চলারপথে রিপোর্ট :
খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য পরিবারের আবেদন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনে কোনো সুযোগ নাই।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এক-দেড় মাসের মধ্যে জেলে যেতে হবে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন শঙ্কার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি তো এখন পর্যন্ত জানিনা উনি (মির্জা ফখরুল) কোনো অপরাধ করেছেন। উনাকে কেন জেলে যেতে হবে এটা আমি জানি না। যদি উনি অপরাধ করে থাকেন তাহলে জেলে যেতে হবে।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহমেদ ভূঁইয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
এর আগে সকাল সোয়া দশটায় তিনি আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এসময় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া মুক্ত দিবস। দিবসটি উপলক্ষে আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোভাযাত্রা, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভা। এর আগে মোমবাতি জ্বালিয়ে শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। পরে উপজেলা পরিষদ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে পোস্ট অফিসের সামনে শেষ হয়। সেখানে জাতীয় সঙ্গীতের সুরে পতাকা উঠানো হয়। আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিএনপি, জামায়াত, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে পোস্ট অফিসের সামনেই জাতীয় পতাকা উঠানো হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন খান স্বাধীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আখউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সজিব মিয়া, আখাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন আব্দু, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ জমশেদ শাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, প্রেস ক্লাব সভাপতি মো. মানিক মিয়া, জামায়াত ইসলামের আমির মো. ইকবাল হোসেন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ডা. এনামুল হক মামুন। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. জালাল হোসেন মামুনের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের প্রধান উপদেষ্টা দীপংকর ঘোষ নয়ন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা থেকে পাঠ করা হয়। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে আখাউড়া মুক্ত হয়। গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে পালিত হয়ে আসছে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
একটি প্রভাবশালী মহল ফসলি জমির পাশে খাল দখলে নিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে জমির পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষকরা।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী কৃষক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের চরনারায়ণপুর মৌজায় বুড়িবিলের পাশে ৫ শতাধিক বিঘা কৃষি জমি রয়েছে। উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামের মৃত শরিয়ত উল্লার ছেলে মো. তাহের মিয়া ও একই গ্রামের হাজী আবুল কাশেমের ছেলে মো. রাসেল মিয়া বিগত কয়েক বছর পূর্বে চরনারায়ণপুর মৌজাতে কিছু জমি ক্রয় করে জমিগুলোর পশ্চিম পাশে উত্তর-দক্ষিণ করে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। যার ফলে ওই এলাকার শত শত বিঘা কৃষি জমিতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও শুস্ক মৌসুমে পানির অভাব সৃষ্টির হয়ে জমিগুলো চাষে অযোগ্য হওয়ার উপক্রম। ভুক্তভোগী কৃষকরা এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের উপর চড়াও হয়ে ভয়ভীতি হুমকি ধমকি দেন তারা। এ চক্রটির দাপটে কেউ কথা বলার সাহস পায়না। নিরীহ কৃষকদের জমি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত আছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।
সম্প্রতি আবারও জমি কেটে পুকুর নির্মাণ শুরু করেছে তাহের মিয়া। কিন্তু পুকুরের পাড় নির্মাণের কারণে পুকুরের পেছনের প্রায় ৫০০ বিঘা জমি থেকে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাবে। আবার বর্ষাকালে পানি সরাতে না পেরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। ফলে শত শত বিঘা জমির চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়ছে।
খাল দখলের ফলে ভুক্তভোগী কৃষক লিয়াকত আলী অভিযোগ করে বলেন, আমার এখানে প্রায় ২৮ বিঘা জমি রয়েছে। চারদিকে ঘুরিয়ে যে বাঁধ দিচ্ছে এতে করে আমাদের জমিগুলোর পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে পরেছে। এ বাঁধের ভেতরে শত শত বিঘা জমি জলাবদ্ধ হয়ে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে। চাষাবাদ না করতে পারলে আমরা না খেয়ে মরব।
স্থানীয় বাসিন্দা মিলন মিয়া বলেন, একটি প্রভাবশালী মহল খালে মাটি ফেলে বেড়িবাঁধ দিয়েছে। আমরা বাঁধা দিয়েছি কিন্তু তারা আমাদের বাঁধা মানে নাই। তারা বলেছিল ব্রীজ করে দিবে কিন্তু ব্রিজ করে দেয় নাই। এ জন্য জমির পানি নিষ্কাশন হয় না। আমরা অনেক কষ্টের মধ্যে আছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত তাহের মিয়া বলেন, এখানে কোনো খাল নেই। নিজের জায়গায় বাঁধ দিয়েছি। এতে করে কৃষকদের কোনো ক্ষতি হবে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, চরনরায়ণপুরে ৫০০ বিঘা জমি রয়েছে। ২০১৯ সালে কৃষকরা ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিল। স্যারের নির্দেশে আমি তদন্ত করার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে উঁচু বাঁধের কারণে কৃষকদের জমিতে পানি আসা-যাওয়া বাঁধাগ্রস্ত হয়। এখানে যদি আবারও বড় বাঁধা তৈরি করা হয় তাহলে কৃষি জমির ক্ষতি হবে। সেচের অভাবে জমিগুলো খালি পড়ে থাকবে। এটা কৃষির জন্য হুমকি স্বরুপ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, কৃষকদের যাতে ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, কৃষকদের একটি দরখাস্ত পেয়েছি। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা আরজু মিয়া (৩০) নামে এক মাদক মামলার আসামি পালিয়ে গেছে।
গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার ধরখার ফাঁড়ি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মো. মোবারক হোসেন আরজু মিয়াকে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করেন। দুপুরে সে থানা থেকে পালিয়ে যায়। পলাতক আরজু মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র। মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত আরজু মিয়াকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তাকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আসামি আরজু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। সে ওই কক্ষের জানালার গ্রীল ভেঙে পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া মুক্ত দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় প্রশাসনের প্রস্তুুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার সকালে আখাউড়া উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া।
সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, আলেমসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামসেদ শাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার প্রমুখ।
সভায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অ্যাড. সিরাজুল হক পৌর মুক্ত মঞ্চে এক মিনিট নিরবতা, মোবমাতি প্রজ্জ্বলন, ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া মুক্ত দিবসে উপজেলা ডাকঘরের সামনে সকাল ১০টায় জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে আলোচনা সভা এবং ১৬ ডিসেম্বর সকালে ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা।
সুর্যোদয়ের সাথে সাথে স্থানীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্প স্তবক অর্পন, বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তাফা কামালের সমাধিতে পুষ্প স্তবক অর্পন, কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও হাসপাতালে রোগীদের মাঝে উন্নত খাবার পরিবেশন, মসজিদ- মন্দির ও উপাসনালরে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১৯৫টন ভাঙা পাথর আমদানি করা হয়েছে। আজ ২৬ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগরতলা বন্দর হয়ে ৯টি ট্রাকে করে এসব পাথর আখাউড়া স্থলবন্দর আসে।
এর মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।
পাথরগুলো আশুগঞ্জ-আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন চারলেন মহাসড়কের নির্মাণকারী ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড আমদানি করেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ পাথরগুলো বন্দর থেকে ছাড়করণের কাজ করবে।
মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক জানান, বন্দর দিয়ে এক হাজার টন ভাঙা পাথর আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই বাকি পাথরগুলো চলে আসবে। এরপর বন্দর থেকে পাথর ছাড়করণের কাজ শুরু হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম জানান, গত ১০ জুলাই ভারত থেকে ১০ টন আদা আমদানি হয়েছিল। এরপর আর কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায় ৯টি ট্রাকে করে ১৯৫ টন ভাঙা পাথর এসেছে। যদিও এদিন ১০টি ট্রাকে করে ২২০ টন পাথর আসার কথা ছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত শুল্ক ও মাশুল পরিশোধের পর পাথর খালাস করবে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দুই হাজার ৭০০ টন চুনোপাথর আমদানি করেছিল এফকনস্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।