অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সময়টা খুব ভালো নয়। এখানে অসুরের আস্ফালন হচ্ছে। এখানে দুষ্টের সংখ্যা বেড়ে গেছে। সৃষ্টকে পালন করতে হবে। এখানে অশান্তির হুমকি আছে। শ্রী কৃষ্ণের উপদেশ মতো শান্তি যাতে বজায় থাকে, সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে এটা প্রমাণ হয়েছে, শাসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে রাজনীতিতে সনাতন ধর্মের মানুষের আপন অন্তত নেই। আওয়ামী লীগ থাকাকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইবোনরা নিরাপদে ছিলেন।
সবাইকে দূর্গাপুজার সময় সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, অশুভ শক্তি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন কোনো ঘটনা যদি ঘটায়, যা হিন্দুদের সঙ্গে বা ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারে। সুতরাং আমাদের আরো সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আপনাদের বাড়ি ঘরে কোনো অশুভ শক্তি যেন ক্ষতি না করতে পারে, আমি সবাইকে আহ্বান করব, আপনাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। নিরাপত্তা দিতে হবে। বাসা বাড়ির নিরাপত্তা, মন্দিরের নিরাপত্তা, মন্ডপের নিরাপত্তা। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সতর্ক আছে। আমাদের জনগণকেও সতর্ক থাকতে হবে।
সকল আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ইস্যু করে বিএনপি এবার অশুভ খেলা খেলতে চায়।
তিনি বলেন, ‘সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে অশুভ শক্তি তৎপর। গতবার ড. কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে তারা তান্ডব চালিয়েছিল। এবার তারা ড. ইউনূসকে ইস্যু করে অশুভ খেলা খেলতে চায়। তারা আবার ওয়ান-ইলেভেনের মতো দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাদের এ আশা পূরণ হবে না।
ওবায়দুল কাদের আজ ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে রাজধানীর পলাশি চৌরাস্তায় কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা পূর্বক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জি, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে ওবায়দুল কাদের ও শেখ ফজলে নূর তাপস জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে হত্যা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
২০ আগস্ট মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফেন ডুজারিক। এ সময় তিনি ইউনূস সরকারের কাছে জাতিসংঘের প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘দেখামাত্র গুলি’ করার নির্দেশে হতাহত হয়েছে উল্লেখ করে প্রেস ব্রিফিংয়ে তার কাছে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ৮১৯ জন মানুষকে হত্যা ও ২৫ হাজার মানুষের আহত হওয়ার জন্য যারা দায়ী, জাতিসংঘ মহাসচিব কি তাদের বিচার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডুজারিক বলেন, হ্যাঁ।
এই প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর করার আগে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতিসংঘের মহাসচিবের আন্তোনিও গুতেরেসের দেওয়া একটি চিঠির বিষয়ে কথা বলেন।
আন্তোনিও গুতেরেসকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, চিঠিতে মহাসচিব বাংলাদেশে শান্তি ফেরানো এবং সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মহাসচিব বলেছেন, জাতিসংঘ প্রত্যাশা করে যে ড. ইউনূসের সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থা গ্রহণ করবে। সেখানে তরুণদের পাশাপাশি নারী, সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণও বিবেচনা করা হবে।
এই মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের সব নাগরিক, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ভরসা করছেন মহাসচিব।
চলারপথে রিপোর্ট :
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার বিষমুক্ত স্বদেশ বিনির্মাণের জন্যই বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো বিষাক্ত নয়, বরং বিষমুক্ত স্বদেশ বিনির্মাণের জন্যই বিরামহীনভাবে কাজ করে আসছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাস্যকর ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে ওবায়দুল কাদের আজ ৫ মে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বন্দুকের নলের মুখে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী নিষ্ঠুর স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্র কাঠামোকে বিষাক্ত করে গেছে এবং তার প্রতিক্রিয়া ও ক্ষত এখনও সমাজ-রাষ্ট্র বয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি রাজনীতির নামে রাষ্ট্র কাঠামোর সর্বত্রই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী আদর্শ এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিষ্ঠিত ও লালন-পালন করেছে। সময়ের সাথে সাথে বিএনপি একটি বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। সেই বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উন্নত-সমৃদ্ধ নিরাপদ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ এই জনপদের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপ্রদর্শক। সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণার পর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন শুধু নয়, এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য যে সরকার আইনগত বৈধতা ও স্বীকৃতি অর্জন করে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার বন্দরে পৌঁছে দিয়েছিল, সেই সরকার ছিল ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের জনপ্রনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত সরকার তথা আওয়ামী লীগ সরকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের সংগঠন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার হিসাব তুলতে গিয়ে নিজের স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থানকেই সুস্পষ্ট করেছেন। ব্যক্তি স্বার্থে ও ক্ষমতার লোভে আদর্শচ্যুত কতিপয় দালাল, খুনি ও স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠীকে নিয়ে গঠিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের আওয়ামী লীগ সম্পর্কে এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য তাদের স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন যে স্বাধীনতা, তার ইতিহাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস; মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস; এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে যদি কেউ আওয়ামী লীগকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় তাহলে তারাই এ দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের প্রতি শতভাগ নিষ্ঠা রেখে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণই আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বিভেদের কথা বলছেন! এতে আমাদের আফসোস হয়। জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলার হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ যুদ্ধ করে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। জাতির পিতাকে হত্যার পর খুনি-ঘাতকচক্র স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পবিত্র চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রাজনৈতিক বৈধতা দিয়ে বিভেদের গোড়াপত্তন করেছিল সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতা বিরোধী, বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র, ভুঁইফোঁড়, দালাল রাজনীতিবিদ ও কালোবাজারীদের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম হিসেবে সৃষ্টি হয় বিএনপি। তখন এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা তখন নিজেদের পরিচয় দিতেও ভয় পেত। তথাকথিত সেনা অভ্যুত্থানের মিথ্যা অভিযোগে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর শত শত মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসার এবং শত শত মুক্তিযোদ্ধা সৈনিককে ফাঁসি দিয়ে ও ফায়ারিং স্কোয়াডে নৃসংশভাবে হত্যা করে জিয়াউর রহমান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপির মুখম-লে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতনের কলঙ্কের কালিমা রয়েছে। সেই কলঙ্কের কালিমা এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সঙ্গে তাদের সহ-অবস্থানের ঘটনা আড়াল করতেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন।
সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এমন একটি সমাজ গঠন করতে চাই যেখানে বিচারপ্রার্থীকে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি শিকার হতে হবে না। কোনো বিচারক তার আসনে বসে আল্লাহকে ছাড়া কোনো রাষ্ট্রশক্তিকে পরোয়া করবে না। রাষ্ট্রের আইন এবং বিবেক শক্তি দিয়ে বিচার কাজ পরিচালনা করবে। আমরা শুনতে চাই না বিচারকের আসনে বসে বিচারকরা ঘুস খায়।
আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ট্যাংকেরপাড় পৌর মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সভায় তিনি এ কথা বলেন। ডা. শফিকুর বলেন, মিডিয়া বের করে নিয়ে আসে উনি অমুক জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, তার পাঁচটি গাড়ি রয়েছে, ১০টি বাড়ি রয়েছে। এসব কলঙ্কজনক কথা বিচারকদের ব্যাপারে শুনতে চাই না। আমরা এমন একটি বিচার ব্যবস্থা চাই, যে ব্যবস্থা উঁচু-নিচু কাউকে ভাববে না। বিচারপ্রার্থীকে বিচার প্রার্থী হিসেবে দেখবে। কোনো বিচারপ্রার্থী যদি মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়, তাহলে মিথ্যার অভিযোগের দণ্ডও তাকে পেতে হবে। আবার যদি কেউ সঠিক অভিযোগ নিয়ে আসে তাহলে ন্যায় বিচার থেকে যেন বঞ্চিত না হয়। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্য ১০টি দেশ যেমন মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে বিশ্বের বুকে দাঁড়ায়, বাংলাদেশও ইনশাআল্লাহ তার শির উঁচু করে দাঁড়াবে। বিদেশে আমাদের বন্ধু থাকবে কিন্তু কোনো প্রভু মেনে নেব না। কেউ আমাদের সঙ্গে প্রভুত্ব দেখাতে আসলে জাতির কাছে তার সঠিক জবাব বুঝিয়ে দেবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন- কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ মুবারক হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরা সদস্য ও কুমিল্লা নোয়াখালী অঞ্চল অঞ্চল টিম সদস্য মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাবেক আমির কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, সৈয়দ গোলাম সারোয়ার, সাবেক নায়েবে আমির কাজী মো. ইয়াকুব আলী, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের ২৫ জেলার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহার করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। আজ ২০ আগস্ট মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে প্রথম প্রজ্ঞাপনে ঢাকা, সিলেট, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মাগুরা, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নাটোর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, গাজীপুর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, খুলনা ও গোপালগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহার করার কথা জানানো হয়েছে।
দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে ফরিদপুর, শেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট ও চাঁদপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়।
ডিসি পদ থেকে এসব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে বিভিন্ন দপ্তরে উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শরীয়তপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জেলা শিক্ষক সমিতি। আজ ১৩ জুন মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। পরে শহীদ মিনারের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন তারা।
জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ার কামালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল আমীন রতনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সদস্য জিএম নুরুল হক, জেলার সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম খান, কোহিনুর সুলতানা দোলা, কোষাধ্যক্ষ সম্ভুনাথ পোদ্দার প্রমুখ। এতে জেলায় কর্মরত বিপুল সংখ্যক মাধ্যমিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।