চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৮ কেজি গাঁজা এবং ৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় মাদকদ্রব্য বহনকারী ২টি প্রাইভেটকার ও ১টি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এবং শনিবার বিকেলে সরাইল উপজেলার বাড়িউড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ ও সরাইল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার আলাবক্সপুর গ্রামের মাজহারুল ইসলাম ইমন (২৩), একই উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের মোঃ মশিউর আলম (২২), একই উপজেলার খরশপুর গ্রামের মাজহারুল ইসলাম রাব্বি (২০), স্বপন মিয়া (২৭), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার কালিশিমুল গ্রামের মোঃ সাকিব মিয়া (২১) ও একই উপজেলার জালালপুর গ্রামের রিপন (২২)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহামেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সকালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেটকার ও মোটর সাইকেল তাদের আটক করা হয়। পরে প্রাইভেটকার ও মোটর সাইকেলে তল্লাশী চালিয়ে ৯৮ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মাজহারুল ইসলাম ইমন, মশিউর আলম, মাজহারুল ইসলাম রাব্বি ও স্বপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে সরাইল উপজেলার বাড়িউড়া বাজারে অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়। পরে প্রাইভেটকারে তল্লাশী চালিয়ে ৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ী সাকিব মিয়া ও রিপনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার সোনালী ব্রিকস এবং ভি, আই, পি ব্রিকসকে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবিনের নেতৃত্বে সরাইল উপজেলায় অবৈধ দুই ইটভাটায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে দেখা যায়, সোনালী ব্রিকস এবং ভি আই পি ব্রিকসকে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ২ লক্ষ টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় ও ফাইয়ার বিগ্রেড এর মাধ্যমে ব্রিকস এর আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়। অভিযানে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবিন।
এ সময় সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কায়ছার আলম, পুলিশ সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ফাঁকা স্টলে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রাণী প্রদর্শনী। ডেকোরেশনের লাল-নীল কাপড়ে সাজানো থাকলেও মেলায় দেখা মিলেনি আশানুরূপ খামারির। একটি স্টলে বিদেশি ২টি কুকুর থাকায় কিছু লোক দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেন। ২-১টি স্টলে দেখা মিলে কয়েকটি রোগা দেশীয় প্রজাতির গরুর। কাগজে প্রচারে দিনব্যাপী মেলা হওয়ার কথা থাকলেও দুপুরের আগেই সবশেষ। ১টার পরই অন্নদার মাঠ হয়ে পড়ে নীরব নিস্তব্ধ।
গতকাল ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় এমন চিত্র দেখা যায় অন্নদার মাঠের মেলায়। একাধিক খামারি বলছেন, এটি আইওয়াশ। দায় সারা মেলার নামে সরকারের টাকা লুটপাট করে খাওয়ার একটি কৌশল মাত্র। কর্তৃপক্ষ বলছেন, মেলার বাজেট বলা যাবে না।
সকল নিয়ম-কানুন মেনে সফলভাবে মেলা সম্পন্ন করেছি। পুরস্কার বিতরণের পর বেলা ১টায় মেলা শেষ করেছি। সরজমিন দেখা যায়, বৃহস্পতিার দুপুর ১২টা। সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে সদরের সরকারি অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চলছে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী। রঙিন কাপড়ে তৈরি করা হয়েছে ৪০টি স্টল। বেলা তখন ১২টা। অধিকাংশ স্টলই ফাঁকা। কয়েকটি স্টলে দেশীয় প্রজাতির কয়েকটি দুর্বল গরু। মেলায় প্রদর্শন করার মতো চাকচিক্য নেই গরুগুলোর। একটি স্টলে বিদেশি ২টি কুকুর। কুকুর দেখার জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে আছে কিছু লোক। ২টি স্টলে দাঁড়িয়ে আছেন ওষুধ কোম্পানির এমআর। তবে কোনো স্টলে চোখে পড়েনি নামি-দামি কোম্পানির কোনো এমআর। অনেক স্টলে শুধু সবুজ ঘাস ছাড়া কিছুই নেই। খাঁ খাঁ করছে মেলাস্থল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক খামারি বলছেন, মেলাটি মূলত খামারিদের। কিন্তু প্রকৃত খামারিরা বঞ্চিত। মুখ চিনে মুগের ডালের অবস্থা। এজন্যই ১২টার সময়ই মেলা ফাঁকা। পুরস্কারসহ যা কিছু হবে সব আগেই হয়ে আছে। এখন চলছে আইওয়াশ। এটা তো মেলার বাজেটের বড় অংকের টাকা লুটপাটের একটা কৌশল মাত্র। সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোছা. নইফা বেগম বেলা ১টার পর মেলা শেষ হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহে পানি ঢেলেও গরুগুলোকে সুস্থ রাখা যাচ্ছিল না। তাই মেলা সমাপ্ত করে দিয়েছি। ফাঁকা নয়, ৪০টি স্টলেই সক্রিয় ছিল। গবাদি পশু ছিল ৬৭টি। ৪টি স্টলে ছিলেন ওষুধ কোম্পানির এমআর’রা। ষাঁড় আর গাভী দুই ক্যাটাগরিতে আমরা পুরস্কার দিয়েছি। উভয় ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার ৩৫০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ২৫০০ টাকা আর তৃতীয় পুরস্কার দেয়া হয়েছে ১৫০০ টাকা করে। এছাড়া আমরা সান্ত্বনা পুরস্কারও দিয়েছি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না’ মেলার বাজেট তো বলা যাবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পুষ্টি, প্রজনন, স্বাস্থ্য ও কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ মে রবিবার অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মিলনায়তনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিটের আয়োজনে, সরাইল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের বাস্তবায়নে কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণির ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছে।
সরাইল পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা: তানজিদ তামান্নার সভাপতিত্বে ওই কর্মশালায় সহায়ক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অফিসের উপপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, সহকারী পরিচালক ডা: সোহেল হাবিব, ঢাকা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া ও সরাইল পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।
বক্তব্য রাখেন- মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুল, সরকারী অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়রে প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম আব্দুল্লাহ, পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ও পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক।
কর্মশালায় কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী জাসনা আলম ফাবিহা, দ্বিতীয় পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে ইউনুছ ফায়িদা ও তৃতীয় হয়েছে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মাইশাতুল মীম। বিজয়ী তিন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। অংশগ্রহণকারী তিন বিদ্যালয়ের ৬০ জন শিক্ষার্থীকে ১টি করে ব্যাগ ও যাতায়ত ভাড়া প্রদান করেছেন আয়োজকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল সদরের উচালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের পাশেই এর অবস্থান। সড়ক ও জনপদের (সওজ) গাছে বন্দি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। বারবার বিধিতে আটকে যাচ্ছে গাছ কাঁটার অনুমতি। ফিরে যাচ্ছে নিরাপত্তা দেওয়াল নির্মাণের বরাদ্ধ। গাছে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে আহত হচ্ছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আগত অতিথিরা। ওই ৮টি কাঠের গাছ এখন ৩ শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের গলার কাটা। বছরের পর বছর ঘুরে এই কাটা খুলতে পারছেন না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গাছ গুলি আকস্মিক বড় ধরণের দূর্ঘটনার কারণ হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন অভিভাবকরা।
সরজমিন অনুসন্ধান ও বিদ্যালয় সূত্র জানায়, সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়ক সংলগ্ন পশ্চিম পাশে বিদ্যালয়টির অবস্থান। তাই আজ থেকে ১৪-১৫ বছর আগে বিদ্যালয়ের সীমানা ঘেষে কয়েকটি কাঠের গাছের চারা রোপন করেছিলেন সওজের লোকজন। দেখতে দেখতে গাছ গুলি বড় হয়ে গেছে। প্রধান ফটকের দুই পাশে ৬টি আর ফটকের প্রবেশদ্বারে দুটি গাছ চলাচলের পথ প্রায় বন্দি করে ফেলেছেন। গাছ গুলোর গুল যত বড় হচ্ছে ততই ছোট হয়ে আসছে প্রবেশের রাস্তা। বর্তমানে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা গাছ ঘেষে ফটকের বক্স গেইটে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এর চেয়েও বেশী দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক অভিভাবক ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে আসা অতিথিদের। দ্রুত গতিতে প্রবেশ করতে গিয়ে নিয়মিত আহত হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা। মাঝে মধ্যে মনের অজান্তে মাথায় আর শরীরে আঘাত পাঁচ্ছেন শিক্ষক ও অতিথিরা।
নিরাপত্তা দেওয়াল নির্মাণের বরাদ্ধ আসলেও ওই গাছের জন্য কাজ করা সম্ভব হয়নি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছ গুলি কাঁটার অনুমতির জন্য গত কয়েক বছর ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে দৌঁড়ঝাঁপ করছেন। কিন্তু বারবার বিধিতে আটকে যাচ্ছে কাঁটার অনুমতি।
মৌখিক পরামর্শ পেলেও মিলছে না লিখিত অনুমতি। তাই ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না শিক্ষক ও এসএমসি। এখন তারা অনেকটাই নিরূপায় ও হতাশ।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফয়সাল ও তামিম বলেন, শিশু শ্রেণি থেকেই গাছের জন্য বাঁকা তেড়া হয়ে প্রবেশ করছি। গাছ গুলি কেটে ফেললে শান্তি পাব। অভিভাবক মো. ইফতেহারূল ইসলাম, নুরজাহান বেগম, মো. আনোয়ার হোসেন ও জহুরা বেগম বলেন, শিশুদের নিয়ে প্রবেশ করতে খুবই কষ্ট হয়। বাচ্চারা অনেক সময় ব্যাথাও পায়। প্রবেশ পথের মাঝখানের গাছ দুটি কাটতে স্যারদের অনেক অনুরোধ করছি। কেন কাটছেন না উনারাই জানেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া বলেন, টিকার কাজ পরিদর্শনে গেলে গাছ আমাকে আটকে দেয়। গাছের জন্য গেইট কোন দিকে? ঠিক বুঝে ওঠতে পারছিলাম না। পরে আকাঁ বাঁকা হয়ে ব্যায়াম করে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। মানুষের জন্যই তো আইন। তাহলে সামান্য কারণে কেন শিশু ও অভিভাবকরা এত কষ্ট করবেন? দ্রুত এর একটা সমাধান দরকার। সমন্বয় সভায় আমি গুরূত্ব সহকারে বিষয়টি তুলে ধরেছি। বিদ্যালয়ের এসএমসি’র সভাপতি মো. রূহুল আমীন রুবেল বলেন, গত ১৫ বছরেরও অধিক সময় ধরে এই সমস্যা।
গত ২/৩ বছর আগে তখনকার এসএমসি গাছ কাঁটার ব্যবস্থা করতে সভার রেজুলেশন দিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছিলেন। গাছের জন্য নিরাপত্তা দেওয়ালটিও করতে পারছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নৌসাদ মাহমুদ বলেন, সওজের কাছ গুলো প্রধান ফটক থেকে অপসারণ করা খুবই জরুরী। গাছ গুলো কাটতে বিদ্যালয়ের আবেদনটি আগের ইউএনও মহোদয়ের কাছে দিয়েছিলাম। তিনি সওজের বরাবরে এ বিষয়ে লেখার কথা। দেখি বর্তমান ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করব। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, গাছে ফটক বন্দি হলে তো বড় সমস্যা। আমি বিষয়টি ভালভাবে জানি না। দেখে জরূরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কাটানিশার গ্রামে গতকাল ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটায় এক প্রীতি ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, জনপ্রিয় আইপি চ্যানেল এএমটিভি বাংলা ও এ মালেক গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক। হাজী মোঃ জাবেদ মিয়ার সভাপতিত্বে ও মিজান মিয়ার সঞ্চালনায় উক্ত ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মাধবপুর পৌরসভার কমিশনার আব্দুল হাকিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মলাই, হেলাল মিয়া, পায়েল মিয়া প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক বলেন, যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আজকের যুবসমাজ আগামী জাতির কর্ণধার। আজকের যুবসমাজ আগামী পৃথিবীর নেতৃত্ব দেবে। কাজেই তাদেরকে শিক্ষাদীক্ষায় এবং মননশীলতাই বিশ^জয়ী হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুরতে হবে। তিনি বলেন, মানুষের জন্য আমি আজীবন কাজ করতে চাই। আমি সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করতে চাই। বিনিময়ে কোনোকিছু পাবার জন্য আমি কাজ করি না। আমি শুধু সকলের দোয়া আর ভালোবাসা চাই।
উক্ত টুর্ণামেন্টে সবুজ কুঁড়ি স্পোর্টিং ক্লাব- টাইগার স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে। খেলা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সকল অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় তিনি বলেন, আমি সবসময় সকল ভালোকাজের সাথে ছিলাম আছি থাকবো।