চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় অবৈধভাবে হাওড়া নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় আবু কাউছার ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই অর্থদন্ড প্রদান করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাওড়া নদী থেকে অবৈধভাবে খনন যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলো একটি প্রভাবশালী চক্র। বিষয়টি জানতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী মঙ্গলবার দুপুরে ছয়ঘরিয়া এলাকায় গিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।
পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আবু কাউছার ভূঁইয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। পরে আবু কাউছার ভূঁইয়া ১ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার কোথাও অবৈধভাবে কেউ মাটি বা বালু উত্তোলন করে করতে পারবেনা। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৪ বছর আগে আখাউড়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগে আখাউড়া থানায় মামলা হয়েছে। আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে শনিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া থানায় মামলা করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের মেড্ডা এলাকার বাসিন্দা তিনি। এ ঘটনায় রাতেই এজহারারভূক্ত আসামী জালাল সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগের সমর্থক।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ছাত্র অধিকার পরিষদ জেলা শাখার নেতাকর্মীরা আখাউড়ায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা করে মারধর করে কম্বল ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় ওই সময় মামলা করা সম্ভব হয়নি। মামলার বাদী তৎকালীন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, শনিবার মামলা করেছি। আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম বলেন, মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলসহ ২৫ জনকে আসামি করেছে। অজ্ঞাত নামা ৬০-৭০ জনের নাম রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় কাস্টমস কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মারধরের শিকার কাষ্টম্স এর সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা প্রধান মো. কামরুল পারভেজ বাদী হয়ে আজ ১৬ মার্চ শনিবার চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই হৃদয় (২৮) নামে একজনকে আটক করেছে। হৃদয় উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের ইদন মিয়ার ছেলে। আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূরে আলম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আখাউড়া স্থল বন্দর সংশ্লিষ্ট একটি চক্র দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, কসমেটিক্সসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে এনে শুল্ক ফাঁিক দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। শুক্রবার বিকালে ভারত থেকে আসা এক বা একাধিক যাত্রী সাত-আটটি বড় ব্যাগে (লাগেজ) করে মালামাল নিয়ে আসেন। নিয়ম অনুসারে ওই সব সব লাগেজ কাস্টমসের লাগেজ স্ক্যানিংয়ের কক্ষে না নিয়ে কৌশলে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি কাস্টমস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বুঝতে পেরে ওই তাদেরকে লাগেজ স্ক্যানিং কক্ষে নিয়ে যেতে বলেন।
এতে ওই চক্রটি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে জোর করে অটোরিকশা দ্রুত চলে যায়। এসময় কাস্টমস কর্মকর্তরা মোটর সাইকেল নিয়ে তাদের পিছু নেয়। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা প্রধান মোঃ কামরুল পারভেজের নেতৃত্বে তিনজন কিছু দূর পরে বক্সের চড় মসজিদের সামনে সড়কে ওই অটোরিক্সাটির গতিরোধ করে। লাগেজগুলো চেকিং করার জন্য কাষ্টম্স এ ফেরত নিতে বলেন। এমন সময় পেছনে থেকে মোটর সাইকেলে এসে কয়েকজন যুবক কাষ্টম্স কর্মকর্তাদের উপর হামলা করে তাদেরকে কিল ঘুষি, লাথি মেরে আহত করে। অপর আহতরা হলো কাস্টমসের সিপাহি পদে কর্মরত মো. জুম্মন ও মো. ইমন মিয়া। এক পর্যায়ে ওই চক্রটি কাষ্টম্স কর্মকর্তাদের মোটর সাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে ভারতীয় মালামাল ভর্তি অটোরিক্সাটি ছাড়িয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা লোকজন এগিলে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
আহত সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ কামরুল পারভেজ বলেন, ভারতীয় মালামাল স্ক্যানিং করতে বলায় কবির, আওলাদ, হৃদয়সহ কয়েকজনের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা হয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে রাতেই থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নূরে আলম বলেন কাষ্টমস এর কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে আসমাী করে মামলা দিয়েছে। রাতেই এজাহারনামীয় একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদেরকে আটকে চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া পৌরসভায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রোধে পক্ষকাল ব্যপী মশক নিধন এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে। পৌরসভার উদ্যোগে আজ ১৪ আগস্ট সোমবার বিকালে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা।
পৌরসভারর ৯টি ওয়ার্ডে ফগার মেশিনের মাধ্যমে ওষুধ ছিটানো হবে এবং ঝোঁপ-জঙ্গল পরিস্কার করা হবে।
এময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফয়ছেল আহাম্মদ খান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, উপজেলা সার্ভেয়ার জহুরুল ইসলাম, মোঃ মাহবুব মোল্লা, আমির হোসেন প্রমুখ।
পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফয়ছেল আহাম্মদ খান বলেন, আমরা আগের চেয়ে উন্নত মানের ক্যামিকেল সংগ্রহ করেছি। জন কর্মী পৌরসভার ৪ ৯টি ওয়ার্ডের এ ক্যামিকেল ব্যবহার করে ঔষধ ছিটিয়ে দিবে।
আখাউড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মহামারি আকার ধারন করেছে। আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফার নেতৃত্বে মশক নিধনে আমরা পক্ষকাল ব্যপী একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছি।
আজ ইউএনও মহোদয়ের বাসভবনসহ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে ফগার মেশিনে ঔষধ ছিটিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে ঔষুধ দেওয়া হবে।
এছাড়া ড্রেন, ঝোপ-জঙ্গল যেখানে মশার লার্ভা পাওয়া যাবে সেখানে ঔষধ দেওয়া হবে। এজন্য তিনি পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের কাজ আগামী জুন মাসেই শেষ হবে। এরপর ট্রায়াল রান শেষে আগামী সেপ্টেম্বরেই রেলপথটি খুলে দেয়া হবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। দু’দেশের মানুষ এই রেলপথের সুবিধা পাবেন।
আজ ১৭ মে বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তবর্তী শিবনগর এলাকায় আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রেলপথটির বাণিজ্যিক গুরুত্ব তুলে ধরে রেলমন্ত্রী বলেন, রেলপথটি চালু হলে ভারতের সাথে বাণিজ্যের আরেকটি দ্বার খুলবে। সড়কপথে পণ্য পরিবহনে খরচ বেশি। কিন্তু ট্রেনে পণ্য পরিবহনে খরচ কম হবে। এর সুবিধা দুইদেশের জনগণই পাবে।
তিনি আরো বলেন, এটি চালু হলে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে ভারতের এ অঞ্চলের ৭টি রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হবে। আপাতত মিটার গেজ ট্রেন দিয়ে এই পথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। রেলের পরিকল্পনা আছে সমস্ত রেল ব্যবস্থাকে ব্রড গেজে রূপান্ত করা হবে। ধীরে ধীরে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ব্রড গেজ করা হবে। এই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। শিঘ্রই টঙ্গী থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
রেলের উন্নয়নের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, রেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও ৪/৫টি নতুন ট্রেন দেওয়া হবে। এতে যাত্রী চলাচলে আরও সুবিধা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া ও প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড শরৎ শর্মা, প্রকল্প পরিচালক জাফর উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিন, আখাউড়া ইউএনও অংগ্যজাই মারমা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পটির কাজ ২০১৮ সালের জুলাইয় মাসে শুরু হয়। বাংলাদেশ অংশে ৭ কি: মি:। ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর কাজ পায়। দেড় বছর মেয়াদী প্রকল্পটির মেয়াদ চারদফায় বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রায় ৫০ ফুট উঁচু সিঁড়ি। মাঝখাতে দুটি ধাপ। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে অত্যাধিক উঁচু সিঁড়িতে লাগানো হচ্ছে টাইলস্। জনবহুল এ ষ্টেশনের সিঁড়িতে উঠা-নামার সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ট্রেন যাত্রীরা। তাছাড়া, পানি জমে বা কলার খোসা পরে সিঁড়ি পিচ্ছিল হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তবে, রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের দাবি, টাইলস্-এ কোন সমস্যা হবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আখাউড়া-লাকসাম রুটে ডাবল ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। প্রতিটি রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আধুনিকায়ন আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের পারাপারের জন্য বিশাল একটি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এই ওভার ব্রিজের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৯০ ফুট এবং উচ্চতা ৩০ ফুট। ওই ওভার ব্রিজে উঠা-নামার জন্য দুই পাশে ৩টি করে ৬টি সিঁড়ি করা হয়েছে। তবে কোনো র্যাম্প বা সমতল সিঁড়ি রাখা হয়নি। এসব সিঁড়ি প্রায় ৫০ ফুট লম্বা। অত্যাধিক উঁচু এসব সিঁড়িতে টাইলস্ ফিটিং করা হচ্ছে। ব্যস্ততম জংশন ষ্টেশনে এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ট্রেন যাত্রীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সিঁড়িতে অফ হোয়াইট কালারের টাইল্স ফিটিং করা হচ্ছে। টাইলসের সামনের দিকে কয়েকটি খাঁজ কাটা রয়েছে।
কাউছার আহমেদ ভূঁইয়া নামে এক যাত্রী বলেন, টাইলস দিয়ে এমনিতে সতর্কভাবে হাঁটতে হয়। তাছাড়া পানি পড়ে টাইল্স পিচ্ছিল হয়ে যেতে পারে। কলার খোসা পড়ে থাকতে পারে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলী কাজী মাহমুদুল হাসান খাদেম বলেন, এরকম জায়গায় এই ধরনের টাইল্স ব্যবহার বিপজ্জনক। পাবলিক ওভার পাসে সাধারণত রাবার ফ্লোরিং করা হয়। এটা শিশু, প্রতিবন্ধি এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করে। শীতের পরিস্থিতিতে ঠান্ডা হয়ে ভিজে যায় না।
জানতে চাইলে, আখাউড়া-লাকসাম ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ার্কস) মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, আখাউড়া-লাকসাম সেকশনে কুমিল্লাসহ ১০টি ষ্টেশনে ওভারব্রীজে টাইলস্ ফিটিং করা হয়েছে। প্রায় ২ বছর হয়েছে এখনও কোন দুর্ঘটনা ঘটে। আখাউড়া ষ্টেশনেও সমস্যা হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, আখাউড়া-লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে চলতি বছর জুলাইয়ে কাজটি শেষ হবার কথা ছিল। কিন্তু ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানা গেছে।