বিজয়নগরে ৩৪০কেজি ইলিশ জব্দ

বিজয়নগর, 5 September 2023, 963 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর সীমান্তে দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৩৪০কেজি ইলিশ জব্দ করে মুকুন্দপুর বিজিবি ক্যাম্প। এ সময় মাছ পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।

banner

আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার কামালমুড়া সীমান্ত থেকে মাছের চালানটি জব্দ হয়।

সরাইল বিজিবি ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ বলেন, বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের সীমান্ত দিয়ে ইলিশ মাছ ভারতে পাচার হচ্ছিল। এ সময় মুকুন্দপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের দেখে মাছ ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। জব্দ করা হয় ৩৪০ কেজি ইলিশ।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

আজ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

আখাউড়া, কসবা, জাতীয়, নাসিরনগর, বিজয়নগর, রাজনীতি, সরাইল, 9 January 2023, 7733 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন তিনি। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। তারপর দিল্লী হয়ে ঢাকা ফেরেন বঙ্গবন্ধু। দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।
জাতির পিতা পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ইংরেজি হিসেবে ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধু ও ড. কামাল হোসেনকে বিমানে তুলে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তারা পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। বেলা ১০টার পর থেকে বঙ্গবন্ধু কথা বলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন।
১০ জানুয়ারি সকালেই তিনি নামেন দিল্লীতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সেদেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ভারতের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের কাছে তাদের অকৃপণ সাহায্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে।’
এদিন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে তিনি ঢাকা এসে পৌঁছেন। চূড়ান্ত বিজয়ের পর ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন। পরের দিন দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এভাবেই লিখা হয়- ‘স্বদেশের মাটি ছুঁয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা শিশুর মতো আবেগে আকুল হলেন। আনন্দ-বেদনার অশ্রুধারা নামলো তার দু’চোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস।’
জনগণ নন্দিত শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে তাঁর ঐতিহাসিক ধ্রুপদি বক্তৃতায় বলেন, ‘যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারবো কিনা। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। সশ্রদ্ধ চিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করে বলেন, ‘আজ থেকে আমার অনুরোধ, আজ থেকে আমার আদেশ, আজ থেকে আমার হুকুম ভাই হিসেবে, নেতা হিসেবে নয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়। আমি তোমাদের ভাই, তোমরা আমার ভাই। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের যুবক যারা আছে তারা চাকরি না পায়। মুক্তিবাহিনী, ছাত্র সমাজ তোমাদের মোবারকবাদ জানাই তোমরা গেরিলা হয়েছো, তোমরা রক্ত দিয়েছো, রক্ত বৃথা যাবে না, রক্ত বৃথা যায় নাই।
বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘একটা কথা-আজ থেকে বাংলায় যেন আর চুরি-ডাকাতি না হয়। বাংলায় যেন আর লুটতরাজ না হয়। বাংলায় যারা অন্য লোক আছে অন্য দেশের লোক, পশ্চিম পাকিস্তানের লোক বাংলায় কথা বলে না, তাদের বলছি তোমরা বাঙালি হয়ে যাও। আর আমি আমার ভাইদের বলছি তাদের উপর হাত তুলো না আমরা মানুষ, মানুষ ভালোবাসি। ‘তবে যারা দালালি করেছে যারা আমার লোকদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে তাদের বিচার হবে এবং শাস্তি হবে’ উল্লেখ করে জাতির পিতা বলেন, ‘তাদের বাংলার স্বাধীন সরকারের হাতে ছেড়ে দেন, একজনকেও ক্ষমা করা হবে না। তবে আমি চাই স্বাধীন দেশে স্বাধীন আদালতে বিচার হয়ে এদের শাস্তি হবে। আমি দেখিয়ে দিতে চাই দুনিয়ার কাছে শান্তিপূর্ণ বাঙালি রক্ত দিতে জানে, শান্তিপূর্ণ বাঙালি শান্তি বজায় রাখতেও জানে।’ বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমায় আপনারা পেয়েছেন। আমি আসছি। জানতাম না আমার ফাঁসির হুকুম হয়ে গেছে। আমার সেলের পাশে আমার জন্য কবর খোড়া হয়েছিলো। আমি প্রস্তুত হয়েছিলাম, বলেছিলাম আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, মুসলমান একবার মরে দুইবার মরে না। আমি বলেছিলাম, আমার মৃত্যু আসে যদি আমি হাসতে হাসতে যাবো। আমার বাঙালি জাতকে অপমান করে যাবো না, তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইবো না। এবং যাবার সময় বলে যাবো জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান।’
বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী সরকার তাঁর নির্দেশিত যুদ্ধ পরিচালনা করে। নয় মাসের যুদ্ধের এক পর্যায়ে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত রূপ নিতে শুরু করে। ধীরে ধীরে স্বাধীনতা অর্জনের পথে মুক্তিযোদ্ধা, জনতা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণ তীব্র হয়। জয় তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় মাত্র। একই সাথে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলা হয় প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হলে পাকিস্তানী বর্বর শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয় তাঁকে সসম্মানে মুক্তি দিতে।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে সরকার পরিচালনা করে অস্থায়ী প্রবাসী সরকার। ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ২৩ সদস্য বিশিষ্ট আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ জারিকৃত প্রেসিডেন্সিয়াল আদেশ বলে গণপরিষদ গঠন করে নভেম্বর মাসের মধ্যেই দেশের জন্য একটি সংবিধান উপহার দেয়া হয় এবং যা ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। বাসস।

বিজয়নগরে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

বিজয়নগর, 20 December 2022, 1611 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
বিজয়নগরে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উদ্যোগ পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও পাহাড়পুর ইউপি পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রাসেল খানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অফিসের জেলা সহকারী পরিচালক মোস্তফা কামাল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ মাছুম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ রৌশন আরা, ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না, প্রেসক্লাবের সভাপতি মৃনাল চৌধুরী লিটন, ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল, তাজুল ইসলাম, দানা মিয়া, চান্দুরা ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোঃ ফরিদ উদ্দিন, চরইসলামপুর ইউপি পরিদর্শক মোকারিম উদ্দিন প্রমুখ।

নারী সমাবেশ ও উঠান বৈঠক

বিজয়নগর, 1 December 2024, 302 Views,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় “বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উঠান বৈঠক ও ছত্তরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলার তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এমবিবিএস ডা. জাগ্রত জীবন, প্রধান শিক্ষক ছত্তরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস, ইউপি সদস্য শেখ মিন্টু এবং উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক চান্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবিএম মোরশেদ কামাল, সহকারি শিক্ষক মোছাঃ সেলিমা আক্তার, সহকারি শিক্ষক রুনা লাইলা, সহকারি শিক্ষক স্নিগ্ধা সাহা, সহকারি শিক্ষক রিপন দেবনাথ, সহকারি শিক্ষক মোছাঃ তাহমিনা বেগম সহ প্রায় আটশত নারী পুরুষ।

banner

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান বলেন বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গঠন করার জন্য সবার আগে একটি শিক্ষিত সমাজ ব্যবস্থার প্রচলন করতে হবে। একমাত্র শিক্ষায় পারে সমাজের সকল অসংগতি দূর করতে।

তিনি আরো বলেন, অশিক্ষাই সকল অজ্ঞতার মুল। আমরা বর্তমান সমাজে যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা দেখতে পায় যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক আসক্ত, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি তার মূলে আছে প্রকৃত নৈতিকতা সর্ম্পূণ শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটন করতে চাই, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চাই তাহলে নৈতিকতা সর্ম্পূণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন নারীদের যে দুইটি রোগ বেশি হয় তা হলো জরায়ু মুখ ক্যান্সার অন্যটি বেস্ট ক্যান্সার। তাই অবস্যই ৫ম -৯ম শ্রেণী ছাত্রীদের এবং ১০-১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্য এইচপিভি টিকাদান ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরোও বলেন আমাদের দেশে, শিক্ষায় নারীরা যদিও এগিয়ে যাচ্ছে তথাপি বাল্য বিবাহের পরিমান কমানো যাচ্ছে না যা আমাদের সমাজের জন্য একটি হুমকির স্বরুপ। তাই বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আহব্বান জানান।

উক্ত নারী সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে অন্যান্য বক্তারা বলেন বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্যান বক্তারা বলেন, বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকি স্বরুপ।

বিজয়নগরে ১০৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার : মোটর সাইকেল জব্দ

বিজয়নগর, 13 March 2023, 1506 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ১০৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এ সময় মাদকবাহী একটি ট্রাক ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।

banner

আজ ১৩ মার্চ সোমবার ভোর রাতে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া গ্রাম থেকে বিপুল পরিমান এই মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ জানান, গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার সেজামোড়া এলাকায় বিজিবির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১০৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।

এ সময় মাদকদ্রব্যবাহি একটি ট্রাক ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।

সরকারের উন্নয়ন জনগণের মাঝে উপস্থাপন করুন : মোকতাদির চৌধুরী এমপি

বিজয়নগর, 28 January 2023, 1532 Views,

বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের পরিকল্পিতভাবে সব সেক্টরে বিশাল উন্নয়ন ঘটিয়েছে। উক্ত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনা দরকার। তাই আপনারা যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী জনগোষ্ঠী রয়েছেন তাঁরা আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধারণ জনগণের মাঝে তুলে ধরে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করবেন পরিকল্পিত উন্নয়নের দ্বারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারও ক্ষমতা আনার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদান করার জন্য বলে উপস্থিতি জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতি ব্যক্তিবর্গের প্রতি আহ্বান জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।তিনি বিজয়নগর উপজেলার অভাবনীয় উন্নয়নের কিছু বর্ণনা প্রদান করে এবং বিজয়নগর উপজেলাকে সাজিয়ে তুলতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে এমন অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার জন্য এখন থেকে মাঠে নির্বাচনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহ্বান জানান।

banner

আজ ২৮ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১১ টায় বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণ করে এমন বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় বিজয়নগর উপজেলায় মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় বিজয়নগরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি মাদক চোরাচালান বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো সতর্ক থাকার আহ্বান করেন। শেখ কামাল আন্তঃ স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় বিজয়ী বিভিন্ন শিক্ষার্থী মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান খাঁন শাওন, বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রী রাণীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এর আগে সকালে তিনি উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন করেন।