চলারপথে রিপোট
কসবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত একই পরিবারের দুই শিশুর মধ্যে রাহাত মিয়া (১০) নামে এক শিশু মারা গেছেন।
গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দুই শিশুর চাচা সৈয়দাবাদ আদর্শ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক তাজুল ইসলাম হানিফ বলেন, মৃত রাহাত কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় এখনও হাসপাতালে থাকা শিশু রাফির হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। সম্ভবত তার একটি পা কেটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে বলে চিকিৎসক আমাদের বলেছেন।
উল্লেখ্য, ১৩ আগস্ট তিনতলা ভবনের ছাদে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতের লাইনে হাত লেগে শিশু রাহাত ও তার ভাই রাফি আহত হয়। পরিবারের লোকজন দুই শিশুকে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করেন। সেখানে প্রায় ২৩ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশু রাহাত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ হ্যাক করে একাধিক অশ্লীল ভিডিও পোস্ট করে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। ৩ নভেম্বর শুক্রবার এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সচেতনতার জন্য ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।
তিনি লিখেন, আমার ফেসবুকের সব বন্ধুরা, দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজটি (Mohammed Mohiuddin Ppm) হ্যাক হয়েছে। যাতে অপ্রত্যাশিত কিছু ভিডিও ছাড়া হচ্ছে। দয়া করে কেউ বিচলিত হবেন না। দ্রুতই দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার ব্যক্তিগত একটি আইডি ও একটি পেজ আছে। আজ আমার পরিবারের সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ফোন করে জানায়, আমার পেজটিতে আপত্তিকর ভিডিও ছাড়া হচ্ছে। তারপর বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এ ধরনের ঘটনা বিব্রতকর।
ওসি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমার ফেসবুক আইডিতে সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়েছি, যেন কেউ বিচলিত না হন। এছাড়া এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। আশা করছি অচিরেই দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলাধীন ‘‘সেনাবাদী শহিদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধি এবং গণকবর’’ এলাকা পরিদর্শনকালে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দীর্ঘ নয়মাসের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়নগর, আখাউড়া ও কসবা উপজেলার বিস্তৃর্ন সীমান্ত অঞ্চল সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। এসব যুদ্ধে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযুদ্ধা হতাহত হয়েছেন। অনেক স্থানে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লোকজনকে ধরে নিয়ে বধ্যভূমিতে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকশিত করার লক্ষে, এসব যুদ্ধক্ষেত্র, শহীদ সমাধি, গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকদের স্মৃতি ফলক নির্মাণের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ চলতি অর্থবছর থেকে এসব বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তিনি গতকাল (বুধবার) আখাউড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তবর্তী সেনাবাদী শহীদ সমাধি ও গণকবর পরিদর্শন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তাঁর সাথে জেলাপরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দরা জানান, মুক্তিযুদ্ধের নয়মাসে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত প্রায় দুইশত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে এখানে কবরস্থ করা হয়েছে, তাছাড়া এই এলাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গণহত্যায় নিহত শহীদেরকেও এখানে দাফন করা হয়েছে। ভারতীয় সীমান্ত এলাকার শূন্য রেখায় গণকবরটি অবস্থিত হওয়ায়, ভারত সরকারের সম্মতির অভাবে অদ্যবধি এখানে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়নি।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান এবিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও সম্মতি গ্রহণ করে চলতি অর্থবছরেই জেলাপরিষদ থেকে ‘‘সেনাবাদী শহীদ সমাধি ও গণকবর’’ সংরক্ষণে প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পৃথক ঘটনায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৬ জুন শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার লেশিয়ারা গ্রামে ও গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিলঘর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার কুটি ইউনিয়নের লেশিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর মেয়ে আফসিন (৩) ও বিলঘর গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেনের ছেলে মাহিন (৭)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস জানান, শুক্রবার দুপুরে লেশিয়ারা গ্রামের একটি পুকুরে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিলো শিশু আফসিন। খেলার এক পর্যায়ে অসর্তকবশত আফসিন পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিলঘর গ্রামেও অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলার সময় মাহিন নামে সাত বছরের আরেক শিশু মারা যায়।
পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় ইমরুল হোসেন (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৭ জুলাই শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা-সৈয়দাবাদ সড়কের পৌর শহরের কদমতলী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ইমরুল পৌর শহরের আড়াইবাড়ী গ্রামের ইমতিয়াজ হোসেনের ছেলে। পুলিশ ট্রাক্টরটি জব্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে সাইকেল চালিয়ে এসে পৌর শহরের কদমতলী মোড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলো। এসময় সৈয়দাবাদের দিক থেকে আসা মাটিবাহী ট্রাক্টর শিশু ইমরুলকে চাপা দেয়। চাকায় পিষ্ট হয়ে মস্তিস্ক বের হয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই শিশু ইমরুলের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। নিহত শিশু ইমরুলদেও পরিবার কসবার আড়াইবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। তাদেও বাড়ি পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাড়ানী গ্রামে। ইমরুলের বাবা একজন অটোরিক্সা চালক। ইমরুল পৌরশহরের আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, ট্রাক্টরটিকে জব্দ করা হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিদ্যুতের টাওয়ারের চূড়ায় উঠে বসে থাকা যেন নেশার মতো হয়ে উঠেছে যুবক নাসিরের। গত ২৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় একটি টাওয়ারে উঠার পরে অভিনব কায়দায় নামিয়ে আনা হয়েছিল তাকে। এর ৫ দিনের মাথায় ৩০ মে পাশের কসবা উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রামের টাওয়ারে উঠে জিকির করছিলেন ওই যুবক। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ও কসবা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পরীক্ষিত সেই কৌশল অবলম্বন করেই ১৭০ ফুট উঁচু টাওয়ার থেকে নামিয়ে আনেন তাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ ৩০ মে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বাড়িখোলা গ্রামের বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় ওই যুবককে দেখতে পান স্থানীয়রা। দেখতে দেখতে এলাকার লোকজনও জড়ো হন। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কিছুক্ষণ ডাকাডাকি ও অনুরোধের পর হ্যান্ড মাইকে আজান দিলে ওই যুবক ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসে। ৫ দিন আগেও সদর উপজেলার কোড্ডা এলাকার বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠে বসে থাকে এই যুবক। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আজান শুনিয়ে তাকে নিচে নামায়। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বাড়িখোলা গ্রামের শরীফ উদ্দিন বলেন, বিকেল ৪টার দিকে চারদিকে সাড়া পড়ে কেউ একজন টাওয়ারে উঠে বসে আছে। কিছু তরুণ বিষয়টি ফেসবুকেও লাইভ প্রচার করেন। আমরা তাকে ডাকাডাকি করলেও সে না নেমে আপন মনে জিকির করছিল।
তিনি আরো বলেন, ওই যুবক কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। টাওয়ারের চূড়ায় উঠে জিকির করার পাশাপাশি কিছুক্ষণ পর পর টাওয়ারে নিজের মাথাকেও বাড়ি দিচ্ছিল।
এ বিষয়ে কসবা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বাসেত সরকার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইকে আজান শুনিয়ে তাকে নিচে নামিয়ে আনি। এর আগেও পাশের সদর উপজেলার একটি টাওয়ারে উঠেছিল বলে খবর পেয়েছি। কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হওয়ায় তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন অফিসারদের পরামর্শ মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।