অনলাইন ডেস্ক :
আনসার ব্যাটালিয়ন আইন-২০২৩ অনুযায়ী, বিদ্রোহ বা বিশৃঙ্খলা করলে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার বিধানও রাখা হয়েছে।
আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে এই বৈঠক হয়। পরে বিকালে সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ করলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে। এই আইনে যে অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে, একই অপরাধের জন্য পুরোনো আইনে কোনও শাস্তির বিধান ছিল না।
তিনি আরো জানান, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য দুটি আদালত গঠন করা হবে। একটির প্রধান হবেন ডিজি। অপরটির প্রধান হবেন একজন অতিরিক্ত ডিজি।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন তিনি। বাকি দুটি আসনে প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে।
প্রার্থীরা হলো :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মোঃ শাহজাহান আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ফয়জুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ বি তাজুল ইসলাম, পঞ্চগড়-১ মোঃ নাঈমুজ্জামান ভুইয়াঁ, পঞ্চগড়-২ মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও-১ রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ মোঃ ইমদাদুল হক, দিনাজপুর-১ মনোরঞ্জন শীল গোপাল, দিনাজপুর-২ খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৪ আবুল হাসান মাহমুদ আলী, দিনাজপুর-৫ মোস্তাফিজুর রহমান, দিনাজপুর-৬ মোঃ শিবলী সাদিক, নীলফামারী-১ মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-২ আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী-৩ মোঃ গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী-৪ মোঃ জাকির হোসেন বাবুল, লালমনিরহাট-১ মোঃ মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-৩ মোঃ মতিয়ার রহমান, রংপুর-১ মোঃ রেজাউল করিম রাজু, রংপুর-২ আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী, রংপুর-৩ তুষার কান্তি মন্ডল, রংপুর-৪ টিপু মুনশি, রংপুর-৫ রাশেক রহমান, রংপুর-৬ শিরীন শারমিন চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-১ মোঃ আছলাম হোসেন সওদাগর, কুড়িগ্রাম-২ মোঃ জাফর আলী, কুড়িগ্রাম-৩ সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ মোঃ বিপ্লব হাসান, গাইবান্ধা-১ আফরুজা বারী, গাইবান্ধা-২ মাহব্বু আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৩ উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা-৪ মোঃ আবুল কালাম আজাদ, গাইবান্ধা-৫ মাহমুদ হাসান, জয়পুরহাট-১ সামছুল আলম দুদু, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বগুড়া-১ সাহাদারা মান্নান, বগুড়া-২ তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া-৩ মোঃ সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, বগুড়া-৪ মোঃ হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, বগুড়া-৫ মোঃ মজিবর রহমান (মজনু), বগুড়া-৬ রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া-৭ মোঃ মোস্তফা আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ ডাঃ সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মুঃ জিয়াউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ মোঃ আব্দুল ওদুদ, নওগাঁ-১ সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, নওগাঁ-৪ মোঃ নাহিদ মোর্শেদ, নওগাঁ-৫ নিজাম উদ্দিন জলিল (জন), নওগাঁ-৬ মোঃ আনোয়ার হোসেন হেলাল, রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী-৩ মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ মোঃ আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, রাজশাহী-৬ মোঃ শাহ্রিয়ার আলম, নাটোর-১ মোঃ শহিদুল ইসলাম (বকুল), নাটোর-২ শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৩ জুনাইদ আহ্মেদ পলক, নাটোর-৪ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, সিরাজগঞ্জ-১ তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ মোছাঃ জান্নাত আরা হেনরী, সিরাজগঞ্জ-৩ মোঃ আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৪ মোঃ শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল মমিন মন্ডল, সিরাজগঞ্জ-৬ চয়ন ইসলাম, পাবনা-১ মোঃ শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৩ মোঃ মকবুল হোসেন, পাবনা-৪ গালিবুর রহমান শরীফ, পাবনা-৫ গোলাম ফারুক খন্দঃ প্রিন্স, মেহেরপুর-১ ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, কুষ্টিয়া-১ আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান, কুষ্টিয়া-৩ মোঃ মাহবুবউল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-৪ সেলিম আলতাফ জর্জ, চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন), চুয়াডাঙ্গা-২ মোঃ আলী আজগার, ঝিনাইদহ-১ মোঃ আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ-২ তাহজীব আলম সিদ্দিকী, ঝিনাইদহ-৩ মোঃ সালাহ উদ্দিন মিয়াজী, ঝিনাইদহ-৪ মোঃ আনোয়ারুল আজীম (আনার), যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-২ মোঃ তৌহিদুজজামান, যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৪ এনামুল হক বাবুল, যশোর-৫ স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর-৬ শাহীন চাকলাদার, মাগুরা-১ সাকিব আল হাসান, মাগুরা-২ বীরেন শিকদার, নড়াইল-১ বি, এম কবিরুল হক, নড়াইল-২ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল উদ্দীন, বাগেরহাট-২ শেখ তন্ময়, বাগেরহাট-৩ হাবিবুন নাহার, বাগেরহাট-৪ এইচ, এম, বদিউজ্জামান সোহাগ, খুলনা-১ ননী গোপাল মন্ডল, খুলনা-২ সেখ সালাহউদ্দিন, খুলনা-৩ এস এম কামাল হোসেন, খুলনা-৪ আব্দুস সালাম মূর্শেদী, খুলনা-৫ নারায়ন চন্দ্র চন্দ, খুলনা-৬ মোঃ রশীদুজ্জামান, সাতক্ষীরা-১ ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, সাতক্ষীরা-২ মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা-৩ আ, ফ, ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-৪ এস. এম. আতাউল হক, বরগুনা-১ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু, বরগুনা-২ সুলতানা নাদিরা, পটুয়াখালী-১ মোঃ আফজাল হোসেন, পটুয়াখালী-২ আ, স, ম, ফিরোজ, পটুয়াখালী-৩ এস. এম শাহজাদা, পটুয়াখালী-৪ মোঃ মহিববুর রহমান, ভোলা-১ তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আলী আজম, ভোলা-৩ নুরন্নবী চৌধুরী, ভোলা-৪ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বরিশাল-১ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, বরিশাল-২ তালুকদার মোঃ ইউনুস, বরিশাল-৩ সরদার মোঃ খালেদ হোসেন, বরিশাল-৪ শাম্মী আহমেদ, বরিশাল-৫ জাহিদ ফারুক, বরিশাল-৬ আবদুল হাফিজ মল্লিক, ঝালকাঠি-১ বজলুল হক হারুন, ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু, পিরোজপুর-১ শ. ম. রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ কানাই লাল বিশ^াস, পিরোজপুর-৩ মোঃ আশরাফুর রহমান, টাঙ্গাইল-১ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৩ মোঃ কামরুল হাসান খান, টাঙ্গাইল-৪ মোঃ মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, টাঙ্গাইল-৫ মোঃ মামুন-অর-রশিদ, টাঙ্গাইল-৬ আহসানুল ইসলাম (টিটু), টাঙ্গাইল-৭ খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল-৮ অনুপম শাহজাহান জয়, জামালপুর-১ নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-২ মোঃ ফরিদুল হক খান, জামালপুর-৩ মির্জা আজম, জামালপুর-৪ মোঃ মাহবুবুর রহমান, জামালপুর-৫ মোঃ আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর-১ মোঃ আতিউর রহমান আতিক, শেরপুর-২ মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-৩ এ, ডি, এম, শহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-১ জুয়েল আরেং, ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ-৩ নিলুফার আনজুম, ময়মনসিংহ-৪ মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান, ময়মনসিংহ-৫ মোঃ আব্দুল হাই আকন্দ, ময়মনসিংহ-৬ মোঃ মোসলেম উদ্দিন, ময়মনসিংহ-৭ মোঃ হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী, ময়মনসিংহ-৮ মোঃ আব্দুছ ছাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ আব্দুস সালাম, ময়মনসিংহ-১০ ফাহ্মী গোলন্দাজ (বাবেল), ময়মনসিংহ-১১ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, নেত্রকোনা-১ মোশতাক আহমেদ রুহী, নেত্রকোনা-২ মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোনা-৩ অসীম কুমার উকিল, নেত্রকোনা-৪ সাজ্জাদুল হাসান, নেত্রকোনা-৫ আহমদ হোসেন, কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দা জাকিয়া নূর, কিশোরগঞ্জ-২ আবদুল কাহার আকন্দ, কিশোরগঞ্জ-৩ মোঃ নাসিরুল ইসলাম খান, কিশোরগঞ্জ-৪ রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ মোঃ আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৬ নাজমুল হাসান, মানিকগঞ্জ-১ মোঃ আব্দুস সালাম, মানিকগঞ্জ-২ মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক, মুন্সীগঞ্জ-১ মহিউদ্দিন আহমেদ, মুন্সীগঞ্জ-২ সাগুফতা ইয়াসমিন, মুন্সীগঞ্জ-৩ মৃনাল কান্তি দাস, ঢাকা-১ সালমান ফজলুর রহমান, ঢাকা-২ মোঃ কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ, ঢাকা-৪ সানজিদা খানম, ঢাকা-৫ হারুনর রশীদ মুন্না, ঢাকা-৬ মোহাম্মদ সাইদ খোকন, ঢাকা-৭ মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, ঢাকা-৮ আ, ফ, ম, বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১০ ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-১১ মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১৪ মোঃ মাইনুল হোসেন খান, ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, ঢাকা-১৭ মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৮ মোহাম্মদ হাবিব হাসান, ঢাকা-১৯ ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান, ঢাকা-২০ বেনজীর আহমদ, গাজীপুর-১ আ, ক, ম, মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ রুমানা আলী, গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন (রিমি), গাজীপুর-৫ মেহের আফরোজ, নরসিংদী-১ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নরসিংদী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৩ ফজলে রাব্বি খান, নরসিংদী-৪ নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, নরসিংদী-৫ রাজি উদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ-১ গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ মোঃ নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার, নারায়ণগঞ্জ-৪ শামীম ওসমান, রাজবাড়ী-১ কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-২ মোঃ জিল্লুল হাকিম, ফরিদপুর-১ মোঃ আব্দুর রহমান, ফরিদপুর-২ শাহদাব আকবর, ফরিদপুর-৩ শামীম হক, ফরিদপুর-৪ কাজী জাফর উল্যাহ, গোপালগঞ্জ-১ মুহাম্মদ ফারুক খান, গোপালগঞ্জ-২ শেখ ফজলুল করিম সেলিম, গোপালগঞ্জ-৩ শেখ হাসিনা, মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মাদারীপুর-২ শাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ মোঃ আবদুস সোবহান মিয়া, শরীয়তপুর-১ মোঃ ইকবাল হোসেন, শরীয়তপুর-২ এ কে এম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর-৩ নাহিম রাজ্জাক, সুনামগঞ্জ-১ রনজিত চন্দ্র সরকার, সুনামগঞ্জ-২ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সুনামগঞ্জ-৩ এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ মোহম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-৫ মুহিবুর রহমান মানিক, সিলেট-১ এ, কে, আব্দুল মোমেন, সিলেট-২ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ হাবিবুর রহমান, সিলেট-৪ ইমরান আহমদ, সিলেট-৫ মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট-৬ নুরুল ইসলাম নাহিদ, মৌলভীবাজার-১ মোঃ শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-২ শফিউল আলম চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, মৌলভীবাজার-৪ মোঃ আব্দুস শহীদ, হবিগঞ্জ-১ ডাঃ মোঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২ ময়েজ উদ্দিন শরীফ, হবিগঞ্জ-৩ মোঃ আবু জাহির, হবিগঞ্জ-৪ মোঃ মাহাবুব আলী, কুমিল্লা-১ মোঃ আবদুস সবুর, কুমিল্লা-২ সেলিমা আহ্মাদ, কুমিল্লা-৩ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, কুমিল্লা-৪ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, কুমিল্লা-৫ আবুল হাসেম খান, কুমিল্লা-৬ আ ক ম বাহাউদ্দীন, কুমিল্লা-৭ প্রান গোপাল দত্ত, কুমিল্লা-৮ আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, কুমিল্লা-৯ মোঃ তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-১০ আহম মুস্তফা কামাল, কুমিল্লা-১১ মোঃ মুজিবুল হক, চাঁদপুর১ সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর২ মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী, চাঁদপুর৩ ডাঃ দীপু মনি, চাঁদপুর-৪ মুহম্মদ শফিকুর রহমান, চাঁদপুর৫ রফিকুল ইসলাম, ফেনী১ আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, ফেনী২ নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী৩ মোঃ আবুল বাশার, নোয়াখালী১ এইচ এম ইব্রাহিম, নোয়াখালী২ মোরশেদ আলম, নোয়াখালী৩ মোঃ মামুনুর রশীদ কিরন, নোয়াখালী৪ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী৫ ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী৬ মোহাম্মদ আলী, লক্ষ্মীপুর১ আনোয়ার হোসেন খান, লক্ষ্মীপুর২ নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, লক্ষ্মীপুর৩ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, লক্ষ্মীপুর৪ ফরিদুন্নাহার লাইলী, চট্টগ্রাম১ মাহাবুব উর রহমান, চট্টগ্রাম২ খাদিজাতুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম৩ মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম৪ এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম৫ মোহাম্মদ আবদুস সালাম, চট্টগ্রাম৬ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম৭ মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম৮ নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম৯ মহিবুল হাসান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ মোঃ মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১১ এম, আবদুল লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৪ মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন, চট্টগ্রাম-১৬ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, কক্সবাজার-১ সালাহ উদ্দীন আহমদ, কক্সবাজার-২ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-৪ শাহীন আক্তার, খাগড়াছড়ি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি দীপংকর তালুকদার, বান্দরবান বীর বাহাদুর উ শৈ সিং।
এর আগে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় বেশির ভাগ আসনের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হলেও কৌশলগত কারণে সে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছিল না।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে আজ সকাল ১০টার পর গণভবনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওই সভায় শেখ হাসিনা মনোনয়প্রত্যাশীদের বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ পাস করে আসতে পারবেন না। প্রত্যেক প্রার্থীকেই একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী জানান, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যদি কোনো আসনে জয়ী হন, তাহলে বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলীয় প্রধান জানিয়েছেন। দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি দলের যে কোনো নেতা বা যে কোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবে বলেও নির্দেশনা দিয়েছেন।
চলতি বছর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৩ হাজার ৩৬২ জন। সর্বশেষ গত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আগের সংসদের ৫৬ জন এমপি দলীয় মনোনয়ন পাননি। আবার ২০১৪ সালের নির্বাচনে তার আগের সংসদের ৪৯ জনকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
এস আলম গ্রুপকে অর্থপাচারে সহায়তা করার অভিযোগ থাকা সুজন কান্তি দে (৪৪) নামের এক ব্যক্তি আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আটক হয়েছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সুজন কান্তি চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার মালঘর গ্রামের সঞ্জিত কান্তি দে’র ছেলে। তিনি ২৩ বছর যাবৎ এস আলম গ্রুপে চাকরি করছেন। তার বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় নিয়মিত মামলা রয়েছে। তাকে ধরতে আনোয়ারা থানা পুলিশ রিকুইজিশন দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুজন কান্তি নামে ওই ব্যক্তিকে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তিনি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে তারা বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় মামলা রয়েছে। তাকে নেওয়ার জন্য আনোয়ারা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক:
ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে পোশাকশ্রমিকদের। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছিলেন পোশাকশ্রমিকরা। আগের তুলনায় ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সচিবালয়ে মজুরি ঘোষণা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ এবং নিরপক্ষ প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্রুত নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন শ্রমজীবী মানুষ আন্দোলন করে আসছেন মজুরি বাড়ানোর জন্য। মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘মজুরির যদি কোনো তারতম্য হয়ে যায় আমরা শেষ সম্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হই সবসময়। উনার মৌখিক নির্দেশে আজকে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ঘোষণা করছি।’
‘এখানে শ্রমজীবী মানুষ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ আছে। শিল্প বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে। শ্রমিকের সঙ্গে শিল্পও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উভয়দিক লক্ষ্য রেখেই মজুরি ঘোষণা করা হচ্ছে।’
মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বহাল আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের রেশনের দাবি আছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যেই নির্ধারিত থাকবে যতগুলো সদস্য কার্ডটি ব্যবস্থা করতে পারবে। পরবর্তীতে এ কার্ডের মাধ্যমে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
‘শ্রমিক নেতা ও মালিকরা যারা আছেন আমি প্রত্যেকের কাছে আহ্বান জানাবো, আপনারা কারখানা খুলে দেবেন, শ্রমিক ভাইদের বলবো কাজে যোগদান করতে। উভয়পক্ষের কাছে আমি আবেদন করবো মালিকদের সহনশীল ভূমিকা রাখার জন্য। এর কারণ এ আন্দোলনে ভুল করুক, ক্রটি করুক, যেটিই করুক পেটের দায়েই তো মানুষ অনেক কিছু করে। তাদের ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে কর্মে যেন তারা সঠিকভাবে যোগ দিতে পারেন।’
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘শ্রমিক ভাই-বোনদের বলবো শিল্পই আপনার জীবন কিন্তু। এ শিল্প বন্ধ হয়ে গেলে আগে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আপনি, মালিক কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবে পরে। সুতরাং সেদিকে লক্ষ্য রেখে শান্তিপূর্ণভাবে যার যার কাজে গিয়ে কারখানাকে কর্মচঞ্চল করে তুলবেন। অর্থনীতির চাকা হলো আপনাদের কাছে। সেই চাকা যেন বন্ধ না হয়। আপনারা কর্মে যোগ দিয়ে শিল্প শান্তি আনবেন, দেশের উন্নতিতে আপনাদের অবদান রয়েছে। কোনো ধরনের উসকানিমূলক কথায় কান দেবেন না এটা আমাদের আবেদন।’
আন্দোলন-অবরোধের কারণে শিল্পাঞ্চলের বাড়িভাড়া মওকুফের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।
নিম্নতম মজুরি বোর্ডে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মালিকপক্ষ সবসময় সহনশীল। মালিকপক্ষের সামনে দিয়ে যখন শ্রমিকরা ভাঙচুর করে আমরা কিন্তু কখনো আমাদের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাই না। শ্রমিকরা কাজ করেনি তার পরেও কারখানা বন্ধ রেখেছি, আমরা যথেষ্ট সহনশীল।
তিনি আরও বলেন, ‘ডিসেম্বরের বেতন নতুন বেতনের আলোকে হবে। গেজেট এখনই করতে দেবে, কোনো সংশোধন থাকলে ১৪ দিনের মধ্যে করবে।’
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লার সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। মজুরি বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত অনেকটাই একমত হন মালিক-শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধিরা।
এর আগে মজুরি বোর্ডে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধির দেওয়া ২০ হাজার ৩৯৩ টাকার প্রস্তাবের বিপরীতে মালিকপক্ষ ১০ হাজার ৪০০ টাকার প্রস্তাব দেয়। দুই পক্ষের দেওয়া প্রস্তাবে গড়ে প্রায় অর্ধেক ফারাক। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনে গাজীপুরের দু’জন পোশাক শ্রমিক মারা যান।
অনলাইন ডেস্ক :
আধুনিক-প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন শিক্ষিত-দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউই অশিক্ষার অন্ধকারে থাকবে না।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের দেশের মানুষকে শিক্ষিত, দক্ষ, আধুনিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। সামনে আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। কাজেই কেউই অশিক্ষার অন্ধকারে থাকবে না। সবাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেন শিক্ষিত হয়ে বা তাদের দক্ষতা, কর্মশক্তিটা বিকশিত করতে পারে সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি।
টানা চার বারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনের পথ চলায় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো সে ঘোষণা আমরা দিয়েছি। সেই প্রেক্ষিতে পরিকল্পনা তৈরি করেছি, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সেগুলো আমরা সংযুক্ত করে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাবো।
একুশের চেতনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা শুধু আমাদের স্বাধীনতাই দিয়ে যাননি। সেই সঙ্গে একটা মর্যাদাবোধ দিয়ে গেছেন। আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে সারা বিশ্বে আমি মাথা উঁচু করে চলতে চাই। এই কথাটা সকলকে মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পরে বিজয়ী জাতি হিসেবে মর্যাদাটা বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছিল। আজকে অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি আবার বাঙালি বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। সেই মর্যাদা আমরা ফিরিয়ে এনেছি। এই মর্যাদা সমুন্নত রেখেই আগামী দিনে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কারো কাছে হাত পেতে নয়, ভিক্ষা করে নয়। আত্ম মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশ আমাদের শিখিয়েছে মাথা নত না করতে। আমরা মাথা নত করে আর চলবো না, মাথা উঁচু করেই চলবো।
গুণীজনদের সম্মাননার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যারা জনগণের সেবা করে তাদের সেবা করতে পারাটা এটা নিজেকে ধন্য মনে করি। এভাবে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যারা অবদান রেখেছেন বা বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে যারা অবদান রেখেছেন, ক্রিড়া-সংস্কৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন তাদের সম্মাননা দিলে আমাদের নতুন প্রজন্ম (অনুপ্রেরণা পাবে)।
তিনি বলেন, সমাজের বিভিন্ন জায়গায় যারা অবদান রাখছেন অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করে সম্মাননা দেওয়া হবে।
এ বছর একুশে পদক পেয়েছেন ২১ জন। যাদের একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তঘেঁষা ভোলাহাট উপজেলার মুসরিভূজা গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউল হক (৯১)। দই বিক্রির টাকায় তিনি গড়ে তুলেছেন লাইব্রেরি। এছাড়া স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দেওয়াসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অনুদান দেন সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত জিয়াউল হক।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে জিয়াউল হকের সমাজ সেবামূলক কাজের প্রশংসা করেন এবং পাঠাগারের জন্য একটি ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগে ২১ বিশিষ্টজনের হাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন দুজন। তারা হলেন- আশরাফুদ্দীন আহমদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)।
শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ১১ জন পেয়েছেন এই পদক। সংগীতে পেয়েছেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব। অভিনয়ে ডলি জহুর ও এমএ আলমগীর, আবৃত্তিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।
ভাষা ও সাহিত্যে এবার একুশে পদক পেয়েছেন চার জন। তারা হলেন—মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর)। এছাড়া শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু রয়েছেন এ তালিকায়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ ও নগদ অর্থ দেয়।
পদক প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব খলিল আহমদ।