চলারপথে রিপোর্ট :
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনা জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে জেলা শহরের নাগরা আয়শা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামাণিক। এ ছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকার প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, জেলার প্রশিক্ষণ অফিসার চন্দন কুমার মহাপাত্রসহ অন্যরা উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেন।
এতে জেলার কৃষি অফিসার, উপ-সহকারী, মাঠ অফিসার, কৃষক, জনপ্রতিনিধিসহ মোট ১৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, জেলার ধান ও বিভিন্ন রবিশস্যসহ মোট ২ লাখ ৩ হাজার ৭২৮ হেক্টর জমি এবার কৃষি ফলানোর আওতায় আনা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ট্রেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে নানা কড়াকড়ি ও তদারকির পরও থেমে নেই কালোবাজারি। এই কালোবাজারির কারণে সাধারণ ক্রেতারা সহজে টিকিট পান না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
আদতে টিকিট কাটার পুরো প্রক্রিয়া রক্ষণাবেক্ষণে যারা দায়িত্বরত, তারাই জড়িত এই কালোবাজারির সিন্ডিকেটে।
এই চক্রটি বিভিন্ন কারসাজি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে স্বাভাবিক সময়ে দেড় থেকে দ্বিগুণ দামে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে থাকে। আর ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন ছুটিকে কেন্দ্র করে টিকিটপ্রতি দাম বেড়ে যায় ৩-৪ গুণ পর্যন্ত।
বাড়তি এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ পায় সরাসরি সিন্ডিকেটে জড়িত সদস্যরা। আর বাকি ৫০ শতাংশ চলে যায় কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহজ ডটকমের কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের হাতে। যাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় শুধু দুটি সিন্ডিকেটের হাতেই প্রতিদিন চলে যাচ্ছে প্রায় ৫০০ টিকিট।
দেশব্যাপী ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাব। আজ ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার ২৪৪টি আসনের টিকিট, ১৪টি মোবাইল ফোন এবং টিকিট বিক্রির নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সেলিম (৫০), আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম (৬২), অবনী সরকার সুমন (৩৫), হারুন মিয়া (৬০), মান্নান (৫০), আনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু (৫০), ফারুক (৬২), শহীদুল ইসলাম বাবু (২২), জুয়েল (২৩), আব্দুর রহিম (৩২), উত্তম চন্দ্র দাস (৩০), মোর্শিদ মিয়া ওরফে জাকির (৪৫), আব্দুল আলী (২২) ও জোবায়ের (২৫)।
এদের মধ্যে সেলিম ও উত্তম চন্দ্র দাস ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির দুই হোতা, যাদের নিজেদের নামে ‘সেলিম সিন্ডিকেট’ ও ‘উত্তম সিন্ডিকেট’ পরিচিত।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে সেলিম এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনে উত্তমের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশিথা, চট্টলা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল।
সেলিম ও উত্তমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা উপযুক্ত সময় বুঝে সংগ্রহকৃত টিকিট নিয়ে রেলস্টেশনের ভেতরে অবস্থান করতেন। রেলস্টেশনে এসে টিকিট না পাওয়া সাধারণ যাত্রীদের কাছে তারা টিকিট বিক্রির জন্য ঘোরাঘুরি করতেন এবং অধিক মূল্যে টিকিট বিক্রি করতেন।
এছাড়া ট্রেন ছাড়ার সময় যতো ঘনিয়ে আসতো তাদের মজুদকৃত কালোবাজারি টিকিটের দাম তত বাড়তো। সুযোগ বুঝে অনেক ক্ষেত্রে টিকিটের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিতেন তারা।
ঈদসহ বিভিন্ন উপলক্ষে ছুটিকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তাররা প্রতিটি টিকিট ৩-৪ গুণ বেশি মূল্যে বিক্রি করতেন। সাধারণত প্রতিটি টিকিট তারা দেড় গুণ থেকে দুই গুণ বেশি দামে বিক্রি করতেন। এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ গ্রেপ্তাররা নিতেন এবং বাকি ৫০ শতাংশ কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহজ ডটকমের কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের দেওয়া হতো।
গ্রেফতার উত্তম ও সেলিম সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবত টিকিট কালোবাজারির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
যেভাবে টিকিট যেতো সিন্ডিকেটের হাতে
র্যাব জানায়, গ্রেফতার সেলিম এবং উত্তমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা প্রথমত ট্রেনের কাউন্টারে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ যাত্রী, রেলস্টেশনের কুলি, স্টেশনের আশেপাশের এলাকার টোকাই, রিকশাচালক ও দিনমজুরদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতেন। যেহেতু প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে চারটি টিকিট দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে চারটি করে টিকিট সংগ্রহ করার বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেওয়া হতো।
এছাড়া, কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকিট বুকিং কর্মচারীর যোগসাজশে তারা বিভিন্ন সাধারণ যাত্রীর টিকিট কাটার সময় দেওয়া এনআইডি সংগ্রহ করে রাখতেন। পরে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণকৃত প্রতিটি এনআইডি দিয়ে চারটি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতেন। এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক টিকিট সংগ্রহ করতেন।
অনেক ক্ষেত্রে টিকিট কাউন্টারে নিজেরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতেন চক্রের সদস্যরা। আবার অনেক সময় কৌশলে লাইনে অপেক্ষমাণ টিকিটপ্রত্যাশী সাধারণ যাত্রীদের এনআইডি ব্যবহার করে চারটি টিকিট ক্রয় করিয়ে তিনটি টিকিট নিজেরা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নিতেন।
এছাড়া, ঈদ, পুজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ করে গ্রেফতারকৃতরা রেলস্টেশনে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মচারী এবং অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সার্ভার রুম বা আইটির সদস্যদের সহযোগিতায় তাদের কাছে সংরক্ষিত জনসাধারণের এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে এমনকি সার্ভার ডাউন করে তারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতেন।
পাশাপাশি চক্রটি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়ে অনলাইনে টিকিট কেটে সেগুলো তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতো। এমনকি স্টেশনে থাকা তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের দিয়ে কাউন্টার থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিটও সংগ্রহ করতো। সেসব টিকিটের মূল্য কাউন্টারের বুকিং কর্মচারীদের সঙ্গে তারা ভাগ করে নিতো।
এভাবে গ্রেফতারকৃতরা অবৈধভাবে বিভিন্ন পন্থায় বিপুল সংখ্যক ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতেন। যার ফলে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি রেলওয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
র্যাব বলছে, গ্রেফতার সেলিম দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় টিকিট কালোবাজারির দায়ে ৭টি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন। তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত হন।
গ্রেফতার আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম প্রায় ১৫ বছর ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তিনি সেলিমের অন্যতম প্রধান সহযোগী। মূলত তার দায়িত্ব ছিল কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করা।
গ্রেফতার উত্তম প্রায় ১৫ বছর ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তার সহযোগী গ্রেফতার আলী ও ফারুকসহ রাজধানীর আশকোনা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং এই বিষয়টি কাজে লাগিয়ে রেলস্টেশন এলাকায় সব সময় অবস্থান করে টিকিট কালোবাজারি চক্র গড়ে তোলেন।
গ্রেফতার বাকিরা দেশের বিভিন্ন রুট সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন, যার ফলে তারা সেসব রুটের যাত্রীদের ম্যানেজ করে টিকিট বিক্রি করতেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমরা এই কালোবাজারির বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি, যারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত এমন কিছু নামও পেয়েছি। তাদের বিষয়ে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবো। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাউন্টারম্যান, সহজ ডটকমের কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। এমনকি স্টেশনে যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত এমন কয়েকজনেরও এই সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্বামীর দায়ের কোপে হাত-পা বিচ্ছিন্ন হওয়া সেই আকলিমা খাতুন (৩৫) মারা গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট নেওয়ার পথে আজ ২৬ আগস্ট শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হবিগঞ্জের আউশকান্দি নামক স্থানে তার মৃত্যু হয়।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে স্বামীকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ের করার অভিযোগে আকলিমা খাতুন (৩৫) নামে ওই গৃহবধূর হাত-পা কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের সোনাচং গ্রামের খেলার মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার মাত্র ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হলো।
গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী সুজন মিয়াকে (৩৮) আটক করেছে পুলিশ। সুজন ওই উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের সোনাচং এলাকার আহম্মদ আলীর ছেলে।
আত্মশুদ্ধি, নিজ নিজ গুনা মাফ, সকল বালা-মছিবত থেকে হেফাজত ও রহমত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে আজ ১৫ জানুয়ারি রবিবার আমিন, আমিন ধ্বনিতে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মোনাজাতে মুসলিম বিশ্বের কল্যাণ ও শান্তি চেয়ে লাখো মুসল্লি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন।
সকাল ১০টা থেকে ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ২০ মিনিট স্থায়ী এই আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মারকাজের তাবলিগ জামায়াতের সুরা সদস্য ও শীর্ষস্থানীয় নেতা মাওলানা ক্কারী মো. জোবায়ের হাসান।
আখেরি মোনাজাতে দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মার সুদৃঢ় ঐক্য, আখেরাত ও দুনিয়ার শান্তি কামনা করা হয়। এসময় দুহাত তুলে মহান আল্লাহ’র দরবারে ফরিয়াদ জানায় লাখ লাখ মুসুল্লী। এরআগে হেদায়তী বয়ান করা হয়। ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমানের হেদায়তী বয়ানের পর পরই শুরু করা হয় আখেরি মোনাজাত।
বিশ^ ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. মাহফুজ জানান, আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার রাত থেকেই ইজতেমাস্থল টঙ্গীর তুরাগ নদের তীর অভিমুখে মানুষের ঢল নামে। রবিবার সকাল ৯টার দিকে ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। শীত-ধুলো-বালি উপেক্ষা করে ৫-৬ কিলোমিটার দূরে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, কার, ট্যাক্সি ও অন্যান্য যানবাহন রেখে হেঁটেই মুসুল্লিরা ছুটে যান ময়দানের দিকে।
মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিমান বন্দর থেকে বোর্ডবাজার-গাজীপুরা-টঙ্গী-আশুলিয়াসহ বিভিন্ন সড়ক মুসুল্লিতে একাকার হয়ে যায়। যে দিকেই চোখ যায় শুধু পাঞ্জাবী-টুপি পড়া মানুষ আর মানুষ। ইজতেমা মাঠ বিস্তৃত হয়ে পড়ে গোটা মহাসড়ক, অলিগলি থেকে শুরু করে বাড়ি-ঘরের ছাদ সর্বত্রই ছিল মুসল্লি।
মোনাজাতে অংশ নিতে অনেকে ইজতেমার মূল ময়দানে ঢুকতে না পেরে পত্রিকা, পাটি, চট, জায়নামাজ, পলিথিন বিছিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন মুসুল্লিরা। অনেকেই আবার মোবাইল ফোনে র্দূদূরান্ত থেকে মোনাজাতে শরিক হন।
আখেরি মোনাজাতে নারীদের অংশ গ্রহণ: আখেরি মোনাজাতে কয়েক হাজার নারী অংশ নিয়েছেন। মূল ইজতেমা ময়দানে তাদের বসার কোন ব্যবস্থা না থাকায় তারা ময়দানের বাইরে খালি জায়গায়, কলকারখানা ও বসত বাড়ির ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন শতাধিক মহিলা। নরসিংদী থাকা আসা সানোয়ারা বেগম বলেন, আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার রাতে টঙ্গীতে এসেছি। কোথাও স্থান না পেয়ে হাসপাতালের চত্বরে অবস্থান নিয়েছি।
বিদেশী মেহমান: বিশ্বইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য জানান, ভারত, চীন, সৌদি, পাকিস্তান, ফিলিফিন, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কাতার, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য মুসুল্লী এবারের ইজতেমায় অংশ নেন।সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের ২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) এবং ২৭৬ লক্ষ্মীপুর-৩ নির্বাচনী এলাকায় শূন্য আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৫ নভেম্বর এই দুটি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ইসি।
আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শূন্য দুটি আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১১ অক্টোবর, বাছাই ১২ অক্টোবর ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৯ অক্টোবর। আর ভোটগ্রহণ করা হবে ৫ নভেম্বর। ব্যালট পেপারে এই উপনির্বাচন হবে।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে একাদশ সংসদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামালের মৃত্যুতে শূন্য হয় লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন। একই দিন আরেক আলোচিত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার মৃত্যুতে শূন্য হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুরে ডাকাতির ঘটনায় বিদেশী আগ্নোয়াস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় নগদ টাকা, ১টি বিদেশী পিস্তল, ২০ রাউন্ডগুলি, ১টি কেসি গেইট কাটার যন্ত্রসহ মালামাল উদ্ধার করা হয়।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার এসপি মো.শহীদুল ইসলাম তার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, সুধারাম থানা ও বেগমগঞ্জ থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন সদস্যরা বেগমগঞ্জ, লক্ষীপুর, রামগঞ্জ ও চাটখিল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন আরিফ হোসন (২৮), মো. জুয়েল (২৩), ইমরান হোসেন সুজন (৩০), মো. মাসুদ আলম (৪০) ও ফজর আলী ওরপে কেসি জাহাঙ্গীর (৪৫)।
জানা যায়, গত ৯ জুলাই বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর গ্রামের প্রবাসী বাহার মিয়ার বাড়িতে এ সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল লুট করা হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক রনি জানান, চৌমুহনীর হাজীপুর গ্রামের ডাকাত ইমরান হোসেন সুজন ওরপে খালাশি সুজনের সাথে ডাকাত জাহাঙ্গীরের জেল খানায় পরিচয় হয়। জেল থেকে বেরিয়ে পরিকল্পনা করে প্রবাসী বাহার মিয়ার বাড়িতে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করে নগদ টাকা সহ প্রায় ১২ লক্ষ টাকার বেশি মালামাল লুটপাট করে তারা। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, মাদক ও চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।