌথ অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে বাহারছড়ায় পাহাড় থেকে সন্ধ্যায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, টেকনাফ থেকে তিন বন্ধু নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বুধবার বিকেলে টেকনাফ দমদমিয়াসংলগ্ন গহীন পাহাড় থেকে তিন বন্ধুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আমাদের অভিযান চলমান।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল তিন বন্ধু কক্সবাজার থেকে টেকনাফে পাত্রী দেখার উদ্দেশ্যে রওয়া দেন। তাদের টেকনাফে সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুর বিল এলাকার রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ শফির ছেলে হেলালের বাড়িতে যাওয়ার দেখার কথা ছিল। টেকনাফে পৌঁছানোর সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি থামিয়ে একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসী তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। এর দুদিন পর তাদের হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার একটি ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তাদের হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
নিহত ইমরানের বাবা ইব্রাহিম বলেন, গত ২৫ দিন আগে আমার ছেলেসহ তিন বন্ধু টেকনাফে বেড়াতে এসে অপহরণের শিকার হয়। ঘটনাটি শুনে টেকনাফ থানায় জানাই। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, আজ পাহাড় থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও ছেলের মুখ দেখিনি।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, আমি এখনও পাহাড়ে অবস্থান করছি। র্যাবসহ আমরা বাহারছড়া গহীন পাহাড় থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। কিন্তু উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো কঙ্কাল হয়ে গেছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত বলতে না পারায় এক শিক্ষকের বেতন স্থগিত এবং শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নিদের্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে এ নির্দেশ দেন। ওই শিক্ষক হলো শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসন। এসময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেনকে কারণ দর্শানোর জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম মঙ্গলবার সকাল বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খোঁজ খবর নেন।
এক পর্যায়ে শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসেনকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ সঙ্গীত গাইতে না পারায় জেলা প্রশাসক রাগান্বিত হয়ে শরীর চর্চা শিক্ষকের বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
যতোদিন পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা শুদ্ধভাবে সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত বেতন স্থগিত থাকবে। এসময় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে বলেন জেলা প্রশাসক।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বলেন, ডিসি স্যার যে বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছেন বিষয়টি আমি জানি না। স্যার তো শোকজ করতেই পারেন।
জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডিসি স্যার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন খোঁজ খবর নেন সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত বলতে না পারায় ওই বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসন জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না পারায় তার বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
তাপমাত্রা বেশি কমে গেলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ করার বিষয়ে আজ নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। প্রাথমিকের বিষয়ে এ ধরনের কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা আসেনি।
তবে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে এলে সংশ্লিষ্ট জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে প্রশ্নের জবাবে উত্তম কুমার বলেন, স্কুল বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। আমরা প্রতিদিন আবহাওয়ার বুলেটিন দেখছি। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে তখন পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
এদিকে, তীব্র শীতে শিশুরা ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল বন্ধে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যাবে বলে ওই নির্দেশনায় বলা হয়।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মর্মে জানা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী) নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপপরিচালকরা ওই সব জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তদূর্ধ্ব না হওয়া পর্যন্ত) রাখার নির্দেশনা প্রদান করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্যাবের অভিযানে আজ ২৭ আগস্ট রবিবার ১১ জন দালাল ও আউটসোর্সিং কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাসপাতালের অভ্যন্তরের বিভিন্ন ওয়ার্ড জরুরি বিভাগ ও বহিঃবিভাগ থেকে তাদের আটক করে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জড়ো করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বেসরকারি সন্ধানী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই কর্মচারি অনুমতি ছাড়াই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢুকে রোগীর রক্ত সংগ্রহ করেছেন। তাদেরকে ডায়াগনস্টিক রিপোর্টের জন্য হাসপাতাল থেকেই ফোন করেছিলেন কমিশনপ্রাপ্ত ওয়ার্ড বয়। এর বাইরে বেশ কয়েকজন আউটসোর্সিং কর্মচারি রয়েছেন যাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও কোম্পানী থেকে প্রাপ্ত পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে কমিশনের বিনিময়ে হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফুল ইসলাম দালাল চক্রের দুই জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ দিনের কারাদণ্ড এবং বাকি নয় জনকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
১৫ দিনের জেলা ও এক হাজার টাকা জারিমানার দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জ্যোতির্ময় শীল (২৮) ও লিটন মন্ডল (৩২)। জরিমানা দন্ডপ্রাপ্ত নয়জন হচ্ছেন- শিফাজুর রহমান, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, ফিরোজা খাতুন, ফারুক হোসেন, ওসমান শেখ, রিয়া বেগম, আরাফাত আকুঞ্জি, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও গোলম রাব্বারনী।
র্যাব-৬’র কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা বলেন, সাধারণ রোগীদের কথা মাথায় রেখে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সকল সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো দালাল মুক্ত করতে চাই। এর জন্য আগামীতেও আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাহাড়ি অস্ত্রধারী কেএনএফের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জঙ্গি হোক আর যাই হোক, যে নামেই আসুক তারা অস্ত্রধারী। তাদেরকে আমরা প্রতিহতের চেষ্টা করছি।
জঙ্গিরা কোন নামে আসছে, সেটা কোন বিষয় না। এছাড়া যারা এই জঙ্গিবাদের জড়িয়েছে তারা যদি এখনও সুপথে ফিরে আসতে চায়। তাহলে সরকার তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ ৭ মে রবিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ – বিজিবির ৯৯তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সকালে বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তিনটি জেলা যেহেতু দুর্গম এলাকায় পড়ে। এই জেলাগুলোতে বর্ডারও অনেকটাই দুর্গম এলাকায় সে কারণে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা সবসময় প্রয়োজন। এজন্য আমাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ভিজিলেন্স টিম কাজ করছে এবং তাদের সক্ষমতা অর্জনের জন্য তাদেরকে হেলিকপ্টার দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বর্ডার রোড তৈরি করতে যাচ্ছি। আমাদের বর্ডার রোডগুলো প্রস্তুত হয়ে গেলে জঙ্গিবাদের উত্থানের যে কথা বলা হচ্ছে সেগুলো থাকবে না। আমাদের বিজিবি-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্গম এলাকাগুলোতে আমরা নতুন নতুন বিওপি করার চেষ্টা করছি। এছাড়া বিজিবিতে লোকবল বৃদ্ধি করে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ওই জায়গাগুলোতে স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিজিবির যেসব ইকুইপমেন্ট (যন্ত্রপাতি) দরকার আমরা তা দেওয়ারও চেষ্টা করছি।