অনলাইন ডেস্ক :
সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠিতব্য এ বছরের নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে আয়োজক নোবেল ফাউন্ডেশন। ওই তিন দেশের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানানোয় ক্ষোভ সঞ্চার হলে এই সিদ্ধান্ত নেয় ফাউন্ডেশন।
এর আগে ২০২২ সালে নোবেল ফাউন্ডেশন নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ও ভোজ সভায় রাশিয়া ও বেলারুশের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানায় ফাউন্ডেশন।
যদিও গত বৃহস্পতিবার ফাউন্ডেশন জানিয়েছিল, তারা তাদের পুরোনো রীতি অর্থাৎ সুইডেনে প্রতিনিধিত্বকারী সব দেশকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তে ফিরে যাবে। তবে এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়।
আজ শনিবার ফাউন্ডেশন জানায়, নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধ রক্ষায় নোবেল পুরস্কার যে বার্তা বহন করে তা তুলে ধরতে।
এক বিবৃতিতে ফাউন্ডেশন জানায়, ‘আমরা গত বছরের ব্যতিক্রমকে সাধারণ চর্চা হিসেবে আবারও গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আর এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানকে স্টকহোমে অনুষ্ঠিতব্য নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি না।’
ডেস্ক :
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণায় অভিযুক্ত বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা ভারতে জামিন পেয়ে পালিয়ে গেছেন। ভারতের মেখলিগঞ্জ থানায় প্রতি সপ্তাহে সশরীরে থানায় হাজিরা দেওয়ার শর্তে জামিন পেয়েছিলেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। এর আগে এক প্রতিবেদনের মাধ্যেম দেশটির পুলিশ সদর দপ্তর হাইকোর্টকে জানায় সোহেল রানা বর্তমানে আলীপুরের প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি ৪২ দিন ধরে সেখানে নেই।
পুলিশ জানায়, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ তার সাজা ঘোষণা করেন। এরপর থেকে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলেই ছিলেন। কিন্তু জেলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জামিনের আবেদন করেন সোহেল। পরে মেখলিগঞ্জ থানায় প্রতি সপ্তাহে সশরীরে হাজিরা এবং থানা এলাকার বাইরে যাওয়া যাবে না এমন শর্তে একই বছরের ৮ ডিসেম্বর তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
পুলিশ আরো জানায়, জামিন পাওয়ার পর থানায় এসে হাজিরা দেওয়ার পরিবর্তে তিনি একটি ই-মেইলের মাধ্যমে জানান শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য তাকে উন্নত চিকিৎসা নিতে থানা এলাকার বাইরে যেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে কোচবিহার জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু কাগজও থানায় ই-মেইল করেন তিনি। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ই-অরেঞ্জ কাণ্ডের পর ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের পর শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে এক বোনের কাছে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সোহেল রানা। ভূটান-নেপাল ও বাংলাদেশ সীমানা ঘেরা শিলিগুড়ি করিডোর থেকে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে। উন্মুক্ত ভারত-নেপাল সীমান্তের সুযোগ নিয়ে ফের নেপালে পালানোর চেষ্টা করতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারত থেকে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে ফেরার পথে আখাউড়া সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক সবুজ দাস (২২) কে আটক করেছে ২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
আজ ১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আব্দুল্লাহপুর নামক স্থান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত সবুজ দাস জেলার নাসিরনগর উপজেলা কুন্ডা ইউনিয়নের ইন্দ্রজিত দাসের ছেলে।
বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তির জানায়, আখাউড়া ফকিরমোড়া বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ২০২২/১০-এস হতে আনুমানিক ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আব্দুল্লাহপুর নামক স্থান হতে বাংলাদেশী নাগরিক সবুজ দাসকে আটক করা হয়। আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিক সবুজ জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, প্রায় ৪ মাস পূর্বে রাজ মিস্ত্রির কাজের সন্ধানে ভারতের আগরতলায় যায়। পরে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশী মানব পাচারকারী মোঃ নাঈম চৌধুরীর সহায়তায় আখাউড়া আবদুল্লাহপুর এলাকায় অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি কর্তৃক আটক হয়।
আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিককে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং মানব পাচারে সহায়তাকারী মোঃ নাঈম চৌধুরী বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) একটি প্রতিনিধি দল।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বন্দরের স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেন। প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন তাকেশী শিমোমোরা।
প্রতিনিধি দলটি আখাউড়া স্থলবন্দরের বিভিন্ন অবকাঠামো, বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও যাত্রী পারাপার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। মূলত বন্দরের কী কী অবাকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থায়ন করা যায়- সেটি যাচাইয়ের জন্যই জাইকার প্রতিনিধি দলের এ পরিদর্শন।
এ সময় আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান, আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া এবং আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নাসার ডাইভারসিটি, ইকুইটি এবং ইনক্লুশন (ডিইআই) বিভাগের প্রধান, ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীলা রাজেন্দ্রকে বরখাস্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি নির্বাহী আদেশ অনুসারে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এ ধরনের কর্মসূচি ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ছাঁটাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে কর্মীদের এক ই-মেইল পাঠিয়ে জানানো হয়, নীলা রাজেন্দ্র এখন আর জেপিএল-এ কর্মরত নন। আমাদের প্রতিষ্ঠানে তার অবদান ছিল গভীর ও স্থায়ী। আমরা তার ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই। এই বার্তাটি পাঠিয়েছেন জেপিএল-এর পরিচালক লরি লেশিন।
নীলা রাজেন্দ্রের চাকরি হারানোর ঘটনা হঠাৎ শোনালেও এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘ টানাপোড়েন। ডিইআই কার্যক্রম বন্ধের অংশ হিসেবে যখন নাসা বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাই শুরু করে, প্রায় ৯০০ জনের চাকরি যায়। কিন্তু নীলার পদটি তখনও অক্ষত ছিল, কারণ তার পদবি বদল করে তাকে রাখা হয়েছিল নতুন একটি বিভাগে, যদিও কাজের ধরন ছিল আগের মতোই। কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ২০২৪ সালের মার্চে ডিইআই কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় নাসা এবং এবার নীলা রাজেন্দ্রকেও ছাড়তে হলো তার প্রিয় কর্মস্থল।
নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিইআই প্রোগ্রামগুলো নাকি জাতি, লিঙ্গ ও বর্ণের ভিত্তিতে বিভাজন তৈরি করেছে, করদাতাদের অর্থের অপচয় ঘটিয়েছে এবং লজ্জাজনক বৈষম্যের জন্ম দিয়েছে। সেই ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ফেডারেল সংস্থা থেকে একে একে এমন কর্মসূচি তুলে নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র : এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
ব্যাংকক সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের আন্তরিকতাপূর্ণ একান্ত বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গতকাল ২৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানীর গভর্নমেন্ট হাউজে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।
দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ সবিস্তারে অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এ দিন গভর্ণমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনারে থাই প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।