চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার আমতলী বাজারে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে রোগীদের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠছে।
উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার পূর্বে রোগী দেখতেন ডাঃ সুব্রত সাহা নামের একজন ডাক্তার। কিন্তু উক্ত ডাক্তার গত এক মাস যাবত পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে না আসলেও তাহার নামে নিয়মিত মাইকিং, হেনবিল বিতরণসহ মার্কেটিং করে যাচ্ছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। তাদের এই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বিজয়নগর উপজেলানহ আশেপাশের এলাকা থেকে বহু রোগী চিকিৎসা গ্রহন করতে এসে ডাঃ সুব্রত সাহা মনে করে বেনামি ডাঃ তপন দেবনাথ নামের এক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করে যাচ্ছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মাছুম ১ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার আমতলী বাজারে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সশরীরে উপস্থিত হন।
উপস্থিত হয়ে তিনি অভিযুক্ত ডাক্তার এর কাগজপত্র ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর সাথে কথা বলে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ কে বিস্তারিত অবগত করেন।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, বিজয়নগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মাছুম এর খবর পেয়ে উপজেলার আমতলী বাজারে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ গিয়ে বিস্তারিত জেনে ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৪ ও ৪৫ দ্বারায় হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অভিযুক্ত ডাঃ তপন দেবনাথ এর কাছ থেকে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে কখনো আর চেম্বার করবে না এবং এমন অনিয়মের সাথে কখনো জড়িত হবে না মর্মে লিখিত অঙ্গিকার নামা গ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে পাঁচ ভাইবোন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের মেরাসানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ ৫ ভাইবোন হলো- মেরাসানী গ্রামের আউশ মিয়ার মেয়ে জান্নাত (২) ও বর্ষা (৭), জজ মিয়ার মেয়ে তিশা (১) ও ছেলে আলামিন (৩), এবং শাহীন শাহের ছেলে শুভ (৪)। এদের মধ্যে বর্ষা, শুভ ও আলামিনকে রাত ৮টায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সম্পর্কে একে অপরের চাচাতো ভাইবোন।
অসুস্থ শিশুদের দাদা মো. মিয়াব আলী জানান, মেরাসানী এলাকায় নিজ বাড়ির পাশে ৫ শিশু খেলা করছিল। খেলার ফাঁকে বাড়ির পাশে ইঁদুরের গর্তে থাকা ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে ফেলে তারা। পরিবারের লোকজনই ইঁদুর মারার জন্য গর্তে বিষ রেখেছিলেন। পরে তারা ৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়লে জান্নাত ও তিশাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাকী তিনজনকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে তাদেরকে হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে ৫ শিশু অসুস্থের বিষয়টি জেনেছি। খোঁজ নেওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ২শ বোতল ফেনসিডিল সহ যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব -৯ এর সদস্যরা।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের পূর্ব কাশিনগর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারপূর্বক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ মুসলিম আহমেদ (২৫) উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিমনগর এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে।
র্যাব এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আভিযানিক রবিবার বিকালে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জব্দকৃত আলামতসহ আসামীকে বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯, সিলেট এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ জুন চতুর্থধাপে অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলা, বিজয়নগর উপজেলা ও নবীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২০জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১২জন, বিএনপির ৩জন ও স্বতন্ত্র ৫জন রয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, বিজয়নগরে ৬জন এবং নবীনগর উপজেলায় ৯জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখনের অনুজ মোঃ হেলাল উদ্দিন, সৌদি আরবের রিয়াদস্থ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী সেলিম রেজা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন ও স্বতন্ত্র আবদুল কারিম।
এছাড়াও সদর উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বিজয়নগর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেত্রী নাছিমা মুকাই আলী (নাছিমা লুৎফুর রহমান), উপজেলা বিএনপির সাবেক যুুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ আল জাবেদ।
অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলীর দেবর মোশাহেদ হোসেন ও বক্তিগত সহকারী হারুনুর রশিদ এবং যুবদল নেতা মোঃ আল জাবেদের ব্যক্তিগত সহকারী মুজিবুর রহমান।
এছাড়াও বিজয়নগর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নবীনগর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামীলীগের ৭ নেতা, বিএনপির ১ নেতা ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যাপক নুরুন্নাহার বেগম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এইচ.এম. আল আমিন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান, নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহ আলম, বিএনপির সমর্থক ফারুক আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবদুল মতিন।
এছাড়াও নবীনগর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চূক্তির (এপিএ)”র আওতায় বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নোয়াগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৃথক উঠান বৈঠক আজ ২ ডিসেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান সমূহে তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস এর সভাপতিত্বে ভিডিও কলে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাঠ প্রচার) ফাহিমা জাহান।
প্রধান অতিথি উপপরিচালক (মাঠ প্রচার) ফাহিমা জাহান ডেঙ্গু, শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দান, শিশু ও নারীর অধিকার, শিশুর যথাযথ বিকাশ, অটিজম, ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগকালীন নারী- শিশুর সচেতনতা, জেণ্ডার সমতা, নিরাপদ মাতৃত্ব, বাল্য বিবাহ, ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান সমূহে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমজাদ হোসেন খান, সহকারী শিক্ষক জিন্নাত সুলতানা, সহকারী শিক্ষক রুমা আক্তার, সহকারী শিক্ষক সালেমা বেগম, সহকারী শিক্ষক শিউলী বেগম, সহকারী শিক্ষক রোহেনা বেগু, সহকারী শিক্ষক মাজেদা আক্তার, সহকারী শিক্ষক মাহবুবা বেগম, সহকারী শিক্ষক তানজিনা আক্তার, সহকারী শিক্ষক জুলহাসা বেগম, সহকারী শিক্ষক আমেনা বেগম এবং নোঁয়াগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মাহবুব উল্লাহ ভুঞা, সহকারী শিক্ষক রুনা লাইলা, সহকারী শিক্ষক মোঃ আজাহারুল ইসলাম ভুঞা, সহকারী শিক্ষক তাহমিনা আক্তার, সহকারী শিক্ষক তানজুমা আক্তার সহ প্রায় ছয় শতাধিক নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ডাকবাংল থেকে চান্দুরা পুরাতন বাজারের রাস্তা সংস্কার কাজ চলছে। উক্ত রাস্তায় একটি কালভার্ট নির্মাণকে কেন্দ্র করে শতাধিক পরিবার দুর্ভোগে পরার আশংকা ভুক্তভোগীদের পক্ষে প্রাণেশ্বর বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর কালভার্ট বন্ধের আবেদন করেন।
উক্ত লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, প্রাণেশ্বস বিশ্বাসের নিজস্ব পুকুরের তিন দিকে বসতবাড়ির লোকজন উক্ত পুকুরের পানি ব্যবহার করে গোসল ও প্রয়োজনীয় কাজ করেন। পাশাপাশি উত্তর দিকে রয়েছে একটি মসজিদ ও পূর্ব দিকে রয়েছে একটি মন্দির। উক্ত দুইটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ও সকল কার্যক্রম উক্ত পুকুরের পানি দিয়ে করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ কোন কালভার্ট এর পানি নিষ্কাসন এই পুকুরে না থাকলেও হঠাৎ রাস্তা সংস্কার কাজ করতে গিয়ে নতুন করে একটি কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার কারনে চান্দুরা বাজারের অধিকাংশ ময়লা আবর্জনা কালভার্ট দিয়ে পুকুরে পরবে। তাতে পুকুরের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পরবে। এবং মাছ চাষ করার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, উপজেলার এলজিআরডি অফিসকে সার্বিক বিষয় দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।